রাজকুমার (পর্ব ০১)

4.7
(55)

কথাটা কিভাবে মুগ্ধকে বলবে সেটা রিমি বুঝতে পারছে না । এমন বড় কোন কথা না তবুও রিমির কেমন যেন লাগছে কথাটা বলতে । মানুষ বলে, অভাব মানুষের লাজ লজ্জার পরিধিটা কমিয়ে দেয় অনেক । অথচ ওর নিজের বেলাতে সব সময় হয়েছে উ্ল্টো । ছোট বেলা থেকে দেখা আসা অভাব বোধটা কোন ভাবেই ওর লজ্জাবোধটা কে কমাতে পারে নি । বরং সেটা যেন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে সময়ের সাথে ।

মুগ্ধ রাতের খাওয়া শেষ করে কিছুটা সময় টিভি দেখে । এই সময়ে রিমি টুকটাক কাজ সেরে নেয় । তারপর সেও মুগ্ধের পাশে গিয়ে বসে । দুজন মিলে কিছু সময় টিভি দেখার পরে ঘুমাতে যায় এক সাথে । আজকে রিমি যখন টিভির ঘরে গিয়ে বসলো মুগ্ধ ওর দিকে না তাকিয়ে বলল, কিছু কি বলবে?
রিমি কেমন চমকে উঠলো । এই ব্যাপারটা সব সময় হয়ে এসেছে । মুগ্ধ সব সময় খেয়াল করে সব কিছু । এতো তীক্ষ চোখ ওর যে কোন ভাবে কোন কিছু এড়িয়ে যায় না ।
ওদের তখন সবে মাত্র বিয়ে হয়েছে । বিয়ের পরপরই রিমি চলে আসে মুগ্ধের ছোট ফ্ল্যাটে । মুগ্ধ যখন অফিসে থাকে রিমি বাসাতেই থাকে । ঘরের খুব বেশি কাজও থাকে না । মাত্র দুজনের রান্না কেবল । সেদিন রিমির একটু নিউমার্কেটে যাওয়ার দরকার ছিল। মুগ্ধ অফিস যাওয়ার আগে ওকে টাকা দিয়ে গিয়েছিলো । আর বলে গিয়েছিলো যেন কোন ভাবেই বাসে না ওঠে । রিক্সা কিংবা সিএনজি যেন নেয় । কিন্তু রিমির সেই কথা না শুনে বাসে করে গেল আর বাসে করেই এল । আসলে এতো গুলো টাকা রিক্সা ভাড়া দিতে মন চায় নি । ছোট বেলা থেকে বাবার টানাটানির সংসার । কেবল যাওয়া আসার জন্য এতো গুলো রিক্সাওয়ালাকে দিতে হবে এমনটা ঠিক ভাবতেও পারতো না ও ।
সব কিছু ঠিকই ছিল কিন্তু ঐদিন বাস থেকে নামতে গিয়ে একটা ইটের সাথে ওর বাঁ পায়ের একটা আঙ্গুলের আঘাত লাগলো । সামান্য রক্ত বের হয়ে গেল ।

রাত আসতে আসতে সেটা রিমি ভুলেও গিয়েছিলো কিন্তু খাবার পরে মুগ্ধ গম্ভীর ভাবে যখন জিজ্ঞেস করলো যে বাসে কেন উঠেছিলো তখন রিমি অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল কিছু সময় । ঠিক তখনই ওর ভয়টা ফিরে এল । মুগ্ধ কি এখন ওকে আঘাত করবে । সাথে সাথে জীবনের একটা ভীতিকর অভিজ্ঞতার কথা সামনে চলে এল । মুগ্ধ কিছু সময় ওর দিকে গম্ভীর চোখে তাকিয়ে থেকে ঘরের ভেতরে চলে গেল । রিমি কি করবে তখনও বুঝতে পারছিলো না । তবে অন্য কিছু ভাবার আগেই মুগ্ধ ফিরে এল । হাতে দেখলো একটা তুলো আর স্যাভলন ।

রিমিকে অবাক করে দিয়ে মুগ্ধ মেঝেতে বসে ওর আঘাত পাওয়া পাটা নিজের কোলের উপরে তুলে নিল । তারপর তুলো আর স্যাভলন দিয়ে যত্ন করে ক্ষতটা প্রথমে পরিস্কার করলো তারপর একটা ব্যান্ড এইড আটকে দিল । পরিস্কার শেষ করে রিমির দিকে গম্ভীর মুখে বলল, বাস থেকে নামতে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছো, তাই না ?
রিমি চোখে মুখে তখন ভয়ের ভাবটা পুরোপুরি উবে গেছে । সেখানে এসে জড় হয়েছে অন্য কোন অনুভূতি । বারবার ওর চোখের সামনে কেবল একটু আগে ঘটে যাওয়া দৃশ্যটা ভেসে বেড়াচ্ছে । একটু আগে রিমি ভয় পাচ্ছিলো যে মুগ্ধ ওকে আঘাত কিংবা বকবে কিনা কথা না শোনার জন্য আর এখন সেখানে এসে জড় হয়েছে অন্য এক অনুভূতি । মুগ্ধ আবারও বলল, বাসে উঠতে গিয়ে নাকি নামতে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে ?
-নামতে গিয়ে ।
-তো আমি যে বললাম বাসে না যেতে !
-অভ্যাস । সব সময় বাসে করে গিয়েছি ।
-যদি এর থেকে খারাপ কিছু হত । তখন?
-হয় নি তো !
-হয় নি তবে হতে পারতো । যদি হত, তখন?
রিমির তখন মনে হল আর কথা বার্তা বাড়তে দেওয়া উচিৎ না । রিমি বলল, সরি আর হবে না ।

মুগ্ধ আর কোন কথা বলল না । তবে মুখের গম্ভীর ভাবটা কাটলো না ওর । অন্য দিন ঘুমানোর আগে মুগ্ধ ওর সাথে অনেক কথা বলে । সেদিন অফিসে কী হল না হল । এই সব সারাদিনের কথা । কিন্তু সেদিন কোন কথা বলল না । সোজা শোবার ঘরের দিকে হাটা দিল ।

সেদিন রিমির কাছে নিজের স্বামীর এই আচরনটা একদম নতুন মনে হল । সারা জীবন দেখে এসেছে ওর নিজের বাবা যখন কোন কারণে রাগ করতো তখন তার মায়ের উপরে প্রবল চিৎকার চেঁচামিচি করতো । মাঝে মাঝে মারধোরও করতো । একই রকম অভিজ্ঞতা ওর নিজের সাথেও হয়েছে । রিমির প্রথম স্বামী ইকবালের স্বভাবও ঠিক একই রকম ছিল । কতবার যে রিমি তার হাতে মার খেয়েছে সেটা ঠিক নেই । কিন্তু আজকে মুগ্ধের আচরন ওকে অবাক করে দিয়েছে ।

রিমি পায়ে পায়ে এগিয়ে গেল শোবার ঘরের দিকে । দেখলো মুগ্ধ খাটের ওপাশ মুখ করে শুয়ে আছে । রিমি আলো টা না বন্ধ করে খাটের উপরে এসে বসলো । কিছু সময় সেখানে বসেই রইলো । আসলে কী করবে কিংবা কী করা উচিৎ তখনও সে ঠিক বুঝতে পারছে না । তারপর কী মনে করে মুগ্ধর খুব কাছে গিয়ে শুয়ে জড়িয়ে ধরলো ওকে । মৃদু স্বরে বলল, আর কোন দিন এমন হবে না । তুমি যা বলবে শুনবো এবার থেকে ।
কিছু সময় চুপ থেকে মুগ্ধ বলল, আমার কথা তোমার শুনতে হবে না ।

মুগ্ধের কন্ঠে তীব্র অভিমানের ব্যাপারটা রিমি এই প্রথম ধরতে পারলো । অভিমানের কন্ঠ যে এমন হয় সেটা এর আগে কোন দিন কারো কাছ থেকে শুনেনি কিন্তু রিমিকে সেটা বলে দিতে হল না । সেদিন রিমি আসলে প্রথম অনুভব করতে পারলো যে ওর জীবনটা অন্যরকম হতে চলেছে । একেবারে স্বপ্নের মত ।

এরপর থেকে রিমি সব সময় খেয়াল করে দেখেছে মুগ্ধ ওর দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখে । মুগ্ধের চোখ এড়িয়ে যায় না কিছুই । রিমিকে সব দিক দিয়ে চেনে সে । মাঝে মাঝে রিমির মনে হয় যে ওর নিজের থেকেও মুগ্ধ ওকে ভাল করে চিনতে পারে, বুঝতে পারে । আজকে সন্ধ্যা থেকে রিমি কিছু বলতে চাইছিলো মুগ্ধকে কিন্তু সংকোচের কারণে বলতে পারছিলো না । কিন্তু মুগ্ধের চোখ এড়ায় নি ।
রিমি কিছু সময় থেমে বলল, আসলে একটা কথা বলার ছিল।
-হুম । বল । সেটাই জানতে চাইছি ।
তখনও মুগ্ধের চোখ টিভির দিকে । রিমি বলল, তুমি গতকালকে নতুন একটা ফোন কিনেছো না । আগের ফোনটা কী করবে?
-কেন ? তোমার লাগবে?
-আসলে আমার না। ইমিকে দিতাম । ও একটা পুরানো বাটন ফোন ব্যবহার করে । এখন কলেজে উঠেছে । ওর সব বন্ধুরা স্মার্টফোন ব্যবহার করে । তাই যদি ওটা ওকে দিয়ে দিলে ..।

মুগ্ধ এবার তাকালো রিমির দিকে । তারপর বলল, এই সামান্য কথাটা বলতে এতো সংকোচ হচ্ছিলো?
রিমি একটু যে লজ্জা পেল । মুগ্ধ বলল, সংকোচ করবে না কেমন । আর শ্যালিকাকে পুরানো ফোন কেন দিতে হবে । ওকে কাল আমার অফিসে আসতে বল বিকেলের দিকে ।
-না না নতুন ফোন দরকার নেই । পুরানো টা দিলেই চলবে ।
-শুনো সেটা দিয়ে তোমার চিন্তা না করলেও চলবে । ওকে কেবল আসতে বল অফিসে । বিকেলে ওর কোচিং শেষ করে যেন আসে । তারপর ওকে পুরানো ফোন দিবো নাকি নতুন সেটা দেখা যবে ।
রিমি আর কিছু বলল না । কেন জানি বলতে পারলও না । প্রতিবার এমনই হয় । মুগ্ধ প্রতিবার তাকে কিছু না কিছু করে মুগ্ধ করে চলে । এখনও ঠিক বিশ্বাস হয় না যে এই এতো সুন্দর দেখতে ছেলেটা ওর স্বামী !

একটা সময়ে রিমির কেবল মনে হত যে উপরওয়ালা বলে আসলে কেউ নেই । যদি থাকবে তাহলে কেন ওর আর ওদের জীবনে এতো কষ্ট থাকবে । অন্য সবার জীবনে কষ্টের সাথে সাথে আনন্দও আছে কিন্তু যখন থেকে বুঝতে শিখেছে তখন থেকে রিমি কেবল কষ্টই দেখে এসেছে । অভাব অনটন সব সময় ওদের সংসারে লেগে থাকতো । জীবনে কোন দিন নিজের একটা শখের জিনিসের কথা রিমি বাবা মায়ের কাছে বলতে পারে নি । কোন আবদার কোন দিন করতে পারে নি । কারণ সে জানতো আবদার করে আসলে কোন লাভও হবে না । ইমি স্কুলে থাকতে অনেক বায়না ধরতো । এটা ওটা কিনে দিতে বলতো । কান্না কাটি করতো কিন্তু এক সময়ে ইমিও বুঝে গেল যে এসব করে লাভ নেই । ওর বাবার সে ক্ষমতাই নেই । যদি ওর ফুফু ওদেরকে প্রতিমাসে সাহায্য না করতো তাহলে ইমি রিমির পড়াশুনা হত না । এমন কী পুরো মাস হয়তো ঠিকঠাক মত খেতেও পারতো না ওরা ।

রিমির তখনও ভরশা ছিল যে বাবার বাড়িতে এতো কষ্ট করছে স্বামীর বাড়িতে নিশ্চয়ই ভাল কিছু অপেক্ষা করছে । সেই স্বপ্ন টুকু নিয়েই সে বড় হচ্ছিলো সে । এছাড়া পড়ালেখা শেষ করে নিজেরও কিছু করার ইচ্ছে ছিল । যদিও একেবারে দেশ সেরা ছা্ত্রী রিমি ছিল না । তবে মোটামুটি পড়ালেখা করতো সে । রেজাল্টও ভাল ছিল । একটা চাকরি সে জুটিয়ে নিতে পারতো বলে বিশ্বাস করতো । কিন্তু বিয়ের পরে যে এমন কিছু হবে যাবে সেটা রিমি কোন দিন ভাবতেও পারে নি । ওর প্রথম স্বামী ইকবাল ছিল প্রচন্ড বদমেজাজী আর পুরুষতান্ত্রিক মনভাবের মানুষ । মেয়েদের কাজ হচ্ছে রান্না করা আর ঘর সামলানো । তাদের এতো পড়াশুনার কাজ কী ! স্বাভাবিক ভাবেই রিমির পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো । সারাদিন রান্না ঘরে কাজ করা আর শাশুড়ির হুকুম শোনা । এই হয়ে গিয়েছিলো রিমির জীবন । বিয়ের কিছুদিন পরেই রিমি টের পেল যে ইকবাল নেশা করে বাসায় আসে প্রায় । নেশা করলে তার মেজাজ আরও চড়া হয়ে যায় । বিয়ের মাত্র এক মাসের মাথায় প্রথম মার খেল সে স্বামীর হাতে ।

রিমির একবার মনে হয়েছিলো বাসায় এসব কথা বলে । কিন্তু তারপরই মনে হল যে বাসায় বলে আসলে লাভ কী ! সে খুব ভাল করে জানতো যে কোন লাভ হবে না । ইকবালকে পছন্দ করে এনেছে তার বড় ফুফা । তার পছন্দেই বিয়ে হয়েছে । এখানে অন্তত থাকা খাওয়ার কোন অভাব তো নেই । ইকবালের আয় রোজগার বেশ ভাল রিমি জানে । আলমারির যে চাবিটা ওর কাছে আছে সেই আলমারির ভেতরে দুইটা ড্রয়ার আছে । ড্রয়ার দুইটা ভর্তি সব পাঁচশ টাকার নোট । যদিও ড্রয়ারের চাবি রিমির কাছে নেই । তবে রিমি জানে টাকা আছে ।

এই সব কিছু নিয়ে রিমি আসলে নিজের জীবন নিয়ে টিকে ছিল । মেয়ে মানুষকে এইভাবে টিকে থাকতে হয় । সে তার মাকে দেখে শিখেছে । মায়ের থেকে তার একটা অবস্থান ভাল আছে যে তার স্বামীর তার বাবার মত গরীব নয় । এটাই তখন ছিল সব থেকে বড় শান্তনা ।

পরদিন বিকেল বেলা ইমি এসে হাজির । দরজা খুলতেই দেখতে পেল ইমির আনন্দে ঝলমল করতে থাকা চেহারা । বুঝতে পারলো যে মুগ্ধ ওকে নতুন ফোনই কিনে দিয়েছে ।
দরজার কাছেই একবার রিমিকে জড়িয়ে ধরলো । তারপর সোফাতে ব্যাগটা রেখে সেখান থেকে নতুন ফোনটা বের করলো । রিমি তাকিয়ে দেখলো স্যামসাংয়ের একটা ফোন । দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ দামী ফোন । ইমি বলল, দেখ আপি কী সুন্দর ফোন !
-কত নিয়েছে ?
-২৫ হাজার টাকা । ভাবতে পারিস ! ২৫ হাজার ।
রিমি অবাক হয়ে বলল, এতো !
-বিশ্বাস কর আমি কিছু বলি নি । আমি অফিসের সামনে গিয়ে ভাইয়াকে ফোন দিলাম । সে নিচে নেমে এল । আমার হাতে ব্যাগটা ধরিয়ে দিল সে আগে থেকেই কিনে রেখেছিলো । আমি কিছু বলি নি ।
-আর কিছু বলেছে?
-বলেছে যে তোকে যেন আসল দামটা না বলি । কমিয়ে বলতে বলেছে ।
রিমি হেসে ফেলল । বলল, আমাকে বলতে হবে না । বাসায় বলিস কমিয়ে । বাবা জানলে খবর আছে তোর !
-জানবে না। বলবো যে দুলাভাইয়ের পুরান ফোন । সে নতুন একটা কিনেছে বলে আমাকে এটা দিয়েছে !
-হ্যা তাই বলিস ! কিছু খাবি?
-উহু । এখন কিছু খাবো না । মুগ্ধ ভাইয়া চিকেট ফ্রাই আর আইসক্রিম খাইয়েছে । আমি বাসা যাই ।

রিমি বুঝতে পারলো ইমি সব মনযোগ এখন ফোনটার দিকে । এতোদিন পরে একটা শখ ওর পুরন হয়েছে । রিমি কিছু টাকা দিতে চাইলেও ইমি নিলো না । বলল যে ওর কাছে টাকা আছে । মুগ্ধ মোবাইল দেওয়ার পরে ওকে আইসক্রিম খাইয়েছে তারপর হাতে একটা পাঁচশ টাকার নোটও ধরিয়ে দিয়েছে । মুগ্ধ এই কাজটা প্রতিবারই করে এটা রিমি জানে । আচ্ছা ইকবাল কি কোন দিন ইমিকে কিছু দিয়েছে ? রিমি মনে করার চেষ্টা করলো । মনে পড়লো না । তবে একটা ইমির শরীরে ইকবালকে হাত দিতে দেখেছিলো । লজ্জায় ইমি লাল হয়ে বসে ছিলো সেদিন । রিমি ঘরের ভেতরে চলে না এলে হয়তো আর কিছু করে ফেলতো । তারপর থেকে ইমি আর কোন দিন ঐবাড়িতে আসে নি । কোন কাজে রিমির সাথে দেখা করতে এলে বাড়ির বাইরে থেকেই কথা বলে চলে যেত । কিন্তু মুগ্ধের সাথে ইমির কি চমৎকার একটা সম্পর্ক । সব কিছু এখন রিমির কাছে কেমন যেন স্বপ্নের মত মনে হয় । এমন কিছু সত্যিই ওর ভাগ্যে লেখা ছিল ! এতো চমৎকার একটা জীবন তাহলে সত্যিই ওর জন্য উপরওয়ালা লিখে রেখেছিলেন !

(গল্পটা বড় করে লেখার ইচ্ছে আছে । আগে যে রাজকুমার নামে গল্প লিখেছিলাম থিম কিছুটা সেই রকমই এবং ঐ গল্পের আর্মি অফিসার এখানে আসবে খুব জলদিই)

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.7 / 5. Vote count: 55

No votes so far! Be the first to rate this post.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →