আওয়াজটা তন্বীর কানে গেল। বাইরে চিৎকার চেঁচামিচির আওয়াজ। তন্বী প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছিল । আয়নায় নিজেকে আরেকবার দেখল। আজকে কালো রংয়ের একটা জিন্স পরেছে। উপরে একটা কুর্তা চাপিয়েছে । সেটাও কালো রংয়ের । দিনের রোদের সময়ে এই কালো ড্রেস পরে বাইরে বের হওয়া মুসকিল । তবে রাতের বেলা বের হওয়া যায়। পায়ের স্নিকারটা পরেই বের হল নিজের ঘর থেকে । সোফার উপরেই কাঠের লাঠিটা রাখা। এটা আজকে বাবা নিয়ে এসেছে।
দরজা খুলতে খুলতে তন্বী বলল, মা আমি গেলাম !
ওর মা কিছু বলল না। তন্বী এখন এসব ভেবে খানিকটা অবাক হয় । দুইদিন আগেও ওর মা ওকে দিনের বেলাতেই ঘরের বাইরে যেতে দিচ্ছিল না । আর এখন রাত বাজে এগারোটা । সে নিচে যাচ্ছে । তন্বীর মা এতে কোন আপত্তি করছে না। তন্বী জানে কিছু সময়ে ওর মাও নিচে নেমে আসবে।
দেশে খুব বড় এক ঘটনা ঘটে গেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী ছাত্র জনতার দাবীর মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। সেই সাথে বলা চলে পুরো প্রশাসনিক প্রক্রিয়া থমকে গেছে। পুলিশ নেই মাঠে । এই সুযোগে কিছু সন্ত্রাসী আর পাতি মাস্তান রাতের বেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করার চেষ্টা করছে। তবে আশার কথা হচ্ছে এতে তারা খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারে নি ।
তন্বীর কাছে ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত মনে হয়েছে। প্রথমদিন ওরা বেশ ভয়েই ছিল। ওদের এপার্টমেন্ট বিল্ডিংটা বেশ নিরাপদই বলা যায় । ভেতর থেকে কেউ যদি গেট না খুলে দেয় তাহলে সেটা বাইরে থেকে কেউ সহজে খুলতে পারবে না । তবুও ভয়ের কারণ তো ছিল। এই রকম পরিস্থিতিতে ওরা আর আগে কোন দিন পড়ে নি। তবে পরের দিন রাতের বেলা হঠাৎ করেই চারিদিকের সব পরিস্থিতি একেবারে বদলে গেল ।
সেদিন বাইরে চিৎকার শুনেই তন্বী জানালা দিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখতে পেল একদল মানুষ হাতে লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। তন্বী প্রথমে ভেবেছিল এরাই বুঝি ডাকাত তবে একটু ভাল করে তাকাতেই খেয়াল করে দেখল দলটার ভেতরের দুইজনকে সে চেনে। সোমা আর তার ভাই সবুজ। সোমা ওর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। এক বছরের জুনিয়র। থাকে ওদের সামনের বিল্ডিংটাতে।
ব্যাপারটা বুঝতে একটু সময় লাগল । ডাকাত ধরার জন্য ওরা পাহারার জন্য বাইরে বের হয়ে এসেছে । একটু পরে দেখল কেবল ওরাই নয়, আরও অনেকেই নেমে এসেছে রাস্তায় । পরের দিন ব্যাপারটা রীতিমত যেন উৎসবে পরিণত হল । সবাই রাত হলেই নিচে নেমে আসে । হাতে লাঠি কিংবা অন্য যে কোন অস্ত্র থাকে । তারপর রাতভর পুরো মহল্লায় সবাই মিলে ঘোরা ফেরা করে । গ্রুপ গ্রুপ করে এদিক সেদিন আড্ডা দেয় । বাচ্চারা রাস্তায় ক্রিকেট বা ফুটবল খেলে । মেয়েরা একসাথে বসে গল্প করে, বয়স্করা চেয়ার কিংবা টুল নিয়ে এসে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে ।
এই মানুষগুলো দেখে তন্বী অবাক না হয়ে পারে না । এই কদিন আগেও অবস্থা এমন ছিল যে পাশের ফ্লাটে কে আছে না আছে সেটা নিয়ে ঢাকাবাসীর কোন চিন্তা ছিল না । আর এখন গলির শুরুর বাসায় কে থাকে তা গলির শেষ মাথার বাসিন্দাও জানে। ব্যাপারটা যে এভাবে বদলে যাবে সেটা ভাবলেও তন্বীর অবাক লাগে।
তন্বী রাস্তায় নেমে আসতেই দেখতে পেল আজকে অনেকেই চলে এসেছে। একদল রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজকে এখানে একটা পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে । বাচ্চারা যথারীতি হইচই শুরু করে দিয়েছে। তন্বী দেখতে পেল একদিকে কয়েকজন মিলে ক্রিকেট খেলা শুরু করে দিয়েছে। তন্বীর চোখ অবশ্য একজনকে খুজতে লাগল । এবং দেখতে পেল। একদম গলির মুখে ছেলেটা দাঁড়িয়ে রয়েছে। আজকে সাদা রংয়ের একটা টিশার্ট পরে আছে। আর লাল রংয়ের একটা থ্রি কোয়াটার । এক পায়ে হেলান দিয়ে মোবাইল টিপছে।
শোভনকে পাড়ার সবাই চেনে । বিশেষ করে মেয়েদের মাঝে সে বেশ জনপ্রিয়। এইচএসবিসিতে চাকরি করে। দেখতে শুনতেও বেশ, উচু লম্বা । পাড়ার সব মেয়েরাই তাকে নিয়ে নানান জল্পনা কল্পনা করে । এটা তন্বী নিজেও জানে। তন্বী নিজেও যে তাকে পছন্দ করে সেই কথা সে অস্বীকার করবে না। তবে অন্য মেয়েরা যেমন হ্যাঙ্গামো করে তন্বী তেমনটা করতে পারে না ।
তন্বীর সাথে শোভনের আর আগে কথা হয় নি। কিন্তু এই কদিনে বেশ কয়েকবারই কথা হয়েছে। সেদিন প্রথমবারের মত তন্বী নিচে নেমে এসেছিল। একটু সংকোচ কাজ করছিল। কী করবে বা কার সাথে কথা বলবে সেটা ঠিকমত বুঝে উঠতে পারছিল না । এদিক ওদিক ইতস্তর করে ঘুরে বেড়াচ্ছিল । এক সময়ে সোমা নিচে নেমে এল । ওর সাথে গল্প করতে লাগল । এমন সময়ই শোনা গেল যে পাশের হাউজিংয়ে নাকি ডাকাত দেখা গেছে । আর যায় কোথায় ! ছেলে মেয়েরা সবাই লাঠিসোটা নিয়ে সেদিকে দৌড় দিল চিৎকার করতে করতে । এমন কি সোমা নিজেও দৌড় দিল ওদের সাথে । দেখতে দেখতে গলিটা প্রায় ফাঁকা হয়ে গেল। কিছু বয়স্করা কেবল বসে রইলো ।
তন্বী তখন কী করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিল না। ঠিক সেই সময়েই অনুভব করল যে কেউ একজন ঠিক ওর পাশে এসে দাড়িয়েছে । ওর দিকে না তাকিয়েই সে বলল, সবাই গেল ডাকাত ধরতে, তুমি গেলে না?
তন্বী ডান পাশে ফিরল । এবং খানিকটা অবাক হয়েই খেয়াল করল যে কথাটা যে বলেছে সে হচ্ছে শোভন । আর এমন ভাবে সে কথাটা বলল যে তন্বীর মনে হল শোভন তাকে খুব ভাল করেই চেনে । ব্যাপারটা তন্বীকে বেশ অবাকই করল । তন্বী বলল, আপনিও যান নি?
-আমি রয়েছি কারণ ডাকাত যদি এই গলিতে হামলা করে তখন কে ঠেকাবে বল ? হতে এটা ডাকাতদের একটা স্ট্রেটেজি । ঐ হাউজিং হামলা করে তারা এই হাউজিংয়ে আসতে পারে। তখন এটাকে কে বাঁচাবে?
তন্বী বলল, আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি ব্যাংকার না ডাকাত দলের সর্দার ! আপনিই প্লান করেছেন আসলে!
তন্বীর কথা শুনে শোভন হেসে উঠল । তারপর বলল, ঠিকই বলেছো । হাহাহা !
বলা যায় তারপরের পুরোটা সময়ই তন্বীর সাথেই শোভন গল্প করেই কাটাল । এতো কথা তন্বী যে বলতে পারে সেটা তন্বীর জানা ছিল না। ভোর রাতের দিকে তন্বী যখন নিজের বাসায় আসল তখন মনের ভেতরে একটা অদ্ভুত আনন্দ কাজ করছিল । তারপর থেকে প্রতদিনই শোভনের সাথে ওর কথা হতেই লাগল। মাঝে মাঝে ওরা পাড়ার নানান গলির ভেতরে হাটতে যেত একা একা। বিশেষ করেই এই সময়ে সবাই মূলত যে কোন একটা গলিতেই বসে আড্ডা দিত । আর কিছু সময় পরপর কয়েকটা দল গিয়ে হাউজিংয়ের পুরো গলিতে চক্কর দিয়ে আসত যাতে করে অন্য গলিগুলোতে ডাকাতের কোন হামলা না হয়। আর এই ফাঁকে শোভন আর তন্বী একা একা নানান দিকে হাটতো । রাতের বেলা মানুষজন থাকে বলে চায়ের দোকান গুলোও খোলা থাকত । মাঝে মাঝে ওরা সেখানে গিয়ে চাও খেয়ে আসত ।
তন্বী আস্তে আস্তে শোভনের দিকে এগিয়ে গেল। একদম কাছে গিয়ে দাড়াতেই শোভন ওর দিকে না তাকিয়েই বলল, আজকে এতো দেরি কেন হল?
-দেরি কোথায়? এই সময়েই তো নামি?
-আজকে না পিকনিক করার কথা ! একটু আগে আগে নামবে না?
তন্বী কিছু বলতে গিয়েও বলল না । বিশেষ করে শোভন যে ওর জন্য অপেক্ষা করে ছিল এটা ভাবতেও ভাল লাগছে।
-চল ঐদিকটায় যাই?
-কোন দিকে?
শোভন হাত দিয়ে দেখাল । হাউজিংয়ের শেষ দিকেটা বেশ নির্জন । এদিকে বাড়িঘরও নেই বলতে গেলে । কিছু বাড়ি কেবল তৈরি হচ্ছে । তারপরেই হাউজিংয়ের দেয়াল। তন্বীর একবার মনে হল ঐদিকে না যায়। তবে শোভন যেহেতু সাথে রয়েছে তাই এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তার কারণ না । তন্বী কোন উত্তর না দিয়ে ঐদিকে হাটতে লাগল । হাটতে হাটতে ওরা একেবারে হাউজিংয়ের শেষ মাথায় চলে এল । এদিকে আসলেই কেউ থাকে না । একদম নির্জন হয়ে আছে। একটু আগে যেখানে ছিল সেখানেও লোকজনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল তবে এখন সেটা একদমই শোনা যাচ্ছে না । একদমই যেন নির্জন হয়ে গেছে।
তন্বীর মনে হল ওদের এখনও চলে যাওয়া উচিৎ । কিছু বলতে যাবে তার আগেই কয়েকটা কন্ঠস্বর শুনতে পেল । তন্বী কিছু বলতে যাবে তার আগেই শোভন একেবারে ওর পাশে চলে এল । হাত দিয়ে মুখটা আলতো করে চেয়ে ধরে কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, চুপ !
তারপর ওরা অতি ধীরে দেয়ালের কাছে চলে গেল। কান পাতল সেখানে। ভেতরে কয়েকজনের আওয়াজ ভেসে আসছে। তন্বী একটু চমকে গেলেও নিজেকে সামলে নিল, অনুভব করল ওর বুকের ভেতরটা খুব বেশি করে লাফাচ্ছে। ভয়ংকর কিছু শুনতে ওরা এবং একই সাথে শোভন ওর খুব কাছে চলে এসেছে। এতো কাছে সে ভাবতেও পারছে না।
তবে এখন তন্বীর মনযোগ ভেতরে হওয়া কথার দিকে । ওদের কাছ কথাগুলো আসছে। সম্ভবত ভেতরে চার কী পাঁচজন রয়েছে। তাদের পরিকল্পনাটা শুনে দুজনের বুকের ভেতরটা খানিকটা হিম হয়ে গেল । কারণ ওরা আজকেই হামলা করতে যাচ্ছে। প্রথম যেদিন শোভনের সাথে কথা হয়েছিল, সেদিন শোভন যেই কথাটা বলেছিল ঠিক সেই ভাবে।
শোভন খুব আস্তে ধীরে তন্বীকে নিয়ে আবার রাস্তায় নেমে এল। তারপর যত সম্ভবত নিঃশব্দে এগিয়ে গেল ওদের গলির দিকে। সেখানে গিয়েই কয়েকজন ছেলের আলোচনা শুরু করে দিল ।
ডাকাতদের পরিকল্পনা পুরোটা বলল শোভন। কেউ কেউ অবশ্য তখনই বলল যে ওদেরকে গিয়ে ধরতে । তবে শোভন বলল এটা করলে ওদের ধরা যাবে না । আমাদের হাতে কোন প্রমান নেই । বরং ওদের ধরতে হবে হাটেনাতে ।
ডাকাতদের প্লান খুব সহজ। তারা আজকে রাতে পাশের হাউজিংয়ে ডাকাত পড়েছে বলে হই তুলবে । যখন সবাই সেদিকে চলে যাবে তখন এখানে লুকিয়ে থাকা ডাকাতদের দল বের হবে । তারা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে যে কোন বাড়িতে হামলা করবে। তারপর দ্রুত যা পারে নিয়ে কেটে পড়বে।
পরিকল্পনা সাজানো হল । যখন পাশের হাউজিংয়ে ডাকাত হই তোলা হবে তখন সবাই ঠিকই যাবে সেই হাউজিংয়ে তবে তারা অপেক্ষা করবে সংকেতের । এদিকে বেশ কয়েকজন সেই বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে অপেক্ষা করবে। ডাকাতের দল বাসায় ঢোকার সাথে সাথে তারা নিচে নামা শুরু করবে । এবং কিছু মানুষ থাকবে আশে পাশের বিল্ডিংগুলোতে ।
এদিকে যেমন রান্না চলল এবং আলোচনা চলল আবার ঐ দিকে সবাই একটা উৎকন্ঠা নিয়েই অপেক্ষা করতে লাগল । তন্বী শোভনকে মানা করল ঐ বিল্ডিংয়ের ছাদে যেতে তবে শোভন শুনল না । বলল যে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই । ওরা অনেক জন আছে । কোন সমস্যা হবে না । তন্বী নিজের হাতের লাঠিটা দিল শোভনকে দিল। বলল, এটা নিন।
শোভন হেসে সেটা নিল/
সত্যি সত্যিই তিনটার দিকে পাশের হাউজিংয়ে ডাকাত এসেছে বলে শোনা গেল । তন্বীদের এখান থেকে অনেকেই সেদিকে দৌড়ে গেল । তন্বী নিজে অবশ্য গেল না । তার সব মনযোগ হাউজিং শেষ গলির দিকে । ঠিক মিনিট দশেক পরেই আরেকটা হইচই শোনা গেল । তন্বী তারপর দেখতে পেল আরেকটা দল এগিয়ে আসছে ।
ডাকাত ধরা পরেছে। মোট চারজন । এরা সবাই আগের রাজনৈতিক দলের চ্যালা ছিল । এরাই এখন সবস্থানে ডাকাতি করে বেড়াচ্ছে।
ডাকাত নিয়ে কিছু সময় রং তামাশা চলল। ভিডিও চলল । তারপর আর্মিকে ফোন দিয়ে ডাকাত ওদের হাতে তুলে দেওয়া হল।
তারপরেই শুরু হল রাতের খাওয়া । পিকনিকের রান্না সবাই বেশ মজা আর হৈহুল্লর করেই খেল। এমন মজার রাত যেন ওদের জীবনে আর আসেই নি ।
একেবারে ভোর রাতের দিকে সবাই ধীরে ধীরে নিজেদের ঘরে ফিরতে শুরু করল । তন্বী যখন বাসায় যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখনই শোভন ওকে আবার ডাক দিল । তন্বী বলল, আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম।
-কেন?
-যদি আপনার কিছু হয়ে যেত ! তখন ?
শোভন হাসল, কোন কথা না বলে ওকে নিয়ে আবারও সেই আগের জায়গা এসে হাজির হল । তারপর তন্বীকে তীব্র ভাবে বিস্মিত করে দিয়ে শোভন একেবারে ওর কাছে চল এল, ঠিক যেমন ভাবে আগের বার এসেছিল। তবে এইবার শোভন আর হাত দিয়ে তন্বীর মুখে ধরল না। বরং এবার শোভন নিজের ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরল তন্বীর দুটো ঠোঁট।
কত সময় ধরে খোলা রাস্তায় মাঝে দাঁড়িয়ে ওরা যে চুমু খেল তা ওরা দুজনের কেউ বলতে পারবে না । কিন্তু যখন তন্বী নিজেকে ছাড়িয়ে নিল তখন তীব্র একটা লজ্জাবোধ এসে ঝেকে বসল ওর উপরে । তন্বী একবারও তাকাতে পারল না শোভনের দিকে। দৌড় দিল। থামল একেবারে নিজের বাসার গিয়ে থামল । দরজা বন্ধ করে জোরে জোরে দম নিতে লাগল কেবল । এখনও ওর ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে কী হয়ে গেল !
তারপরের গল্পটা আমরা অনেকেই হয়তো অনুমান করতে পারি । তারপরের গল্প নিয়ে কোন গল্প লেখা যাবে। ডাকাত ধরার দিনগুলো প্রেমের গল্প আজকে এখানেই শেষ।