মোমোর মুখের দিকে তাকিয়েই আমার মনে হল সে আমার সাথে কথা বলতে একটু অস্বস্তিবোধ করছে। গত সপ্তাহে যখন আমি ওকে ফোন করে দেখা করার জন্য বলেছিলাম, তখন সে কিছুটা দ্বিধান্বিত ছিল। আমি যখন আবিরের কথা বললাম তখনই কেবল দেখা করতে রাজি হল। যদিও আমাকে একটু মিথ্যা বলতে হয়েছিল। আমাকে বলতে হল যে আমি আবিরের বন্ধু। কথাটা যদিও একেবারে মিথ্যা নয় আবার পুরোপুরি সত্যিও নয়।
আমি শুরু থেকেই জানতাম যে আমার সাথে শুরুতে মোমো আমার সাথে কথা বলতে খুব একটা স্বস্তিবোধ করবে না। তাই আমি এমন কোথাও দেখা করতে চাচ্ছিলাম যে জায়গাটা মোমোর পরিচিত হবে। তার অফিসের উপরেই একটা রুফটপ রেস্টুরেন্ট আছে। প্রায় দিনই আবিরের সাথে সে প্রায়ই এখানে দুপুরের লাঞ্চ করত। এই কথা আমি আবিরের কাছ থেকেই জেনেছি। তাই আমি যখন মোমোকে জানালাম যে আমি ওর সাথে দুপুরে দেখা করতে পারি, ওর চেনা রেস্টুরেন্টে তখন মোমোর জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ হয়ে গেল।
আমি একটু আগে আগেই পৌছে গেলাম। মোমো দুপুর ঠিক দেড়টার সময়ে এসে হাজির হল। আমি মোমোকে সরাসরি দেখি নি। কেবল ছবি দেখেছি ফেসবুকে। আর আবিরের মুখে ওর চেহারার বর্ণনা শুনেছি। সেই হিসাবেই ওকে আমি চিনতে পারলাম। হাত নাড়তেই আমার দিকে তাকিয়ে হাসল একটু। তারপর আমার সামনে এসে দাড়াল।
-আপনি অপূর্ব হাসান ?
-জ্বী।
মোমো আমার চেহারার দিকে কিছু সময় তাকিয়ে রইল। আমি বুঝতে পারছি সে আমাকে চেনার চেষ্টা করছে। আমাকে সে আগে কোনো দিন আবিরের সাথে দেখেছে কিনা সেটা মনে করার চেষ্টা করছে। বিপরীত দিকের চেয়ারে বসতে বসতে মোমো বলল, আমার লাঞ্চ আওয়ার ৪৫ মিনিট। এর বেশি সময় দিতে পারব না। আপনার কী বলার বলতে পারেন?
-খাবার অর্ডার দিয়ে দিয়েছি। আসুক।
আমি আগেই খাবার অর্ডার দিয়েছি শুনে মোমো আবারও একটু অস্বস্তিতে পড়ল। আমি পরিস্কার বুঝতে পারছি আমার মত অপরিচিত মানুষের কাছ থেকে।
-আমি আসলেই আপনাকে চিনতে পারছি না। আপনার কথা আমি কোন দিন আবিরের কাছে শুনি নি। আপনি কি ওর ছোট বেলার বন্ধু?
-নাহ। আমি আবিরের ছোট বেলার বন্ধু না। এমন কি …
কথাটা বলতে গিয়েও থেমে গেলাম। কারণ আমি যে কথাটা মোমোকে বলতে যাচ্ছি সেটা শুনলে মোমো কোন ভাবেই বিশ্বাস করবে বলে আমার মনে হয় না। মোমো কেন, আমি নিজেই আমার বলা এই কথা বিশ্বাস করতাম না। তবুও আমাকে কথাটা বলতেই হবে। আমি আবিরকে কথা দিয়েছিলাম। যদি সেখান থেকে আমি ফিরে আসি তাহলে মোমোকে তার বলা কথা বলব। আবিরের বাবা মা কেউ বেঁচে নেই। আপন বলতে কেবল মোমোই ছিল। অন্য দিকে আবির আমাকে কথা দিয়েছিল যে সে যদি ফিরে আসে তাহলে আমার বাবা-মায়ের সাথে গিয়ে কথা বলবে।
আমি একটা দম নিয়ে বললাম, এক্সিডেন্টের আগে আবিরের সাথে আমার কোন দিন দেখা হয় নি।
দেখতে পেলাম, মোমোর চেহারার ভাবটা পরিবর্তন হয়ে গেল। সে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, মানে? আপনি তাহলে আমাকে মিথ্যা বলেছেন? আপনার সাহস তো কম না।
মোমো উঠেই যাচ্ছিল ঠিক তখনই ওয়েটার খাবারের ট্রেনে নিয়ে হাজির হল। খাবারের ট্রের দিকে তাকিয়ে মোমো কিছু সময় থমকে দাড়াল। কারণ তার চোখ গিয়েছে ট্রেতে রাখা খাবারের বোলগুলোর দিকে। এখানে আবির আর মোমো যতবার খাবার খেতে আসত তত বারই ঠিক এই খাবারগুলোই অর্ডার দিত।
মোমো একবার খাবারের ট্রে আরেকবার আমার মুখের দিকে তাকাল। আমি তখন বললাম, প্লিজ বসুন। আমি এখানে আবিরের অনুরোধে এসেছি। ওর শেষ কিছু আপনাকে জানানোর জন্যই আমি এসেছি।
তারপর একটু বিরতি নিয়ে আমি বললাম, সেদিন আবির যে প্লেনে ছিল, আমি নিজেও সেই প্লেনেই ছিলাম। আমাদের সিট পাশাপাশি ছিল। ওর মত আমিও কোমাতে ছিলাম।
মোমো কেবল চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। আমার কথা যেন ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। আমি সামনে যা বলতে যাবো সেই কথাও যে তার বিশ্বাস হবে না সেটাও আমি জানি । তবে ওর এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকার দেখে আমার কেন জানি মনে হল যে আমার কথা অবিশ্বাসও করবে না।
প্রায় মাস ছইয়েক আগে আমাদের দেশে একটা একটা ডমিস্টিক প্লেন ক্রাশ করে। এবং দূর্ভাগ্যের ব্যাপার হচ্ছে আমি সেই প্লেনের ভেতরে ছিলাম। কেবল আমিই না আরু ৪০ জন যাত্রী ছিল সেই প্লেনে। তাদের ভেতর থেকে ১১ জন যাত্রা মারা গিয়েছিল। সাধারনত প্লেন ক্রাশে যাত্রীরা খুব একটা বাঁচে না। তবে এই ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার হয়েছিল। আমাদের পাইলটের দক্ষতায় সে প্লেনটা কোন মতে নদীর ভেতরে ক্রাশ করাতে পেড়েছিলেন। এই কারণেই সম্ভবত যাত্রীদের সবাই মারা যায় নি। যারা বেঁচে ছিলেন তাদের সবাই আহত হয়েছিলেন। কেবল দুইজন মানুষ কোমাতে চলে গিয়েছিল। সেই দুইজন মানুষ হচ্ছে আমি আর আবির। আমি কোমা থেকে জেগে উঠি বারোদিন পরে। তবে আবির আর জেগে ওঠে নি। সে মারা গেছে।
আমি আগেই এমন অনেক গল্পই শুনেছিলাম যে যারা কোমাতে থাকে তারা অদ্ভুত এক জগতে চলে যায়। এক হিসাবে তারা মৃতই বলা চলে। মৃতদের জগতে চলে যায়। আমি কিভাবে কোমাতে গেলাম সেই কথা আমার কিছু মনে নেই। আমার কেবল মনে হয়েছে আমাদের প্লেনটা পানিতে এসে ধাক্কা লাগল । তার আগে পাইলট আমাদের কিছু একটা যেন বলতে গেলেন । তবে তার কথা শেষ হওয়ার আগেই আমরা ক্রাশ করি।
আমার যখন আমার হুশ ফেরে তখন আমি আবিস্কার করি আমি আবার চিরপরিচিত বাসাতে রয়েছি। আমি আমার প্রতিদিনের কাজ কর্মের ভেতরে রয়েছি। সকালে ঘুম থেকে উঠছি। অফিস যাচ্ছি তারপর আবার ফিরে আসছি। তবে আমি আসলে কিছুই করছিলাম না। আমি প্রতিদিন একই কাজ করেছিলাম। একটা লুপের ভেতরে যেন আটকে ছিলাম। একই ভাবে সকালে উঠছি, কফি খাচ্ছি, একই পথে অফিসে যাচ্ছি আবার একই পথে ফিরে আসছি। এবং এটা আমি বুঝতেও পারছিলাম না।
এমন দিক অফিসে যাওয়ার সময়ই একজন মানুষের সাথে আমার ধাক্কা লাগে। আমরা দুজনে উল্টে পড়ে গেলাম রাস্তার উপরে। আমি আমার মত আমার ব্যাগটা গুছিয়ে নিজের অফিসে পথে যখন চলে যাচ্ছিলাম তখনই পেছন থেকে সেই মানুষটা আমাকে ডাক দিল।
সত্যি বলতে কি, আমার ঠিক মনেও নেই যে কতদিন পরে আমি অন্য কারো ডাক শুনতে পেলাম। আমার পুরো শরীর যেন কেঁপে উঠল। সে আমার দিকে এগিয়ে এসে বলল, ক্যান ইউ হেয়ার মি?
-হ্যা শুনতে পাচ্ছি। আপনি …
আমি তখনই বুঝতে পারছি না আসলে কী হচ্ছে। এই মানুষটার সাথে আমার তো এখানে এখানে দেখা হওয়ার কথা না। তবুও হচ্ছে।
-আপনি এখানে থাকেন?
-না এখানে না। এই সামনে আমার অফিস। আমি থাকি কলাবাগান। আপনি কিছু বলবেন আমাকে? আমার অফিসের জন্য দেরি হয়ে যাচ্ছে।
-আরে রাখেন আপনার অফিস। এদিকে আসেন ।
এরপর সে আমার হাত ধরে আমাকে এক প্রকার টানতে টানতে পাশের একটা রেস্টুরেন্টের ভেতরে নিয়ে গেল। আমি তার সাথেই চললাম। কেন জানি আমি তাকে বাঁধা দিতে পারলাম না। আমার কাছে পুরো ব্যাপারটা কেমন যেন অদ্ভুত মনে হতে লাগল। আজকে এমন ঘটনা আমার সাথে কেন ঘটছে!
আমি রেস্টুরেন্টে বসলাম বটে তবে কেউ আমাদের অর্ডার নিতে এল না। আমার সাথের মানুষটা আমার দিকে তাকিয়ে বলল, কেউ আসবে না। আপনি একবার মনে করে দেখেন তো এখানে আসার পরে আপনি কত জন মানুষের সাথে কথা বলেছেন?
-আরে কী বলছেন, আমি তো……
আমি মনে করার চেষ্টা করলাম। শেষ আমি কার সাথে কথা বলেছি?
তারপরই অবাক হলাম ব্যাপার নিয়ে। আমি আসলে কার সাথে শেষ কথা বলেছি সেটা আমি মনে করতে পারছি না। শেষ কোন মানুষের সাথে আমার দেখা হয়েছে সেটাও আমার মনে নেই। এতো বড় শহরে আমি থাকি অথচ শেষ কোন মানুষ আমি দেখেছি?
-আমিই এক মাত্র মানুষ, যার সাথে আপনার কথা হচ্ছে এই কদিনে, তাই না?
আমি এবার সত্যিই বিস্ময় নিয়ে তার দিকে তাকালাম। আসলেই তাই। আমি এই কদিনে আর কারো সাথেই কথা বলি নি। অফিসে যাই কারো সাথে কথা বলি নি। কারো সাথে দেখাও হয় নি। এবং সব থেকে অবাক করার ব্যাপার যে এটা নিয়ে আমি ভাবিও নি। একটা অফিসে আমি ছাড়া আর কেউ নেই, অথচ এটা নিয়ে আমার কোন চিন্তা হচ্ছে না।
-আপনি কতদিন ধরে এখানে আছেন?
-আমি……
আমি জানি না । সত্যিই আমি কতদিন ধরে এই অবস্থার ভেতরে আছি সেটা আমি জানি না। আমার কোন কথা মনে নেই। আমি নিজের মস্তিস্কের উপর জোর দিলাম কিন্তু কোন কাজ হল না। আমার মনে হল যেন আমি অনন্ত কাজ ধরেই এখানে রয়েছে, আর একই ধরনের কাজ করে চলেছি।
-আমার নাম আবির। আমিও আপনার মত এখানে রয়েছি। এখানে আর কেউ নেই। অন্তত আমি এখনও কাউকে দেখি নি।
-আমার নাম অপূর্ব। আমিও আর কাউকে দেখি নি । আসলে এই ব্যাপারটা খেয়ালও করি নি আমি এখানে একলা আছি।
-আমরা কি মারা গেছি। মানে এটা আফটার লাইফ?
আবির একটু চিন্তা করে বলল, হতে পারে। অবার নাও হতে পারে। কিছুই জানি না। তবে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে যে আমরা মারা যাই নি।
এতোটা সময় মোমো আমার কথা মন দিয়ে শুনছিল। এবার বলল, তারপর?
-তারপরে আমরা আরও অনেক কথা বললাম। আসলে কত সময় যে কথা বললাম সেটারও কোন হিসাব নেই। ওখানকার সময় অন্য রকম ভাবে চলে। মনে হয় যেন আমরা অনন্তকাল ধরেই সেখানে রয়েছে। এক সময়ে আমরা দুইজনই নদীর পাড়ে বসে নানান ব্যাপার নিয়ে গল্প করতে লাগলাম। আবির আমাকে ওর জীবনের গল্প বলল, আমিও তাই। ও আপনার কথাও বলল অনেক। আপনি কেমন আর কিভাবে ওকে ভালোবাসেন সব কিছু। কলেজে থাকতে আবির মনে হয় একবার আপনার চুপে চুইংগান লাগিয়ে দিয়েছিল। তাই না? সেখান থেকেই আপনাদের প্রথমে বন্ধুত্ব তারপর প্রেম। আবির প্রায়ই ভাবে যে যদি সেদিন আপনার চুলে চুইংগান না লাগাত তাহলে হয়তো আপনার সাথে কোন দিন প্রেম হত না।
আমি মোমোর চোখে একটা বিন্দু পানি দেখতে পেলাম। এবার অন্তত সে আমার কথা বিশ্বাস করেছে । কারণ এই কথা আমার কোন ভাবেই জানা সম্ভব না যদি আবির আমাকে না বলে।
-আপনারা কিভাবে বুঝলেন যে আপনারা কোমাতে আছেন?
-এটাও আসলে আবিরই বলেছে আমাকে। আমাদের সামনে আসলে দুইটা অপশন খোলা ছিল। এক হচ্ছে হয় আমরা মারা গেছি নয়তো আমরা কোমাতে আছি। যখন আমরা এই ব্যাপারে নিশ্চিত হলাম তখন আমাদের মাঝে এই সম্ভবনাও দেখা দিল যে হয়তো আমরা দুইজনের জেগে উঠতে পারি আবার দুজনেই নাও জেগে উঠতে পারি । অথবা এমন হতে পারে যে আমাদের মাঝে একজন জেগে উঠল । তখন আমরা একটা ব্যাপার ঠিক করলাম । যদি আমাদের মাঝে একজন জেগে ওঠে তাহলে সে অন্যজনের বাসায় গিয়ে কথা বলবে। যদিও আমরা কেউই নিশ্চিত ছিলাম না যে জেগে ওঠার পরে আমাদের এসব মনে থাকবে।
তারপর একদিন আমি আর আবিরকে খুজে পেলাম না। সে যেন কোথায় হারিয়ে গেল। তখনই আমার মনে হল যে সে সম্ভবত জেগে উঠেছে। একটু মন খারাপ হল বটে। তবে এটা ভেবে আমার মনে শান্তি লাগছিল যে আমি আমার বাবা মায়ের কাছে আমার শেষ একটা বানী পাঠাতে পারলাম।
তারপর আমি একা একাই সেই জগতে ঘুরতে লাগলাম । কতদিন আমি সেখানে ছিলাম সেটার কোন ধারণা আমার কাছে ছিল না। আগেই বলেছি যে সেখানে সময়ের কোন হিসাব থাকে না।
-আবির সাত দিনের মাথায় মারা যায়। ওর ব্রেন ফাংশন করা একেবারে বন্ধ করে দেয়। সম্ভবত এই কারণে আপনি তাকে আর খুজে পান নি।
-হ্যা আমি জেগে ওঠার পরে আমার কিছুই মনে ছিল না। আমার সুস্থির হতে আরও মাস খানেক সময় লাগে। তখন আস্তে ধীরে আমার সেই সময়ের কথা মনে হতে থাকে। আবিরের কথা মনে থাকে। আমি তখন জানতে পারি যে আবির মারা গেছে।
মোমো চুপ করে রইল। আমিও কী বলব আর খুজে পেলাম না।
আমাদের দুপুরের লাঞ্চ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। মোমো আমাকে বলেছিল মাত্র পয়তাল্লিশ মিনিট সময় সে আমাকে দিবে তবে এরই ভেতরে প্রায় দুই ঘন্টা পার হয়ে গেছে। আজকে সম্ভবত মোমো আর অফিসে ফেরত যাবে না। সত্যিই তাই হল। আমরা মোটামুটি বিকেল পর্যন্তই সেখানে বসে রইলাম। আবিরকে নিয়ে কথা বললাম । এক সময়ে মনে হল যে আমাদের এবার যাওয়া উচিৎ। আবিরের শেষ কথাই আমি ওকে জানালাম। বললাম যে আবিরের শেষ কথাটা ছিল যেন মোমো ওর জন্য নিজের জীবন থেকে থামিয়ে না রাখে। জীবনে এগিয়ে যায়।
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আমি মোমোকে সিএনজিতে তুলে দিলাম। সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলাম বেশ কিছুটা সময়, যতটা সময় না সিএনজিটা চোখের আড়ালে চলে না যায়। তারপর আমি নিজের পথে হাটা দিলাম।
কোমার সেই সময়টার কথা আমার কাছে প্রায়ই অদ্ভুত স্বপ্ন মনে হয় । অদ্ভুত সেই জায়গায় আমি এই পৃথিবীর হিসাবে বারোদিনের মত ছিল কিন্তু সেখানে আসলেই আমি কত সময় ছিলাম, সেটা আমার জানা ছিল না। সেখানকার অনেক কিছু আমার যেমন নেই, ঠিক তেমনি ভাবে অনেক কিছুই আমার মনে রয়েছে স্পষ্ট। ডাক্তাররা বলেছে এমনটা হওয়াটা জানি স্বাভাবিক। সব কোমা পেসেন্টই নাকি এই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যায়।
আমার মনে আসলেই সেই প্রশ্ন এখনও ঘুরপাক খায়। আমি এই বারোটা দিন আসলে ঠিক কোন জগতে ছিলাম? এই জগতের নাম কী? আপনাদের কারো জানা আছে?
এই গল্পটা কোরিয়ান ড্রামা লাইট সপ এর থিম নিয়ে লেখা। যারা ড্রামাটা দেখেন নি, দেখতে পারেন। চমৎকার একটা ড্রামা।
ফেসবুকের অর্গানিক রিচ কমে যাওয়ার কারনে অনেক পোস্ট সবার হোম পেইজে যাচ্ছে না। সরাসরি গল্পের লিংক পেতে আমার হোয়াটসএপ বা টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। এছাড়া যাদের এসব নেই তারা ফেসবুক ব্রডকাস্ট চ্যানেলেও জয়েন হতে পারেন।
সরাসরি মেসেজ পাঠাতে চিঠি.মি এপ ব্যবহার করুন।
Discover more from অপু তানভীর
Subscribe to get the latest posts sent to your email.