দ্য ডটার ইন ল

oputanvir
4.8
(69)

আবন্তির ব্যাপারটা মোটেই ভাল লাগছে না । মনের ভেতরে একটা চাপা অস্বস্তি কাজ করছে । কিন্তু সেটা মুখ ফুটে বলতেও পারছে না । বারবার মনে হচ্ছে এখান থেকে চলে যেতে । কিন্তু কোন ভাবেই এখান থেকে চলে যাওয়ার উপায় নেই । সিভিল সার্জন স্যারের কড়া নির্দেশ আছে যে প্রত্যেক ডাক্তারকে উপস্থিত থাকতে হবে । যেন তেন ব্যাপার তো নয়, স্বয়ং দেশের প্রাইম মিনিস্টার তাদের হাসপাতাল ভিজিটে আসছে । ব্যাপারটাকে তিনি একটা অলৌকিক ব্যাপার হিসাবেই দেখছেন । এই ছোট শহরের জেনারেল হাসপাতালে দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন ভিটিজে আসেন তখন সেটা একটা অস্বাভাবিক ব্যাপারই বটে ।

কিন্তু আবন্তি জানে যে ব্যাপারটা মোটেই অস্বাভাবিক নয় । উনি যে এখানে আসছেন সেটার পেছনে একটা কারণ রয়েছে । আবন্তি কেবল উপরওয়ালার কাছে দোয়া করছে যেন ঐ ব্যাপারটা না হয় । অন্য যে কোন কারণ হতে পারে কিন্তু ঐ ব্যাপারটা যেন মোটেই না হয় !

গত এক সপ্তাহ ধরেই ওদের পুরো হাসপাতালটাকে নিরাপত্তার চাদরে আচ্ছন্ন করে ফেলা হয়েছে । ওরা যারা এখানে কাজ করে তাদের কে আলাদা একটা পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে । এর বাইরে আর কেউ হাসপাতালে থাকতে পারবে না । যারা চিকিৎসা সেবার জন্য হাসপাতালে আসছে তাদের দিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে কড়া চোখে । এসব আবন্তির মোটেও ভাল লাগছে না । শান্তি পাচ্ছে না মোটেই । সিভিল সার্জন স্যারের কাছে ছুটির আবেদন করেছিলো সে । ওরা এখানে মোট ২২ জন ডাক্তার রয়েছে । একজন না থাকলে কী এমন ক্ষতি হয়ে যাবে কিন্তু সিভিল সার্জন একেবারে ধকম দিয়ে নাক কোচ করে দিয়েছেন । কোন ছুটি হবে না !

আজকে বিকেল তিনটার সময়ে পিএম আমিনুর রহমানের এই হাসপাতালে আসার কথা । পাশের জেলাতে একটা স্টেডিয়াম এবং ক্রিড়া কম্প্লেক্স উদ্বোধন করবেন । তারপর এখানে আসবেন । খবর এসেছেন তার হেলিপকাল্টার এখানে আসার জন্য রওয়ানা দিয়ে দিয়েছে । চলে আসবে যে কোন সময় । সেটা নামকে হাসপাতালের মাঠেই । ইতিমধ্যে জেলা ডিসি ইউএনওরা চলে এসেছে, এমপি সাহেবও এসে হাজির হয়েছেন । সবাই অপেক্ষা করছে । হাসপাতালকে ঘিরে অনেক মানুষ দাড়িয়ে রয়েছে । তাদের কেউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ।

আবন্তি অস্থির হয়ে নিজের কেবিনে বসে আছে । আজকে তার কিছু ভাল লাগছে না । কিছুতেই অস্বস্তি কাটছে না। এমন একটা সময় যে আসবে সেটা আবন্তি কোন দিন ভাবে নি ।

পিএম এসে হাজির হলেন দশ মিনিটের মাথায় । তার চপার নামার আওয়াজ আবন্তির কানে গেল ঠিকই । সে নিজের কেবিন থেকে বের হল না । বাইরে আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে সে । তবুও চুপ করে বসেই রইলো । আর আধা ঘন্টা পরে হঠাৎ আবন্তিকে ডাকতে হেড নার্স এসে হাজির হল ।
-ম্যাডাম আপনি এখানে ! জলদি আসুন । পিএম স্যার সব ডাক্তারদের সাথে মেলাকাত করতে চেয়েছেন । আসুন আসুন জলদি আসুন ।

অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও তাকে গিয়ে হাজির হতে হল । ডাক্তারদের লাইন ধরে দর করে দেওয়া হয়েছে । পিএম আস্তে আস্তে হাটছেন আর সবাই সাথে কথা বলছেন । আবন্তি দাড়িয়ে আছে সবার শেষ । এক সময়ে তার সামনে এসে দাড়ালো । তারপর মিষ্টি হেসে বলল, আবন্তি রাইট ?
পিএম স্যার তার নাম জানেন ! আবন্তির বুকের ভেতরে আবার সেই অস্বস্তির দানা জেগে উঠলো । হাসপাতালে তার ফরমাল নাম রাইয়ানা জামান । আবন্তি তার ডাক নাম । সেটা কোন ভাবেই পিএম স্যারের জানার কথা না । আবন্তির হঠাৎ কান্না চলে এল । চোখের সামনে একটা চেহারা ফুটে উঠলো ।
-তুমি কেমন আছো মা ?
আবন্তি কোন মতে কান্না আটকে বলল, জ্বী, ভাল আছি স্যার !
-সত্যি ভাল আছো তো?
-জ্বী !

পিএম হাসলেন । তারপর একটু মাথা ঘুরিয়ে তার পিএস মাহমুদের দিকে তাকিয়ে বললেন, মাহমুদ, আবন্তি বিকেলের চা আমার সাথে খাবে । ওকে আমাদের সাথে নিয়ে চল ।

রুমের ভেতরে থাকা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে আবন্তির দিকে । সবার চোখেই এক তীব্র বিস্ময় ! আবন্তি মাথা নীচু করে দাড়িয়ে রয়েছে । ওর মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করছেন ।

দুই
সার্কিট হাউজের ভিআইপি রুমে ড্রয়িং রুমে আবন্তি বসে রয়েছে চুপচাপ । একটু আগে তাকে এখানে আনা হয়েছে । মিনিট দশেক হল পিএম স্যার নিজের রুমে ঢুকেছেন ফ্রেশ হওয়ার জন্য । ওকে এখানে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে । এখানেই পিএম আরও কিছু জরুরী মিটিং করবেন । রুমের আরেক দিকে তার দলের বেশ হন্যমান্য নেতারা বসে আছেন । আবন্তি একেবারে এক পাশে চুপচাপ বসে রয়েছে । তার খুবই অস্বস্তি লাগছে ।

ঠিক দশ মিনিট পরে পিএম স্যার ঢুকলেন ঘরে । স্যুট বদলে তিনি পায়জামা পাঞ্জাবী পরেছেন । তাকে ঘরের ভেতরে ঢুকতে দেখে সবাই উঠে দাড়ালো । তিনি সবার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনাদের সাথে এখনও কথা বলার সময় আসে নি ।
সবাই একটু অস্বস্তিতে পড়লো । পিএম তাদেরকে সম্পূর্ন উপেক্ষা করে বললেন, আপনারা বাইরে অপেক্ষা করুন । আবন্তি তুমি কোনাতে কেন এদিকে এসো !

সবাই আবারও অবাক হয়ে দাড়িয়ে রইলো কিছু সময় । পিএম এবার একটু চড়া গলাতে বলল, ডাক্তার আবন্তির সাথে আমার দরকারি কথা রয়েছে ।

এই কথাতেই কাজ হল । সবাই রুম থেকে বের হয়ে এল আবন্তি আস্তে আস্তে ধীর পায়ে প্রধান সোফাটার দিকে এগিয়ে এল ।
-কই বস !
আবন্তি বসলো । একটু পরেই চায়ের সাথে বাহারী নাস্তা এসে হাজির হল পিএস মাহমুদ ।
-কই চা নও ।
পিএস মাহমুদ আবন্তি এগিয়ে দিতে লাগলো সব কিছু । মাহমুদ চা দেওয়ার পরেও দাড়িয়ে রইলো । পিএম বললেন, মাহমুদ তোমার অপেক্ষার দরকার নেই । ওর সাথে আমি একটু একা কথা বলতে চাই ।
মাহমুদ ঘর ছেড়ে চলে গেল । পিএম এবার বললেন, এবার বল মা তুমি কেমন আছো?
-জ্বী ভাল আছি !
চায়ে চুমুক দিতে দিতে আবন্তি বলল।
-তুমি কি অবাক হচ্ছো ?
-জ্বী না !
-না ?
-উহু !
-তার মানে তুমি জানো যে কেন এখানে তুমি আছো?
-জ্বী ! অনুমান করতে পারি !
-আশা করি আমার ছোট ক্ষমতার অপব্যবহারকে তুমি ক্ষমার চোখে দেখবে । আসবে বাবা হয়েছি তো ছেলের ভাল থাকাটা দেখতে না চাইলেও চলে আসে ! তুমি কি আরেকবার ফারাজের ব্যাপারটা কনসিডার করে দেখবে? আমি তোমাকে বাধ্য করছি না । করবো না কোন দিন । কেবল অনুরোধ করতে পারি ।

আবন্তি এবার চোখ তুলে তাকালো পিএমের দিকে । তার কন্ঠস্বর বদলে গেছে । এখানে দেশের সব চেয়ে ক্ষমতাধর মানুষ নন বরং একজন বাবাকে দেখতে পাচ্ছে সে । পিএম আবার বলল, আমার ছেলেটা বেশি ভাল নেই । কেন ভাল নেই সেটা তুমি জানো ।
আবন্তি চুপ করে তাকিয়ে রইলো কেবল ।
-আমি জানি না তোমাদের মাঝে কী হয়েছিলো । তাকে খুব একটা মানুষ চেনেও না । সে সব সময় সবার চোখের আড়ালেই থাকে । সে সব আমার কর্ম জীবন থেকে আলাদা থেকেছে । আগবাড়িয়ে কোন দিন নিজের পরিচয় দেয় নি । তুমিও সম্ভবত জানতে না প্রথমে ! তাই না?
আবন্তি মাথা ঝাকালো !

আবন্তির সাথে ফারাজের পরিচয় ইন্ডিয়াতে । ইন্ডিয়া ট্যুরে গিয়েছিলো । মোট ২৬ দিনের একটা ট্যুর ছিল । এই ট্যুরেই ফারাজের সাথে আবন্তির পরিচয় হয় । চমৎকার একটা ছেলে । দুইদিনের ভেতরে দুজনের ভাব হয়ে যায় । ফেরার পথে যখন দুজন একে অন্য জনের কাচ থেকে আলাদা হচ্ছিলো তখন আবন্তি বুঝতে পারে যে ছেলেটার জন্য আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করে । ফারাজ দেশে এসেও প্রতিদিন দেখা করতে থাকে ওর সাথে । সব কিছু ঠিকই চলছিলো তখনই আবন্তি আবিস্কার করে যে ফারাজের পেছনে সব সময় দুইঝন মানুষ থাকে । সেটা ফারাজকে জিজ্ঞেস করতেই প্রথমে ফারাজ বলতে না চাইলেও পরে জানায় যে ওরা ওর বডিগার্ড ।
তারপরই ফারাজের আসল পরিচয় আবন্তির সামনে আসে । ফারাজ আর কেউ নয়, দেশের বর্তমান পিএমের ছোট ছেলে ! এই ছেলের ব্যাপারে সে আগেই শুনেছে । বড় দুই ছেলের মত মোটেই না । সব সময় সবার চোখের আড়ালে থাকতে পছন্দ করে । কিন্তু তাই বলে যে এই ভাবে আবন্তির সাথে তার পরিচয় হয়ে যাবে এভাবে সেটা আবন্তি কোন দিন ভাবে নি । এই পরিচয় লুকানোর ব্যাপারটা মোটেও ভাল ভাবে নিলো না । যোগাযোগ বন্ধ করে দিল । পরে ফারাজ অনেক কয়বার চেষ্টা করেছে যোগাযোগের কিন্তু আবন্তি আর যোগাযোগ করে নি ।

তারপর আবন্তির বিসিএস হয়ে যায় । চাকরি নিয়ে চলে আসে নিজের হোমটাউনে। পিএম বললেন, তোমাদের মাঝে কিছু একটা হয়েছিলো । কী হয়েছিলো আমি জানি না । পরে ও দেশ ছেড়ে চলে যায় । গত একটা বছর সে ইল্যান্ডেই ছিল । গত মাসে আমি সেখানে গিয়েছিলাম । ওর সাথে দেখা হল । আমার হাসিখুশি ছেলেটাকে দেখে আমি চমকে উঠলাম । বারবার জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও কিছু বলল না । পরে দেশে এসে খোজ খবর নিলাম । তোমার কথা জানতে পারলাম !

পিএম আরও খানিকটা সময় চুপ থেকে বললেন, মা রে আমার বড় দুই ছেলের ব্যাপারে আমি কিছু বলব না কিন্তু ছোট এই ছেলেটাকে নিয়ে বলতে পারি যে সে মোটেও খারাপ কেউ না । আরাজ কিংবা মিরাজের বেলাতে এমন কিছু হলে তারা কী করতো জানো, সারাসরি তোমার বাসায় প্রস্তাব পাঠাতো । যদি সেটাও কাজ না হত তোমাকে পাওয়ার দিয়ে পাওয়ার চেষ্টা করতো । কিন্তু ফারাজের ব্যাপারটা দেখো সে নিরবে চলে গেছে ।

আবন্তিও তাই ভেবেছিলো প্রথমে । হয়তো ফারাজ ওকে পাওয়ার জন্য ওর বাবার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে কিন্তু তেমন কিছুই হয় নি ।

আবন্তি যখন ফেরার জন্য উঠলো পিএম আবারও বললেন, আরেকবার ভেবে দেখো মা ! কেমন !
-জ্বী !

স্বয়ং পিএম আবন্তিকে সার্কিট হাউজের গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিল । সবাই কেবল অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল তাদের দিকে ।

তিন

ঠিক চার দিন পরে আবন্তির পোস্টিং বদল হল । তাকে সোহরওয়ার্দী মেডিকেলে বদলি করা হয়েছে । এবং পরের সপ্তাহেই তাকে জয়েন করতে হবে । আবন্তি ঠিকই জানে যে কেন তাকে বদলি করা হয়েছে । এবং ঢাকাতে জয়েনিংয়ের মাস খানেকের ভেতরে তাকে আরেকবার বদলি করা হল । এবার সোজাসুজি পিএম রেসিডেন্টের মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে । যদিও তাকে সোহরওয়ার্দী মেডিকেলেই ডিউটি করতে হত তবে তাকে প্রায়ই ডাকা হত গনভবনে ! তাকে একটা স্পেশাল পাস ইস্যু করা হল যাতে যে সোজাসুজি পিএম রেসিডেন্টের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে ।

প্রথম যেদিন সে পিএমের বাস ভবনে প্রবেশ করলো সেদিন ওর চোখ বারবার ফারাজকেই খুজছিলো । কিন্তু তাকে কোথাও দেখা গেল না । পরে জানতে পারল সে দেশে নেই । আসেই নি আর । প্রায় সপ্তাহেই ডাকা হত তাকে । পিএম স্যার ব্যস্ত মানুষ হলেও ফার্স্ট লেডির সাথে কথা হত । বড় অমায়িক মানুষ সে । এছাড়া পিএমের বড় দুই ছেলের বউরা রয়েছে । তারাও আবন্তিকে কেবল একজন ডাক্তার হিসাবে দেখছে না । অন্য রকম আচরন করছে । সম্ভবত ফারাজ আর তার ব্যাপারটা তারা জানে । এই রকম একদিন ফারাজের সাথে দেখা হয়ে গেল আবন্তির । ছুটির দিন ছিল । তবে ফোন ঠিক এসে হাজির হল পিএম রেসিডেন্ট থেকে । আবন্তি গিয়ে হাজির হল । দুপুরের কিছু আগে । পিএম স্যারের পেশারটা একটু চেক করতে হবে । সেটাই চেক করা হল । পিএম স্যার নিজেই বললেন আজকে দুপুরে তাদের সাথেই খাওয়া দাওয়া করতে ।

টেবিলে সেদিন সবাই খেতে বসেছে । আবন্তিও বসেছে । তখনই ফারাজ এসে ঢুকলো ঘরে । গত রাতেই সে দেশে এসেছে । আবন্তিকে দেখে চমকে গেল সে । ওকে এখানে মোটেও আশা করে নি । আবন্তিও চমকে গেছে । এক ভাবে কেবল তাকিয়ে রইলো দুজন দুজনের দিকে । পাশ থেকে ফারাজের বড় ভাবী বলে উঠলেন দেবর সাহেব খেতে বস। তাকাতাকি পরেও করা যাবে ।
টেবিলে হাসির রোল উঠলো । আবন্তির কান গরম হয়ে গেল লজ্জায় । মাথা নিচু করে খেতে লাগলো চুপচাপ ! খাওয়া শেষ করে পালাতে পারলে বাঁচে । তবে সে আজকে মোটেও পালাতে পারলো না । আবন্তি উঠে বিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য যে যখন ঘর থেকে বের হয়েছে তখনই পেছন থেকে ওর হাত ধরলো কেউ ।
কে হাত ধরেছে সেটা আবন্তি জানে খুব ভাল করেই । ওকে এক প্রকার টেনে নিয়ে গেল উপরে । ফারাজ নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করলো । তারপর কোন কথা বলেই আবন্তিকে জড়িয়ে ধরলো । আবন্তি কোন বাঁধা তো দিলোই না বরং নিজের মাঝে কেবল একটা শান্তি অনুভব করলো সে । মনে হল যেন কতদিন পরে একটা শান্তির ছোঁয়া ওকে জড়িয়ে ধরেছে । ফারাজের বুকের স্পন্দনটা এতো তীব্র ভাবে লাফাচ্ছিলো যে আবন্তি সেটা শুনতে পাচ্ছিলো পরিস্কার !
আবন্তি কিছু বলার জন্য মুখ খুলতে গেল, ফারাজ….
ফারাজ ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল, চুপ ! কোন কথা না !

তারপর আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ওকে । এতো দিন পরে প্রিয় মানুষটাকে জড়িয়ে ধরার সুযোগ পেয়েছে সে । কোন ভাবেই একটা মহুর্ত সে নষ্ট করতে চায় না ! আবন্তির মনে তখন কত কিছু যে আসছে । কি থেকে কি হয়ে গেল ! সে কোন দিন ভেবেছিল যে ফারাজ এমন দেশের পিএমের ছেলে হবে আর সে পিএমের ডটার ইন ল হতে যাচ্ছে…

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.8 / 5. Vote count: 69

No votes so far! Be the first to rate this post.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →