আমায় দেখতে কেমন লাগছে?

oputanvir
4.6
(62)

অফিস শেষ করে বের হতে হতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায় প্রতিদিন । তারপর বাসায় ফিরতে ফিরতে আরও ঘন্টা খানেক । প্রতিদিনই এমন করে কাটে । ছুটির দিন গুলোতে বাসায় শুয়ে বসে কেটে যায় । পুরো সপ্তাহের কাজের পরে আর বাইরে বের হতে ইচ্ছে করে না । বিছানাটাই তখন সব থেকে বেশি আকর্ষনীয় মনে হয় সময় কাটানোর জন্য । মোটামুটি এমন ছিল আমার জীবন। সকালে অফিসে আসো সন্ধ্যায় বাসায় যাও । ছুটির দিনে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দাও ।

তবে মাস খানেক ধরে আমার এই স্বাভাবিক রুটিনের একটা পরিবর্তন হয়েছে । মাস খানেক আগে আমার বিয়ে হয়ে গেছে হুট করে । এমন হুট করে যে কারো বিয়ে হয়ে যায় সেটা আমি কেবল গল্প উপন্যাসে পড়েছি । ফেসবুকে অপু তানভীর নামের একজন লেখক আছেন তার গল্পেও এমন হুটহাট বিয়ে হয়ে যায় । কিন্তু আমার সাথেও যে এমন ঘটনা ঘটবে সেটা আমি সত্যিই বুঝি নি ।

বড় মামা এসে জানালো যে আমার জন্য একটা মেয়ে দেখা হয়েছে । মেয়ে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিল । এখন দেশে ফিরে এসেছে । তার অফিসের বসের মেয়ে । এখন বস একটা ভাল ছেলের সাথে মেয়েকে বিয়ে দিতে চান । আর ভালো ছেলের প্রশ্ন যেখানে আসছে সেখানে আমার থেকে ভাল ছেলে তো আশে পাশে আর কাউকে খুজে পাওয়ার কথা না । বাসা থেকেও জানানো হল যে মেয়ে দেখে আসতে । মেয়ের ছবি দেখে আর পরিবার সম্পর্কে জানতে পেরে তারাও বেশ খুশি ।

বাধ্য ছেলের মত মামার সাথে গেলাম মেয়ে দেখতে । মেয়ে দেখা হল । সত্যি বলতে কী মেয়ে সম্পর্কে যা বলে হয়েছিলো আমাকে তার কোন কিছুই মিথ্যা নয় বরং আমাকে কম কমই বলা হয়েছে । এই মেয়ে যে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবে সেটাই বরং অবাক করার মত ব্যাপার । তবে আমাকে আরও অবাক করে দিয়ে মেয়ের বাবা জানালেন যে তারা চায় বিয়ে টা সেদিনই হয়ে যাক । ছেলে মানে আমাকে তাদের পছন্দ হয়েছে । ঠিক আমার মতই ছেলেকে তারা খুজছিলো ।

কাজী ডাকা হল । বিয়ে হয়ে গেল সেদিনই । বিয়ে পরে আমরা বাসা চলে এলাম । ঠিক হল যে সময় সুযোগ মত বড় করে অনুষ্ঠান করা হবে ।

আমি অফিস থেকে বের রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছি এমন সময়ে দিবাকে দেখতে পেলাম । দিবা আমার দিকে এগিয়ে আসছে । মুখে একটা হাসি হাসি ভাব । সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে দিবা আজকে শাড়ি পরেছে । শাড়িতে দিবাকে আমি দেখেছিলাম সেই বিয়ের দিন । এরপর আরও দুইদিন ওর সাথে আমার দেখা হয়েছে । একদিন ও পরেছিলো টিশার্ট আর জিন্স । অন্য দিন সেলোয়ার কামিজ । আজকে তৃতীয় দিন ও আমার সাথে দেখা করতে এসেছে শাড়ি পরে ।

সারা দিনের অফিসের ক্লান্তি কেন জানি মুহুর্তের ভেতরে চলে গেল । আমি ওর দিকে একভাবে তাকিয়ে রইলাম । এমন একটা মেয়ে আমার বউ এটা এখনও আমার মাঝে মাঝে ঠিক বিশ্বাস হয় না । দিবা আমার কাছে এসে বলল, এদেশের মেয়ে এমন করে শাড়ি পরে কিভাবে ঘুরে বেড়ায় বলুন তো !

হ্যা এখনও আমরা একে অন্যকে আপনি করেি বলি । আসলে তুমিতে এখনও আসতে পারি নি । তবে এসে পড়বো আশা করি ।
-কেন ? শাড়ি তো খুবই চমৎকার আর স্বস্তির একটা পোশাক !
-স্বস্তি না ছাই । আর আপনি এমন ভাবে বলছেন যেন আপনি পরেছেন শাড়ি?

আমি হেসে ফেললাম । তারপর বললাম, মা খালা দের দেখে এসেছি সব সময় ।
-দুর । শাড়ি পরলে ডান হাতটা ঠিক মত নাড়ানো যায় না ।
-ডান হাত নাড়িয়ে কী করবেন শুনি ।

কয়েক মুহুর্ত দিবা আমার দিকে তাকালো । তারপর বলল, ও আপনি বুঝবেন না । আসুন একটু হাটি ।

আমি বিনা বাক্য ব্যয়ে দিবার সাথে হাটতে শুরু করলাম । দিবা ওর শাড়ির আচল সামলাতে সামলাতে আমাকে বলল, আচ্ছা আমার কাছ থেকে আপনার এক্সপেক্টেশন কেমন বলুন তো ?
-একপেক্টেশন বলতে?
-না মানে এই যে আমাদের কেমন হুট করে বিয়ে হয়ে গেল । বিয়ের বেলায় ছেলে মেয়ের সবারই তো কিছু না কিছু কিছু আশা থাকে ।
আমি কিছু সময় চিন্তা করে বললাম, আপনি রান্না পারেন?
-কী রান্না ! এতো কিছু রেখে রান্না ! এদেশের ছেলেদের বিয়ের বেলাতে এটাই কী সব থেকে বড় চাহিদা যে বউকে ভাল রান্না পারতে হবে । নয়তো হবে না ?
-আরে আমি সেটা বলি নি । আসলে আমরা যারা ঢাকাতে থাকি কিংবা বলেন বাড়ির বাইরে থাকি এরা হল, হোস্টেল কিংবা মেস বাড়িতে খেয়ে বাঁচি । মনের ভেতরে একটা আশা থাকে যে যখন চাকরি বাকরি পেয়ে বিয়ে করবো তখন আর এই অখাদ্য খেয়ে বাঁচতে হবে না ।
-তা জনাব নিজেই রান্না শিখে নেওয়া যায় !
-তা যায় । আমাদের মাঝে অনেকেই ভাল রান্নাও পারে ।
-তাহলে ভাল রান্না কেন জানতে হবে বউদের !
-এই যে এই ভাবেই তো বড় হয়েছে । এটা বাই ডিফল্ট মনভাব বলতে পারেন ।
-এসব আমার সাথে চলবে না । আমি রান্না বান্না ঠিক জানি না ।
-আচ্ছা সমস্যা নেই ।
-সত্যিই নেই নাকি আমাকে খুশি করতে বলছেন?
-সত্যিই নেই । খাবার নিয়ে কোন সমস্যা আমাদের মাঝে হবে না ।
-তাহলে কী নিয়ে হবে?
-জানি না । এক সাথে থাকা শুরু করলে বুঝতে পারবো হয়তো ।
-তা কবে থেকে শুরু করতে চান?

আমি একটু ভাবলাম । ঠিক কী বললে দিবা খুশি হবে সেটা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না । আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে দিবাই বলল, এতো চিন্তা করতে হবে না । বাড়ির লোকজনকে চিন্তা করতে দিন । চলুন আজকে একটা জায়গায় যাবো আপনাকে নিয়ে ।
-কোথায়?
-চলুন । গেলেই দেখা যাবে ।

দিবা আমাকে নিয়ে হাজির হল শিল্প কলা একেডেমিতে । সেখানে নাটক দেখবে । আগে থেকেই সে টিকিটও যোগার করে রেখেছিলো । আমি এর আগে কোন দিন এভাবে নাটক দেখি নি । বেশ ভাল লাগলো । নাকি সাথে দিবা ছিল বলেই ব্যাপারটা আমার কাছে উপভোগ্য হল ! বলতে পারবো না ।

নাটক দেখে ফেরার পথে ওকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে চাইলাম । দিবা রাজি হল না । বলল, চলুন আজকে বাসায় !
আমি চোখ কপালে তুলে বললাম, বাসায় ?
-হ্যা এমন করে তাকানোর মানে কী কি শুনি ? আমি কি অন্য কেউ?
-না না আমি আসলে সেটা মিন করি নি ।
-তাহলে কি মিন করেছেন শুনি?

আমি যে আসলে কী মিন করেছিলাম সেটা আমি নিজেই জানি না । দিবা আবারও বলল, হয়েছে ! চলুন । আজকে আপনার জন্য রান্না করবো ঠিক করেছি । কী খাবেন বলুন ?
-আমার এমন বিশেষ কোন চাহিদা নেই । এই ধরুন সাদা ভাত ডাল মুরগির মাংস !
আমার চাহিদা শুনে দিবা হেসে ফেলল । বলল, চলুন আজকে তাই হবে । বাবা বাসায় নেই । আপনাকে নিজের হাতে রান্না করেই খাওয়াবো ।

শ্বশুর মশাই বাসায় নেই শুনে আমি খানিকটা বিষম খেলাম । একা ওর সাথে আমি এখনও রাতে থাকি নি । যদিও সেটাতে কোন অন্যায় নেই । দিবা আমার বিয়ে করা বউ । ওর সাথে আমি যেখানে ইচ্ছে সেখানেই যেতে পারি । কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয় তবুও কেন যে একটা অস্বস্তি কাজ করলো । তবে এটা খারাপ নয় সেটাও আমি বুঝতে পারছিলাম নিজের ভেতরেই । আমার মুখের দিকে তাকিয়ে দিবা একটু দুষ্টমির হাসি দিল । যেন ও ঠিক ঠিক বুঝতে পারলো যে আমার মনের ভেতরে কী চলছে !

কিন্তু শুরুটা যেমন চমৎকার ভাবে হয়েছিলো সেভাবে চলল না । দিবাদের বাসার সামনে একটা নির্জন মত রাস্তা আছে । রাত একটু বেশি হলে এখানে ছিনতাই হয় প্রায় । এটা দিবা নিজেই আমাকে বলেছে । আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি এগারো বেজে গেছে । এই পুরো রাস্তাটুকু আমি উবারে আসতে চেয়েছিলাম তবে দিবার কী একটা দরকার আগেই নেমে পড়লো । ওর নাকি কিছু কিনতে হবে স্বপ্ন থেকে । বলল যে রান্না করতে নাকি এগুলো লাগবে ।
জিনিস পত্র কিনে আমরা এবার হাটা শুরু করলাম ওর বাসার দিকে । যখন প্রায় চলে এসেছি তখনই ঘটলো ঝামেলাটা । তিনজন আমাদের ঘিরে ধরলো ।

আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম । এদের বয়স বেশি না । হাতে পিস্তলও দেখলাম না বড় ছুরি রয়েছে কেবল । আমি চটজলদি বললাম, টাকা পয়সা নিয়ে নাও । আমাদের ছেড়ে দাও ।
আমি দিবাকে আমার শরীরের আড়াল করে নিলাম । কোন ভাবেই ওর শরীরে আমি কোন আঘাত পেতে দিবো না ।

তিনজনের একজন একটু হেসে বলল, নতুন বউ মনে হচ্ছে । যাক আজকে টাকা পয়সা নিবো না । তোমার বউটাকে রেখে চলে যাও । আমরাই বাসায় পৌছে দিবো ।
আমার কেন তখনই মাথায় রক্ত উঠে গেল । আমি পেছন দিবার দিকে মুখ করে তাকিয়ে বললাম তুমি দৌড় দাও আমি এদের ঠেকিয়ে রাখছি ।
এই বলেই আমি সামনে এগিয়ে এলাম ।

দেখলাম দুইজন তখনই আমাকে চেপে ধরলো । আমি একটা ঘুসি যদি মারার চেষ্টা করলাম তবে কাজ হল না । যাকে মারতে গিয়েছিলাম সে শরীরে ঘুড়িয়ে সেটাকে পাশ কাটিয়ে ফেলল । তারপর আমার পেটে একটা ঘুসি মেরে দিল জোড়ে । আমি নাক চেপে বসে পড়লাম । আরো কিছু কিল ঘুশি এসে পরলো। আমি সহ্য করে গেলাম ।
পেছনের দিকে চোখ যেতে দেখলাম দিবা তখনও একই স্থানে দাড়িয়ে রয়েছে । ওর হাত থেকে কেবল বাজার টুকু নিচে পরেছে । কয়েকটা আলু দেখলাম ব্যাগ থেকে বের হয়ে এসেছে । দুজনের একজন আমাকে ছাড়িয়ে দিবার দিকে হাটা দিল । আমি ভেবেছিলাম দিবা এবার একটা চিৎকার দিবো । ভয়ংকর কিছু ঘটবে ।
আমি ভাবতেই পারছিলাম না কিছু । সত্যই ভাবতে পারছিলাম না
ছেলেটা পৌছে গেছে দিবার কাছে । হাত দিয়ে ওকে স্পর্শ করতে যাবে তখনই আমি আমার জীবনের সব থেকে আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটতে দেখলাম । দেখলাম দিবা একেবারে বিদ্যুৎ বেগে একটু ডান দিকে সরে এল । তারপর চুলের খোপায় আটকে থাকা স্টিকটা একটানে খুলে ফেলল । সেটা সমুলে ঢুকিয়ে দিল ছেলেটার গলায় । ঘটনা এতো জলদি ঘটলো যে আমরা সবাই থ মেয়ে ।
ছেলেটা টু শব্দটি করতে পারলো না । মাটিতে পরে গেল ।
আমরা অবাক বিস্ময়ে স্থির হয়ে থাকলেও দিবা মোটেই স্থির হয়ে নেই । সে পরে যাওয়ার ছেলের হাত থেকে বড় ছুরিটা নিয়ে নিয়েছে নিজের হাতে । এক লাফে চলে এল আমাদের কাছে । আমার পাশে যে ছেলেটা দাড়িয়েছিল কিছু বুঝে ওঠার আগে তার গলায় একটা পোঁচ দিয়ে দিল ।
তার পেছনে আর সময় না দিয়ে দিবে এগিয়ে গেল আমাদের সামনের ছেলেটার দিকে । ছেলেটা ততক্ষনে বিস্ময় কাটিয়ে উঠেছে । পালাবে কি পাবালে না কয়েক মুহুর্ত ভাবলো । তারপর দিবাকে আক্রমন করার মনস্থির করলো । সম্ভবত একটা মেয়ের কাছ থেকে পালাবে এমনটা তার পৌরষত্ব বাঁধছিলো । দিবার প্রথম আঘাতটা সে আটকালো কোন মতে । একটা ফিরতি আঘাতও করলো । তবে সেটা কাজে আসলো না । ছেলেটার থেকে দিবার ক্ষিপ্ততা অনেক বেশি । ছুরিটা দ্বিতীয়বার যখন তার বুকের বাম দিকে বিঁধে গেল তখন কেবল অবাক চোখে তাকিয়ে ছিল দিবার দিকে । যেন এসব সে মোটেই বিশ্বাস করতে পারছে না । আমিও বিশ্বাস করতে পারছি না ।

কিভাবে আমি দিবার বাসায় ঢুকলাম সেটা আমি নিজে বলতে পারবো না । আমার পুরো শরীর কাঁপছিলো । আমি সঠিক ভাবে যেন চিন্তা করতে পারছিলাম না ।
দিবা কে ?
আমার বিয়ে করা বউ কিভাবে কাজটা করলো?

দুই
দিবা বলল, কাঁপছো কেন?
-কই কাঁপছি না তো !

আমি নিজের কন্ঠটাই আমার কাছে কাঁপা কাঁপা মনে হল । আমি কেন কাঁপবো না? চোখের সামনে যা ঘটলো তাতে কোন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক থাকাটা সম্ভব না ।
দিবাকে বললাম, ওরা বাচ্চা ছিল।
-বাচ্চা ! তোমার তাই মনে হয় ?
-কিন্তু কিন্তু …. তোমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে….
-কেন ? কেউ দেখে নি ।
-তুমি …… তুমি কে?
-আমি ? আমি কে তুমি জানো ! শোন এতো চিন্তা করো না । চুপ কর বস । আমি তোমার জন্য রান্নাটা শেষ করি । রান্না শেষ করে আমরা গল্প করবো । আর আজকে আমরা একসাথে ঘুমাবো।

রাতের খাও্য়া শেষ করলাম যখন তখন রাত একটা বেজে গেছে । খাওয়া শেষ করে অনেকটাই সুস্থির হয়েছি আমি যদিও চোখের সামনে থেকে ঐ ছেলেগুলোর অবাক হওয়া দৃষ্টি আমার মাথা থেকে সরলো না ।

রাতের বেলা সত্যি সত্যিই দিবা আমার সাথেই ঘুমাতে এল ! আমার বুকের ভেতরে কেমন যেন একটা অনুভূতি এসে জড় হল ।
আমার কাধের কাছে মুখ নিয়ে এসে দিবা বলল, রান্না কেমন হয়েছে বলল না তো ?
-ভা-ভাল হয়েছে ।
-সত্যি নাকি ভয়ে বলছো!
-ভয় ! ভয় কেন হবে ?
-আমাকে তোমার ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই । তবে তোমার একটা ব্যাপার আমার ভাল লেগেছে খুব । তুমি আমাকে রক্ষা করতে চেয়েছিলে। একেবারে একাই এগিয়ে গেল তিনজনকে মোকাবেলা করতে ! এটা আমার ভাল লেগেছে অনেক !

আমি চুপ করে রইলাম । দিবা আবার আরো কাছে এগিয়ে এল । পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, আজকে আমাকে কেমন লাগছিলো বললে না তো? কেবল তোমার জন্য শাড়ি পড়েছিলাম !

আমি প্রশ্নটার উত্তর দিতে পারলাম না । তার আগেই দিবা আমার আরও কাছে চলে এসেছে । এতো কাছে যে আমার মন থেকে অন্য সব কিছু একেবারে গায়েব হয়ে গেল !

এই গল্পটা ব্লগের একটি গল্প থেকে লেখা । গল্পটা পড়ে আমার বেশ পছন্দ হয়েছিল । লেখক নিজেই যখন আমাকে আমার মত করে লিখতে বললেন তখন লোভ সামলাতে পারলাম না ।

গল্পের নোটিফিকেশন সরাসরি পেতে আমার হোয়াটসএপ গ্রুপে জয়েন করতে পারেন । গ্রুপে জয়েনিং লিংক পাবেন ব্লগের ডান দিকে একদম নিচে ও উপরে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.6 / 5. Vote count: 62

No votes so far! Be the first to rate this post.


Discover more from অপু তানভীর

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →

One Comment on “আমায় দেখতে কেমন লাগছে?”

Comments are closed.