লকডাউনে অফিসে আসার কোন ইচ্ছে ছিল না। ইচ্ছে ছিল যে হোম অফিস করব তবে ম্যানেজার সাহেব বললেন যে অফিসে আসতেই হবে। আগামী পরশুদিন আমাদের একটা প্রোজেক্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। মোটামুটি আজকের ভেতরেই কাজ শেষ করতে হবে। আগামীকালটা রিভিউ টিমের জন্য রেখে দিতে হবে। পরশুদিন ফাইনাল সাবমিট। কিন্তু আমরা যে কাজ এখানে বসে করব তা আমরা বাসায় বসেই করতে পারতাম। কিন্তু ম্যানেজার সাহেবের সেটা পছন্দ হল না। তার বক্তব্য হচ্ছে আজকের মধ্যে কাজ শেষ করতেই হবে। আর আমরা যদি অফিসে না বসে এই কাজ করি তবে এই কাজ শেষ হবে না। কী আর করা অফিসে আসতেই হল। অফিসে আসতে অবশ্য কোন সমস্যা হল না। অন্যান্য দিনের তুলনায় বরং জলদিই চলে এলাম অফিসে।
কাজের চাপে আমাদের দম ফেলার সময় রইলো না। যখন সব কিছু শেষ হল তখন সন্ধ্যা পার হয়ে গেছে। আমি বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি তখনই ম্যানেজার সাহেব আমাকে ডাক দিলেন। একটু মেজাজ খারাপ হল। আজকে সারাদিন দম ফেলার সময় পাই নি। এখন যদি আবার কোন কাজ ধরিয়ে তবে মেজাজ খারাপ হবেই। রুমে গিয়ে হাজির হতেই দেখলাম ম্যানেজারের রুমে মিস ইরা বসে রয়েছে। মিস ইরা আর আমার ডিপার্টমেন্ট আলাদা। তাই আমরা কেবল একে অন্যের মুখ চিনি। এর বেশি কিছু না। আমি ঘরে ঢুকতেই ম্যানেজার সাহেব বললেন, ফয়সাল সাহেব, বাসায় যাচ্ছেন তো?
-জী স্যার।
-সব ফিমেল স্টাফদের আমি কারো না কারো সাথে পাঠাচ্ছি। ইরা আর আপনার বাসা একই পথে। ওকে একটু নামিয়ে দিবেন প্লিজ।
-হ্যা, কোন সমস্যা নেই।
ইরা তখন ম্যানেজার সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলল, স্যার এদিকে আসলে কোন ঝামেলা হয় না। খামোখা ফয়সাল সাহেবকে ঝামেলায় ফেলার দরকার নেই।
ম্যানেজার সাহেব একটু ধমক দিয়ে বলল, এতো বুঝতে হবে না। বিপদ আপদের কি ঠিকানা আছে। যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় তখন? এক দিকেই তো বাসা, একটা দিন এক সাথে গেলে সমস্যা কী শুনি?
আমি মনে মনে বললাম, বাহ এতো যখন আমাদের সেফটির কথা ভাবছেন তা ছুটি দিলে কী হত শুনি?
ম্যানেজার সাহেব বললেন, কিছু বললেন নাকি ফয়সাল?
-আমি? কই না তো স্যার।
তারপর ইরার দিকে তাকিয়ে বললাম, চলুন যাওয়া যাক তাহলে!
ইরা আর কোন কথা বলল না। চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে আমার সাথে হাটতে লাগল। লিফটে উঠেই ইরা বলল, আমাদের সেফটি নিয়ে এতোই যখন কনসার্ন তখন ছুটি দিলেই পারত! আজকে তো আমার আসার দরজারই ছিল না।
আমি একটু চমৎকৃত হলাম, কারণ আমার আর ইরার চিন্তা একেবারে মিলে গেল।
-ছুটি! আপনি যদি ম্যানেজার স্যারকে বলেন যে স্যার আপনার কলিজাটা একটু কেটে দেন, খাই সেটাতেও স্যার রাজি হয়ে যাবে। কিন্তু ছুটি দিবে না।
আমি এমন ভাবে কথাটা বললাম যে ইরা হাসিতে ফেটে পড়ল। লিফট থেকে বের হতে হতে পরিবেশ একেবারে হালকা হয়ে গেল।
বাইরের পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক মনে হল। চারিদিক রিক্সা গাড়ির অভাব নেই। সকালে আসার দিকে একটু কম ছিল। সবার মনেই একটু ভয় ছিল যে কি না হয়। তবে যখন সবাই দেখেছে যে কিছুই হয় নি তখন সবাই বের হয়ে এসেছে। আমি বললাম রিক্সা নেই। সিএনজি ঠিক আমার ভাল লাগে না। খাঁচার ভেতরে দম বন্ধ ভাব লাগে।
দেখলাম ইরার কোন আপত্তি ছিল না। সে আমার সাথে রিক্সায় উঠে বসল। টুকটাক কথা বলতে বলতে আমরা বাসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। আমি মনে করেছিলাম যে ইরা সম্ভবত আমার সাথে রিক্সায় চড়তে আর কথা বলতে অস্বস্তিবোধ করবে তবে অবাক হয়েই খেয়াল করলাম যে ইরা আমার সাথে বেশ স্বাভাবিক ভাবেই কথা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজের কথা যেমন বলছে তেমনি আমার কথাও জানতে চাইছে।
আমাদের রিক্সা যখন পনের নম্বরের কাছাকাছি এসে হাজির হল তখনই ঘটনাটা ঘটল। কোথা থেকে কয়েকজন মাস্ক পরা ছেলে এসে হাজির হল রাস্তায় উপর। তারপর পকেট থেকে কিছু একটা বের করেই রাস্তায় ছুড়ে মারল। কয়েক মুহুর্ত পরেই সেগুলো বিকট শব্দে করে ফাটল। ককটেল।
পুরো ঘটনা ঘটতে খুব বেশি ত্রিশ সেকেন্ডের কম সময় লাগল। ইরা এতোটাই চমকে উঠল সে রিক্সার ভেতরেই আমা্র একটা হাত শক্ত করে ধরে চিৎকার করে উঠল। চারিদিকে আরও অনেকেই চিৎকার করে উঠল। আমি চমকে গেলেও সামলে নিলাম সাথে সাথে। সাথে সাথেই দেখতে পেলাম যে সামনে পুরো এলাকাটা ধোয়ায় ভরে গেছে।
আমার সাথে এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। বেশ কয়েকবারই আমি আমার সামনে ককটেল ফাঁটতে দেখেছি। তাই এটা জানি যে যারা ককটেল ফাঁটায় তারা মূলত ভীতু টাইপের হয়। এদের কাজই হচ্ছে দুই তিনটা ককটেল মেরেই খেঁচে দৌড় দেওয়া। তাই সেই প্রথম দুই তিনটা ককটেল যদি আপনার গায়ে না লাগে তবে চিন্তার আর কোন কারণ নেই।
এখানেই তাই হয়েছে। ককটেল ফাঁটিয়েই ওরা দৌড় দিয়েছে। আমি ইরার কাধে হাত দিয়ে বললাম, ভয় পাবেন না, ওরা পালিয়েছে।
তবুও ইরার শান্ত হতে আরো মিনিটখানিক সময় লাগল। ততক্ষণে আমাদের রিক্সা চলতে শুরু করেছে। ইরা আমাকে ছেড়ে দিয়ে শান্ত হয়ে বসল। আমি বলল, ককটেল আসলে এভাবেই ফাঁটে। যদি আপনার গায়ে না পরে তবে কোন ভয় নেই। এরা দুই থেকে দুই তিনটা ছুড়ে দিয়েই দৌড় দেয়। এদের লক্ষ্য থাকে মানুষকে ভয় দেখানো আর কিছু না।
ইরা আমার দিকে তাকিয়ে বলল, যদি গায়ে লাগত?
ককটেল যদি সরাসরি শরীরে পড়ে তবে অবশ্য বেশ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমি ইরাকে অভয় দেওয়ার জন্য বললাম, গায়ে যখন পড়ে নি তাই এখন আর ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। আপনি দেখি এখনও ভয় পাচ্ছেন। এই মামা রিক্সা থামান দেখি।
রিক্সা থেকে নামতে নামতে আমি বললাম, আপনাকে এখানকার বিখ্যাত হালিম খাওয়াই। আসুন। হালিম খেলে মন থেকে ভয় দূর হয়ে যাবে।
ইরা আমার কথার আগা মাথা না বুঝতে পেরে বলল, হালিমের সাথে ভয় দূর হওয়ার সম্পর্ক কী?
-আরে কোন সম্পর্ক নেই। তবে হালিমটা এতো চমৎকার খেতে যে অন্য কিছু আর আপনার মনেই থাকবে না।
ইরা আমার কথা ঠিক বিশ্বাস করল না তবে রিক্সা থেকে নেমে এল। আমি ওকে নিয়ে মামা হালিমের দোকানে ঢুকলাম। ভেবেছিলাম আজকে লকডাউনের কারণে বুঝি মানুষজন থাকবে না কিন্তু কোথায় কী! ভেতরটা বেশ ভীড় হয়েই আছে। কিছু সময় দাড়িয়ে থেকে তারপর বসার জায়গা পেলাম।
তবে হালিম মুখে দেওয়ার পর দেখলাম ইরার মুখের ভাব বদলে গেল। আমার দিকে তাকিয়ে বলল, এই রাস্তা দিয়ে আমি প্রতিদিনই যাই কিন্তু এখানে এতো চমৎকার হালিম পাওয়া যায় জানতাম না তো!
আমি বললাম, আমার সাথে যদি আগে আসতেন তবে আরও আগেই খাওয়াতাম। এই রাস্তায় আরও অনেক কিছু আছে খাওয়ার মত।
হালিম শেষ করে টংয়ের দোকান থেকে চা খেলাম। তারপর আবারও রিক্সা নিয়ে রওয়ানা দিলাম। ইরা যদিও বলছিল যেন আমি আমার বাসায় আগে নেমে যাই তবে আমি সেটাতে রাজি হলাম না। আমার বাসা পার হয়ে তারপর ইরাদের বাসা। আমাদের আবার ফিরে আসতে হবে এই পথে। আমার অবশ্য সেটাতে কোন সমস্যা ছিল না। ইরাকে একেবারে বাসায় নামিয়ে দিয়েই আমি নিজের বাসায় ফিরে এলাম।
রাতের বেলা যখন আমি শুয়ে শুয়ে পুরো ব্যাপারটা ভাবছিলাম তখন খুব একটা খারাপ লাগছিল না। বিশেষ করে ঐভাবে ইরা যখন ভয়ে পেয়ে আমার কাছে চলে এসেছিল তখন বুকের ভেতরে একটা অন্য রকম অনুভূতি হয়েছিল। আমি সেই অনুভূতির ব্যাখ্যা দিতে পারব না।
পরের দিন থেকেই আমাদের সম্পর্কের উন্নতি ছিল। অফিসের পর প্রতিদিনই আমরা একই সাথে বাসায় ফিরতে লাগলাম। অফিসের পথে মাঝে মাঝে শিল্পকলায় হাজির হতাম নাটক দেখতে নয়তো বাতিঘরে যেতাম বই কিনতে। মাঝে মাঝে ভাল কোন রেস্টুরেন্টে ডিনারে হাজির হতাম। সম্পর্কটা আপনি থেকে তুমিতে নামতেও সময় লাগল না। কিন্তু সম্পর্কে চুড়ান্ত রূপ নিল আরও মাস দুয়েক পরে। দেশের পরিস্থিতি মাঝে মাঝেই খারাপ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে হরতাল অবরোধ ডাকে নিষিদ্ধ দল। যদিও সেই ডাকে কোন সাড়া পড়ে না তবে ফাঁক ফোঁকর দিয়ে এসে ককটেল ফুটিয়ে ওরা পালিয়ে যায়। সেদিন অফিসের পরে আমরা গিয়েছিলাম নিউমার্কেটে। ইরার কিছু জিনিস পত্র কেনার দরকার ছিল। আমি ওর পাশে পাশে ঘুরছিলাম। মার্কেট থেকে জিনিস কেনার পরে ইরা এবার নীলক্ষেতের দিকে হাটা দিল। কয়েকটা পুরানো বই কেনা দরকার।
আমরা যখন নীলক্ষেত মোড়ের কাছে পৌছালাম ঠিক সেই সময়ে কান্ডটা ঘটল। প্রথম ককটেলটা ফুটল ঠিক আমাদের সামনে। আমরা দুজনেই চমকে উঠলাম। ইরা এক লাফে আমার দিকে এগিয়ে এসে আমাকে এক প্রকার জড়িয়ে ধরল। তারপরই আমি দেখতে পেলাম আরেক মুখে মাস্ক পরা ছেলে আমাদের দিকে আরেকটা কিছু ছুড়ে দিল। আমি সেটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। আমাদের দিকে সেই জিনিসটা এগিয়ে আসছে। আমি যেন স্লো মোশনে সেটা দেখতে পাচ্ছিল। সেটা মোটামুটি আমাদের শরীরে এসে লাগবে কোন সন্দেহ নেই। বিশেষ করে ইরার শরীরে। আমার কী হল সেটা আমি নিজেও জানি না। আমি এই অল্প একটু সময়ের মধ্যেই ইরাকে এক পাশে শরীরে দিলাম। নিজের শরীর দিয়েই ওর শরীরটা আড়াল করে দিলাম। যাতে যখন ককটেলটা ফাঁটে তখন ওর গায়ে আঘাত না লাগে।
ককটেলটা ফাঁটল আমাদের থেকে মাত্র হাত দুয়েক দূরে। আওয়াজ এতো তীব্র যে কানে তালা লাগে যায়। তারপরই আমি অনুভব করলাম যে আমার পায়ে কিছু একটা এসে লেগেছে এবং তীব্র ব্যাথা শুরু হয়েছে। চারিদিকে ধোয়ায় ছেয়ে গেছে।
আমি ইরার দিকে তাকিয়ে বললাম, তুমি ঠিক আছো?
ইরা কোন মতে মাথা ঝাকাল। সে খুব ভয় পেয়েছে। তবে আমার পায়ের দিকে তাকিয়ে তার চোখ বড় বড় হয়ে গেল।
-তোমার পা !
আমার চোখ গেল সেদিকে। আমার প্যান্টের কিছু অংশ ছিদ্র হয়ে গেছে আর সেখান থেকে রক্ত পড়ছে। আমি জ্বালাপোড়ার ব্যাথাটা আরও ভাল করেই টের পেলাম। পায়ে ভর দিয়ে হাটতে গিয়ে বুঝতে পারলাম যে বেশ ব্যাথা করছে। দেখলাম আরও অনেকেই আমাদের দিকে এগিয়ে এল। ইরা নিজের ওড়নার কিছু অংশ ছিড়ে আমার ক্ষত অংশে বেঁধে দিল। দেখলাম লোকজনই একটা রিক্সা ডেকে দিল। দ্রুত রিক্সাতে উঠে আমরা ঢাকা মেডিকেলের দিকে রওয়ানা দিলাম।
আবার যখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলাম তখন আমার পায়ে একটা বড় মাপের ব্যান্ডেজ বাঁধা। এই পুরো সময়ে আমি ইরাকে দেখছিলাম কেমন ছলছল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। যে কোন সময়ে কেঁদে দিবে এমন একটা ভাব। যখন ফিরতি পথে সিএনজিতে উঠলাম তখন ইরা বলল, আমার জন্যই তোমার এমনটা হল?
-তোমার জন্য বলতে, ককটেল মারল তো ঐ বদমাইশটা!
-আজকে আমিই তো তোমাকে নিউমার্কেটে নিয়ে গেলাম!
-আরে কী সব বাজে বকছো!
-আর আমি দেখেছি তুমি কিভাবে আমাকে আড়াল করে নিজের উপরে নিলে আঘাতটা ! যদি তোমার কিছু হয়ে যেত!
-আরে কিছু হয় নি তো। তোমাকে আমি না বললাম যে সামান্য ব্যাপার । শরীরে লাগলেও বড় কিছু হয় না। আর এসব দেশী জিনিস। ভেজাল জিনিস দিয়ে তৈরি।
আমার পায়ের দিকে তাকিয়ে ইরা বলল, বলেছে তোমাকে!
তারপর টুপ করে ওর চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। আমি বলল, আরে বোকা মেয়ে এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে কান্নার কিছু আছে নাকি! একবার ভাব দেখি এই আঘাতটা তোমার গায়ে এসে লাগত তাহলে কী হত! আমি নিজেকে কোন দিন ক্ষমা করতে পারতাম? আমি থাকতে তোমার কোন ক্ষতি আমি হতে দিব না কোন দিন!
ইরা আমার চোখের দিকে একভাবে তাকিয়ে রইলো। একটু আগে বলা কথাগুলো তাকে যে নাড়া দিয়েছে সেই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
এবার দেখলাম ইরা আমার দিকে আরেকটু এগিয়ে এসে আমার ঠোটে একটা চুমু খেয়ে ফেলল। আমি বললাম, আরে দেখেছো আমার পায়ের ব্যাথা একদম চলে গেছে। এই কাজটা আরেকটু আগে করলে আর কোন ব্যাথাই থাকত না।
-বলেছে। ফাজিল কোথাকার! আর কোন দিন এমন কিছু করবো না বলে দিলাম।
-অবশ্যই করবো। যতবার তোমার দিকে কোনো বিপদ আসবে আমি ততবার এই একই কাজ করব।
ইরার চোখ দিয়ে দেখলাম আবারও সেইপানি গড়িয়ে পড়ল। তবে এই অশ্রু আমার কাছে আনন্দের অশ্রু মনে মনে হল। প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার অশ্রু। ভালোবাসার অশ্রু। আর এদিকে আমি সেই ককটেল ছোড়া বদমাইশটাকে একটা ধন্যবাদ দিলাম মনে মনে। বেটার কারণেই ইরা নিজ থেকে আমার এতো কাছে চলে এল।
ককটেলে ভালোবাসা হলে মন্দ কী!

