দি এডভেঞ্চার

oputanvir
3.6
(21)

নীলার মনটা আজকে কেমন যেন করছে । বারবার মনে হচ্ছে কোন একটা ঝামেলা হয়তো আজকে হবে । যদিও এই কাজটা এর আগেও ওরা করেছে । তখন কোন ঝামেলা হয় নি । আসলে সজিব সব কিছু এমন ভাবে করে তাতে ঝামেলা হওয়ার সুযোগ কম । সজিব সব সময় ওর নিরাপত্তার ব্যবস্থা সব থেকে আগে দেখে । তবে নীলা এবার ইচ্ছে করেই এমনটা করতে যাচ্ছে । কারণ যখন আপনি জানবেন যে সামনে আপনার কোন বিপদ নেই তখন আপনার মনে সেই উত্তেজনা আসবে না !

নীলা আরেকবার ভাবলো । উত্তেজনা । এই উত্তেজনা পাওয়ার জন্য কত কিছুই না সে করে । অবশ্য নীলার উত্তেজনার ধরণ গুলো সব ছিল অন্য রকম ।

সজিব নতুন চাকরিতে জয়েন করার পরে ওর সাথে মফস্বল শহরে চলে আসে সে । থাকতে শুরু করে শহরের একেবারে শেষ প্রান্তের একটা বাড়িতে । আসলে এই শহরটা সজিবের নিজেদের বাড়ি । সজিব ইচ্ছে করেই এখানে পোস্টিং নিয়েছে । অবশ্য নীলার এতে খুব একটা আপত্তি ছিল না । বরং নীলা মনে মনে একটু খুশিই হয়েছিলো । আর বাড়িটা দেখে ওর ভাল লেগেছিলো সব থেকে বেশি । একেবারে নির্জন । শহরের এক পাশে । এরপরে জঙ্গল শুরু হয়েছে । কোন ঘর বাড়ি নেই ।
একদিন বাড়ির নিচের ঘরের সন্ধান পেল নীলা । ঘরটা আসলে একটা গুদাম ঘর । তবে পুরো ঘরটা ছিল আসলে সংরক্ষন ঘর । সজিবের দাদা কেমিক্যালের ব্যবসা করতো । সেই জন্যই ঘরটা বানানো হয়েছিলো । এই ঘরের বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা ছিল । সেদিনই প্রথম বার সজিবকে কথাটা বলল নীলা । নীলার কথা শুনে সজিব বেশ অবাকই হয়েছিলো । তবে নীলার আগ্রহ দেখে ওকে মানা করে নি ।

পুরোঘরটা ওরা দুজন মিলেই পরিস্কার করলো । তারপর মেকানিক ডেকে অক্সিজেন নিয়ন্ত্রন যন্ত্রটা ঠিকঠাক করিয়ে নিল। আরো একটু আধুনিকায়ন করলো নিজের মত করে ।
প্রথম দিনে নীলা ঘরে ঢুকেছিল । ঠিক হয়েছিল যে ঘন্টা খানেক সময় সে থাকবে এই ঘরে। এবং এই সময়েই ঘরের ভেতরে অক্সিজেন থাকবে । তারপর শেষ হয়ে যাবে । এই এক ঘন্টা কোন ভাবেই নীলাকে ঘরের বাইরে বের হতে দেওয়া হবে না । ঘরটা এয়ার টাইট হওয়ার কারণে কোন আওয়াজও বাইরে আসবে না ।

প্রথমদিনের এই অভিজ্ঞতা নীলার জন্য একেবারে অন্য রকম ছিল । সেই সাথে ওর এটা করার জন্য আরো বেশি বেশি আগ্রহ অনুভব করতে লাগলো । সেই সাথে এই খেলাটা করার জন্য নতুন নতুন যন্ত্রপাতি যোগ করা শুরু হল । যেমন প্রথম প্রথম কেবল নীলাকে বন্দী করে রাখলেও পরে সেখানে নীলার দেহে আরো নতুন কিছু যোগ হতে লাগলো । ওর গলায় একটা স্টিলের কলার যোগ হল । হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো হল এবং মুখে বলগ্যাগ পরানো হল । সেই সাথে বন্দী থাকার সময়টাও বাড়তে লাগলো । এক ঘন্টা দুই ঘন্টা এরপর সময়টা ঠিক ঠিক রইলো না । যেমন সজিব কোন কাজে যাবে । যাওয়া আসা দিয়ে ঘন্টা চার / পাঁচ লাগবে । রাস্তা ঘাটের কথা বলা যায় না । তাই কখন আসবে সেটা অনির্দিষ্ট। এভাবেই ওদের খেলা চলত ।

তবে আজকে একটু বেশি এক্সট্রিম কাজ করতে চলেছে ওরা । আজকে সজিব যাবে অফিসে এবং অফিস যাওয়ার আগে নীলাকে ভেতরে বন্দী করে রেখে যাবে । ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা একেবারে টাইটাই ভাবে সন্ধ্যা ছয়টা সেট করে দেওয়া যাবে । সজিবের অফিস শেষ হয় পাঁচটায় । অফিস থেকে বের হতে হতে সাড়ে ৫টা বেজে যাবে । অফিস থেকে এখানে আসতে আধা ঘন্টার মত লাগে । মানে একেবারে টাই টাই সময় । এই সময়ের ভেতরেই ওকে আসতে হবে । নয়তো নীলার সাথে ভয়ংকর কিছু ঘটে যাবে । এমন একটা রিস্কি কাজ করা নীলা কিংবা সজিবের পক্ষে ঠিক হবে কিনা সেটা নিয়ে ওরা আলোচনা করলো অনেক কিন্তু দুজনেই এই রিস্কটা নিতে চাইলো । এই রিস্ক টাই ওদের কাছে আসল উত্তেজনা ।

নীলাকে তৈরি করা শেষ হল । নীলার গলাতে সেই স্টিলের কলারটা পরানো হল । হাত দুটো পেছন দিক দিয়ে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকানো হল । তারপর নীলার ঠোঁটে একটা শক্ত চুমু খাওয়ার পর মুখে একটা বলগ্যাগ পরানো হল । গলার কলার সাথে একটা শিকল আটকে দেওয়া হল । শিকলটা গিয়ে ঠেকেছে দেওয়ালের একটা আংটার সাথে । যদিও ঘরের দরজা বন্ধ মানেই নীলা আর কোন ভাবেই বাইরে বের হতে পারবে না । এই শিকল থাকা মানেই আরো একটু ভাল ভাবে বন্দী হওয়া । এটা নীলার উত্তেজনাটাকে আরো বাড়িয়ে দিবে
সজিব বলল, আরেকবার চিন্তা করে দেখো কিন্তু । এতো লম্বা সময় থাকতে পারবে কি?

নীলার কথা বলার উপায় ছিল না । কারণ তার মুখে বলগ্যাগটা শক্ত ভাবে আটকে দেওয়া হয়েছে । এই সময়ে কথা বলা যাবে না কোন ভাবেই । সজিব নীলার দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারলো নীলার কোন আপত্তি নেই । সজিবও অবশ্য বেশ উত্তেজনা বোধ করছে । বিশেষ করে নীলার কাছে সঠিক সময়ে আসতে পারবে কিনা সেটার উত্তেজনা ।
সজিব মোবাইল ফোনটা নীলার সামনে রাখলো । একটা সিম্পল চাইনিজ বাটন ফোন। সজিব বলল, ফোনের লক নম্বর আমি বদলে দিয়েছি । এই নম্বরটা আর কেউ জানে না । আর লক নম্বর যেহেতু বন্ধ তার মানে তুমি লক খুলতে পারবে না । কাউকে ফোনও করতে পারবে না । অন্য দিকে ইমারজেন্সী এসওএস নম্বরও আমি বদলে দিয়েছি । কোন ভাবেই ফোন করে বাইরে থেকে সাহায্য আনতে পারবে না যত সময় না আমি তোমাকে ফোন দিচ্ছি । তোমার ফোনটা উপরে তোমার বেড রুমে রাখা । আর ফোনে ঘড়ির অপশনটা আমি আপাতত হাইড করে দিয়েছি । তাই সময়ও দেখতে পারবে না ।
নীলা মাথা নাড়ালো ।

দরজাটা বন্ধ করে দিতেই দিতেই সব কিছু চালু হয়ে গেল । সময়টাও দেখতে পেল পরিস্কার ভাবেই । সন্ধ্যা সাতটা । এই সাতটা পর্যন্ত ঘরে অক্সিজেন থাকবে। যদিও নীলাকে বলা হয়েছে ছয়টা । তবে সজিব প্রথম দিনই এতো রিস্ক নিতে চায় নি । তবে নীলা এসব কিছুই জানবে না.

দরজাটা বন্ধ হয়ে যেতেই নীলার মনের ভেতরে উত্তেজনাটা বেশ ভাল মাত্রায় বৃদ্ধি পেল । তবে সেটা সময়ে সাথেই কমে এল । নীলা এতো লম্বা সময় কোন ভাবেই এভাবে থাকে নি । সে জানেও না সামনে কিভাবে সময়টা কাটাবে । এখন মোটামুটি নয়টার মত বাজে । সজিব আসবে ছয়টার মধ্যে । তার মানে নয় ঘন্টা ওকে এভাবেই থাকতে হবে ।

সময় চলতে লাগলো খুব ধীরে । ঘরে কোন ওয়াশরুমের ব্যবস্থা নেই । তবে এক কোনে একটা ছোট পট রাখা আছে ছোট ওয়াশ রুম করার জন্য । নীলা সেদিকে গেল না । একই ভাবেই মেঝেতে পরে রইলো । ওর আসলে এটা ছাড়া আর কিছু করারও ছিল না । নীলা সিসিটিভি ক্যামেরার দিকে তাকালো । ঘরে চারকোনায় চারটা সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে । ঘরে কী হচ্ছে সেটা সজিব নিজের মোবাইল থেকেই দেখতে পারবে । ওর কোন বিপদ হলে সজিব সেটা জানবে । তবে সজিবের আসতে আসতে অন্তত আধা ঘন্টা সময় লাগবেই । এই সময়ে নীলা টিকে থাকতে পারবে তো !

সময় এগিয়ে চলল । নিশ্চল ভাবে নীলা পড়ে রইলো মেঝেতে । ওর আসলে কোন কিছুই করার ছিল না । কয়েকবার নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করলো বটে কিন্তু কোন কাজ হল না । শিকল কিংবা হ্যান্ডকাফ খোলা কোনটাই নীলার পক্ষে সম্ভব না । একটা সময়ে সত্যি সত্যি নীলার পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব হয়ে গেল । সে নিজেকে বারবার মুক্ত করতে চাইলো বটে কিন্তু ভাবেই সেটা সেটা সম্ভব হল না । মুখে বলগ্যাগটা থাকার কারণে কষ্টটা হচ্ছে আরো বেশি পরিমানে । নীলা নিজেকে কয়েকবার মুক্ত করার চেষ্টা করলো । চিৎকার করার চেষ্টা করলো কিন্তু কোন কাজই হল না ।

এক সময়ে ঘুমিয়ে পড়লো । ঘুম যখন ভাঙ্গলো তখন অনুভব কলো যে ওর যেন নিঃশ্বাস নিতে পারছে না । বাতাস থেকে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ওর পক্ষে । মানে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমানটা কমে গেছে । ছয়টা বেজে গেছে !
সজিব আসে নি ! আসতে পারে নি ।
মনের ভেতরে একটা তীব্র আতংঙ্কবোধ করলো নীলা । নিজেকে আরেকবার ছাড়ানোর চেষ্টা করলো ও কিন্তু কোন কাজ হল না । নিজেকে কোন ভাবেই মুক্ত করতে পারলো না । তার উপরে সারা দিন না খাওয়ার কারণে শরীরে শক্তি নেই একদম ।

ঠিক এই সময়ে ফোনটা বেজে উঠলো । চমকে উঠলো নীলা । হাত পেছন দিকে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকে থাকার কারণে ফোনটা রিফিভ করতে একটু কষ্ট হল তবে রিসিভ করতে পারলো । তারপর কোন মতে কানটা নিয়ে গেল ফোনের কাছে । কোন কথা তো বলতে পারলো না কেবল গোঙ্গানীর আওয়াজ ছাড়া । ওপাশ থেকে সজিবের কন্ঠস্বর শোনা গেল । সে উৎকন্ঠা নিয়ে বলল, বেইবি একটু অপেক্ষা কর প্লিজ । আমি চলে আসছি । রাস্তায় একটা বড় এক্সিডেন্ট ঘটেছে । এই কারণে জ্যাম । আমি চলে আসছি এখনই !

নীলা কিছু বলতে গেল বটে কিন্তু গোঙ্গানী ছাড়া আরো কোন আওয়াজই হল না । ফোনটা কেটে গেল ।

একটা সময়ে নীলার মনে হল যে ঘরে আর একটুও অক্সিজেন নেই । সে দম বন্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে । ঠিক যে সময়ে মারা যাচ্ছে মনে হল যে একটুও নিঃশ্বাস নিতে পারছে না ঠিক সেই সময়ে ঘরের আলো নিভে গেল । নিকষ কালো অন্ধকারে ঢেলে গেল পুরো ঘর । আর সেই সময়েই দরজাটা খুলে গেল । হুরহুর করে ঘরে ঢুকলো বাতাস । নীলা প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিল কেবল । জীবনে এতো শান্তির বাতাস সে নিতে পারে নি ।

নীলার স্থির হতে সময় লাগলো আরো বেশ কিছু সময় । ঘরটা তখনও অন্ধকার । তবে নীলা অনুভব করলো যে সজিব আছে ঘরেই । ওর অস্তিত্ব টের পাচ্ছে ঠিকই । নীলা কিছু বলতে পারছে না কারণ ওর মুখে তখনও বলগ্যাগটা আটকে আছে । সজিব আলতো করে জড়িয়ে ধরলো ওকে । তারপর কপালে চুমু খেল একটা । মৃদু স্বরে বলল, সরি । আমি সময় মত আসতে পারি নি ।
নীলা কিছু বলল না । অবশ্য এমনটাই তো চেয়েছিল ওরা । রিস্ক থাকবে জেনেও কাজটা করেছে ওরা দুজনেই ।

নীলা আরো কিছু বলতে যাবে তখনই অনুভব করলো সজিব ওর সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চাইছে । এই অবস্থায় ওর সাথে এমন কিছু করতে চাওয়ায় একটু অবাক হল বটে তবে কেন জানি মানা করলো না । অবশ্য সেই উপায়ও নীলার ছিল না ।

নীলার মনে হল সজিবের শরীরে অসুরের শক্তি এসে হাজির হয়েছে । নীলার সহ্য করতে কষ্ট হচ্ছে অথচ সজিবের সেদিকে কোন খেয়ালই নেই । তবে একটা সময়ে শেষ হল ।
নীলা মেঝেতে কত সময় শুয়ে রইলো সেটা সে নিজেও জানে না । যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন অনুভব করলো যে কারো দরজা ধাক্কা দেওয়ার আওয়াজ আসছে। উপর থেকে কেউ দরজা ধাক্কা দিচ্ছে ।

নীলা একটু বিরক্ত হল । সজিব কোথায় এখন ?

নীলা দেখলো ওর শরীরের সব বাধন খুলে দেওয়া হয়েছে । ঘর থেকে বের হল । একটা বাথরোব পরে সে দরজা খুলতে গেল । যাওয়ার পথে সজিবের নাম ধরে ডাকলো কয়েকবার কিন্তু তার কোন খোজ পাওয়া গেল না ।

দরজা খুলতেই একটু অবাক হল । দুজন পুলিশ অফিসার দাড়িয়ে । ওর দিকে তাকিয়ে বলল, আপনাকে আমরা অনেক কয়বার ফোন দিয়েছি । আপনি ফোন ধরছেন না কেন?
-আসলে আমি একটু অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম । ফোনটা কাছে ছিল না ।
অফিসার দুজন একে অন্যের দিকে তাকালো । যেন চোখে চোখে কিছু কথা বলে নিল । তারপর একজন বলল
-মিসেস রায়হান । আপনার জন্য একটা খারাপ সংবাদ আছে।
-কী খারাপ সংবাদ ?
-আসলে আজকে অফিস থেকে ফেরার পথে আপনার স্বামী সজিব রায়হানের গাড়ি একটা লরির সাথে ধাক্কা খায় । তিনি সেখানেই মারা যান । ঘটনাটা আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকের ।

নীলার মনে হল লোক দুটো যেন ওর সাথে ঠোট্টা করছে । কারণ সজিব বাসাতেই এসেছে । আপনারা আমার সাথে ইয়ার্কি মারছেন ! এটা মোটেই হাসি কোন কথা না ।
-আমাদের দেখে কী মনে হচ্ছে আমরা ইয়ার্কি মারছি ? আপনার স্বামীর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে । সেখানের একজন ডাক্তার আপনার স্বামীর পরিচিত । ডাক্তার জামান ।

নীলা আর কথা না বলে ঘরের ভেতরে দৌড় দিল । পুরো বাড়ি খুজে দেখলো কিন্তু সজিবকে খুজে পেলনা । ওর কোন ভাবেই বিশ্বাস হল না । কারণ বিশ্বাস হওয়ার মত ঘটনা এটা না । কিন্তু যখন অফিসারদের সাথে নীলা মর্গে গিয়ে হাজির হল তখন বিশ্বাস করতেই হল যে ওর স্বামী আসলেই মারা গেছে ।
তাহলে ওকে কে বাঁচালো ? কে ওর সাথে ওভাবে সেক্স করলো !
সেটা সজিব ছিল এই ব্যাপারে নীলার কোন সন্দেহ নেই । নীলা সজিবের লাশ দেখে জ্ঞান হারিয়ে পরে গেল ।

পরিশিষ্টঃ

দরজাটা টেনে দিলেই সেটা বাইরে থেকে অটোমেটিক ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে । তখন আর বাইরে খোলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না । আগে এই লক ছিল । নীলা পরে আলাদা ভাবে এই লক লাগিয়ে নিয়েছে । আজকে আবার সেই কাজটা করতে যাচ্ছে সে । আগের মত করে নিজেকে একেবারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিবে । তারপর অপেক্ষা করবে সজিব ওকে রক্ষা করতে আসে কিনা !

সময় সেট করলো ঠিক সন্ধ্যা সাতটা । তারপর চাবিটা বাইরে ফেলে দিয়েই দরজাটা টেনে দিল ।
লক হয়ে গেল ।
তারপরেই অপেক্ষা করতে লাগলো ।

সজিব আসবে তো !
নয়তো সে মারা যাবে ! কিন্তু নীলা জানে সজিব ঠিক ঠিক আসবে ওকে রক্ষা করতে । ওকে আসতেই হবে ।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 3.6 / 5. Vote count: 21

No votes so far! Be the first to rate this post.


Discover more from অপু তানভীর

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →