অশুভ প্রত্যয় (প্রথম পর্ব)

oputanvir
4.7
(37)

কনফারেন্স রুমের দরজা দিয়ে আফসানা বের হতে যাবে রিয়াজ তখনই ওর হাত চেপে ধরলো । আফসানা নিজেকে ছাড়িয়ে নিল সাথে সাথে । তারপর কঠিন কন্ঠে বলল, আপনার সাহস তো কম না । আপনি আমার হাত কেন ধরলেন?
রিয়াজ এতে বিন্দু মাত্র লজ্জিত কিংবা কুন্ঠিত না হয়ে বলল, ওহ কাম আন । আমি জানি তোমরা কি চাও? এতো ঢং করতে হবে না । কী চাও বল ?
-রিয়াজ সাহেব আপনি দয়া করে অন্য মেয়েদের সাথে আমাকে গুলিয়ে ফেলবেন না । আপনার মত একজনের কাছে আমার কিছু চাওয়ার নেই । যাারা চায় তাদের গিয়ে দিন । এখন আমাকে যেতে দিন । আপনার মত চরিত্রের লোকের কাছে আবার বাসার কুকুরও কিছু চাইবে না ।

রিয়াজের চোখটা ধক করে জ্বলে উঠলো । অফিসের সামান্য একজন কর্মী ওকে এতো বড় কথা বলল । এই অফিসের মালিকের ছেলে । আর তাকেই কিনা অপমান ! রিয়াজ এবার সত্যিই দুই হাত দিয়ে আফসানাকে চেপে ধরলো । তারপর তাকে ঠেলে দেওয়ালের দিকে নিয়ে গেল । মুখটা নিয়ে গেল আফসানার মুখের কাছে । এখনই চুমু খাবে সে । তারপর দরকার হলেি এখানেই কাজ সারবে ।
আফসানা চিৎকার করতে পারে তবে সেটা নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই । অফিস আওয়ার শেষ হয়েছে অনেক আগেই । তার বড় ভাই অফিস ছেড়ে চলে গেছে । ঠিক তেমনি ভাবে প্রায় সবাই বাসায় চলে গেছে । অফিস বলতে গেলে ফাঁকাই । আজকে সে ইচ্ছে করে আফসানাকে অফিসে আটকে রেখেছে । মেয়েটার দিকে অনেক দিন থেকেই ওর লোভ । অন্য মেয়েদের পেছনে এতো ঘুরতে হয় নি রিয়াজকে । কিন্তু আফসানা যেন ধরাই দিচ্ছে না ।

রিয়াজ মুখটা এগিয়ে নিতে থাকলো । তখনই আফসানা একটা কাজ করলো । মাথাটা একটু নিচে করে সোজা সেটা দিয়ে একটা আঘাত করলো রিয়াজের মুকখ বরাবর । সোজা আফসানার মাথাটা লাগলো রিয়াজের নাক বরাবর ।
এটা রিয়াজ কোন ভাবেই আশা করে নি । আফসানাকে ছেড়ে দিয়ে নাক চেপে ধরলো । বেশ জোড়েই আঘাত করে মেয়েটা । তবে সেটা অল্প কয়েক মুহুর্তের জন্য । এতে যেন রাগ চেপে বসলো আরও । আফসানার গলা চেপে ধরলো সে । আফসানা কিছু সময় নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো বটে তবে পারলো না । শক্তিতে রিয়াজের সাথে পেরে উঠবে না । রিয়াজও জানে সেটা । শিক্ষা একটা দিতে হবে । রিয়াজ বলল, কি ভেবেছিস তুই? তোমার মেয়েদের আমি চিনি না? আজকে তোর সব কিছু শেষ করবো ! দাড়া !

এরপর এক হাত দিয়ে গলাটা ধরে অন্য হাত দিয়ে কষে একটা চড় মারলো সে আফসানা কে । আফসানা ছিটকে পড়লো আফসানা ।

রিয়াজ নাকে হাত দিয়ে দেখতে লাগলো রক্ত বের হয়েছে কিনা । আফসানার দিকে এগিয়ে যেতে বলল, আজকে তোর এতো দেমাগ আমি বের করছি । তখনই দেখলো আফসানা হাত ভর দিয়ে উঠে দাড়িয়েছে । ওর ঠোঁট কেটে গেছে । সেখান থেকে লাল রক্ত বের হয়ে এসেছে । চোখ দুটো যেন জ্বলছে । রিয়াজের দিকে কয়েক মুহুর্ত তাকিয়ে রইলো ।

রিয়াজ আর একটু এগিয়ে এসেছে তখনই ওর মনে হল কিছুটা সমস্যা হয়েছে । মেয়েটা কোন ভাবেই ভয় পাচ্ছে না । আরও একটু এগিয়ে যেতেই রিয়াজের মনে হল ও একটা ভুল করেছে । একটু আগে যেভাবে আফসানা নিজের মাথা দিয়ে ওর নাকে আঘাত করেছে তাতেই ওর বোঝা উচিৎ ছিল যে মেয়েটা সাধারণ মেয়ে না । রিয়াজ তখন আফসানার পায়ের কাছে । আফসানা আশ্চার্য দক্ষতায় হাত দুটো মেঝেতে ঠেকিয়ে একটা পা মাটিয়ে রেখে অন্য পা দিয়ে রিয়াজের দুই পায়ের মাঝ বরাবর আঘাত করলো ।
কোৎ করে কেবল মুখ দিয়ে রিয়াজ একটা আওয়াজ করতে পারলো । তারপর নাক চেপে ধরে মেঝেতে পড়ে গেল । রিয়াজ ভেবেছিলো এটাই বুঝি শেষ । কিন্তু ঝাপসা চোখে অবাক হয়ে দেখো আফসানা কনফারেন্স রুমের একটা চেয়ার তুলে ধরেছে । সেটা স্বজোরে রিয়াজের কাধ বরাবার এনে আছড়ে মারলো । রিয়াজ নিজের ঘারের হাড় ভাঙ্গার আওয়াাজ স্পষ্ট শুনতে পেল । মেঝেতেই পড়ে রইলো রিয়াাজ কিছু সময় । মনে হল যেন যা হচ্ছে সে সব বাস্তব না । তীব্র একটা ব্যাথা অনুভব করলো সে । মুখ দিয়ে আওয়াজের বদলে অদ্ভুত এক গোঙ্গানীর মত আওয়াজ বের হল কেবল !
আফসানা এবার রিয়াজের সামনে এসে দাড়ালো । রিয়াজের মুখটা আফসানার পায়ের কাছে । আফসানা বলল, কী ভেবেছিলে তুমি? আমি অন্য মেয়েদের মত ?
তারপর নিজের বাম পা দিয়ে একটা রিয়াজের ঠিক মুখ বরাবর একটা লাথি হাকালো সে । তাতেই জ্ঞান হারালো সে ।

তখনই আফসানা দেখতে পেল দরজাতে একজন মানুষ এসে দাড়িয়েছে । রিয়াজের সেক্রেটারি জামান । আফসানার দিকে তাকিয়ে আছে সে । মেঝেতে পড়ে থাকা রিয়াজের দিকে তার চোখ গেল । তারপর একটু সময় লাগলো বুঝতে কী হয়েছে । এবং তখনই জামানের মনে একটা ভয় এসে যুক্ত হল । সামনে দাড়ানো মেয়েটা যে সাধারন কোন মেয়ে না সেটা সে বুঝতে পালরো । আফসানা জামানের দিকে এগিয়ে বলল, আজকে আমার সাথে এমন কিছু হতে পারে তুমি জানতে, তাই না?
জামান কোন কথা না বলে তাকিয়ে রইলো আফসানার দিকে ।
আফসানা বললম তুমিও আমাকে থাকতে বলেছো অফিসের পরে! কী বিশেষ কাজ ! এই বিশেষ কাজ !
জামান ভীত চোখে তাকিয়ে রইলো আফসানার দিকে । আফসানা বলল, তোমার লুইচ্চা বসকে হাসপাতালে নিয়ে যাও । তারপর তার নামে আমি পুলিশ রিপোর্ট করবো । যাও ।
আফসানা আর দাড়ালো না । দরজা দিয়ে বের হয়ে গেল । গেটের দিকে না গিয়ে সে হাটা দিল সিকুরিটি রুমের দিকে । আগে একটা জিনিস নিজের হাতে নিতে হবে ।

দুই
রইস উদ্দিন আহমেদ তীব্র কন্ঠে বললেন, তোমার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি । গতকাল তুমি আমার ছোট ছেলেকে মেরে আহত করেছে । আর আজকে আবার অফিসে এসেছো? তোমাকে আমি পুলিশে দেব ।
তারপর অফিস রুমের অন্য দিকে দাড়িয়ে থাকা তার বড় ছেলে রেহানের দিকে তাকিয়ে বলল, রেহান পুলিশে খবর দাও !
আফসানা বিন্দু মাত্র বিচলিত না হয়ে বলল, হ্যা খবর দিন পুলিশে ! আমিও দেখি কাকে পুলিশ গ্রেফতার করে !
-মানে? কী চাও বলতে চাও ।

রেহান বলল, আপনি একটু শান্ত হোন । আফসানার সাথে কথা বলে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলুন প্লিজ !
এবার তিনি অবাক হয়ে তাকালেন নিজের বড় ছেলের দিকে ।
রেহান বলল, আমি আফসানাকে আসতে বলেছি আর আমিও ওকে পুলিশের কাছে না যেতে অনুরোধ করেছি ।
-কি বলছো তুমি?
-বাবা রিয়াজ কালকে ওর সাথে জবরদস্তি করতে চেয়েছিলো । সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে । জামানকে জেরা করে জেনেছি যে এর আগেও রিয়াজ এই কাজ করেছে । অফিসের বেশ কয়েকটা মেয়ের সাথে সে এমন আচরন করেছে ।

তীব্র চোখে সে ছেলের দিকে তাকিয়ে রইলো । কিছুতেই যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না ব্যাপার । তার নিজের ছেলে এমন কাজ করতে পারে । আফসানা বলল, এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আপনার অফিস থেকে কেন প্রায়ই মেয়ে কর্মী চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে যায় ! খোজ নিয়ে দেখুন অফিসে এখন যত গুলো মেয়ে কর্মী আছে তাদের প্রায় সবার সাথেই এমন টা করেছে আপনার ছোট ছেলে । ওদের যাওয়ার কোন উপায় নেই দেখে যায় নি । চাকরি হারানোর ভয়ে কিছু বলেও নি ।

রইস উদ্দিন আহমেদ একবার আফসানার দিকে আরেকবার রেহানের দিকে তাকাচ্ছে । তার বুকের ভেতরে কেমন যেন করতে শুরু করেছে । আফসানা বলল, আমি কালকেই এই সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে পুলিশের কাছে যেতে চেয়েছিলাম । সবার আগে চেয়েছিলাম এটা ফেসবুকে আপলোড দিতে । সবাই দেখুক আপনার ছেলের চেহারা । কেবল রেহানের কারণে দেই নি । আপনার ছোট ছেলে ঠিকই জানতো যে রেহানের সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে । এটা জানার পরেও সে আমার সাথে এই কাজ করেছে ।

এই তথ্যটাও রইস উদ্দিনের কাছে নতুন । বড় ছেলের জন্য মেয়ে খোজা হচ্ছে অনেক দিন থেকেই । রেহান যে নিজ থেকে আফসানাকে পছন্দ করেছে এটা তিনি জানতেন না । আফসানা এবার রেহানের দিকে তাকিয়ে বলল, দেখো রেহান তোমার অনুরোধে আমি হয়তো পুলিশে রিপোর্ট করবো না । কিন্তু তোমার ভাইয়ের সাথে যদি তোমার সম্পর্ক থাকে তাহলে আমাদের আর সম্পর্ক থাকতে পারে না । ডেফিনেটলি তুমি তোমার ভাইয়ের পক্ষ নিতে পারো । আমার তাতে কোন কিছু বলার নেই । অভিযোগও নেই । কিন্তু আমাকে তোমার ভুলে যেতে হবে ।

এরপর রইস উদ্দিনের দিকে তাকিয়ে বলল, আমি আপনার মেইলে আমার রিজাইন লেটার পাঠিয়ে দিবো আজই । যেই পরিবারে রিয়াজের মত মানুষ আছে সেই পরিবারের কারো আন্ডারে আমি চাকরি করবো না ।

আফসানা দরজা দিয়ে বের গেল । রেহানও বের হল সাথে সাথে । রইস উদ্দিন নিজের চেয়ারে বসে রইলো এক ভাবে । নিজেকে বড় অসহায় লাগছে তার কাছে । তার নিজের ছেলে এমন একটা কাজ করতে পারে সেটা যে কোন দিন ভাবতেও পারে নি ।
এদিকে আফসানা এগিয়ে যাচ্ছে গেটের দিকে । রেহান পেছন থেকে এগিয়ে এসে আফসানার হাত ধরলো । তারপর বলল, প্লিজ যেও না ।
আফসানা থামলো। তারপর রেহানের দিকে শান্ত চোখে তাকিয়ে বলল, তো কী করবো? বল কী করবো?
-উই ক্যান ফিক্স দিস?
-নো ইউ ক্যান্ট? তোমার ঐ চরিত্রহীন ভাইয়ের সাথে একই বাড়িতে থাকা সম্ভব না । ওকে? পরিস্কার হয়েছে ব্যাপারটা?
রেহান আফসানার আরও একটু কাছে এগিয়ে এল । তারপর বলল, আমি তোমাকে হারাতে চাই না আফসানা । প্লিজ যেও না ।
-কিভাবে থাকবো বল? যতবার রিয়াজ আমার চোখের সামনে আসবে ততবার আমার এই কথা মনে পড়বে। আমার পক্ষে এভাবে সম্পর্ক টেকানো সম্ভব না ।

আফসানা তাকালো রেহানের দিকে । ওর চোখে প্রতিদিনের মত সেই উজ্জলতা নেই । ওকে দেখলেই রেহানের চোখ দুটো আনন্দে উজ্জল হয়ে উঠে সব । যেদিন প্রথমে আফসানা এই কোম্পানীতে ইন্টারভিউ দিতে এল সেদিনই রেহানের চোখের উজ্জ্বাল্য সে দেখতে পেয়েছিলো । মেয়েটা এই ব্যাপারটা ঠিক ঠিক বুঝতে পারে । তাই সে জানতো চাকরি তার হবেই । ঠিক পরদিন তার জয়েনিং কল আসে । স্যালারী অফার করা হয় সার্কুলার থেকেও বেশি । আফসানা কেবল হেসেছিলো মনে মনে ।

একবার মনে হয়েছিলো যে জয়েন না করে । তখন রেহান কী করে সেটা দেখতে চেয়েছিলো । কিন্তু পরে যোগ দান করলো । রেহান নানান অযুহাতে আফসানার সাথে কথা বলতো । কিন্তু সব সময় একটা দুরত্ব বজায় রেখে চলতো । সব সময় এটা খেয়াল করতো যেন আফসানা কোন ভাবেই বিরক্ত না হয় ।
সপ্তাহ দুয়েক যেতে না যেতেই রিয়াজের সাথে পরিচয় হয় তার । প্রথম দেখাতেই রিয়াজকে অপছন্দ করে আফসানা । তাকানোর ধরন দেখেই আফসানার মনে হয়েছিলো রিয়াজ ভাল কেউ না । অফিসে খোজ খবর নিয়ে শেষ পর্যন্ত তাই প্রমাণিত হল । একই বাবা মায়ের থেকে জন্ম হয়ে দুই ভাই কিভাবে দুই দিকে গেল সেটা আফসানার মাথায় আসে না । ভাইয়ে ভাইয়ে পার্থক্য থাকে তাই বলে এমন আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকবে সেটা ভাবতেও পারে নি ।
একটা সময় রেহান নিজের মনে কথা বলেই দিল আফসানা কে । আফসানা রাজিও হয়ে গেল । আজকে তারা আবার আলাদা হয়ে যাচ্ছ. শেষ বারের মত আফসানা রেহানকে জড়িয়ে ধরলো । তারপর অফিস থেকে বের হয়ে গেল ।

কিন্তু আফসানা জানতো না ওদের ভাগ্যে অন্য কিছু লেখা ছিল । ঠিক এক সপ্তাহ পরের ঘটনা । আফসানা তখন নিজের জন্য নতুন চাকরি খোজায় ব্যস্ত । এমন সময় সংবাদ পত্রে একটা সংবাদ ওর চোখে আটকে গেল । সংবাদটা কয়েকবার পড়লো ও । ঠিক যেন বিশ্বাস হল না । সংবাদের সারমর্ম হচ্ছে রইস উদ্দিন আহমেদ তার ছোট ছেলে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে নিজের কোম্পানী থেকে বের করে দিয়েছেন । সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে রিয়াজ যেন কোন্পানীর কোন কিছুতে আর এক্সেস না করতে পারে এমন কি গেট দিয়ে তাকে যেন ঢুকতে পর্যন্ত না দেওয়া হয় । এছাড়া এও শোনা যাচ্ছে যে রিয়াজকে বাসা থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছে ।

রেহানকে ফোন করতে গিয়েও করলো না । যদি সংবাদটা সত্য না হয় তখন । তবে মনের ভেতরে একটা কৌতুহল রয়েই গেল ।
তারও সাপ্তাহখানেক পরের কথা। আফসানা নিজের ঘরে শুয়ে শুয়ে বই পড়ছিল । এমন সময় শুনতে পেল কলিংবেল বাজছে । কেউ এসেছে নিশ্চয়ই । আফসানা আবার নিজের পড়ায় মন দিল । কয়েক মিনিট পরেই মনে হল ড্রয়িং রুম থেকে খুব পরিচিত কাররো কন্ঠস্বর ভেসে আসছে ।
রেহান !
ও এখানে কি করছে ।
তীব্র একটা বিস্ময় বোধ নিয়ে ও উঠে দাড়ালো । কিন্তু যখন ড্রয়িং রুমে এসে হাজির হ তখন ওর বিস্ময়ভাব টা আরও একটু বৃদ্ধি পেল যেন । কেবল রেহান না, রেহানের বাবা আর মাও এসে হাজির হয়েছে । ও ঘরে ঢুকতেই রেহানের বাবা রইস উদ্দিন বলে উঠলো, এই চলে এসেছে । এসো মা ! এসো ।

আফসানার কাছে কেমন যেন সব স্বপ্ন মনে হচ্ছিলো । রেহানের বাবা কেন তার বাসায় এসেছে সেটা বুঝতে মোটেই কষ্ট হচ্ছে না আফসাানর । তাহলে ঐ সংবাদ টা কি সত্য ছিল? বড় নিজেদের ভেতররে গল্প করতে শুরু করলে আফসানা সুযোগ বুজে রেহানকে নিয়ে নিজের ঘরে এল । আফসানা কিছু জানতে চাইবে তার আগেই রেহান বলল, বাবা রিয়াজকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে । তবে একেবারে খালি হাতে তাকে বের করে নি । বেশ কিছু পরিমান টাকা রিয়াজকে দিয়ে বলেছে যেন সে নিজের পথ নিজে বেঁছে নেয় । তারমত কুলাঙ্গার ছেলে ঘরে রাখবে না । মা যদিও একটু বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো কিন্তু কাজ হয় নি । সম্ভবত আমেরিকা চলে গেছে সে । প্লিজ মানা কর না । কেমন ! রাজি হয়ে যাও ! প্লিজ ….

গল্পটার প্রথম পর্ব এটা । গল্পটার থিম মৌলিক না, এডোপ্ট করা ।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.7 / 5. Vote count: 37

No votes so far! Be the first to rate this post.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →

One Comment on “অশুভ প্রত্যয় (প্রথম পর্ব)”

Comments are closed.