অফিস শেষ করে বের হতে হতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায় প্রতিদিন । তারপর বাসায় ফিরতে ফিরতে আরও ঘন্টা খানেক । প্রতিদিনই এমন করে কাটে । ছুটির দিন গুলোতে বাসায় শুয়ে বসে কেটে যায় । পুরো সপ্তাহের কাজের পরে আর বাইরে বের হতে ইচ্ছে করে না । বিছানাটাই তখন সব থেকে বেশি আকর্ষনীয় মনে হয় সময় কাটানোর জন্য । মোটামুটি এমন ছিল আমার জীবন। সকালে অফিসে আসো সন্ধ্যায় বাসায় যাও । ছুটির দিনে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দাও ।
তবে মাস খানেক ধরে আমার এই স্বাভাবিক রুটিনের একটা পরিবর্তন হয়েছে । মাস খানেক আগে আমার বিয়ে হয়ে গেছে হুট করে । এমন হুট করে যে কারো বিয়ে হয়ে যায় সেটা আমি কেবল গল্প উপন্যাসে পড়েছি । ফেসবুকে অপু তানভীর নামের একজন লেখক আছেন তার গল্পেও এমন হুটহাট বিয়ে হয়ে যায় । কিন্তু আমার সাথেও যে এমন ঘটনা ঘটবে সেটা আমি সত্যিই বুঝি নি ।
বড় মামা এসে জানালো যে আমার জন্য একটা মেয়ে দেখা হয়েছে । মেয়ে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিল । এখন দেশে ফিরে এসেছে । তার অফিসের বসের মেয়ে । এখন বস একটা ভাল ছেলের সাথে মেয়েকে বিয়ে দিতে চান । আর ভালো ছেলের প্রশ্ন যেখানে আসছে সেখানে আমার থেকে ভাল ছেলে তো আশে পাশে আর কাউকে খুজে পাওয়ার কথা না । বাসা থেকেও জানানো হল যে মেয়ে দেখে আসতে । মেয়ের ছবি দেখে আর পরিবার সম্পর্কে জানতে পেরে তারাও বেশ খুশি ।
বাধ্য ছেলের মত মামার সাথে গেলাম মেয়ে দেখতে । মেয়ে দেখা হল । সত্যি বলতে কী মেয়ে সম্পর্কে যা বলে হয়েছিলো আমাকে তার কোন কিছুই মিথ্যা নয় বরং আমাকে কম কমই বলা হয়েছে । এই মেয়ে যে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবে সেটাই বরং অবাক করার মত ব্যাপার । তবে আমাকে আরও অবাক করে দিয়ে মেয়ের বাবা জানালেন যে তারা চায় বিয়ে টা সেদিনই হয়ে যাক । ছেলে মানে আমাকে তাদের পছন্দ হয়েছে । ঠিক আমার মতই ছেলেকে তারা খুজছিলো ।
কাজী ডাকা হল । বিয়ে হয়ে গেল সেদিনই । বিয়ে পরে আমরা বাসা চলে এলাম । ঠিক হল যে সময় সুযোগ মত বড় করে অনুষ্ঠান করা হবে ।
আমি অফিস থেকে বের রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছি এমন সময়ে দিবাকে দেখতে পেলাম । দিবা আমার দিকে এগিয়ে আসছে । মুখে একটা হাসি হাসি ভাব । সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে দিবা আজকে শাড়ি পরেছে । শাড়িতে দিবাকে আমি দেখেছিলাম সেই বিয়ের দিন । এরপর আরও দুইদিন ওর সাথে আমার দেখা হয়েছে । একদিন ও পরেছিলো টিশার্ট আর জিন্স । অন্য দিন সেলোয়ার কামিজ । আজকে তৃতীয় দিন ও আমার সাথে দেখা করতে এসেছে শাড়ি পরে ।
সারা দিনের অফিসের ক্লান্তি কেন জানি মুহুর্তের ভেতরে চলে গেল । আমি ওর দিকে একভাবে তাকিয়ে রইলাম । এমন একটা মেয়ে আমার বউ এটা এখনও আমার মাঝে মাঝে ঠিক বিশ্বাস হয় না । দিবা আমার কাছে এসে বলল, এদেশের মেয়ে এমন করে শাড়ি পরে কিভাবে ঘুরে বেড়ায় বলুন তো !
হ্যা এখনও আমরা একে অন্যকে আপনি করেি বলি । আসলে তুমিতে এখনও আসতে পারি নি । তবে এসে পড়বো আশা করি ।
-কেন ? শাড়ি তো খুবই চমৎকার আর স্বস্তির একটা পোশাক !
-স্বস্তি না ছাই । আর আপনি এমন ভাবে বলছেন যেন আপনি পরেছেন শাড়ি?
আমি হেসে ফেললাম । তারপর বললাম, মা খালা দের দেখে এসেছি সব সময় ।
-দুর । শাড়ি পরলে ডান হাতটা ঠিক মত নাড়ানো যায় না ।
-ডান হাত নাড়িয়ে কী করবেন শুনি ।
কয়েক মুহুর্ত দিবা আমার দিকে তাকালো । তারপর বলল, ও আপনি বুঝবেন না । আসুন একটু হাটি ।
আমি বিনা বাক্য ব্যয়ে দিবার সাথে হাটতে শুরু করলাম । দিবা ওর শাড়ির আচল সামলাতে সামলাতে আমাকে বলল, আচ্ছা আমার কাছ থেকে আপনার এক্সপেক্টেশন কেমন বলুন তো ?
-একপেক্টেশন বলতে?
-না মানে এই যে আমাদের কেমন হুট করে বিয়ে হয়ে গেল । বিয়ের বেলায় ছেলে মেয়ের সবারই তো কিছু না কিছু কিছু আশা থাকে ।
আমি কিছু সময় চিন্তা করে বললাম, আপনি রান্না পারেন?
-কী রান্না ! এতো কিছু রেখে রান্না ! এদেশের ছেলেদের বিয়ের বেলাতে এটাই কী সব থেকে বড় চাহিদা যে বউকে ভাল রান্না পারতে হবে । নয়তো হবে না ?
-আরে আমি সেটা বলি নি । আসলে আমরা যারা ঢাকাতে থাকি কিংবা বলেন বাড়ির বাইরে থাকি এরা হল, হোস্টেল কিংবা মেস বাড়িতে খেয়ে বাঁচি । মনের ভেতরে একটা আশা থাকে যে যখন চাকরি বাকরি পেয়ে বিয়ে করবো তখন আর এই অখাদ্য খেয়ে বাঁচতে হবে না ।
-তা জনাব নিজেই রান্না শিখে নেওয়া যায় !
-তা যায় । আমাদের মাঝে অনেকেই ভাল রান্নাও পারে ।
-তাহলে ভাল রান্না কেন জানতে হবে বউদের !
-এই যে এই ভাবেই তো বড় হয়েছে । এটা বাই ডিফল্ট মনভাব বলতে পারেন ।
-এসব আমার সাথে চলবে না । আমি রান্না বান্না ঠিক জানি না ।
-আচ্ছা সমস্যা নেই ।
-সত্যিই নেই নাকি আমাকে খুশি করতে বলছেন?
-সত্যিই নেই । খাবার নিয়ে কোন সমস্যা আমাদের মাঝে হবে না ।
-তাহলে কী নিয়ে হবে?
-জানি না । এক সাথে থাকা শুরু করলে বুঝতে পারবো হয়তো ।
-তা কবে থেকে শুরু করতে চান?
আমি একটু ভাবলাম । ঠিক কী বললে দিবা খুশি হবে সেটা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না । আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে দিবাই বলল, এতো চিন্তা করতে হবে না । বাড়ির লোকজনকে চিন্তা করতে দিন । চলুন আজকে একটা জায়গায় যাবো আপনাকে নিয়ে ।
-কোথায়?
-চলুন । গেলেই দেখা যাবে ।
দিবা আমাকে নিয়ে হাজির হল শিল্প কলা একেডেমিতে । সেখানে নাটক দেখবে । আগে থেকেই সে টিকিটও যোগার করে রেখেছিলো । আমি এর আগে কোন দিন এভাবে নাটক দেখি নি । বেশ ভাল লাগলো । নাকি সাথে দিবা ছিল বলেই ব্যাপারটা আমার কাছে উপভোগ্য হল ! বলতে পারবো না ।
নাটক দেখে ফেরার পথে ওকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে চাইলাম । দিবা রাজি হল না । বলল, চলুন আজকে বাসায় !
আমি চোখ কপালে তুলে বললাম, বাসায় ?
-হ্যা এমন করে তাকানোর মানে কী কি শুনি ? আমি কি অন্য কেউ?
-না না আমি আসলে সেটা মিন করি নি ।
-তাহলে কি মিন করেছেন শুনি?
আমি যে আসলে কী মিন করেছিলাম সেটা আমি নিজেই জানি না । দিবা আবারও বলল, হয়েছে ! চলুন । আজকে আপনার জন্য রান্না করবো ঠিক করেছি । কী খাবেন বলুন ?
-আমার এমন বিশেষ কোন চাহিদা নেই । এই ধরুন সাদা ভাত ডাল মুরগির মাংস !
আমার চাহিদা শুনে দিবা হেসে ফেলল । বলল, চলুন আজকে তাই হবে । বাবা বাসায় নেই । আপনাকে নিজের হাতে রান্না করেই খাওয়াবো ।
শ্বশুর মশাই বাসায় নেই শুনে আমি খানিকটা বিষম খেলাম । একা ওর সাথে আমি এখনও রাতে থাকি নি । যদিও সেটাতে কোন অন্যায় নেই । দিবা আমার বিয়ে করা বউ । ওর সাথে আমি যেখানে ইচ্ছে সেখানেই যেতে পারি । কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয় তবুও কেন যে একটা অস্বস্তি কাজ করলো । তবে এটা খারাপ নয় সেটাও আমি বুঝতে পারছিলাম নিজের ভেতরেই । আমার মুখের দিকে তাকিয়ে দিবা একটু দুষ্টমির হাসি দিল । যেন ও ঠিক ঠিক বুঝতে পারলো যে আমার মনের ভেতরে কী চলছে !
কিন্তু শুরুটা যেমন চমৎকার ভাবে হয়েছিলো সেভাবে চলল না । দিবাদের বাসার সামনে একটা নির্জন মত রাস্তা আছে । রাত একটু বেশি হলে এখানে ছিনতাই হয় প্রায় । এটা দিবা নিজেই আমাকে বলেছে । আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি এগারো বেজে গেছে । এই পুরো রাস্তাটুকু আমি উবারে আসতে চেয়েছিলাম তবে দিবার কী একটা দরকার আগেই নেমে পড়লো । ওর নাকি কিছু কিনতে হবে স্বপ্ন থেকে । বলল যে রান্না করতে নাকি এগুলো লাগবে ।
জিনিস পত্র কিনে আমরা এবার হাটা শুরু করলাম ওর বাসার দিকে । যখন প্রায় চলে এসেছি তখনই ঘটলো ঝামেলাটা । তিনজন আমাদের ঘিরে ধরলো ।
আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম । এদের বয়স বেশি না । হাতে পিস্তলও দেখলাম না বড় ছুরি রয়েছে কেবল । আমি চটজলদি বললাম, টাকা পয়সা নিয়ে নাও । আমাদের ছেড়ে দাও ।
আমি দিবাকে আমার শরীরের আড়াল করে নিলাম । কোন ভাবেই ওর শরীরে আমি কোন আঘাত পেতে দিবো না ।
তিনজনের একজন একটু হেসে বলল, নতুন বউ মনে হচ্ছে । যাক আজকে টাকা পয়সা নিবো না । তোমার বউটাকে রেখে চলে যাও । আমরাই বাসায় পৌছে দিবো ।
আমার কেন তখনই মাথায় রক্ত উঠে গেল । আমি পেছন দিবার দিকে মুখ করে তাকিয়ে বললাম তুমি দৌড় দাও আমি এদের ঠেকিয়ে রাখছি ।
এই বলেই আমি সামনে এগিয়ে এলাম ।
দেখলাম দুইজন তখনই আমাকে চেপে ধরলো । আমি একটা ঘুসি যদি মারার চেষ্টা করলাম তবে কাজ হল না । যাকে মারতে গিয়েছিলাম সে শরীরে ঘুড়িয়ে সেটাকে পাশ কাটিয়ে ফেলল । তারপর আমার পেটে একটা ঘুসি মেরে দিল জোড়ে । আমি নাক চেপে বসে পড়লাম । আরো কিছু কিল ঘুশি এসে পরলো। আমি সহ্য করে গেলাম ।
পেছনের দিকে চোখ যেতে দেখলাম দিবা তখনও একই স্থানে দাড়িয়ে রয়েছে । ওর হাত থেকে কেবল বাজার টুকু নিচে পরেছে । কয়েকটা আলু দেখলাম ব্যাগ থেকে বের হয়ে এসেছে । দুজনের একজন আমাকে ছাড়িয়ে দিবার দিকে হাটা দিল । আমি ভেবেছিলাম দিবা এবার একটা চিৎকার দিবো । ভয়ংকর কিছু ঘটবে ।
আমি ভাবতেই পারছিলাম না কিছু । সত্যই ভাবতে পারছিলাম না
ছেলেটা পৌছে গেছে দিবার কাছে । হাত দিয়ে ওকে স্পর্শ করতে যাবে তখনই আমি আমার জীবনের সব থেকে আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটতে দেখলাম । দেখলাম দিবা একেবারে বিদ্যুৎ বেগে একটু ডান দিকে সরে এল । তারপর চুলের খোপায় আটকে থাকা স্টিকটা একটানে খুলে ফেলল । সেটা সমুলে ঢুকিয়ে দিল ছেলেটার গলায় । ঘটনা এতো জলদি ঘটলো যে আমরা সবাই থ মেয়ে ।
ছেলেটা টু শব্দটি করতে পারলো না । মাটিতে পরে গেল ।
আমরা অবাক বিস্ময়ে স্থির হয়ে থাকলেও দিবা মোটেই স্থির হয়ে নেই । সে পরে যাওয়ার ছেলের হাত থেকে বড় ছুরিটা নিয়ে নিয়েছে নিজের হাতে । এক লাফে চলে এল আমাদের কাছে । আমার পাশে যে ছেলেটা দাড়িয়েছিল কিছু বুঝে ওঠার আগে তার গলায় একটা পোঁচ দিয়ে দিল ।
তার পেছনে আর সময় না দিয়ে দিবে এগিয়ে গেল আমাদের সামনের ছেলেটার দিকে । ছেলেটা ততক্ষনে বিস্ময় কাটিয়ে উঠেছে । পালাবে কি পাবালে না কয়েক মুহুর্ত ভাবলো । তারপর দিবাকে আক্রমন করার মনস্থির করলো । সম্ভবত একটা মেয়ের কাছ থেকে পালাবে এমনটা তার পৌরষত্ব বাঁধছিলো । দিবার প্রথম আঘাতটা সে আটকালো কোন মতে । একটা ফিরতি আঘাতও করলো । তবে সেটা কাজে আসলো না । ছেলেটার থেকে দিবার ক্ষিপ্ততা অনেক বেশি । ছুরিটা দ্বিতীয়বার যখন তার বুকের বাম দিকে বিঁধে গেল তখন কেবল অবাক চোখে তাকিয়ে ছিল দিবার দিকে । যেন এসব সে মোটেই বিশ্বাস করতে পারছে না । আমিও বিশ্বাস করতে পারছি না ।
কিভাবে আমি দিবার বাসায় ঢুকলাম সেটা আমি নিজে বলতে পারবো না । আমার পুরো শরীর কাঁপছিলো । আমি সঠিক ভাবে যেন চিন্তা করতে পারছিলাম না ।
দিবা কে ?
আমার বিয়ে করা বউ কিভাবে কাজটা করলো?
দুই
দিবা বলল, কাঁপছো কেন?
-কই কাঁপছি না তো !
আমি নিজের কন্ঠটাই আমার কাছে কাঁপা কাঁপা মনে হল । আমি কেন কাঁপবো না? চোখের সামনে যা ঘটলো তাতে কোন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক থাকাটা সম্ভব না ।
দিবাকে বললাম, ওরা বাচ্চা ছিল।
-বাচ্চা ! তোমার তাই মনে হয় ?
-কিন্তু কিন্তু …. তোমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে….
-কেন ? কেউ দেখে নি ।
-তুমি …… তুমি কে?
-আমি ? আমি কে তুমি জানো ! শোন এতো চিন্তা করো না । চুপ কর বস । আমি তোমার জন্য রান্নাটা শেষ করি । রান্না শেষ করে আমরা গল্প করবো । আর আজকে আমরা একসাথে ঘুমাবো।
রাতের খাও্য়া শেষ করলাম যখন তখন রাত একটা বেজে গেছে । খাওয়া শেষ করে অনেকটাই সুস্থির হয়েছি আমি যদিও চোখের সামনে থেকে ঐ ছেলেগুলোর অবাক হওয়া দৃষ্টি আমার মাথা থেকে সরলো না ।
রাতের বেলা সত্যি সত্যিই দিবা আমার সাথেই ঘুমাতে এল ! আমার বুকের ভেতরে কেমন যেন একটা অনুভূতি এসে জড় হল ।
আমার কাধের কাছে মুখ নিয়ে এসে দিবা বলল, রান্না কেমন হয়েছে বলল না তো ?
-ভা-ভাল হয়েছে ।
-সত্যি নাকি ভয়ে বলছো!
-ভয় ! ভয় কেন হবে ?
-আমাকে তোমার ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই । তবে তোমার একটা ব্যাপার আমার ভাল লেগেছে খুব । তুমি আমাকে রক্ষা করতে চেয়েছিলে। একেবারে একাই এগিয়ে গেল তিনজনকে মোকাবেলা করতে ! এটা আমার ভাল লেগেছে অনেক !
আমি চুপ করে রইলাম । দিবা আবার আরো কাছে এগিয়ে এল । পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, আজকে আমাকে কেমন লাগছিলো বললে না তো? কেবল তোমার জন্য শাড়ি পড়েছিলাম !
আমি প্রশ্নটার উত্তর দিতে পারলাম না । তার আগেই দিবা আমার আরও কাছে চলে এসেছে । এতো কাছে যে আমার মন থেকে অন্য সব কিছু একেবারে গায়েব হয়ে গেল !
এই গল্পটা ব্লগের একটি গল্প থেকে লেখা । গল্পটা পড়ে আমার বেশ পছন্দ হয়েছিল । লেখক নিজেই যখন আমাকে আমার মত করে লিখতে বললেন তখন লোভ সামলাতে পারলাম না ।
গল্পের নোটিফিকেশন সরাসরি পেতে আমার হোয়াটসএপ গ্রুপে জয়েন করতে পারেন । গ্রুপে জয়েনিং লিংক পাবেন ব্লগের ডান দিকে একদম নিচে ও উপরে।
Discover more from অপু তানভীর
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
ভাই পরের পার্ট কবে পাবো?