পরের একটা মাস ফাহমির উপরে যেন ঝড় বয়ে গেল । তন্বী ওর সামনেই সায়নের সাথে এমন আচরন করতে শুরু করলো যেন সায়নের সাথে ওর কিছু যেন চলছে । তন্বী ইচ্ছে করে ফাহমির সামনে সায়নের হাত ধরতো । ওর খেয়াল রাখা, কিছু খাইয়ে দেওয়া । সব কিছু । এই ব্যাপার গুলো একজন ছেলের পক্ষে সহ্য করা অনেক কঠিন । তন্বী সেটা খুব ভাল করেই বুঝতে পারছিলো । সেই সাথে মজাও পাচ্ছিলো । কিন্ত সব থেকে ভয়ংকর কাজটা করেছে গতকালকে । সেদিন ওরা দুজন মিলে প্লান করেছিলো । প্লানটা ছিল এমন যে মিটিং রুমে ওরা দুজন থাকবে। এমন সময় ফাহমি ভেতরে ঢুকবে । দুজনকে একসাথে দেখবে ঘনিষ্ঠ ভাবে । ঘনিষ্ঠ বলতে কাছাকাছি বসবে এই রকম কিছু একটা । সেটাই প্লান ছিল ওদের ।
সেইপরিকল্পনা মোতাবেক কাজ হল। সিসিটিভি ফুটেজের একটা ফিড ছিল ওদের কাছে । ফাহমিকে যখন মিটিং রুমের দরজা খুলতে যাবে তখন ওরা জানতো । সেই মোতাবেক তন্বী বসেছিলো সায়নের চেয়ারের হাতলের উপরে । শরীরের ভরটা অনেকটাই সায়নের উপরে । তন্বী একভাবে সায়নের দিকে তাকিয়ে ছিল । এই কদিনে সায়নের সাথে ওর মেলামেশাটা খুব বেশি পরিমানে বেড়ে গেছে । ওকে আরও ভাল করে চিনতে ও বুঝতে শুরু করেছে । সায়নের ব্যাপারটাও তাই । ওরা এখন আর ঠিক এমপ্লোয়ী কিংবা বসের পর্যায়ে নেই । ওরা একে অন্যের বন্ধু হয়ে উঠেছে । কিংবা আরও বেশি কিছু ।
তন্বী নিজের শরীরের ভর সায়নের উপরে দিয়ে দিল । একেবারে চলে এসেছে ওর মুখের কাছে । তখনই টের পেল দরজাটা খুলে যাচ্ছে । ফাহমি ওদের দেখতে পেয়েছে । এখন প্লান মোতাবেক তন্বী সরে আসবে । তবে তন্বীর যেন সেই দিকে খেয়ালই নেই । সে সায়নের দিকে তাকিয়েই রইলো একভাবে । তারপরই তন্বী সায়নের ঠোঁটে চুমু খেল । সাথে সাথেই যেন তন্বীর পুরো শরীর কেঁপে উঠলো । সেদিন রাতের সেই পুরো দৃশ্য ওর চোখের সামনে ভেসে উঠলো আবার । সায়ন কিভাবে ওর দিকে এগিয়ে এসেছিলো তারপর ওকে চুমু খেয়েছিলো । আজও পুরো শরীরটা দিয়েই সেটা তন্বী অনুভব করতে পারলো । তন্বী পুরো এক মিনিট ধরে সায়নকে চুমু খেল । তারপর চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো । যখন ঘুরলো তখন দেখলো ফাহমি দরজার কাছে দাড়িয়ে আছে । ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝলো যে খুব বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে সে । অন্য সময় হলে হয়তো তন্বী এই ব্যাপারটা ভাবতেই পারতো না কিন্তু আজকে যেন ওর কিছু মনেই হল না । তন্বী ফাহমিকে পাশ কাটিয়ে বের হয়ে গেল দরজা দিয়ে । করিডোর দিয়ে হাটতে হাটতে তন্বীর মনে কেবল একটা চিন্তা আসতে লাগলো । সায়নকে সে চুমু কেন খেল? না খেলেও চলতো তো । কোন দরকার ছিল না । তবুও খেল সে । আর তারপর যখন চুমু খাওয়ার পর পুরো শরীর জুড়ে একটা তীব্র আন্দোলন শুরু হল । সেটা যেন ও এখনও টের পাচ্ছে । এমন একটা অনুভূতি আসার কারণ কী? সায়নের প্রতি সে কী আকর্ষিত হতে শুরু করেছে? সত্যি কি ? মিটিংয়ের পুরো সময়টা তন্বী নিজের ডেস্কে বসে ভাবতে লাগলো । ঘুরে ফিরে তার কেবল সেই চুমুর কথাটাই মনে হতে লাগলো ।
অফিসের পরেও তন্বী অফিসে থাকলো সায়নের সাথে । সায়নের জন্য কফি নিয়ে গেল সামনে রাখতেই সায়ন বলল, তুমি ঠিক আছো?
-আমি ! হ্যা ঠিক আছি।
-তোমাকে কেমন যেন লাগছে । মনে হচ্ছে কমেন যেন অস্থির ।
-আসলে আমি …..
একটু থামলো । তারপর আবার বলল, আসলে আপনাকে চুমু খাওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছিলাম ।
-যদিও প্লান করা ছিল না তবে আই লাইকড ইট ।
-আই লাইকড ইট টু ।
-রিয়েলি? দ্যান উই শ্যুড ট্রাই এগেইন ।
সায়ন এমন ভাবে বলল যে তন্বী হেসে ফেলল । বলল, আসলে আমি অন্য কিছু ভাবছি ।
-কি?
-আমার আসলে ফাহমির জন্য আর কিছু মনে হচ্ছে না । কিচ্ছু না ।
-যেমন?
-আজকের কথাই যদি ধরি । কেবল প্লান মোতাবেক কাজ করলেই চলতো । কিন্তু আমি আরও একটু এগিয়ে গেছি । ওকে দেখানোর জন্য নয় ।
-তাহলে?
-আসলে এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে জানা নেই । আমি কি আপনার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি ?
-যাচ্ছো কি?
-তাও জানি না ।
তন্বীকে বাসায় নামিয়ে দেওয়ার সময় সায়ন বলল, আমার সাথে এভাবে খোলাখুলি ভাবে নিজের মনের কথা শেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
-আমার মনে হয় না যে ফাহমিকে দেখানোর জন্য আর কিছু করার দরকার আছে ।
সায়ন বলল, আরে না না । আর একটু । বেশি না ।
-আপনি ছেলে মানুষই রয়ে গেছেন ।
-আসলে আমি খুব মজা পাচ্ছি বুঝছো । আর এছাড়া ওকে দেখানোর ব্যাপারটা করতে গিয়ে হয়তো এমন হতে পারে আরও একবার তোমাকে চুমু খাওয়ার সুযোগ চলে আসতে পারে ।
-আপনি দুষ্টও আছেন ।
-হাহাহা !
তন্বীর মন টা ভাল লাগছিলো । কেন লাগছিলো সেটা নিজেও ঠিক মত বলতে পারবে না । কিন্তু নিজের বাসায় প্রবেশের সাথে সাথে একটা ধাক্কা খেল । ড্রয়িং রুমে ফাহমি বসে আছে । সাথে একজন ভদ্রলোক আর ভদ্র মহিলা । তন্বীর বুঝতে কিছু সময় লাগলো এখানে কি হচ্ছে । তখন বুঝতে পারলো তখন ওর পুরো শরীর জুড়ে একটা বিরক্তির অনুভূতি জেগে উঠলো । অথচ এমন একটা দিনের জন্য ও কতদিন ধরে অপেক্ষা করছিলো । ফাহমি ওদের বাসায় আসবে নিজের বাবা মা কে । ওর বিয়ের কথা বার্তা বলবে । আজকে তেমনই একটা ঘটনা ঘটছে । অথচ তন্বীর ব্যাপারটা মোটেই ভাল লাগছে না । ওকে দেখে সবাই আনন্দময় শব্দ করে উঠলো । তন্বীর মা তন্বীর কাছে এসে বলল, যাক এসেছিস ? তুই আমাদের বলিস নি যে ফাহমি তোর অফিসেই যোগ দিয়েছে । যাক এতো দিন পরে তুই এখন রাজি হবি । নাকি এবারও কোন আপত্তি আছে?
-মা!
-শোন আজকের পরে তোর আর কোন কথা শুনবো না । এখন আর একটা কথা না । আজই ওরা আংটি পরিয়ে যাবে । ব্যাস আজকেই সব । তোরা আগে থেকেই দুজন দুজনা কে চিনিস এতো দিন । এতোদিন এই ছেলের জন্য বিয়ে করিস নি । এখন এই ছেলে সব তৈরি হয়ে এসেছে । আমরা আর দেরি করবো না একদম । তোর বাবাও এই ইচ্ছে ।
তন্বী কোন কথা বলার সুযোগই পেল না । নিজের বাবা মায়ের কারণে একটা কথা বলতে পারলো না সে । সারা জীবনের বাবার বাধ্য মেয়ে হিসাবেই অতিবাহিত করে এসেছে । সত্যি সত্যিই ফাহমি ও তার বাবা মা সে রাতে তন্বীর হাতে আংটি পরিয়ে গেল । সবাই চলে যাওয়ার পরে নিজের ঘরে বসে সে রাগে ফুসতে লাগলো । ফাহমির উপর থেকে ওর রাগ চলে গিয়েছিলো । কিংবা বলা যায় ওকে মাফ করে দিয়েছিলো । কিন্তু আজকের ঘটনার পর আবারও সেই রাগটা ফিরে এল ওর মনে । ওর কেবল হতে লাগলো ফাহমি এখন যদি ওকে বিয়ে করে তাহলে ও জিতে যাবে। যতবার ওকে সামনে দেখবে ততবার সেই দৃশ্যটা ওর চোখের সামনে ভাসবে । ফাহমির ব্যাপারে তন্বী এখন আর কোন আকর্ষণবোধ করে না। রাতে একফোটা ঘুম এল না ওর ।
অফিসে গিয়ে শান্তি পাচ্ছিলো না মোটেই । ওকে দেখে সায়ন বলল, কী ব্যাপার আজকে এমন কেন লাগছে?
তন্বী নিজের হাতের আংটি দেখালো।
-এটা কি?
-গতকাল ফাহমি তার বাবা মাকে নিয়ে হাজির হয়েছিলো আমাদের বাসায়?
-তারপর?
-বাসায় ওর কথা আগে থেকেই জানতো । সবাই জানতো যে ওর কারণেই আমি বিয়ে করছি না । এখন যখন এসেছে তখন আমার কথা আর শোনে নি কেউ ।
-এখন?
-আমি ওকে বিয়ে করবো না । কোন ভাবেই না । ওকে বিয়ে করে মানে হচ্ছে ওকে জিততে দেওয়া । আমার সারা জীবন মনে হবে যে ও আমার চোখের সামনে আমার সাথে বিট্রে করেছে এবং তারপর আমাকে ঠিকই বিয়ে করেছে । এটা আমি কোন ভাবেই মেনে নিবো না । সায়ন বলল, তাহলে?
-জানি না । কিচ্ছু জানি না ।
অফিস ছুটির পর নিজের ডেস্কে বসে ছিল তন্বী । এমন সময়ে ফাহমি এসে হাজির হল ওর সামনে । বলল, বাসায় যাবে না ।
-কেন ?
-না মানে চল একসাথে যাই ।
-তোমার সাথে কেন যাবো?
-তন্বী প্লিজ । আমরা একটা নতুন সম্পর্কের দিকে এগোচ্ছি । প্লিজ পুরানো সব কথা ভুলে যাও।
-ভুলে যাবো? আচ্ছা আমি যদি এমন কিছু করতাম তখন ? সাপোজ ধর ঐদিনের মত আমাকে দেখলে তুমমি অন্য কারো পুরুষের সাথে, তখন? আমি যদি বলতাম সব ভুলে গিয়ে নতুন ভাবে শুরু করি করতে?
-তন্বী….
-ওয়েল তোমাকে বলি শোন, তুমি যে কাজটা করেছো আমি য়তো সেইটা করি নি কিন্তু করেছি ।
ফাহমির মুখের ভাবটা বদলে গেল । বলল, আমি জানি তুমি কর নি । করতে পারো না । তুমি তেমন মেয়েই না । আমি জানি । খুব ভাল করে চিনি। তুমি যে বসে সাথে একটা চুক্তি করেছো আমাকে দেখাতে সেইটাও আমি জানি ।
তন্বী একটু হাসলো । তারপর বলল, তাই না । ওকে এইবার তুমি যাতে বিশ্বাস কর সেই ব্যবস্থাই করবো । ওকে! তারপর আমিও তোমাকে বলবো চল সব ভুলে গিয়ে চল নতুন করে শুরু করি ।
##
ফাহমি অস্থির হয়ে পায়চারি করতে লাগলো বেশ কিছু সময় । ঘন্টা দুয়েক আগে তন্বী বড় বিল্ডিংটার ভেতরে ঢুকেছে । সাথে সায়ন চৌধুরী । রাত নয়টার দিকে ওরা অফিস থেকে বের হয়েছে । ফাহমি ওদের পেছন পেছন এসেছে এতোদুর। ফাহমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না যে তন্বী এমন একটা কাজ করতে পারে ! ওর মত মেয়ে এমন কিছু কখনই করতে পারে না । তন্বী হচ্ছে ওয়াইফ ম্যাটেরিয়াল । একজন পুরুক ঠিক যেমন একটা বউ পছন্দ করে তন্বী ঠিক তেমন একজন মেয়ে । কিন্তু তন্বীর সাথে প্রেমটা ফাহমিকে বোরিং করে তুলছিল । ফাহমির দরকার ছিল এক্সাইটমেন্ট । এই জন্য সে এক্সাইটমেন্ট খুজতে গিয়েছিলো । পেয়েও ছিল তাই । এখনও সেই এক্সাইটমেন্ট তার কাছেই আছে । কিন্তু তন্বীকেও সে হারাতে চায় না কোন ভাবে । তন্বী এমন একটা মেয়ে যাকে কোন ভাবেই কোন পুরুষ হারাতে চাইবে না ।
এমন সময় ওর মোবাইলে রিং বেজে উঠলো ।
ভিডিও কল ।
তন্বী !
ফাহমির বুকটা দুরু দুরু করতে লাগলো । ভিডিও করল দিয়েছে ও । কি দেখবে ও !
অন করতেই তন্বীর মুখ দেখতে পেল সে । ওর দিকে শান্ত চোখে তাকিয়ে রয়েছে সে । কোন কথা বলল না । মোবাইলটা কেবল একটা সরালো । সাথে সাথে ফাহমির বুকে একটা ধাক্কা লাগলো ।
যতটুকু দেখতে পেল বুঝতে পারলো যে তন্বীর পরনে কোন পোশাক নেই । বিছানার ওপাশে একজনকে দেখা যাচ্ছে । মানুষটা কে সেটাও চিনতে পারলো সে । তন্বী ফোনটা আবার মোবাইলটা মুখের কাছে এনে বলল, প্রমান চেয়েছিলে । পেয়েছো । সকালে তোমাকে আবার ফোন দিবো । আজকে সারা রাত আমি এখানেই থাকবো ।
লাইন কেটে গেল । ফাহমি কেবল কাঠ হয়ে বসে রইলো ।
#
ফোনটা রেখে তন্বী চুপ করে বসে রইলো । পেছন থেকে সায়ন বলল, ডান ?
-হুম ।
তন্বী তাকিয়ে দেখলো সায়ন এখনও অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। ওর দিকে না তাকিয়েই কথাটা জিজ্ঞেস করেছে। পাশে পরে থাকা ওর পোশাকটা পরে নিল দ্রুর। ওর যদিও লজ্জা লাগছে বেশ । তবে সামনের এই মানুষটার সামনে ও যে কোন কিছুই করতে পারে । তাই করেছে দৃশ্যটা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার বাকি কাজটা ও আজকে রাতে এখানে থাকলে ফাহমি ঠিক বিশ্বাস করবে ।
পোশাক পরে নিতেই সায়ন ফিরলো ওর দিকে। বলল, কিছু খাবে?
-এখন? এখন কিছু খাবো না।
-চুমু খাবে একটা?
সায়ন এমন ভাবে কথাটা বলল যে তন্বী হেসে ফেলল। তন্বীর কিছু বলার আগেই সায়ন এগিয়ে এল। তন্বীকে বিছানার সাথে চেপে ধরে সায়ন খুব গভীর ভাবে চুমু খেল । একবার দুবার তিনবার । তন্বীও ঠিক একই ভাবে সেই চুমুতে সায় দিল ঠিকই ।
একটা সময় তন্বী বুঝতে পারলো সায়ন কেবল চুমুতেই থেকে গেছে । আর বেশি দুর এগোচ্ছে না ।
সায়ন একপাশে সরে গিয়ে তন্বীর বালিশে মাথা রেখে বলল, তুমি আসলেই একজন ! তোমার মত কাউকে আমি জীবনে দেখি নি ।
-তাই?
-হুম । কিভাবে প্রতিশোধ নিলে! আমি ফাহমির জায়গায় হলে হয় তোমাকে মেরে ফেলতাম নয়তো নিজে মরে যেতাম। এই আঘাত কোন ছেলের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব না। জানো আমি এক সময় ভেবেছিলাম এভাবেই জীবন পার করে দিব । তবে তোমার সাথে পরিচয় হওয়ার পরে এবং তোমাকে ঠিকঠাক মত চুমু খাওয়ার পরে মনে হচ্ছে যে জীবনে এমন একটা ঠোঁট থাকলে মন্দ হয় না । তুমি এই কদিনে যা যা করলে সত্যিই তোমার মত একজনকে হাত ছাড়া করা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না । আর যেহেতু তোমার বিয়ে ভেঙ্গে গেল সেহেতু তোমার বিপদে তোমাকে উদ্ধার করা আমার নৈতিক দায়িত্ব । বুঝেছো !
-ইস আমার উদ্ধার কারী !!
-আর তোমার মত একজন পিএসকে আমি মোটেই হারাতে চাচ্ছি না বুঝছো ! তবে আজকের পর থেকে আর বেতন পত্র তোমাকে দেব না ।
-দেখা যাবে !
তন্বী একটু সরে গেল সায়নের দিকে । সায়ন তখনও কথা বলেই যাচ্ছে । তন্বীর কথা গুলো শুনতে মন্দ লাগছে না । তন্বীর মনে অদ্ভুত কিছু অনুভূতি এসে জড় হল । এতো দিনের পরিচিত মানুষের সাথে আজকে সে একেবারে সম্পর্ক শেষ করে দিলো সে । আর নতুন এমন একজনের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে যার সাথে শুরুটা হয়েছিলো অন্য রকম ভাবে । তন্বী অন্তত কোন দিন ভাবে নি এই ছেলের সাথে এমন ভাবে এসে মিশে যাবে ওর জীবনটা ।
ভালো ছিলো