The Soul – Netflix Movie

oputanvir
0
(0)

মুভিটার নাম দ্য সৌল ।
তাইওয়ানের মুভি । চাইনিজ কোরিয়ান মুভি দেখার সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে আমি কোন ভাবেই এখানে চরিত্রগুলোর নাম মন রাখতে পারি না । বারবার উল্টেপাল্টে যায় । তাই সেদিনে না যাই । মুভির কাহিনী বলি । মুভিটাতে একই সাথে খানিকটা ভৌতিক আবহ দেওয়া হয়েছে । সেই সাথে দেওয়া হয়েছে খানিকটা সায়েন্স ফিকশন আবহ ।

মুভির কাহিনী শুরু হয় এক বিখ্যাত কোম্পানীর সিইওয়ের খুনের মাধ্যমে । পুলিশ এসওএস কল পেয়ে তার বাড়ি গিয়ে হাজির হয় । এবং সেখানে দেখতে পায় সিইও সাহেবের মাথা একটা লোহার জাতীয় অস্ত্র দিয়ে থেতলে ফেলা হয়েছে । সেই অস্ত্রটা ধরে তার পাশে তার ২য় স্ত্রী পরে আছে অজ্ঞান হয়ে । পুলিশ তাকে নিয়ে যায় স্টেশনে । সেখানে তার স্টেটমেন্ট অনুযায়ী জানা যায় যে সেদিন রাতে আসলে তার ঘুম আসছিলো না । সে কিছু সময়ে বারান্দায় ঘুরাঘুরি করে নিজের রুমের দিকে যাওয়ার সময়ে দেখে তার স্বামীর ঘর থেকে আওয়াজ ভেসে আসছে । সে তার অসুস্থ স্বামীর ঘরের সামনে যেতেই খেয়াল সেখানে অদ্ভুত কিছু চিহ্ন আকা রয়েছে দরজাতে । ভেতর থেকে বিদ্ঘুটে কিছু গন্ধ আসছে । দরজা খুলে ভেতরে ঢুকেই দেখে যে তার স্বামীর আগের পক্ষের ছেলে কোন অদ্ভুত রিচ্যুয়াল করছে তার অসুস্থ স্বামীকে ঘিরে । এক সময়ে স্বামী পুলিশে ফোন করে এবং সেই সময়ে ছেলে ক্ষেপে গিয়ে হাতের সেই লোহার অস্ত্র দিয়ে নিজের বাবাকে আঘাত করতে করতে মেরে ফেলে । পরে কাজের লোকের কাছ থেকে স্টেটমেন্ট নিয়ে জানা যায় যে স্ত্রী যা বলছে সেটা এই বক্তব্যকে সমর্থন করে ।

https://www.youtube.com/watch?v=EIEHq4S_MuM

কেস ইনভেস্টিগেট করার জন্য যে প্রোসিকিউটর নিয়গ দেওয়া হয় সেই মূলত প্রধান চরিত্র । তার বউ হচ্ছে পুলিশ অফিসার । দুজন মিলে কেস স্টাডি চলে । সেই ছেলেকে পাকড়াও করা হয় এবং ছেলে কনফেস করে যে তার বাবাকে সেই মেরেছে । এছাড়া কেস চলাকানীন সময়ে জানা যায় যে তার প্রথম স্ত্রী ডিপ্রেশনের কারণে সুইসাইড করেছিলো বছর খানেক আগে । এবং তার ছেলে তার বাবাকে এর জন্য দায়ী মনে করে । মোটিভ পরিস্কার । এছাড়া তার প্রথম স্ত্রী মরার আগে নানান রিচ্যুয়াল করতো যাতে তার আত্মা এই পৃথিবীতে আটকে থাকে । এভাবে একজনের দেহে অন্য জনের দেহে আত্মা প্রতিস্থাপিত করা যায় । যখন ছেলেটা নিজের দোষ কনফেস করে তখন হঠাৎ ২য় স্ত্রী এমন আচরন করে যেন সেই হচ্ছে তার আসল মা । আমাদের দেশে যেমন জ্বীনে ধরার ব্যাপারটা আছে সেই রকম । সে তার ছেলেকে বলে যে তার বাবাকে মেরে সে একদম সঠিক কাজ করেছে । তারপর অজ্ঞান হয়ে যায় ।

গল্পের এই পর্যন্ত মনে হবে যে এটা একটা ভুতের গল্পই । কিন্তু এরপর থেকে কাহিনী অন্য দিকে মোড় নেয় । আত্মা ঠিকই একজনের দেহ থেকে অন্য জনের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয় তবে সেটা রিচু্য়্যালের মাধ্যমে নয়, প্রযুক্তির মাধ্যমে । এবার শুরু হয় সায়েন্স ফিকশন । কিভাবে মরলো এবং তার থেকেও বড় প্রশ্ন কেন মরতে হল তাকে সেটা পরিস্কার হয়ে ওঠে শেষের দিকে । এবং একেবার শেষটা আমার বেশ চমৎকার লেগেছে । আমি যা ভেবে শুরু করেছিলাম বলা যায় কাহিনী একেবারেই অন্য দিকে গিয়েছে ।

মুভি দেখতে পারেন । দুই ঘন্টার কাছাকাছি সময়ের মুভি তবে বাড়তি অপ্রয়োজনীয় কিছু নেই । সময় ভাল কাটবে আশা করি । নেটফ্লিক্স কিংবা টরেন্ট থেকে নামিয়ে দেখতে পারেন ।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.


Discover more from অপু তানভীর

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →