ক্লিনিকের নাম ‘ক্ষুধা’

3.7
(19)

ক্লিনিকের নামটা ‘ক্ষুধা’। বড় বড় বাংলা ও ইংরেজি অক্ষরে লেখা ‘ক্ষুধা’। নিচে একটা ট্যাগ লাইন রয়েছে। ‘আপনার সন্তানের ক্ষুধা লাগবেই।’ এটা মূলত যে বাচ্চারা খাওয়া দাওয়া করতে চায় না তাদের জন্য। এখানে তাদের রুচি ফিরিয়ে আনা হয়। এখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর থেকেই নাকি বাচ্চারা গো-গ্রাসে খাওয়া দাওয়া করতে থাকে।
এখন বাজে রাত সাড়ে নয়টা। শশী ক্লিনিকটার সামনে অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভেতরে ঢুকছে না। এই ক্লিনিকে কেবল বাচ্চাদেরকেই সেবা দেওয়া হয়। এখানকার যে ডাক্তার কেবল তিনি বাচ্চাদের দেখেন। বড়দের দেখেন না। এই কথা সে আগে থেকেই জানে। তারপরেও গতদিন সে রোগী সেজে এসেছিল। শশীর গায়ের গরন ছিপছিপে। সে মোটেই স্বাস্থ্যবতী নয়। দেখলে মনে হবে যে সে বুঝি ডায়েট করে শরীরের ওজন কমিয়েছে। শশীর ভেতরে ঢুকে জানিয়েছিল তার খাওয়ার রুচি নেই। তাই এমন চিকন। যদিও কথাটা একেবারেই মিথ্যা। দুনিয়ার এমন কিছু নেই যে শশী খেতে পছন্দ করে না। তবে কোন এক অদ্ভুত কারণে তার ওজন বা স্বাস্থ্য বাড়ে না। এটাকে অন্য মেয়েয়া আশীর্বাদ মনে করে। শশীর অবশ্য এটা নিয়ে খুব একটা চিন্তাও নেই।
ওর কথা শুনে ক্লিনিকের রিসিপশনের মেয়েটা পরিস্কার ভাবেই বলেছিল যে তাদের ডাক্তার কামাল মৃধা বাচ্চা ছাড়া আর কাউকেই দেখেন না। সর্বোচ্চ ১১ বছর। এর বেশি হলেই সে তাদের অন্য ডাক্তারদের কাছে রেফার করেন। শশী আরও কিছু সময় বসে ছিল। তবে কোন লাভ হয় নি। পরে খুব হতাশ হয়েছে এমন এক ভাব করে সে ফিরে এসেছে। কেন জানি মনের ভেতরের সন্দেহটা আরও বেশি করে নাড়া দিয়েছে।
আজকেও সে এই ক্লিনিকের সামনে এসে হাজির হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত এই ক্লিনিকটা খোলা থাকে। আজকে শশী এসেছিল ছয়টার সময়ই। আজকে সব মিলিয়ে মোট দুইজন রোগী এসেছিল। এই তিন ঘন্টার আর কোন রোগী আসে নি। যদিও এই বিল্ডিংয়ে আরও অনেকেই ঢুকেছে তবে বাচ্চা ছিল কেবল দুইজনের সাথে। সেই হিসাব করলে আজকের রোগীর সংখ্যা মাত্র দুই। গতদিন সে ক্লিনিকের ভেতরে প্রায় ঘন্টাখানেক বসে ছিল। এই পুরো সময়ে কোন রোগী আসে নি। রিসিপশনের মেয়েটা বসে বসে বই পড়ছিল। তার ভাব দেখলেই মনে হয়েছিল এখানে খুব একটা কাজ কর্ম নেই। খুব একটা রোগী আসে না।
বনানীর এই অভিজাত এলাকাতে এই ক্লিনিক। বেশ ভাল পরিমান টাকা পয়সা যায় এখানে ক্লিনিক চালাতে। সেখানে দিনে মাত্র দুই তিন রোগী দিয়ে কোন ভাবে পোষানোর কথা না। তাহলে? এর ভেতরে যে কিন্তু আছে সেটা শশীর বুঝতে কষ্ট হল না। কিন্তু কী সেই কিন্তু?
আরও মিনিট দশের পরেই ক্লিনিক থেকে রিসিপশনের মেয়েটা বের হয়ে এল। শশীর আজকে ইচ্ছে ছিল ডাক্তার কামাল মৃধার পিছু নেওয়া। তবে কেন জানি সে মেয়েটার পিছু নেওয়া শুরু করল। মেয়েটা ক্লিনিক থেকে বের হয়েই প্রথমে এদিক ওদিক তাকাল। শশী তখন সামনের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছে। তাকে আলাদা ভাবে চিনতে পারার কথা না। তারপরেই সে অন্য দিকে মুখটা ঘুরিয়ে ছিল।
মেয়েটা রিক্সা নিল। শশীও একটু পরে উঠে দাড়াল। বিল মিটিয়ে দিয়ে সেও একটা রিক্সায় উঠল। আধা ঘন্টা পরে মেয়েটা রিক্সা থেকে নেমে হাটতে শুরু করল। শশীও তার পিছু পিছু হাটতে শুরু করল। মেয়েটা দেখে মনে হচ্ছিল সে একেবারে নিশ্চিন্তেই হাটছে। মোবাইলের দিকে চোখে রেখে সে হাটছে। শশীও নিশ্চিত হয়েছিল যে এই মেয়েটার পিছু নিতে বেগ পেতে হবে না। তবে এখানে কিছুটা ভুল করল। দেয়ালের মোড় ঘুরতেই একেবারে মেয়েটার মুখোমুখি হয়ে দাড়াল। মেয়েটা বুজতে পেরেছে যে শশী ওর পিছু নিয়েছে।
মেয়েটা কিছুটা কঠিন গলায় বলল, আপনি কে? আমার পিছু নিয়েছেন কেন?
শশী যে এভাবে ধরা পড়ে যাবে সেটা হয়তো ভাবতেও পারে নি। তাই একটু সময়ের জন্য কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে গিয়েছিল। তবে নিজেকে সামলে নিল সাথে সাথেই। সে বলল, আপনি জানেন আমি কেন আপনার পিছু নিয়েছি।
-মানে? কী বলতে চাচ্ছেন? আমি কিছুই জানি না। দেখুন আমার পিছু নেওয়া বন্ধ করুন নয়তো আমি কিন্তু পুলিশ ডাকব।
শশী একটু হাসল। তারপর বলল, পুলিশকে তো ডাকতেই হবে। আপনি না ডাকলে আমিই ডাকব।
এই বলে সে নিজের মোবাইল বের করল। তারপর কিছুটা টেপাটেপি করে একটা ছবি বের করল। এই ছবিতে শশীর সাথে একজন পুলিশের পোশাক পরা ছেলের ছবি রয়েছে। সে মোবাইলের স্ক্রিনটা মেয়েটার দিকে তাক করল যাতে সে পরিস্কার দেখতে পারে। শশী বলল, এ হচ্ছে রাজিব। আমার মামাতো ভাই। এই বনানী থানার এসি। আমি আপনার সাথে কথা বলার পরে ওর কাছেই যাবো। অথবা আপনি চাইলে ওখানে ফোন করে আনতে পারি। আনব ?
-দেখুন আমি কিছু জানি না। আমি কিছু করি নি।
এবার শশী মেয়েটার গলায় একটা কাঁপন টের পেল। শশীর মুখে আবারও একটু হাসি ফুটে উঠল। তার সন্দেহ একেবারে ঠিক আছে। মেয়েটা অবশ্যই কিছু না কিছু জানেই। এবং এই ক্ষুধা ক্লিনিকের ভেতরে কোন না কোন সমস্যা আছেই। শশী বলল, আমি জানি আপনি কিছু করেন নি। তবে আপনি কিছু জানেন না এটা আমি বিশ্বাস করি না। আপনি আমার কাছে বলতে পারেন অথবা পুলিশের কাছে। সিদ্ধান্তটা আপনার।
এবার শশী দেখতে পেল মেয়েটার মুখের রং বদলে গেছে। শশীর মনে এই হচ্ছে সুযোগ। মেয়েটাকে এবার আরেকটু ভড়কে দিতে হবে। সে এক কদম এগিয়ে এসে বলল, গত ছয় মাসে সাতটা বাচ্চা মারা গেছে অদ্ভুত ভাবে। প্রতিটা বাচ্চার শরীর থেকে কেউ পুরো রক্ত শুষে নিয়েছে। এক ফোটা রক্তও তাদের দেহে ছিল না। এই সাতটা বাচ্চার মৃত্যু একেবারে একই ভাবে হয়েছে। এটা পরিস্কার যে একজন বা একই দল এই বাচ্চাগুলোকে মেরে ফেলেছে। এই বাচ্চাদের ভেতরে কোন কমন ব্যাপার নেই। তারা একই এলাকাতে থাকে না বা একই স্কুলের পড়ে না অথবা তাদের বাবা মায়েদের ভেতরেও কোন মিল নেই। কেউ কাউকে চেনেও না। কেবল একটা ব্যাপার ছাড়া? কোনটা জানেন?
শশী একটু নাটকীয়টা করল। মেয়েটা তার দিকে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে রয়েছে। শশী তাকে বেশ ভাল রকমেই অবাক করে দিতে পেরেছে। শশী নিজে প্রথমে কিভাবে ব্যাপারটা বুঝতে পারল সেটা নিজেও জানে না। প্রথম দুটো মৃত্যুর কথা যখন পত্রিকাতে প্রকাশিত হল তখন শশীর বেশ অবাক হয়েছিল। এই দেশে মানুষের মৃত্যু কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার না। বরং যেদিন পত্রিকাতে পাঁচ ছয়টা মৃত্যু সংবাদ ছাপা না হবে সেদিনই বরং একটা অস্বাভাবিক দিন মনে হবে। কিন্তু এই মৃত্যুর ঘটনাটা ছিলে একেবারে আলাদা। বাচ্চা ছেলেটার শরীর থেকে সব রক্ত কেউ শুষে নিয়েছে। ছেলে দুটো মারা গেছে রক্তের অভাবে। পত্রিকা থেকে জানা যায় যে মৃত্যুর আগের দিন ছেলেটা বাসা থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল। পরে তার মৃত দেহ পাওয়া যায় লেকের পাশে। কিন্তু যখন শশীর পাশের ফ্লাটের বাচ্চা ছেলেটা একই ভাবে মারা গেল তখন শশীর মনে তীব্র একটা কৌতুহল জন্মালো। সে ছেলেটার বড় বোনের সাথে তার পরিচয় ছিল। মৃত্যুর সপ্তাহে খানেক পরে শশী তার কাছ থেকে নানান কথা বার্তা জিজ্ঞেস করছিল। বিশেষ করে এই কদিনে ছেলেটার মাঝে কী পরিবর্তন এসেছে এইসব। তার বোন অনেক কথার মাঝে একটা জানিয়েছিল যে তার ভাইকে নিয়ে তারা অনেক খুশি ছিল কারণ আগে সে একদম খাওয়া দাওয়া করতে চাইতো না। সম্প্রতি এক ডাক্তারের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার পর থেকেই তার ভাই খুব খেতে শুরু করে।
শশীর মনে এই কথাটা কেন ট্রিগার করেছিল সেটা শশী নিজেও জানে না। কিন্তু তার কেবল মনে হল যে এই খানে কোন না কোন ব্যাপার আছে। সে নিজেই খোজ নিতে গেল। আগের বাচ্চাগুলোত বেলাতেও এই একই ঘটনা ঘটেছে কিনা। অর্থ্যাৎ তাদের আগে খাওয়াতে রুচি ছিল না আর হঠাৎ করেই রুচি ফিরে এসেছে কিনা! এই খোজ নিতে খুব বেশি বেগ পেতে হয় নি।
আজকে সে সেই ক্লিনিকের রিসিপসনিস্ট মেয়েটার সামনে দাঁড়িয়ে। মেয়েটা আবারও বলল, আমি কিছু জানি না। আমি কেবল জানি যে কামাল মৃধা স্বাভাবকি কেউ না।
-স্বাভাবিক কেউ না বলতে?
-দেখুন আমি নিজেও ওনার কাছ থেকে মুক্ত চাই কিন্তু আমার আর কোন উপায় নেই। আমি যদি ওনার কাছ থেকে চলে যেতে চাই তাহলে আমাকে উনি মেরে ফেলবেন। আমি বাধ্য হয়ে এখানে আছি।
-আরও খুলে বলুন।
-উনি একজন ভ্যাম্পায়ার। বেঁচে থাকার জন্য তার মানুষের রক্তের দরকার। তাই তিনি এই কাজগুলো করেন।
-বাচ্চাদের এভাবে কেন মেরে ফেলেন? ব্লাড ব্যাংক থেকে কিনে খেলেই তো হয়।
-ব্লাড ব্যাংকের রক্ত খাওয়া সম্ভব না। ভ্যাজাল এবং অস্বাস্থকর খাওয়া দাওয়ার কারনে এই পৃথিবীর মানুষের রক্তও দুষিত হয়ে গেছে। তার পক্ষে এই রক্ত খাওয়া সম্ভব না। এমন কি বাচ্চাদের রক্তও সরাসরি খাওয়া সম্ভব হয় না। আগে সেই রক্ত পরিস্কার করতে হয়?
-কিভাবে?
-যে বাচ্চাগুলো ক্লিনিকে আসে তাদেরকে কামাল মৃধা একটা সিরাপ খেতে দেন। এটা খেলে ক্ষুধা লাগে, তবে এটা মূলত রক্ত পরিস্কার করার টনিক। এটা খেলে বাচ্চাদের রক্ত একেবারে খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে।
-বড়দের কেন এই টনিক দেন না?
-বড়দের রক্ত এতো দূষিত যে সেটা আর টনিকে পরিস্কার হয় না। তাই বাচ্চাদের ।
-এই কারণেই বয়স এগারো হলে সে আর রোগী দেখে না?
-হ্যা?
-কতদিন ধরে এই কাজ চলছে?
-আমি ঠিক জানি না। তবে আমি এই বছর খানেক ধরে তার সাথে আছি। আমি তার কাছে চাকরি শুরু করি তারপর যখন আমি জেনে যাই তখন আমাকে সে ভয় দেখায়। আমি সাহস করতে পারি নি। আর …
-আর?
এই সময়েই শশী দেখল যে মেয়েটার চেহারার ভাব বদলে গেছে। যেন হঠাৎ করেই তার ভয়ের কারণ চলে গেছে। একটু আগে যে কারণে সে ভয় পাচ্ছিল সেই ভয়ের কারণটা আর নেই। ঠিক তখনই শশী অনুভব করল যে তার চারপাশের পরিবেশটা একটু যেন ভারী হয়ে গেছে। জায়গা যে আগে থেকেই নির্জন ছিল সেটা শশী খেয়াল করে নি। গলির ভেতরের একটা পথে সে আর মেয়েটি ছাড়া আর কেউ নেই।
না, আরও একজন আছে!
শশীর মনে কু ডেকে উঠল। সে সামনের মেয়েটির দিকে তাকিয়ে দেখল তার মুখে একটা কুটিল হাসি! তার মানে কি এই মেয়েটা এতো সময় তার সাথে অভিনয় করছিল?
সেটা ভাবার সময় সে আর পেল না। ভুতের মত কেউ যেন তার পেছনে এসে হাজির হল। তারপর তাকে জাপ্টে ধরল। শশী কেবল অনুভব করল পেছনে জাপ্টে ধরা মানুষটার শরীরে অমানুসিক শক্তি। সে নিজেকে কিছুতেই ছাড়াতে পারল না। অবশ্য খুব বেশি সময় তার চেতনাও রইলো না। একটা তীক্ষ্ণ সুচের মত কিছু তার কাধের কাছে এসে বিধল। শশীর পুরো শরীরটাই যেন দুলে উঠল। সব কিছু ঝাপসা হয়ে উঠল।
**
শশীর যখন জ্ঞান ফিরল তখন দেখল সে একটা বিছানাতে শুয়ে আছে। প্রথমে সে কিছুই মনে করতে পারছিল না যে তার সাথে কী হয়েছে তবে একটা সময়ে সব মনে পড়ল। দ্রুত বিছানা ছেড়ে সে উঠে বসল। নিজেকে সে পরীক্ষা করে দেখল। শারীরিক ভাবে একেবারেই সুস্থ আছে সে।
কখন যে দরজা খুলে রিসিপশনের সেই মেয়েটি এসে ঢুকেছে সেটা শশী খেয়াল করে নি। সেই মেয়েটি বলল, শারীরিক ভাবে অস্বাভাবিকতা অনুভব করবে না তুমি? তবে…।
শশী তীক্ষ্ণ স্বরে বলল, তবে?
-তবে এখন থেকে নির্দিষ্ট সময় পরপর ডাক্তার কামাল মৃধা যদি তোমার কাধে না দাত বসায় তাহলে তোমার অবস্থা খারাপ হবে। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাবে। আমিও ঠিক এইভাবে তার ফাঁদে পরেছি। আজ থেকে তুমিও। নিজের দরকারেই আমাদের তাকে রক্ষা করতে হবে।
শশী দ্রুত উঠে গেল বিছানা ছেড়ে। তার ফোনটা টেবিলের উপরেই রাখা ছিল। সেটা হাতে নিয়ে সে দরজা খুলে বের হতে যাবে তখন মেয়েটি আবারও বলল, আমি তোমার মোবাইলে আমার নম্বর সেভ করে দিয়েছি। রিমি নামে। আমি তোমাকে আসতে বাধ্য করব না। তবে তুমি নিজেই আসবে।
শশী আর কথা না বলে বের হয়ে গেল। তবে তার কেন জানি মনে হচ্ছে মেয়েটা সত্য বলছে। তার আর মুক্তি নেই। তাকে আবারও এই মেয়েটির কাছে আসতে হবে। নিজের দরকারেই আসতে হবে।

পরিশিষ্টি
ক্ষুধা ক্লিনিকে এখন দুইজন কাজ করে। শশী আর রিমি। পালা করে সপ্তাহে তিন দিন করে তারা সেখানে বসে। শুক্রবারটা ক্লিনিক বন্ধ থাকে।

ফেসবুকের অর্গানিক রিচ কমে যাওয়ার কারনে অনেক পোস্ট সবার হোম পেইজে যাচ্ছে না। সরাসরি গল্পের লিংক পেতে আমার হোয়াটসএপ বা টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। এছাড়া যাদের এসব নেই তারা ফেসবুক ব্রডকাস্ট চ্যানেলেও জয়েন হতে পারেন।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 3.7 / 5. Vote count: 19

No votes so far! Be the first to rate this post.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →