আশ্রমে কে ছিল?

oputanvir
4.4
(26)

যেদিন থেকে মরুভূমির জলদস্যু ভাইয়ের আশ্রমের ছবি ব্লগে দেখেছি, সেদিন থেকেই মনের ভেতরে একটা ইচ্ছে জেগেছে যে ওখানে দু একটা দিন কাটিয়ে আসতেই হবে । কিন্তু ব্যাটে বলে না মেলার কারণে কিছুতেই যাওয়া যাচ্ছিলো না । অবশেষে একটা সময়ে বের করে রওয়ানা দিয়েই ছিলাম । আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম যে ছুটির দিন গুলো এড়িয়ে যাবো । কারণ এই সময়ে আশ্রমে লোকজন আসতে পারে ।

সব কিছু ঠিকঠাক করে রওয়ানা দিলাম আশ্রমের দিকে । জলদস্যু ভাই আগে থেকেই আমাকে বলে দিয়েছিলেন যে কী কী জিনিস পত্র নিতে হবে এবং কোন দিক দিয়ে যেতে যেতে হবে । দুদিন থাকার পরিকল্পনা ছিল । সেই অনুযায়ী বাজার সদাই করে, প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে আমি যখন আশ্রমে পৌছালাম তখন বিকেল হয়ে গেছে ।

আমার আসার কথা আগে থেকেই বলা ছিল । আমি যখন গ্রামের ভেতরে ঢুকেছি তখনই মনে হয়েছিলো যে আমি একেবারে আমার পরিচিত কোন গ্রামে চলে এসেছি । ছোট বেলা থেকেই গ্রামের পরিবেশে বড় হয়েছি, তাই এই পরিবেশটা আমার চেনা । মাঝের কিছুটা পথ বিস্তর ধান ক্ষেতের ভেতর দিয়ে আমাকে আসতে হয়েছে। কয়েক স্থানে পানিও ছিল । আগে দাদা বাড়ি যাওয়ার সময় এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হত ।

আশ্রমের পুরো অংশটুকু টিনের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা । সবার আগে যেটা চোখে পড়লো সেটা হচ্ছে পাকা ওয়াশরুম । মাথার উপরে একটা একটা গাজী পানির ট্যাংক দেখা যাচ্ছে । এটা দেখে আসলে সত্যিই মনটা বেশি ভাল হয়ে গেল । জলদস্যু ভাই বলেছিলো যে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা ভাল তবে এতো ভাল হবে সেটা আমি আশা করি নি ।

এবার আশ্রমের একটা ছোট বর্ণনা দেওয়া যাক । মুল আশ্রমটা ভেতরে একটা টিনের বড় ঘর । মুল গেটের পাশেই এই বড় টিনের ঘরটা! এটা অনেকটা দুই তলা টাইপের ঘর । নিচতলা যেমন আছে আবার দোতলাও বিদ্যমান । দুইতলা বললেও আসলে দুইতলা সমান উচু নয় এটা । মূল ঘর আসলে এটাই । এখানেই রাতে থাকতে হবে । এই ঘরের নিচে সব প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র রাখা হয় । উপরের প্লেন মেঝে । তোষক রয়েছে, মশারি রয়েছে । এখানে রাতের শোয়ার ব্যবস্থা !

আরেকটা ঘর রয়েছে । বলা চলে এই ঘরটা সব থেকে আকর্ষনীয় । এটা দেওয়ালের কোল ঘেষে তৈরি করা হয়েছে । আশ্রমের উচু স্থানের পরেই মাটি নেমে গেছে। এখন বর্ষা কাল হওয়ার কারণে পানি জমে আছে । এই ঘরটা অনেকটা পানির উপরেই দাড়িয়ে । আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম যে রাতে আমি এখানেই থাকবো যদিও জলদস্যু ভাই আমাকে মুল ঘরেই থাকতে বলেছেন রাতে ! এই ঘরে বসার জন্য কয়েকটা শোফা রয়েছে । আমি সেখানেই বসে কিছু সময় দিগন্ত জোড়া পানির দিকে তাকিয়ে রইলাম । দুরে দেখতে পেলাম যে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে কয়েকজন কী যেন করছে । সম্ভবত মাছ ধরছে কিংবা জাল তুলছে । এতো দুর থেকে আসলে দেখা যাচ্ছিলো না । আমি অবশ্য চিন্তা করলাম না । কেবল তাকিয়ে রইলাম । আমার অন্য কিছু আর মনে রইলো না । কেমন একটা নেশা ধরানো দৃশ্য । সহজে চোখ ফেরানো যায় না ।

-ভাইয়া চা বানাবো ?

আমি ফিরে তাকিয়ে দেখি রহমান দাড়িয়ে আছে । রহমান এখানেই থাকে । এই আশ্রম দেখার দায়িত্ব ওর । এখানকার কেয়ারটেকার সে । আমার যদিও চায়ের টান নেই খুব একটা । সাথে করে আমি কয়েক প্যাকেট ইনস্ট্যান্ট কফি নিয়ে এসেছি । আমি সেগুলো রহমানের হাতে দিয়ে বললাম, চা বানাতে হবে না । কেবল গরম পানি করে একটা তার ভেতরে ঢেলে দিবে । চাইলে তুমি একটা নিজের জন্য বানাতে পারো !
দেখলাম রহমান দাঁত বের করে হাসলো । আমি বললাম, চিনি আছে কি ?
-জে আছে ।
-তাহলে আমারটাকে এক চামচ চিনি দিও কেবল ! ঠিক আছে ?
মাথা কাত করে সে চলে গেল ।

আমি আবারও প্রকৃতি দেখায় মন দিলাম। এই দৃশ্য যেন দেখে শেষ হওয়ার নয় ! একটু পরেই রহমান কফির কাপ নিয়ে এল । আমি সেটা হাতে নিয়ে আবারও তাকিয়ে রইলাম সামনের দিকে ! সত্যিই জীবন বড় সুন্দর মনে হল । এমন চমৎকার নির্জন সময় আমি কাটাই নি অনেক দিন । পাহাড়ে এমন নির্জনতা পাওয়া যায় ! শেষ পাহাড়ে গিয়েছি অনেক দিন।

দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে এল ! আমি একই ভাবে বসেই রইলাম । আশ্রমে সোলার বিদ্যুৎ আছে । তার মৃদু আলো জ্বলে উঠলো । আমি সেই আলো বন্ধ করে দিলাম । অন্ধকারের ভেতরে বসে রইলাম একই ভাবে । বাইরে বেশ চমৎকার বাতাস দিচ্ছে । আলাদা ভাবে ফ্যানের দরকার নেই কোন !

রাতের খাওয়া হল দ্রুত । আমি দুদিন থাকার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে এসেছি । তিনটা জ্যান্ত মুরগি কিনে এনেছি । তার ভেতরে একটা আজকে রান্না হয়েছে । বাকি দুইটা রেখে দেওয়া হয়েছে । কাল সময় মত জবাই করে রান্না করা হবে । খাওয়া দাওয়া শেষ করে রহমান আমাকে মুল ঘরে গিয়ে ঘুমাতে বলল । আমি ওকে খানিকটা বুঝিয়ে শুনিয়ে বললাম যে আমি বাইরের ঘরটাতেই ঘুমাবো । আর আমার ঘুমুতে দেরি আছে ।

রহমান একটু গড়িমসি করে, ঘুমাতে চলে গেল । যাওয়ার আগে আমাকে দেখিয়ে দিয়ে গেল যে কিভাবে ঝাপ গুলো বন্ধ করতে হবে । আমি ওকে আশ্বস্ত করলাম । কোন সমস্যা হবে না ।

এবার আশ্রমের সোলার আলো জ্বাললাম । তারপর বই নিয়ে বসলাম আরাম করে । মুলত আশ্রমে আরাম করে বই পড়ার জন্যই আমি এসেছিলাম । কত সময় ধরে আমি আলো জ্বালিয়ে বই পড়েছি সেটা আমার মনে নেই । তবে এক সময়ে খেয়াল করলাম যে সোলার আলোর পরিমান একেবারে কমে গেছে । এই আলোতে আর বই পড়া যাবে না । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত প্রায় বারোটা বেজে গেছে । এতো লম্বা সময় ধরে আমি বই পড়েছি সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছি ।

মনে হল এবার শুয়ে পড়া যাক । কাল সকালে উঠে বাকি বই পড়া যাবে । আমি আস্তে আস্তে সব গুলো ঝাপ বন্ধ করে দিলাম । কেবল একটা ঝাপ যখন বাকি তখন আমার চোখ গেল সামনের পানির দিকে । সামনে অন্ধকার । তবে সেই অন্ধকার যদিও খুব বেশি গাঢ় নয় । চারিদিকে চাঁদের আলো থইথই করছে । আমি সেদিকে তাকিয়েই প্রথম দেখতে পেলাম । পানির মাঝে একটা আলো নড়ে চড়ে বেড়াচ্ছে । আবার নিজের ঘড়ির দিকে তাকালাম । এতো রাতে এই পানির ভেতরে আসলে কে আলো নিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে ! আমি আরও একটু ভাল করে দেখার চেষ্টা করলাম । মনে হল কেউ নৌকা নিয়ে মাছ ধরছে । বিকেলে মাছ ধরা নৌকা গুলোর কেউ হবে হয়তো ! রাতের বেলা মাছ ধরার অনেক গল্প শুনেছি ! আমি আরও কিছু সময় সেদিকে তাকিয়ে রইলাম । তারপর ঝাপটা বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম !

[sb]দুই[/sb]

সকালে বেশ বেলা করেই ঘুম ভাঙ্গলো । ফ্রেশ হয়ে আসতে আসতেই দেখলাম রহমান খিচুড়ি নিয়ে এল । সেটা দিয়ে নাস্তা শেষ করে আমি আবারও বই নিয়ে বসলাম । রহমান জানালো যে দুপুরে মুরগির সাথে আরও কিছু খেতে চাই কিনা । তাহলে সে এখনই বাজার থেকে নিয়ে আসবে । আমি তাকে জানিয়ে দিলাম যে কোন কিছুই দরজার নেই । কেবল মুরগি আর ডাল হলেই চলবে । আর তাছাড়া জলদস্যু ভাই আমাকে জানিয়েছিলো যে আশ্রম ছেড়ে রহমানকে বাইরে যেন না পাঠানো হয় । তাহলে আশ্রমটা একেবারে ফাঁকা হয়ে যাবে । এটা ভাল হবে না !

সময় কাটতে লাগলো অলস ভাবে । ঠিক যেমন সময় আমার কাটাতে ভালো লাগে । তবে এই ছুটির পরিমান বেশি হলে আবার সহ্য হয় না । আজকের দিন কাটিয়ে আবারও ফিরে যাবো যান্ত্রিক জীবনে । হয়তো আবারও দুই তিন মাস পরে আবার আসা যাবে ।

পুরো সময় আমি সত্যি সত্যি বই পড়েই কাটিয়ে দিলাম । একই ভাবে বিকেল নামলো সেই সন্ধ্যা । তবে আজকে একটু ব্যতিক্রম ছিল । বিকেলের দিকে আকাশে মেঘ জমেছিলো । যদিও বৃষ্টি হয় নি । আসলে আমি খুব চাচ্ছিলাম যেন বৃষ্টি হোক । বৃষ্টির ভেতরে এখানে কেমন সময় কাটে সেটা দেখার খুব ইচ্ছে ছিল । কিন্তু এবার যেন বৃষ্টি হবেই না বলে পণ করেছে ।

তবে একটা ব্যাপার যেটা হল তা হচ্ছে আকাশ মেঘলা থাকার কারনে পরিবেশটা খানিকটা গুমট হয়ে রইলো । গতদিনের মত বাতাসও হচ্ছিলো না । তখনই খানিকটা বিরক্ত লাগলো । কাল কত চমৎকারই লাগছিলো । আজকে পরিবেশটা কেমন হয়ে গেছে ।

রাত আটটার দিকে রহমান মুল ঘর থেকে দ্রুত ছুটে এল । ওর চেহারা দেখেই মনে হল কোন একটা ঝামেলা হয়েছে । আমি বললাম কী হয়েছে ?
-ভাইয়া আমার মায়ের শরীলদা হঠাৎ খারাপ হইছে । আমি একটু বাড়িত যাইতে চাই ।
আমি বললাম, হ্যা হ্যা সমস্যা নেই । যাও ।
-ভাইজান রে কইবেন না । কেমন ! আপনার কোন সমস্যা হইবে না। রান্না করা শেষ । একটু কষ্ট কইরা নিয়া নিবেন । কেমন ?
-আচ্ছা আচ্ছা কোন সমস্যা নেই । তুমি যাও ।
-আমি সকালের আগেই চইলা আসুম !
-আচ্ছা কোন টেনশন নিও না ।

রহমান চলে যাওয়ার পরেই আমার একটা অদ্ভুত অনুভূতি হল । মনে হল পুরো এলাকাতে আমি একদম একা । একা মনে একদম একা । ভাই বলেছিলো আশে পাশে কোন মানুষ জন নেই । সব চেয়ে কাছের মানুষজনের কাছে যেতে আধা ঘন্টা লাগবে !
এখন যদি কোন ডাকাত আসে?
নাহ ! সেটার সম্ভবনাও নেই। সেটাও আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

আমি অন্য সব চিন্তা এক পাশে সরিয়ে রেখে আবারও বই পড়াতে মন দিলাম । তবে আগেই বলেছি মেঘ থাকার কারণে আজকের পরিবেশটা কেমন একটু গুমট ভাব রয়েছে । তাই ঠিক শান্তি পাচ্ছি না ।
রাতের খাবার খেয়ে সব কিছু গোছগাছ করতে করতে রাত দশটা বেজে গেল । আজকে আর বই পড়লাম না । রাতে শুয়ে পড়লাম জলদি । তবে আজকে সব ঝাপ বন্ধ করলাম না । কারণ পরিবেশ এতোই গুমট ছিল যে সব ঝাপ বন্ধ করে দিলে কিছুতেই ঘুমানো যাবে না । কত সময় শুয়ে আছি মনে নেই তবে এক সময় ঘুম চলে এল । এবং একটা সময়ে ঘুম ভেঙ্গেও গেল । চোখ খুলে প্রথমে কিছু সময় বোঝার চেষ্টা করলাম যে আমি আসলে কোথায় আছি । খানিকটা অবাক হওয়ার মত ব্যাপার কারণ আমি যেখানে শুয়ে আছি সেই অংশটুকু বেশ আলোকিত হয়ে আছে ।
পুরো রাত কি পার হয়ে গেল ?
সকাল হয়ে গেছে ?
অভ্যাস বসত হাতের ব্যান্ডটা চোখের সামনে ধরলাম । সময়টা জ্বলে উঠলো । খানিকটা অবাক হয়েই দেখলাম সেখানে দুটো পয়ত্রিশ বাজে । তাহলে আলো কোথা থেকে আসছে ?
আমার মনে হঠাৎ একটা ভয়ের স্রোত বয়ে গেল । আলো কোথা থেকে আসছে ?
আমার মনে হতে লাগলো যে খোলা ঝাপটার কাছে আমি যেন না যাই । সেখানে গেলে আমি ভয়ংকর কিছু দেখতে পাবো । ভয়ংকর কোন দৃশ্য আমার জন্য অপেক্ষা করছে ।

কিন্তু তবুও আমি আমার কৌতুহল মোটেও দমন করতে পারলাম না । ধীর পায়ে আমি আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম সামনের দিকে । এক অদম্য টান যেন আমাকে সেদিকে নিয়ে যাচ্ছে । ঝাপের জানলা দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখতে পেলাম সেটা কে !

কিভাবে সেটার বর্ণনা দিবো আমি ঠিক বুঝতে পারছি না । একটা ১৭/১৮ বছরের মেয়ের আকৃতির । সে পানি থেকে অন্তত এক দুই ফুট উচুতে ভাসছে । আর সব থেকে অবাক করে দেওয়ার ব্যাপার হচ্ছে মেয়েটার শরীর থেকে আলো বিচ্ছুত হচ্ছে । ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে । সাথে সাথেই আমার গতকালকের আলোর কথা মনে হল । আমার মনে হল যে গতকাল দুর থেকে আমি একেই দেখেছিলাম । অনেক দুরে ছিল বিধায় আমার অন্য কিছু মনে হয়েছে । আমি একেবারে কাঠ হয়ে গেলাম । ভয়ে আমার সারা শরীর কেঁপে উঠলো কেবল । আমি একেবারে নড়তে ভুলে গেলাম ! একভাবে কেবল সেটার দিকে তাকিয়ে রইলাম ।

সেই আলোর অয়োবয়টা আমার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে । তবে সেটা কাছে এল না । এই ভাবে কত সময় আমরা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই । কেবল মনে হল যেন অনন্তকাল এভাবেই আমি দাঁড়িয়ে রয়েছি । তারপর আর আমার কিছু মনে নেই ।

সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গলো রহমানের ডাকাডাকিতে । আজও দেখলাম সে রান্না সেরে ফেলেছে । আমি কিছুটা সময় কেবল গুম হয়ে বসে রইলাম । মাথার ভেতরে সব কিছু প্রোসেস করতে সময় লাগলো । মনে হল যে গতরাতে আমি যা দেখেছি সব ভুল ছিল । একা ছিলাম বিধায় মস্তিস্ক খানিকটা উত্তেজিত ছিল । সেই সব কিছু দেখিয়েছে আমাকে । নাকি সত্যিই আমি সব কিছু সত্যি সত্যি দেখেছি ।

একটু স্থির হয়ে রহমান কে বললাম, তোমার মা কেমন আছে ?
-এখন ভাল আছে ভাইয়া !
-আচ্ছা ঠিক আছে । শোন আজকে দুপুরে আর কিছু রান্না করতে হবে না । আমি একটু পরেই চলে যাবো ।
-আজই যাইবেন ?
-হুম । ছুটি শেষ ।

যখন আশ্রম ছেড়ে চলে আসছি তখনও মনের ভেতরে একটা চাপা অস্বস্তি কাজ করছে । সত্যই কি আমি রাতে স্বপ্নের ভেতরে আলোটা দেখেছি নাকি সে সত্যিই এসেছিলো ? এই প্রশ্নের উত্তর সম্ভব কোন দিন জানা হবে না !

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.4 / 5. Vote count: 26

No votes so far! Be the first to rate this post.


Discover more from অপু তানভীর

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →

One Comment on “আশ্রমে কে ছিল?”

Comments are closed.