সায়ান চুপ করে আরিয়ানার কথা শুনে যাচ্ছিলো । সামনে কফির কাপ রাখা । সেখান থেকে অল্প অল্প চুমুক দিচ্ছিলো আর আরিয়ানার দিকে তাকিয়ে ছিল । ওর মাথায় অবশ্য তখন অন্য চিন্তা । নতুন টেন্ডারের কাজটা তখনও শেষ হয় নি । ওটা শেষ করতে হবে । ও নিজেই টিম লিড করছে । কাজ চলছিলো পুরো দমে তখনই আরিয়ানা ওর অফিসে এসে হাজির । মেয়েটাকে সে এড়িয়ে যেতে পারে নি । এড়িয়ে গেলে সেটা ওর বাবার কানে ঠিকই চলে যেত আর তখন সে রাগারাগি করতো খুব । এটা সায়ান চায় নি ।
আরিয়ানা এক মনে কথা বলেই যাচ্ছিলো এমন সময় দরজায় টোকা পড়লো । একটু পরেই রাজিবের মুখ দেখা গেল ।
-স্যার, আপনার সাথে একজন দেখা করতে এসেছে !
সায়ান যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো । রাজিবকে বলল, তাকে এখানে নিয়ে এসো !
-স্যার এখানে ?
রাজীবনের মুখে ইতস্তর ভাব দেখেই সায়ানের মনে হল ব্যাপারটা হয়তো অন্য কিছু । এমন কেউ এসেছে যাকে হয়তো এখানে আনা মোটেও ঠিক হবে না । চোখের ইশারায় অনেক কিছু বলে দিল রাজিব । সায়ান সাথে সাথে সাথে বলল, আরিয়ানা একটু বস আমি একটু কাজ সেরে আসি।
আরিয়ানা কফিতে শেষ চুমুক দিতে দিতে বলল, আরে না না । তোমার কোথাও যেতে হবে না । আমি বরং যাই । তোমার কাজের সময়ে এসে তোমাজে জ্বালাচ্ছিলো । বিয়ে আগেই যদি এতো জ্বালাই তখন দেখা যাবে আমাদের বিয়েই হবে না । তুমি কাজ কর । আমি উঠি ।
এই বলে আরিয়ানা উঠে পড়লো । দরজা দিয়ে বের হয়ে গেল । তার ঠিক কয়েক মিনিট পরেই সে ঘরে ঢুকলো ।
নীতু !
এই মেয়েটা এখানে কেন আবার !
ওর দিকে তাকিয়ে হাসলো একটু । তারপর সোজাসুজি এসে বসলো একটু আগে আরিয়ানা সেখানে বসে ছিল । ওর দিকে তাকিয়ে বলল, ওটা কে? আপার ফিয়ন্সে !
সায়ান সেই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলল, কেন এসেছো ?
নীতু হাসলো । তারপর বলল, যে কারনে আপনার কাছে আসি । আমার টাকার দরকার ।
-দেখো, এভাবে আমি তোমাকে টাকা দিবো না আর ।
-আপনি অবশ্যই টাকা দিবেন । কেন একটা বাচ্চা মেয়েকে রেপ করার সময়ে মনে ছিল না ?
-নীতু ভুলে যেও না আমি জোর করি নি । ইউ এপ্রোচ মি ।
-আই ওয়াজ ফিফটিন ! আপনার থেকে ১০ বছর ছোট ছিলাম ।
কিছু বলতে গিয়েও বলল না সায়ান । বলল, কত টাকা লাগবে ?
-এই হাজার দশেক !
মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে দিল । তারপর বলল, এটাই কিন্তু ।
নীতু হাসলো । তারপর বলল, সে দেখা যাবে । টাটা !
নীতুর চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছু সময় ।
নীতুর সাথে ওর পরিচয় হয়েছিলো যখন ও সবে মাত্র দেশে এসেছে । একজন বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় । মেয়েটা তখন সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিবে । শাড়ি পরে এসেছিলো সেদিন । দেখে কোন ভাবেই মনে হবে না যে মেয়েটা এতো ছোট । কথাবার্তা বলে সায়ানের বেশ ভাল লেগেছিলো । পরে যখন জানতে পারে যে এতো ছোট তখন সরে এসেছিলো। কিন্তু নীতু কোন ভাবেই সরে এল না । ওর দিকে আরও ঝুকে বসলো । এক সময় খানিকটা ব্লাকমেইল করেই নীতু ওকে বাধ্য করলো ওর সাথে সেক্স করতে । তারপর থেকে নিয়মিত ভাবে নীতু ওর কাছে আসতো । একটা ব্যাপার সায়ান তখনই বুঝতে পেরেছিলো নীতু ব্যক্তি জীবনে বেশ একা । পারিবারি ব্যাপার সে কোন দিনই জানতে চায় নি তবুও বুঝতে পারতো ।
তবে এক সময়ে সায়ানের মনে হল যে এসব বন্ধ হওয়া উচিৎ । একবার কঠিন ভাবেই যোগাযোগ বন্ধ করে দিল । তারপর থেকেই নীতু আর সেক্সের জন্য চাপ দিতো না । তবে মাঝে মাঝে এসে টাকা নিয়ে যেত । খানিকটা ব্লাকমেইল করেই । বলতো ওর কাছে নাকি সেই প্রথম দিনের সেক্সের ভিডিও আছে । সেটা পুলিশকে দেখাবে । নয়তো অনলাইনে ছেড়ে দিবে ।
নীতু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে । এই কয় বছরে নীতু ওর কাছে এসেছে অনেক বার । সায়ানকে বাধ্য করেছে ওর ইচ্ছে মত চলতে । সায়ানও করেছে । কেন করেছে সেটা সায়ান নিজেও জানে না । নীতুর ফ্যামিলি স্টাটাস বেশ বড় না । সায়ান চাইলে খুব সহজেই নীতুকে একেবারে গায়েব করে দিতে পারে । সেই ক্ষমতা ওর আছে । কিন্তু দিনের পর দিন সায়ান নীতুর এই অত্যাচার সহ্য করেছে । কেন করেছে সেটা সায়ান নিজেও জানে না । তবে আগে যেমন ঘন ঘন আসতো, এইবার অনেক দিন পরে এল নীতু । হয়তো নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিল ।
সপ্তাহ খানেক পরে আবারও নীতুর ফোন এসে হাজির । সায়ান তখনও অফিসে । আজকে আরিয়ানার সাথে দেখা করার একটা প্লান আছে । যদিও প্লানটা ওর না । ওর বাবার । সায়ানকে বাধ্য হয়ে রাজি হতে হয়েছে । ফোন রিসিভ করতেই নীতু বলল, হোটেলে একটা রুম বুক করেন করেন তো !
-কেন?
-কেন বুঝেন না ?
-নীতু তোমাকে আমি আগেই বলেছি যে আমি এসব করবো না আর !
-কেন এখন বিয়ে হচ্ছে তাই ? এখনও তো বিয়ে হয় নি । বিয়ের পর আর করতে হবে না ।
-বলেছি তো, না।
সায়ানের মনে হল নীতু এখন আবারও ওকে সেই ভয় দেখাবে । ছবি ভিডিও ভয় । তবে এবার সায়ান ঠিক করেই রেখেছে যে ওকে বলবে যে পুলিশের কাছে যেতেে। কিন্তু ওকে খানিকটা অবাক করে দিয়ে নীতু বলল, ওকে আপনাকে আসতে হবে না । তবে আমি একটু পরে ঐ চন্দ্রিমা উদ্দ্যানে গিয়ে দাড়াবো । তারপর যে প্রথম আসবে তার সাথে চলে যাবো । এরপর আমার সাথে যা হবে তারজন্য আপনি দায়ী থাকবে !
সায়ানের একবার মনে হল যে বলে তোমার যা ইচ্ছে কর কিন্তু কেন জানি সে বলতে পারলো না । নরম সুরে বলল, তুমি এমন কেন করছো ?
-আপনি কি বুক করবেন ?
-হোটেল থাকুক । ফার্ম হাউজ চলে চলবে ?
-আপনার বাবা জেনে যাবে না ?
-না । জানবে না । চলবে ?
-হ্যা চলবে ।
-আচ্ছা । আমি তোমাকে পিক করে নিবো কোথা থেকে ?
-আমার বাসার সামনের রেল গেট ছাড়িয়ে একটা অন্ধকার গলি আছে । আমি ওখানে দাড়িয়ে থাকবো । ওখান থেকে পারবেন ?
-হ্যা পারবো ।
-তাহলে দশটার দিকে চলে আসবেন । আর শুনুন ।
-বল।
-আসার সময়ে দড়ি কিনে আনবেন আর মেডিক্যাল টেপ কিনবেন ।
-এসব কেন ?
-আনতে বলছি আনবেন । এতো কথা কেন বলেন ।
-আচ্ছা !
দুই
গাড়িতে উঠে নীতু প্রথমেই জানতে চাইলো দড়ি কিনেছেন ?
-হ্যা। সব কিছু কিনেছি ।
-গুড বয় ! আপনি এতো সুইট কেন বলেন তো !
সায়ান কোন জবাব দিলো না । ফার্ম হাউজে পৌছাতে পৌছাতেই প্রায় বারোটা বেজে গেল । সায়ান করে বলে দিয়েছিলো যে ফার্ম হাউজে যেন আজকে কেউ না থাকে । দারিয়ান গেট খুলে দিল । তারপর সায়ান গাড়ি নিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল ।
ফ্রেশ হয়ে নিয়ে নীতু কোন প্রকার লাজ লজ্জার ধার না দিয়ে গিয়ে সরাসরি নগ্ন হয়েই সায়ানের সামনে এসে দাড়ালো । সায়ান কিছু সময় কেবল ফ্রিজ হয়ে দাড়িয়ে রইলো কেবল । নীতুর অবশ্য মজাই লাগছিলো । সে সায়ানের সামনে গিয়ে নিজের মোবাইল বের করে একটা ভিডিও চালু করে দেখালো । সায়ান খানিকটা বিস্ময় নিয়ে সেটা দেখলো তারপর চোখ সরিয়ে নিল । বলল, এসব কি ?
-এসবই এখন আমরা করবো ।
-না মোটেও না ।
-মোটেও হ্যা । এটাই করতে হবে । বুঝেছেন । কোন কথা না । নয়তো আমি এখনই কিন্তু আপনার ফিয়ন্সে কে ফোন দিব।
সায়ান বুঝলো যে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই । নীতুর কথা মতই কাজ করতে হবে । ব্যাগ থেকে কেনা দড়িটা সে বের করলো ।
ঘন্টা দুয়েক মত চলল ওদের খেলা । তারপর দুজনেই খানিকটা ক্লান্ত হয়ে গেছে । সায়ানের শরীরের উপরে নীতু শুয়ে দম নিতু লাগলো । নীতুর হাত তখনও পেছনমোড়া করে বাঁধাই রয়েছে । সায়ান নীতুকে আরও একটু কাছে টেনে নিল । নীতুর পুরো শরীরটা সায়ানের শরীরের উপরে রয়েছে । হাত বাঁধা থাকার কারণে একটু নড়বড় অবস্থায় রয়েছে । সায়ান যদি না ধরে থাকে তাহলে হয়তো গড়িয়ে পড়ে যেতে পারে ।
একটু শান্ত হলে নীতু সায়ানের বুকে মাথা রেখেই বলল, আপনি আমাকে এভাবে কেন সহ্য করেন বলেন তো ?
-সহ্য ?
-হ্যা । এই যে এতো জ্বালাই আপনাকে, ব্লাক মেইল করে টাকা নিই । ভয় দেখাই তবুও ঠিকই আমার জন্য কেয়ার করেন । কেন ?
-জানি না ।
-আজকে যদি আমি চন্দ্রিমাতে গিয়ে দাড়াতাম আপনার কিছুই হত না । তবুও আপনি এলেন । কেন এলেন ?
-জানি না । সত্যিই জানি না ।
-তারপর দেখুন আজকে এভাবে আপনার সাথে আছি । নিজেকে পুরোপুরি আপনার নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এনে দিয়েছি । আপনি চাইলে এখনও আমাকে মেরে ফেলতে পারেন । আমি সামান্য প্রতিরোধও করতে পারবো না । তারপরও আপনি কিছু করছেন না । আপনি চাইলে আমার থেকে আজই চিরো মুক্তি পেতে পারেন । আমাকে মেরে ফেলে ফার্ম হাউজে পেছনে মাটি চাপা দিলে কেউ কোন দিন জানবে না ।
একভাবে কথা গুলো বলে নীতু থামলো । সায়ান একটু ভাবলো নীতু কথা । সত্যি আজকে নীতু আজকে নিজেকে এমন ভাবে ওর সামনে এমন ভাবে এসে হাজির করেছে যে ওকে যদি মেরে ফেলা হয় তাহলে কেউ কোন দিন জানবে না । সায়ান বলল, এই কারণে আজকে অন্য একটা নম্বর নিয়ে ফোন দিয়েছো ?
নীতু হাসলো । বলল, হ্যা । ওটা নতুন কিনেছি আজই । একটা চায়না ফোনে ভরে কল দিয়েছি যাতে ট্রেস না করা যায় । নিজের ফোন নিয়েও আসি নি সাথে ।
-তারপর এমন যায়গা থেকে উঠেছো যাতে কেউ তোমাকে না দেখে । পুরো রাস্তায় তুমি নিজের মুখে ঢেকে রেখেছিলে যাতে কোথায় তোমার চেহারা ধরা না পরে । তাই না ? তার মানে আজকে যদি আমি তোমাকে এখানে মেরে তাহলে তুমি এমন ব্যবস্থা করেছিলে যাতে আমার পর্যন্ত পুলিশ কোন দিন না পৌছাতে পারে !
-হুম ! আজকে আপনার সব টাকাও নিয়ে এসেছি ।
-টাকা মানে ?
-মানে এতোদিন আপনার কাছ থেকে যত টাকা নিয়েছি সব । একটা টাকাও আমি কোন খরচ করি নি ।
-তাহলে নিয়েছো কেন?
-জানি না । হয়তো আপনার কাছে যাওয়া উছিলা খুজতে !
সায়ান এবার নীতুকে আরও একটু কাছে উপরে টেনে নিল । তারপর ওর ঠোঁটে গভীর করে চুমু খেল । আবারও দুজন দুজনের ভেতরে হারিয়ে গেল কিছু সময় ।
তিন
-আমি তোমাকে সত্যিই বুঝতে পারি না ।
-আমি নিজেও বুঝতে পারি না নিজেকে । তবে আপনাকে বুঝতে পারি । আপনি আমাকে ভালবাসেন আমি জানি । জানেন আপনার মত করে এতো কেয়ার কেউ কোন দিন আমাকে করে নি । আমার ফ্যামিলিতে আমি অনেকটাই অবাঞ্চিত । ছোট বেলা থেকেই দেখতাম অন্য সবার থেকে বাবা কেন জানি আমাকে সব সময় দুরে দুরে রাখতো । মায়ের কাছেও একটা কেমন ঝামেলা মনে হত নিজেকে । পরে বড় হয়ে টের পেয়েছি কারণ । আমার বাবার বিশ্বাসে যে আমি তার সন্তান না । তার এমনটা ভাবার কারণ আছে । অন্য সব ভাইবোনদের মত হয় নি । ওদের থেকে অনেক সুন্দর দেখতে আমি । হয়তো সত্যি হয়তো সত্যি না । তারপরেও পরিবারের সবার থেকে আমাকে আলাদা করে রাখা হয় । মাঝে মাঝে ওরা যে কী কুৎসীত ভাষায় আমাকে ওরা কথা শোনায় ! ইদানীং এই ব্যাপারটা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে । কতবার যে সুইসাইড করতে গেছি । কিন্তু তখনই আপনার কথা মনে হয়েছে । আপনি আমাকে যেভাবে আদর করেছেন সেভাবে কেউ করে নি ।
নীতু একটু থামলো । তারপর আবার বলল, আমি সব সময় চাইতাম যে আপনি যেন আমাকে ঘৃণা করেন যাতে আপনার কাছ থেকে দুরে সরে যেতে পারি । কিন্তু আপনি সেটা করেন নি । প্রতিবারই আমার আবদার শুনেছেন । আপনি ঠিকই জানেন যে আমার কাছে কোন ছবি কিগবা ভিডিও নেই । থাকলেও আমি কোন দিন সেগুলো বাইরে নিয়ে আসবো না । তবুও আপনি আমার আবদার শুনতে । এমন ভাবে কেউ কোন দিন আমার কো কথা শুনে নি । কোন দিন না । তবুও নিজেকে খানিকটা বুঝ দিয়েছিলাম । বুঝিয়ে ফেলেছিলাম যে আপনার কাছ থেকে দুরে থাকাই ভাল । কিন্তু যখন জানতে পারলাম যে আপনার বিয়ে হচ্ছে সত্যি বলতে মনের ভেতরে কি যে ঝড় উঠলো । মনে আমার সব কিছু যেন হারিয়ে যাচ্ছে । আমি আবারও একা হয়ে যাচ্ছি ।
সায়ান এবার উঠে বসলো । নীতুকে নিজের কোলের উপরে নিয়ে বসলো । দেখতে পেল নীতুর চোখ দিয়ে বিন্দু বিন্দু অশ্রু গড়িয়ে পড়লো । ঠোঁট কাঁপছে মৃদু ভাবে । সায়ান আস্তে আস্তে সেই ঠোঁট স্পর্শ করলো হাত দিয়ে । তারপর আস্তে গাল গলা আর উন্মুক বুকের দিকে এক ভাবে তাকিয়ে রইলো কেবল । কী এক তীব্র আকর্ষন যে সায়ান অনুভব করলো সেটা সে নিজেই জানে না ।
তারপরই সে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল । খাটের পাশে রাখা মোবাইলটা বের করে ডায়াল করলো । ফোনটা রিসিভ হল সাথে সাথেই ।
-জমির মিয়া ।
-জ্বে স্যার ।
-তোমার গ্রামে কাজী আছে ?
-কাজী ! বিয়ার কাজী ?
-হ্যা আছে আসে পাশে ?
-জ্বে স্যার আছে ।
-এখনই তাকে নিয়ে এসে ফার্ম হাউজে । সাথে বিয়ে পড়ানোর জন্য যা যা লাগে সব কিছু । সাক্ষি নিয়ে আসবে ঠিক আছে ।
-কার বিয়া স্যার ।
-সেটা তোমার চিন্তা না করলেো চলবে । আনতে বলেছি আনো ।
নীতু অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো কিছু সময় । তারপর বলল, সায়ান না প্লিজ, আপনার বাবা খুব রাগ করবে । খুব ।
-তোমার সেটা চিন্তা করতে হবে না ।
-আমি বিয়ে রাজি হব না ।
-তাই ?
তাই বলে সায়ান এমন ভাবে হাসলো যে নীতু বুঝে গেল যে সায়ান জানে যে ও ঠিকই রাজি হবে । নীতু আরও কিছু বলতে গেল কিন্তু তার আগেই সায়ান ওর ঠোঁটে আবারও একটা গভীর করে চুমু খেল । তারপর বলল, আমি আছি তোমার পাশে । কোন চিন্তা কর না । কেমন !
নীতুর তখনও বিশ্বাস হচ্ছিলো না যখন সে কবুল বলল । তারপর কাবিন নামায় সই করলো । মনে হল যেন একটা স্বপ্নের ভেতরে আছে । এখনই স্বপ্নটা ভেঙ্গে যাবে । বিয়ের সব কাজ কর্ম শেষ করতে করতে প্রায় পাঁচটা বেজে গেল । সবাই চলে যাওয়ার পরে সায়ান বলল, বাসর তো আগেই হয়েছে । আরেকবার হবে নাকি ?
সায়ান এই প্রথম নীতুকে লজ্জা পেতে দেখলো । বলল, আপনি খুব বদ ।
-আমি বদ ? আচ্ছা ? দাড়াও তোমাকে মজা আজকে দেখাবো …।
কালকে থেকে এই প্লটটা মাথার ভেতরে ঘুরপাক খাচ্ছিলো । কেন খাচ্ছিলো কে জানে । আজকে লিখে ফেললাম ।
Discover more from অপু তানভীর
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
আগে আপনার পেইজ থেকে গল্প পড়তাম
আজ অনেকদিন পর আবার আপনার পোষ্ট পেয়েই গল্প পড়তে চলে এলাম