দি এডভেঞ্চার

oputanvir
3.7
(18)

নীলার মনটা আজকে কেমন যেন করছে । বারবার মনে হচ্ছে কোন একটা ঝামেলা হয়তো আজকে হবে । যদিও এই কাজটা এর আগেও ওরা করেছে । তখন কোন ঝামেলা হয় নি । আসলে সজিব সব কিছু এমন ভাবে করে তাতে ঝামেলা হওয়ার সুযোগ কম । সজিব সব সময় ওর নিরাপত্তার ব্যবস্থা সব থেকে আগে দেখে । তবে নীলা এবার ইচ্ছে করেই এমনটা করতে যাচ্ছে । কারণ যখন আপনি জানবেন যে সামনে আপনার কোন বিপদ নেই তখন আপনার মনে সেই উত্তেজনা আসবে না !

নীলা আরেকবার ভাবলো । উত্তেজনা । এই উত্তেজনা পাওয়ার জন্য কত কিছুই না সে করে । অবশ্য নীলার উত্তেজনার ধরণ গুলো সব ছিল অন্য রকম ।

সজিব নতুন চাকরিতে জয়েন করার পরে ওর সাথে মফস্বল শহরে চলে আসে সে । থাকতে শুরু করে শহরের একেবারে শেষ প্রান্তের একটা বাড়িতে । আসলে এই শহরটা সজিবের নিজেদের বাড়ি । সজিব ইচ্ছে করেই এখানে পোস্টিং নিয়েছে । অবশ্য নীলার এতে খুব একটা আপত্তি ছিল না । বরং নীলা মনে মনে একটু খুশিই হয়েছিলো । আর বাড়িটা দেখে ওর ভাল লেগেছিলো সব থেকে বেশি । একেবারে নির্জন । শহরের এক পাশে । এরপরে জঙ্গল শুরু হয়েছে । কোন ঘর বাড়ি নেই ।
একদিন বাড়ির নিচের ঘরের সন্ধান পেল নীলা । ঘরটা আসলে একটা গুদাম ঘর । তবে পুরো ঘরটা ছিল আসলে সংরক্ষন ঘর । সজিবের দাদা কেমিক্যালের ব্যবসা করতো । সেই জন্যই ঘরটা বানানো হয়েছিলো । এই ঘরের বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা ছিল । সেদিনই প্রথম বার সজিবকে কথাটা বলল নীলা । নীলার কথা শুনে সজিব বেশ অবাকই হয়েছিলো । তবে নীলার আগ্রহ দেখে ওকে মানা করে নি ।

পুরোঘরটা ওরা দুজন মিলেই পরিস্কার করলো । তারপর মেকানিক ডেকে অক্সিজেন নিয়ন্ত্রন যন্ত্রটা ঠিকঠাক করিয়ে নিল। আরো একটু আধুনিকায়ন করলো নিজের মত করে ।
প্রথম দিনে নীলা ঘরে ঢুকেছিল । ঠিক হয়েছিল যে ঘন্টা খানেক সময় সে থাকবে এই ঘরে। এবং এই সময়েই ঘরের ভেতরে অক্সিজেন থাকবে । তারপর শেষ হয়ে যাবে । এই এক ঘন্টা কোন ভাবেই নীলাকে ঘরের বাইরে বের হতে দেওয়া হবে না । ঘরটা এয়ার টাইট হওয়ার কারণে কোন আওয়াজও বাইরে আসবে না ।

প্রথমদিনের এই অভিজ্ঞতা নীলার জন্য একেবারে অন্য রকম ছিল । সেই সাথে ওর এটা করার জন্য আরো বেশি বেশি আগ্রহ অনুভব করতে লাগলো । সেই সাথে এই খেলাটা করার জন্য নতুন নতুন যন্ত্রপাতি যোগ করা শুরু হল । যেমন প্রথম প্রথম কেবল নীলাকে বন্দী করে রাখলেও পরে সেখানে নীলার দেহে আরো নতুন কিছু যোগ হতে লাগলো । ওর গলায় একটা স্টিলের কলার যোগ হল । হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো হল এবং মুখে বলগ্যাগ পরানো হল । সেই সাথে বন্দী থাকার সময়টাও বাড়তে লাগলো । এক ঘন্টা দুই ঘন্টা এরপর সময়টা ঠিক ঠিক রইলো না । যেমন সজিব কোন কাজে যাবে । যাওয়া আসা দিয়ে ঘন্টা চার / পাঁচ লাগবে । রাস্তা ঘাটের কথা বলা যায় না । তাই কখন আসবে সেটা অনির্দিষ্ট। এভাবেই ওদের খেলা চলত ।

তবে আজকে একটু বেশি এক্সট্রিম কাজ করতে চলেছে ওরা । আজকে সজিব যাবে অফিসে এবং অফিস যাওয়ার আগে নীলাকে ভেতরে বন্দী করে রেখে যাবে । ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা একেবারে টাইটাই ভাবে সন্ধ্যা ছয়টা সেট করে দেওয়া যাবে । সজিবের অফিস শেষ হয় পাঁচটায় । অফিস থেকে বের হতে হতে সাড়ে ৫টা বেজে যাবে । অফিস থেকে এখানে আসতে আধা ঘন্টার মত লাগে । মানে একেবারে টাই টাই সময় । এই সময়ের ভেতরেই ওকে আসতে হবে । নয়তো নীলার সাথে ভয়ংকর কিছু ঘটে যাবে । এমন একটা রিস্কি কাজ করা নীলা কিংবা সজিবের পক্ষে ঠিক হবে কিনা সেটা নিয়ে ওরা আলোচনা করলো অনেক কিন্তু দুজনেই এই রিস্কটা নিতে চাইলো । এই রিস্ক টাই ওদের কাছে আসল উত্তেজনা ।

নীলাকে তৈরি করা শেষ হল । নীলার গলাতে সেই স্টিলের কলারটা পরানো হল । হাত দুটো পেছন দিক দিয়ে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকানো হল । তারপর নীলার ঠোঁটে একটা শক্ত চুমু খাওয়ার পর মুখে একটা বলগ্যাগ পরানো হল । গলার কলার সাথে একটা শিকল আটকে দেওয়া হল । শিকলটা গিয়ে ঠেকেছে দেওয়ালের একটা আংটার সাথে । যদিও ঘরের দরজা বন্ধ মানেই নীলা আর কোন ভাবেই বাইরে বের হতে পারবে না । এই শিকল থাকা মানেই আরো একটু ভাল ভাবে বন্দী হওয়া । এটা নীলার উত্তেজনাটাকে আরো বাড়িয়ে দিবে
সজিব বলল, আরেকবার চিন্তা করে দেখো কিন্তু । এতো লম্বা সময় থাকতে পারবে কি?

নীলার কথা বলার উপায় ছিল না । কারণ তার মুখে বলগ্যাগটা শক্ত ভাবে আটকে দেওয়া হয়েছে । এই সময়ে কথা বলা যাবে না কোন ভাবেই । সজিব নীলার দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারলো নীলার কোন আপত্তি নেই । সজিবও অবশ্য বেশ উত্তেজনা বোধ করছে । বিশেষ করে নীলার কাছে সঠিক সময়ে আসতে পারবে কিনা সেটার উত্তেজনা ।
সজিব মোবাইল ফোনটা নীলার সামনে রাখলো । একটা সিম্পল চাইনিজ বাটন ফোন। সজিব বলল, ফোনের লক নম্বর আমি বদলে দিয়েছি । এই নম্বরটা আর কেউ জানে না । আর লক নম্বর যেহেতু বন্ধ তার মানে তুমি লক খুলতে পারবে না । কাউকে ফোনও করতে পারবে না । অন্য দিকে ইমারজেন্সী এসওএস নম্বরও আমি বদলে দিয়েছি । কোন ভাবেই ফোন করে বাইরে থেকে সাহায্য আনতে পারবে না যত সময় না আমি তোমাকে ফোন দিচ্ছি । তোমার ফোনটা উপরে তোমার বেড রুমে রাখা । আর ফোনে ঘড়ির অপশনটা আমি আপাতত হাইড করে দিয়েছি । তাই সময়ও দেখতে পারবে না ।
নীলা মাথা নাড়ালো ।

দরজাটা বন্ধ করে দিতেই দিতেই সব কিছু চালু হয়ে গেল । সময়টাও দেখতে পেল পরিস্কার ভাবেই । সন্ধ্যা সাতটা । এই সাতটা পর্যন্ত ঘরে অক্সিজেন থাকবে। যদিও নীলাকে বলা হয়েছে ছয়টা । তবে সজিব প্রথম দিনই এতো রিস্ক নিতে চায় নি । তবে নীলা এসব কিছুই জানবে না.

দরজাটা বন্ধ হয়ে যেতেই নীলার মনের ভেতরে উত্তেজনাটা বেশ ভাল মাত্রায় বৃদ্ধি পেল । তবে সেটা সময়ে সাথেই কমে এল । নীলা এতো লম্বা সময় কোন ভাবেই এভাবে থাকে নি । সে জানেও না সামনে কিভাবে সময়টা কাটাবে । এখন মোটামুটি নয়টার মত বাজে । সজিব আসবে ছয়টার মধ্যে । তার মানে নয় ঘন্টা ওকে এভাবেই থাকতে হবে ।

সময় চলতে লাগলো খুব ধীরে । ঘরে কোন ওয়াশরুমের ব্যবস্থা নেই । তবে এক কোনে একটা ছোট পট রাখা আছে ছোট ওয়াশ রুম করার জন্য । নীলা সেদিকে গেল না । একই ভাবেই মেঝেতে পরে রইলো । ওর আসলে এটা ছাড়া আর কিছু করারও ছিল না । নীলা সিসিটিভি ক্যামেরার দিকে তাকালো । ঘরে চারকোনায় চারটা সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে । ঘরে কী হচ্ছে সেটা সজিব নিজের মোবাইল থেকেই দেখতে পারবে । ওর কোন বিপদ হলে সজিব সেটা জানবে । তবে সজিবের আসতে আসতে অন্তত আধা ঘন্টা সময় লাগবেই । এই সময়ে নীলা টিকে থাকতে পারবে তো !

সময় এগিয়ে চলল । নিশ্চল ভাবে নীলা পড়ে রইলো মেঝেতে । ওর আসলে কোন কিছুই করার ছিল না । কয়েকবার নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করলো বটে কিন্তু কোন কাজ হল না । শিকল কিংবা হ্যান্ডকাফ খোলা কোনটাই নীলার পক্ষে সম্ভব না । একটা সময়ে সত্যি সত্যি নীলার পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব হয়ে গেল । সে নিজেকে বারবার মুক্ত করতে চাইলো বটে কিন্তু ভাবেই সেটা সেটা সম্ভব হল না । মুখে বলগ্যাগটা থাকার কারণে কষ্টটা হচ্ছে আরো বেশি পরিমানে । নীলা নিজেকে কয়েকবার মুক্ত করার চেষ্টা করলো । চিৎকার করার চেষ্টা করলো কিন্তু কোন কাজই হল না ।

এক সময়ে ঘুমিয়ে পড়লো । ঘুম যখন ভাঙ্গলো তখন অনুভব কলো যে ওর যেন নিঃশ্বাস নিতে পারছে না । বাতাস থেকে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ওর পক্ষে । মানে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমানটা কমে গেছে । ছয়টা বেজে গেছে !
সজিব আসে নি ! আসতে পারে নি ।
মনের ভেতরে একটা তীব্র আতংঙ্কবোধ করলো নীলা । নিজেকে আরেকবার ছাড়ানোর চেষ্টা করলো ও কিন্তু কোন কাজ হল না । নিজেকে কোন ভাবেই মুক্ত করতে পারলো না । তার উপরে সারা দিন না খাওয়ার কারণে শরীরে শক্তি নেই একদম ।

ঠিক এই সময়ে ফোনটা বেজে উঠলো । চমকে উঠলো নীলা । হাত পেছন দিকে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকে থাকার কারণে ফোনটা রিফিভ করতে একটু কষ্ট হল তবে রিসিভ করতে পারলো । তারপর কোন মতে কানটা নিয়ে গেল ফোনের কাছে । কোন কথা তো বলতে পারলো না কেবল গোঙ্গানীর আওয়াজ ছাড়া । ওপাশ থেকে সজিবের কন্ঠস্বর শোনা গেল । সে উৎকন্ঠা নিয়ে বলল, বেইবি একটু অপেক্ষা কর প্লিজ । আমি চলে আসছি । রাস্তায় একটা বড় এক্সিডেন্ট ঘটেছে । এই কারণে জ্যাম । আমি চলে আসছি এখনই !

নীলা কিছু বলতে গেল বটে কিন্তু গোঙ্গানী ছাড়া আরো কোন আওয়াজই হল না । ফোনটা কেটে গেল ।

একটা সময়ে নীলার মনে হল যে ঘরে আর একটুও অক্সিজেন নেই । সে দম বন্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে । ঠিক যে সময়ে মারা যাচ্ছে মনে হল যে একটুও নিঃশ্বাস নিতে পারছে না ঠিক সেই সময়ে ঘরের আলো নিভে গেল । নিকষ কালো অন্ধকারে ঢেলে গেল পুরো ঘর । আর সেই সময়েই দরজাটা খুলে গেল । হুরহুর করে ঘরে ঢুকলো বাতাস । নীলা প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিল কেবল । জীবনে এতো শান্তির বাতাস সে নিতে পারে নি ।

নীলার স্থির হতে সময় লাগলো আরো বেশ কিছু সময় । ঘরটা তখনও অন্ধকার । তবে নীলা অনুভব করলো যে সজিব আছে ঘরেই । ওর অস্তিত্ব টের পাচ্ছে ঠিকই । নীলা কিছু বলতে পারছে না কারণ ওর মুখে তখনও বলগ্যাগটা আটকে আছে । সজিব আলতো করে জড়িয়ে ধরলো ওকে । তারপর কপালে চুমু খেল একটা । মৃদু স্বরে বলল, সরি । আমি সময় মত আসতে পারি নি ।
নীলা কিছু বলল না । অবশ্য এমনটাই তো চেয়েছিল ওরা । রিস্ক থাকবে জেনেও কাজটা করেছে ওরা দুজনেই ।

নীলা আরো কিছু বলতে যাবে তখনই অনুভব করলো সজিব ওর সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চাইছে । এই অবস্থায় ওর সাথে এমন কিছু করতে চাওয়ায় একটু অবাক হল বটে তবে কেন জানি মানা করলো না । অবশ্য সেই উপায়ও নীলার ছিল না ।

নীলার মনে হল সজিবের শরীরে অসুরের শক্তি এসে হাজির হয়েছে । নীলার সহ্য করতে কষ্ট হচ্ছে অথচ সজিবের সেদিকে কোন খেয়ালই নেই । তবে একটা সময়ে শেষ হল ।
নীলা মেঝেতে কত সময় শুয়ে রইলো সেটা সে নিজেও জানে না । যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন অনুভব করলো যে কারো দরজা ধাক্কা দেওয়ার আওয়াজ আসছে। উপর থেকে কেউ দরজা ধাক্কা দিচ্ছে ।

নীলা একটু বিরক্ত হল । সজিব কোথায় এখন ?

নীলা দেখলো ওর শরীরের সব বাধন খুলে দেওয়া হয়েছে । ঘর থেকে বের হল । একটা বাথরোব পরে সে দরজা খুলতে গেল । যাওয়ার পথে সজিবের নাম ধরে ডাকলো কয়েকবার কিন্তু তার কোন খোজ পাওয়া গেল না ।

দরজা খুলতেই একটু অবাক হল । দুজন পুলিশ অফিসার দাড়িয়ে । ওর দিকে তাকিয়ে বলল, আপনাকে আমরা অনেক কয়বার ফোন দিয়েছি । আপনি ফোন ধরছেন না কেন?
-আসলে আমি একটু অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম । ফোনটা কাছে ছিল না ।
অফিসার দুজন একে অন্যের দিকে তাকালো । যেন চোখে চোখে কিছু কথা বলে নিল । তারপর একজন বলল
-মিসেস রায়হান । আপনার জন্য একটা খারাপ সংবাদ আছে।
-কী খারাপ সংবাদ ?
-আসলে আজকে অফিস থেকে ফেরার পথে আপনার স্বামী সজিব রায়হানের গাড়ি একটা লরির সাথে ধাক্কা খায় । তিনি সেখানেই মারা যান । ঘটনাটা আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকের ।

নীলার মনে হল লোক দুটো যেন ওর সাথে ঠোট্টা করছে । কারণ সজিব বাসাতেই এসেছে । আপনারা আমার সাথে ইয়ার্কি মারছেন ! এটা মোটেই হাসি কোন কথা না ।
-আমাদের দেখে কী মনে হচ্ছে আমরা ইয়ার্কি মারছি ? আপনার স্বামীর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে । সেখানের একজন ডাক্তার আপনার স্বামীর পরিচিত । ডাক্তার জামান ।

নীলা আর কথা না বলে ঘরের ভেতরে দৌড় দিল । পুরো বাড়ি খুজে দেখলো কিন্তু সজিবকে খুজে পেলনা । ওর কোন ভাবেই বিশ্বাস হল না । কারণ বিশ্বাস হওয়ার মত ঘটনা এটা না । কিন্তু যখন অফিসারদের সাথে নীলা মর্গে গিয়ে হাজির হল তখন বিশ্বাস করতেই হল যে ওর স্বামী আসলেই মারা গেছে ।
তাহলে ওকে কে বাঁচালো ? কে ওর সাথে ওভাবে সেক্স করলো !
সেটা সজিব ছিল এই ব্যাপারে নীলার কোন সন্দেহ নেই । নীলা সজিবের লাশ দেখে জ্ঞান হারিয়ে পরে গেল ।

পরিশিষ্টঃ

দরজাটা টেনে দিলেই সেটা বাইরে থেকে অটোমেটিক ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে । তখন আর বাইরে খোলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না । আগে এই লক ছিল । নীলা পরে আলাদা ভাবে এই লক লাগিয়ে নিয়েছে । আজকে আবার সেই কাজটা করতে যাচ্ছে সে । আগের মত করে নিজেকে একেবারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিবে । তারপর অপেক্ষা করবে সজিব ওকে রক্ষা করতে আসে কিনা !

সময় সেট করলো ঠিক সন্ধ্যা সাতটা । তারপর চাবিটা বাইরে ফেলে দিয়েই দরজাটা টেনে দিল ।
লক হয়ে গেল ।
তারপরেই অপেক্ষা করতে লাগলো ।

সজিব আসবে তো !
নয়তো সে মারা যাবে ! কিন্তু নীলা জানে সজিব ঠিক ঠিক আসবে ওকে রক্ষা করতে । ওকে আসতেই হবে ।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 3.7 / 5. Vote count: 18

No votes so far! Be the first to rate this post.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →