রিমির গল্প….

4.8
(52)

বারবার ফোনের দিকে চোখ চলে যাচ্ছে রিমির । ফোনটা হাতে চেপে ধরে রয়েছে । ব্যাগের ভেতরে ফোন থাকলে, কেউ রিং দিলে বোঝা যায় না । বাসা থেকে যখন ফোন আসে তখন যদি রিমি সময় মত না ধরে তাহলে রিমির মায়ের প্রেসার উঠে যায় । রিমির মায়ের এখনও ধারণা যে মেয়েরা বাইরে বের হলেই বুঝি তাদের কোন ক্ষতি হয়ে গেল । তাই সময়ে সময়ে তার ফোন করে খোজ নেওয়া তার চাই ই ।

আজকে তিন ঘ্ন্টা হয়ে গেছে ফোনটা একবারও বাজে নি । রিমি খুব ভাল করে জানে ওর মা আরও আধা ঘন্টা পর থেকে ফোন দেওয়া শুরু করবে । মায়ের হিসাব মত রিমি এখনও পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিচ্ছে । এই সময়ে ফোন দিয়েও লাভ নেই । কিন্তু যখন আধা ঘন্টা পরে ফোন দিয়ে ওকে ফোনে পাবে না তখন ওর মায়ের মনের অবস্থা কেমন হবে?
কথাটা ভাবতেই রিমির চোখে পানি চলে এল । বারবার মায়ের অস্থির চেহারাটা মনে হতে লাগলো ।
কাজটা কি সে ঠিক করছে?
এভাবে সবাইকে ছেড়ে, পরিচিত সব মানুষকে ছেড়ে এমন একজনের কাছে চলে যাচ্ছে যাকে সে একটাবারের জন্য সরাসরি দেখেও নি । সেই মানুষটার কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা কি ঠিক হচ্ছে ?

রিমি ডান পাশের জানালার দিকে তাকালো । বাসটা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে । হানিফের ভলবো বাস । ঠান্ঠা লাগছে একটু । এসির জোরটা যেন একটু বেশিই মনে হচ্ছে ! অবশ্য ও এক কাপড়ে চলে এসেছে । সাথে কলেজে যাওয়ার ব্যাগে খুব সামান্য টুকিটাকি কিছু জিনিস । কোন কাপড় সাথে আনে নি সে । হাতে জমানো যা টাকা ছিল কেবল সেটা নিয়ে এসেছে । আর কিছু না ।

আচ্ছা যদি এমন হয় যে ঢাকাতে গিয়ে দেখলো শিহাব বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে নেই, তখন ? বাসে ওঠার আগে ওকে একটা ফোন দিয়েছিলো । বলেছিলো যে ফোন বন্ধ থাকবে । নয়তো বাসার লোকজন ফোন করতে থাকবে । শিহাব অবশ্য বলেছিলো যে অন্য কোন সীম ব্যবহার করতে । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে রিমির কাছে অন্য কোন সীম নেই । যে দুইটা সীম রয়েছে সেগুলোর সবই বাসায় জানে । কোন দিন আলাদা গোপন সীম ব্যবহার করার কথা মনেই আসে নি, দরকারও পড়ে নি কোনদিন । নিজের পরিবারের কাছে কোন দিন কোন কিছু লুকায় নি সে । তাই হয়তো রিমির বাবা শিহাবের ব্যাপারটা আঁচ করতে পেরেছিলো খুব ভাল ভাবেই ।

রক্ষনশীল বাবার কাছে এই ব্যাপারটা কোন ভাবেই ঠিক গ্রহন যোগ্য হয় নি । মেয়ে অন্য কোন ছেলের সাথে প্রেম করবে সেটা সে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেন নি । তাই তো তাড়াহুড়া করেই বিয়েটা ঠিক হয়েছিলো । রিমির আসলে না করার কোন উপায় ছিল না । ছেলে ইঞ্জিনিয়ার তাও আবার বিসিএস ক্যাডার । গুণে মানে সব দিক দিয়ে ভাল ।

প্রথম যেদিন হবু বরের সাথে রিমি দেখা করতে গেল, সেদিনই মনে হয়েছিলো যে সর্বনাশ একটা হয়ে গেছে । ছেলের কথা বার্তা আর তাকানোর ধরণ দেখেই রিমির মনে হয়েছিলো রিমিকে তার পছন্দ হয়েছে । বাসায় গিয়ে হ্যা বলে দিবেই । সত্যিই হল তাই । বাসায় ফিরে যেতে না যেতেই লক্ষ্য করলো যে বাসার সবার মুখ হাসিহাসি । বিশেষ করে ওর মা যেন আনন্দে ঝলমল করছেন । প্রতিটি বাঙালি মায়েরাই বুঝি এমন । মেয়ের ভাল একটা বিয়ে ঠিক হলে তাদের আসলে আর কিছু চাওয়ার থাকে না ।

রিমি কী করবে কিছুই বুঝতে পারছিলো না । কয়েকবার ভেবেছিলো যে বাবাকে শিহাবের কথা বলবে কি না । কিন্তু ওর বাবাকে সে খুব ভাল করেই চেনে । আর শিহাবের একটা অতীত রয়েছে । সেটা জানার পরে রিমির বাবা কোন দিনই মেনে নিবে না, এটা রিমি খুব ভাল করেই জানে । রিমিই যখন প্রথম জানতে পারে ওর নিজের কাছেই কষ্ট হচ্ছিলো ব্যাপারটা মানতে । একবার ভেবেছিলো যে সব কিছু শেষ করে দিবে । এমন কিছুই হয় নি তখনও । কিন্তু দুদিন কথা না বলার পর বুঝতে পারলো ওর পক্ষে ঐ মানুষটার সাথে কথা না বলে থাকাটা কোন ভাবেই সম্ভব না । কিভাবে যে মানুষটার প্রেমে এভাবে পড়লো সেটা রিমি নিজেও জানে না ।

মনে হয় এই তো সেদিন ব্লগে তার লেখা একটা কবিতা পরলো । কথা গুলো এতো মনে এসে বিঁধলো । মন্তব্য তারপর প্রতিমন্তব্য থেকে পরিচয় । ফেসবুক থেকে ফোনে কথা শুরু । তারপর যেন জীবনের সাথে শিহাব নামটা একেবারে জড়িয়ে গেল । কিছুতেই নামটাকে, নামের মানুষটাকে সে এড়িয়ে যেতে পারলো না । কিন্তু আবার শিহাবের সেই অতীতটাকেও মেনে নিতে পারছিলো না যেন । সব মিলিয়ে নিজেকে একটা মেশামাল অবস্থায় খুজে পেল সে । পরিবর্তনটা আর কারো চোখে না পড়লেও রিমির বাবার চোখে পড়েছিলো ঠিকই । তার বুঝতে কষ্ট হয় নি মেয়ের কী হয়েছে । দেরি না করে মেয়ের বিয়ে ঠিক করলেন ।

রিমির যে পড়াশুনা ব্যাপারটা কত পছন্দ সেটাও রিমির বাবা খুব ভাল করে জানতেন । তিনি জানতেন যে যত যাই হোক তার মেয়ে কখনও পড়াশুনা পরীক্ষা বাদ দিবে না । রিমির বিয়েটা তাই ঠিক হল একদম পরীক্ষার মাঝে । শেষ দুইটা পরীক্ষার আগে একটা সাত দিনের ছুটি ছিল সেটার মাঝেই ছোট করে বিয়ে ঠিক হল । রিমি তো অন্য দিক দিয়ে আপত্তি করতে পারে নি, কেবল বলেছিলো যে পরীক্ষা শেষ হোক তারপর বিয়ে । কিন্তু সেটা ঢোপে টেকে নি । ছোট করে বিয়ের অনুষ্ঠান । টুপ করে হয়ে যাবে, এই ছিল যুক্তি ।

কিন্তু রিমির বাবা হয়তো কখনও বিশ্বাসই করতে পারেন নি তার মেয়ে পরীক্ষা না দিয়েই চলে যাবে । শিহাব ওকে জোর করে নি । কেবল যখন বিয়ের কথা শুনলো, শিহাবের কন্ঠটা কেমন যেন হয়ে গিয়েছিলো । গলার স্বরটা রিমির কানে এমন ভাবে বাঁজতে শুরু করলো সে তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল যে শিহাবের কাছেই যাবে সে । সব কিছু ফেলে তাকেই বেঁছে নেবে !
যদি সিদ্ধান্ত ভুল হয়, হোক, তবুও !

বাসটা যখন সাভার বাসস্ট্যান্ডে এসে থামলো তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেলে হয়ে গেছে । অচেনা জায়গায় পা দিয়ে রিমি এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো । এর আগে কয়েকবার ঢাকা আসা হয়েছে । তবে প্রতিবারই সাথে হয় বাবা নয়তো অন্য কেউ ছিল । ওকে কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হয় নি । কিছু সময় সে চুপচাপ তাকিয়ে রইলো সামনের দিকে । আসলে এখন সে কী করবে সেটা তার মাথায় আসছে না । আসার কথাও না ।

আজকে একা একা সে এতো বড় একটা কাজ করে ফেলেছে সেটা যেন এখনও তার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না । আজ থেকে সব কিছু বদলে যাবে । সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে । তার জীবন আর কোন ভাবেই আগের মত থাকবে না । সব কিছু বদলে যাবে । কিন্তু যেমনটা ও ভেবে এসেছে পরিবর্তনটা কি তেমন হবে নাকি অন্য রকম হবে? রিমি জানে না ।

ব্যাগ থেকে ফোনটা বের করলো । এখনও বন্ধ হয়েই রয়েছে । রিমি জানে ফোনটা চালু করার সাথে সাথেই কল আসা শুরু করবে । এতো সময়ে ওর বাসায় একটা হুলস্থুল অবস্থা পড়ে গিয়েছে । রিমি যে আজকে পরীক্ষা দিতে যায় নি সেটা নিয়ে ওর বন্ধুদের কেউ না কেউ ঠিকই বাসায় যাবে । আর তখনই শুরু হবে খোজ । এই জন্য রিমি কাউকে এই চলে আসার ব্যাপারটা বলে নি । এমন কি সব থেকে কাছের বান্ধবী শিলাকেও না ।

ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই অনুভব করলো একটা মানুষ ওর সামনে এসে দাড়িয়েছে । রিমির পা দুটো কেমন যেন অবশ হয়ে এল । তার দিকে না তাকিয়েই বুঝতে পারছে মানুষটা কে !
নিজের অনুভূতির কাছে নিজেই কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল । এর আগে শিহাবের সাথে ওর সরাসরি দেখা হয় নি কোনদিন । ভিডিও কলে কয়েকবার কথা বলেছে ওরা । বেশির ভাগ সময়েই ওরা ফোনেই কথা বলতো কিন্তু রিমির কাছে শিহাবের শরীরের গন্ধটা কেমন যেন পরিচিত মনে হল । মনে হল যেন কতদিন ধরে এই মানুষটাকে সে চেনে । চোখ তুলে যখন তাকালো তখন শিহাবের চোখের দিকে তাকিয়েই আবারও যেন কেমন এলোমেলো হয়ে গেল । এই চোখের মাঝেই সে হারিয়েছে । এখনও সেই অনুভূতিটা কী তীব্র আর তরতাজা !

শিহাব বলল, আসতে কষ্ট হয় নি কোন ?
রিমি মুখ খুলল বটে তবে কোন কথা যেন বের হল না । কেবল মাথা ঝাকালো । কি বলতে চাইলো সেটা সে নিজেই জানে না, আর শিহাব কি বুঝলো সেটাও সে জানে না । শিহাব ওর কাধের ব্যাগটা নিতে চাইলো, রিমি দিলো না । বড় কোন ব্যাগ নেই ওর সাথে । কেবল ছোট একটা কলেজ যাওয়ার ব্যাগ । সেটা সে কাধেই নিতে পারবে ।

শিহাব বলল, আমার বাসা কাছেই । আগে ওখানে চল । একটু ফ্রেশ হয়ে সন্ধ্যার দিকে কাজী অফিসে যাবো ।

কাজী অফিস কথাটা শুনতেই বুকের ভেতরে কেমন যে একটা অনুভূতির সৃষ্টি হল ।
বিয়ে !
ওর আজকে বিয়ে !

রিমি কি কোন দিন ভেবেছিলো এভাবে একা একা বিয়ে বাবা মাকে ছেড়ে বিয়ে করবে ! এমন করে কি কেউ কোন ভাবে ? কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর তার সাথে হয় আরেক । রিমির সাথেও হচ্ছে অন্য রকম ! এমনটা সে কোন দিন ভাবে নি । সে চেয়েছিলো জীবনের এই সব থেকে চমৎকার সময়টাতে তার পরিবারের মানুষ গুলো থাকবে । সবার সাথে এই আনন্দ গুলো ভাগ করে নিবে সে । কিন্তু এখানে এই অচেনা পরিবেসে সে চলে এসেছে !

-রিমি?
-হুম !
-এখনও দেরি হয়ে যায় নি কিন্তু !

কথাটা বলতে গিয়ে শিহাবের কন্ঠটা যে কেঁপে উঠলো সেটা রিমি খুব ভাল করেই খেয়াল করলো । রিমির যে পরিবারকে ছেড়ে আসতে কষ্ট হচ্ছে এটা শিহাব খুব ভাল করেই উপলব্ধি করতে পারছে । যতই রিমির নিজের সিদ্ধান্ত হোক শিহাব খুব ভাল করেই জানে এই সিদ্ধান্তের সাথে সে আগাগোড়া ভাল ভাবে জড়িয়ে রয়েছে । বলা যায় যে সেই হচ্ছে মূল কারণ । রিমির এই কষ্টের মূল কারণ শিহাব নিজেই । সেই থেকেই কথাটা বলা । নিজের অপরাধবোধ থেকে মুক্তির একটা বৃথা চেষ্টা আর কি !

রিমি মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল, তোমাকে ছেড়ে যাচ্ছি না বুঝেছো ! এতো সহজে আমি তোমার পিছু ছাড়ছি না ।
শিহাব হাসলো । তারপরই রিমির হাত ধরে হাটতে শুরু করলো । শিহাবের হাত ধরার সাথে সাথেই রিমির পুরো শরীরটা যেন কেঁপে উঠলো । একেবারে আস্তো একটা ছুড়ি এসে যেন বিধলো ওর বুকে । তখনই ওর মন থেকে অন্য সব কিছু হারিয়ে গেল মুহুর্তেই । শিহাব হাটতে হাটতে কী যেন বলতে শুরু করলো । তবে রিমির সেই দিকে খেয়াল নেই মোটেই । সে কেবল অনুভব করছে শিহাবের স্পর্শ ! একটা মানুষ অন্য আরেকটা মানুষকে কী পরিমান অনূভব করলে সামান্য এই স্পর্শে এমন অনুভূতি হতে পারে ! রিমির মনে হল যে চারিপাশে আসলে কিছু নেই । এই গাড়ির কোলাহল, চিৎকার কিছুই যেন রিমির কানে যাচ্ছে না । কেবল রিমি নিজে রয়েছে আর রয়েছে শিহাব । দুজন হেটে যাচ্ছে অনন্ত কোন গন্তব্যের দিকে ।

একটু সামনে গিয়েই শিহাব রিক্সা নিল । রিক্সাতে ওঠার সময়ে রিমির হাত ছাড়তে হল । যখন রিক্সা চলতে শুরু করলো তখন রিমি এগিয়ে গিয়ে শিহাবের হাতটা ধরলো । হাত ধরতে একটু লজ্জাবোধ করছিলো বটে । শিহাব কত সহজ ভাবে একটু আগে ওর হাত ধরেছিলো । রিমিও যদি পারতো । শিহাব বলল, ঘর একটু অগোছালো আছে বুঝলে ! তুমি বিরক্ত হও না কেমন !

রিমি তখনও কেন জানি শিহাবের কথা শুনছে না । ওর দিকে তাকিয়ে রয়েছে । ওর চোখ দুটো কী গভীর ! কি যেন একটা বিষাদ রয়েছে সেখানে। হঠাৎ রিমি বলল, শিহাব,
কথা থামিয়ে শিহাব বলল, বল…
একটু সময় চুপ করে রইলো । তারপর ধরা হাতের দিকে ইঙ্গিত করে বলল, এই যে তোমার হাতরা ধরেছি, সব কিছু ছিন্ন করে । বুঝছো?

রিমির কন্ঠের গাম্ভীর্যের কারণে শিহাব যেন একটু ভড়কে গেল । একভাবে তাকিয়ে রইলো রিমির দিকে । রিমি আবার বলল, নতুন জীবনে পা দিতে চলেছি আমরা দুজন । তোমার এই হাত আমি আমার বাকি জীবন টুকু ধরে রাখতে চাই সব কিছু বিনিময়ে হলেও । তুমি এমন কোন কাজ করো না যাতে আমাকে এই হাত ছেড়ে দিতে হয় ! মনে থাকবে?
-হুম ।
এই বলে শিহাব অন্য হাত টা দিয়ে রিমির ধরে থাকার হাতের উপরে রাখলো । তারপর আলতো করে মুখটা হাতের উপর ছোঁয়ালো । বলল, আমাকে ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ আমি কোন দিন তোমাকে দিবো না !

রিক্সার একটা চাকা ঠিক এই সময়ে গর্তে পড়লো । একটু যেন কেঁপে উঠলো রিমি । তবে তখনই লক্ষ্য করলো শিহাব শক্ত ভাবে ওর হাতটা ধরে রয়েছে । ওকে কোন ভাবেই পড়ে যেতে দিবে না !

এই গল্পে আসলে এখানে শেষ না । বলা চলে রিমি আর শিহাবের গল্প শুরু হল এখান থেকে । আরও কয়েকটা পর্ব লিখবো পরে ।

আজকে ১৯শে মার্চ, গল্পের রিমির জন্মদিন । যদি বাস্তবে তার নাম রিমি না । নামে মিল না থাকলেও রিমি আর শিহাব সত্যিই বাস্তবে রয়েছে যাদের জীবন থেকেই এই গল্পের উৎপত্তি । শুভ জন্মদিন আফাকে ! কামনা করি আমার গল্পের মত তাদের জীবন ভালোবাসায় পরিপূর্ন থাকুক আজীবন !

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.8 / 5. Vote count: 52

No votes so far! Be the first to rate this post.


Discover more from অপু তানভীর

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →