গল্পের শুরু ম্যাগিকে দিয়ে । ম্যাগি একজন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওম্যান । নিউ ইয়র্ক শহরে একা থাকে । তার এপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের গেটম্যান গুজিম । ম্যাগির সাথে তার অদ্ভুত এক সম্পর্ক । সে কেবল ম্যাগির ডোরম্যানই না, সে তার ফ্রেন্ড, বডিগার্ড, ফাদার ফিগার আরও কিছু ! প্রতিবারই ম্যাগি যখন কোন নতুন বয়ফ্রেন্ড কিংবা ডেট নিয়ে আসে গুজিম এক ঝটকায় সেটা বাতিল করে দেয় এবং গুজিম যতবার তাদের ব্যাপার যা যা মন্তব্য করে সবই পরবর্তিতে সঠিক প্রমাণিত হয় !
এমন করেই এক ইজরায়েলির সাথে ম্যাগির ভাব ভালোবাসা হয় ! যথারীতি গুজিম তাকে প্রথম দেখাতেই বাতিল করে দেয় । বলে যে এই লোক ম্যাগির যোগ্য নয়, এই লোক দায়িত্ব নিতে পারবে না । তারপরেও ম্যাগি তার সাথে ডেট চালিয়ে যায় । এক সময় ম্যাগি প্রেগনেন্ট হয়ে পড়ে । এই বড় নিউ ইয়র্ক শহরে ম্যাগি এই নিউজ কাজে বলবে ? তার বাবা, তার মাকে, বোন কিংবা কোন বন্ধুকে ?
শেষে গুজিমকে বলে । তাজে জড়িয়ে ধরে কাঁদে ।
গুজিমকে বলে যে সে ভীত খানিকটা । এই বাচ্চাকে সে রাখবে না । তখন গুজিম তাকে সাহস দেয় । তাকে বলে যে কোন তোমার জাজ করতে যাচ্ছে না । কি করবে সেটা একান্তই তোমার নিজের সিদ্ধান্ত !
পরে ম্যাগি ঠিক করে যে বাচ্চাটা সে রাখবে । সিঙ্গেল মাদার হবে । এই পুরো জার্নিতে গুজিম সব সব সময় তার পাশে থাকে । এই বড় শহরে তাকে আগলে রাখে একজন বন্ধু একজন বাবার মত করে । ম্যাগির মেয়ে পৃথিবীতে আসে । সেই মেয়ের সাথেই গুজিমের একটা আলাদা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয় । যেন সেও বুঝতে পেরেছে তার এই পৃথিবীতে আসার ব্যাপার এই বৃদ্ধ লোকটার একটা আলাদা হাত রয়েছে ।
এক সময়ে ম্যাগি ভাল একটা চাকরি পেয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে এল এ তে চলে যায় । যাওয়ার আগে গুজিমকে বলে সে সে তাকে মিস করবে খুব । যথরীতি গুজিম বলে ”নো কমপ্রেইন”। প্রতিবারই গুজিম কোন সমস্যা কিংবা ফেভারে ঠিক একই কথা বলতো ।
ঘটনার শেষে দেখা যায় ম্যাগি পাঁচ বছরের পরে আবারও নিউ ইয়র্কে ভিজিটে আসে । এবার তার সাথে একজন মানুষ থাকে । ম্যাগি আসলে তাকে গুজিমের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে আসে। আরও ভাল করে বললে একটা টেস্ট নিতে আসে । গুজিম যেমন এক দেখাতেই বলে দিতো এই ছেলে ম্যাগির জন্য ঠিক না, তার নতুন বয়ফ্রেন্ডও ঠিক হবে কিনা সেটা দেখতে আসে ।
যখন নতুন বয়ফ্রেন্ড গুজিমের সামনে এসে বলে যে এটা কোন ধরনের একটা টেস্ট তখন গুজিম সাথে সাথেই বলে ইউ পাসড ইট !
সে, কি করলাম আমি?
গুজিম বলে নাথিং ! তারপর ম্যাগির দিকে তাকিয়ে গুজিম বলে যে তুমি যে ছেলে গুলোতে নিয়ে আসতে আমি তখনই তাদের দিকে তাকাতাম না । আমি তোমার চোখের দিকে তাকাতাম । তুমি কিভাবে তাদের দিকে তাকাতে সেটা দেখতাম !
অ্যামাজান প্রাইমের অরিজিনাল সিরিজ মর্ডান লাভের প্রথম এপিসোডের গল্প হচ্ছে এই হোয়েন দ্যা ডোরম্যান ইজ ইয়োর মেইনম্যান। এতো চমৎকার এক গল্প । সিম্পল অথচ সুন্দর ! মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত গল্প ।
Discover more from অপু তানভীর
Subscribe to get the latest posts sent to your email.