জান্তব (শেষ পর্ব)

জান্তব
4.4
(20)

পরের দুইতিন তৃষার সাথে একই রকম ঘটনা ঘটার পরেই তৃষা এই ব্যাপারটা বুঝতে পারল যে ঘুমের ঔষধ খাবারের সাথে মেশানো নয় । সেটা পানির সাথে মেশানো । তবে সব থেকে অবার করার ব্যাপার হচ্ছে প্রতিদিন রাতেই তৃষার ঘুম ঠিকই সেই একই সময়ে ভেঙ্গে যাচ্ছিল তবে পুরোপুরি না। তন্দ্রা ছুটে যাচ্ছিল তবে পুরোপুরি জেগে উঠছিল না । সম্ভবত তৃষার রাতে ঘুম না আসার কারণে এমনটা হচ্ছিল। প্রতি রাতেই সে অনুভব করছিল সেই আওয়াজটা। বড় কোন পাখি যেন ডানা ঝাপটায় । কিছু একটা থপ করে নেমে আসে নিচে ।
ব্যাপারটা নিয়ে সে অপুর সাথে আলোচনা করেছে । অপু নিজেও ব্যাপার নিয়ে খানিকটা নিয়ে চিন্তিত । সে পুরো রাত এই নিরাময়ের উপরে নজর রেখেছ । কিছু আসতে দেখে নি। এবং কাউকে ট্রলারে করেও আসতে আসতে দেখে নি। এই কথা শুনে তৃষার মনে আরেকটা ব্যাপার নিয়ে সন্দেহ জাগল । অপু ওকে নিশ্চিত ভাবেই বলেছে রাতে সে কাউকেই এখানে আসতে দেখে নি । এবং এই ব্যাপারে সে শতভাগ নিশ্চিত । তাহলে প্রতিদিন রাতে যে দ্বীন মোহাম্মাদ এখানে আসে তাহলে সে কোথা থেকে আসে? কিভাবে আসে?
তৃষাকে আজকে দেখতে হবেই ?
রাত নয়টার ভেতরেই খাবার চলে এল ঘরে । সাথে জগভর্তি পানি । তৃষা পানির জগের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছু সময়। আজকে ঐ পানি খাওয়া যাবে না মোটেও । আজকে ওকে জেগে থাকতে হবে । আজকে দেখতে হবে ওটা আসলে কিসের আওয়াজ !
আরেকটা ব্যাপার নিয়ে তৃষা বেশ চিন্তিত । তৃষার বাবা এখন সারা দিন ঘুমাচ্ছে । দিনে যতবার যে বাবার সাথে দেখা করতে গেছে ততবারই সে বিছানাতে ঘুমিয়ে রয়েছে । ডাক দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে, চোখে মেলে তাকাচ্ছে তবে তার ঘুম ভাঙ্গছে না । তৃষার মনে হচ্ছে যেন সে ঘোরের ভেতরে রয়েছে । কথা বলেও যেন বলছে না । এটা মোটেও ভাল লাগছে না তৃষার । বারবার মনে হচ্ছে এখান থেকে চলে যেতে আবার বাবাকে সুস্থ করার একটা সম্ভবনাকে সে এভাবে হেলাতে হারাতে চাচ্ছে না ।

তৃষা অপেক্ষা করতে লাগল । আজকে সে সেই তীব্র ঘুমের ভাবটা অনুভব করল না । তবে একটু যেন তন্দ্রার মত ঠিক এল । হালকা ঘুমের একটা ভাব চলে এল । কত সময় ধরে সে এমন ভাবে ঝিমিয়েছে সেটা সে বলতে পারবে না । ঘুমটা ভাঙ্গল প্রতিদিনের মত করেই । বড় কোন ডানা ঝাপ্টানোর আওয়াজ শুনেই । সাথে সাথে তৃষা উঠে বসল। ঘুমের ভাবটা কেটে গেল সাথে সাথেই। চট জলদি তৈরি হয়ে নিল সে। ব্যাগের ভেতর থেকে ছোট রিভালবারটা পকেটে নিল । পরে সেই এয়ারবার্টসটা কানে দিল । মৃদু স্বরে বলল, অপু শুনতে পাচ্ছো?
ওপাশ থেকে সাথে সাথেই শোনা গেল, হ্যা ।
-আমি নিচে যাচ্ছি।
-সাবধানে! আমি আছি খুব কাছেই। একটু পরেই গেটের কাছে পৌছে যাব।
-আচ্ছা ।

এয়ারবার্টসটা খুলে রাখল নিজের পকেটে। একবার ভেবেছিল যে কানেই রাখবে তবে সেটা খুলে পড়ে যেতে পারে । পকেটে থাকলে পরে দরকার মত আবার অপুর সাথে যোগাযোগ করা যাবে। তৃষা লম্বা করে একটা দম নিল ।
তারপর দরজা খুলে বের হয়ে এল ঘর থেকে । এখনো সেই ডানা ছাপটানোর আওয়াজ কানে আসছে । কিছু একটা পুরো বিল্ডিংয়ের উপরে যেন উড়ে বেড়াচ্ছে।
চারিদিকে চাদের আলো আপছায়া আলো । সব কিছু বেশ ভাল ভাবেই দেখতে পাচ্ছে তৃষা । পকেটে একটা টর্চ রয়েছে । তবে সেটা জ্বালাল না ।
তৃষা সিড়ি নিচে নেমে এল নিচে । ধীর পায়ে । তখনই শুনতে পেল সেই থপ করে নামার আওয়াজ শুনতে পেল । সেটা নেমেছে ওর বাবা যে বিল্ডিং এ আছে সেখানেই ।
তৃষা দ্রুত পা চালাল । কিন্তু একতলা বিল্ডিংটার ভেতরে সে প্রবেশ করতে পারল না । কারন সেটার গেটে তালা দেওয়া ।
এটা যে তালা দেওয়া থাকতে পারে –সেটা আগে থেকেই ভাবার দরকার ছিল। এখন উপায়?
ঠিক সেই সময়ে তৃষার মনে হল কেউ ওর পেছনে এসে দাড়িয়েছে ।
-আপনি এখানে কী করছেন?
কবীর শেখের কঠিন কন্ঠটা তৃষার কানে এল । ঘুরে না দাড়িয়েই তৃষা বলল, আমাকে ভেতরে যেতে হবে?
-এখন কেউ ভেতরে যাবে না । এখান থেকে আমাদের চলে যেতে হবে। ডাক্তার দ্বীন মোহাম্মাদ ভেতরে ঢুকেছেন। বাইরে বের হওয়ার সময়ে আমাদের এখানে থাকা চলবে না ।
-আমি ভেতরে যাব। আপনি দরজার তালা খুলে দিবেন ।
-এটা হবে না ।
তৃষা এবার ফিরে তাকাল কবীর শেখের দিকে। তারপর পকেট থেকে পিস্তলটা তাক করল কবীর শেখের দিকে ।
-দরজা খুলুন
-আমি কোন ভাবেই দরজা খুলব না । এখন দরজা খোলা মানে হচ্ছে নিজের বিপদ ডেকে আনা !
-আপনি এমন একজন বিপদজনক মানুষের কাছে আবার বাবাকে ঠেলে দিয়েছেন যার সামনে আপনি নিজে যেতে পারছেন না! আপনি এখনই দরজা খুলবেন । এখনই !
-না ! আর আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই । আমি জানি আপনি গুলি চালাতে পারবেন না ।
এই কথা বলার সাথে সাথে তৃষা গুলি চালাল এবং কবীর শেখের ঠিক কানের পাশ দিয়ে বের হয়ে গেল গুলিটা ।
তৃষা বলল, ভাববেন না যে মিস করেছি। পরের গুলিটা সরাসরি যাবে আপনার বুকে । দরজা খুলুন ।
তৃষা যে গুলি চালাবে এটা সম্ভবত কবীর শেখ ভাবতেও পারে নি। এবার তার কন্ঠে খানিকটা অনুন্য শোনা গেল । সে বলল, প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা করুন ।
-দরজা খুলবে নাকি এবার সরাসরি গুলি চালাব?

তৃষা দেখতে পেল কবীর শেখ ধীর পায়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেল । তারপর তালার চাবি ঢোকাল । তবে সেটা পুরোপুরি খুলে দিল না । তৃষ দেখল এবার কবীর শেখ দ্রুত দুই তলা বিল্ডিংয়ের দিকে দৌড়ে চলে গেল । আরও ভাল করে বললে দৌড়ে পালাল । তার মানে ভেতরে যে আছে সেটাকে কবীর শেখ সত্যি ভয় পাচ্ছে । আর তৃষা এবার নিজের ভেতরেই একটা তাগাদা অনুভব করল । ওকে এখনই ওর বাবার কাছে যেতে হবে ।
গেট খুলে তৃষা দ্রুত এগিয়ে চলল। বাবার কেবিনের সামনে এসে তৃষা থামল একটু। বড় করে একটা দম নিল।
এক ধাক্কায় দরজার খুলে ফেলল ।
ঘরে মৃদু আলো জ্বলছে । আলোটা আসছে বিছানার পাশে রাখা ছোট টেবিলের উপরে রাখা লন্ঠন থেকে। সেই আলোতেই তৃষা সম্ভবত নিজের জীবনের সব থেকে অদ্ভুত দৃশ্যটা দেখতে পেল !

তৃষার বাবা নিজের খাটের উপর শুয়ে রয়েছে । তার চোখ বন্ধ। ঠিক তার উপরে একটা অদ্ভুত পাখি জাতীয় প্রাণী। বড় ঈগল পাখির মত তার শরীর । আকারে একজন মানুষের মত বড়। সব কিছু পাখির মত হলেও তার মুখটা পাখির মত নয় । সেটা একজন মানুষের মাথা । আর মাথাটা ঠিক তৃষার বাবার মুখের উপরে । মুখ দিয়ে সেটা যেন তৃষার বাবাকে কিছু করছে ।
তৃষার মনের ভেতরে অদ্ভুত এক ভয় এসে জমা হল। সেই সাথে একটা তীব্র রাগ !
তৃষা আর কিছু না ভেবে সোজা গুলি চালাল ।
গুলিটা লাগল প্রাণীটার শরীরে । ছিটকে গেল সেটা । সেই সাথে তীব্র একটা চিৎকার ভেসে এল । তৃষা আবারও গুলি চালাল । পরপর চারটা !
তৃষার কিছু দেখার দরকার পড়ল না । সে নিজের বাবার কাছে গিয়ে হাজির হল । তাকে ডেকে তুলল । তবে তার কোন হুস হল না । সে যেন ঘোরের ভেতরে রয়েছে । তবে তৃষা নিজের সর্বশক্তি দিয়ে বাবাকে টেনে তোলার চেষ্টা করল।
-বাবা ওঠো ! বাবা ওঠো !
তৃষার চোখে গেল সেই অদ্ভুত প্রাণীটার দিকে । সেটা এবার উঠে দাঁড়াবে । তার চোখে তীব্র একটা রাগ । জলন্ত চোখে সে তৃষার দিকে তাকিয়ে রয়েছে । এবারই সেটা উঠে দাঁড়াবে !
তবে সেটা দাড়াতে পারল না । কারণ আরেকটা গুলি এসে লাগল তার শরীরে । ছোট ঘরে গুলির আওয়াজ হল তীব্র !
গুলিটা এসেছে দরজার কাছ থেকে । অপু একটা শর্টগান নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ও !
তৃষার মাথায় প্রথম যে প্রশ্নটা এল সেটা হচ্ছে, অপু এখানে কিভাবে এল ? দেওয়াল টপকে?
নাকি দরজা খুলে?
সদর দরজা দিনের বেলা খোলা থাকলেও রাতের বেলা সম্ভবত তালা মেরে রাখা হয় ! এসব ভাবার সময় নেই এখন! এখন এখান থেকে ওদের বের হতে হবে। ঐতো প্রাণীটা আবারও উঠে দাড়াচ্ছে। অপুর শর্টগান আরেকবার গর্জে উঠল । তৃষা দেখল সেটার ধাক্কায় আরেকবার পাখির মত প্রাণীটা ছিটকে গেল দেয়ালের দিকে। অপু এবার নিজেই এগিয়ে এল । তারপর তৃষাকে সাহায্য করল ওর বাবা নিয়ে যেতে !

ওরা বোট পর্যন্ত যে কিভাবে সেটা ওরা নিজেরাও জানে না । তৃষার বারবার কেবল মনে হচ্ছিল যেন এখনই পেছন থেকে সেই প্রাণীটা উড়ে চলে আসবে । ওদের কাউকে ধরে নিয়ে যাবে তবে তেমন কিছু হল না । বোটে ওঠা মাত্র বোট ছেড়ে দেওয়া হল ।
বোট পূর্ণ বেগে চলল কাছের বাজারের দিকে । এখন এই রাতের বেলা মাঝ হাওরের ভেতরে যাওয়ার কোন মানে হয় না । বাজারে পৌছাতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লাগল তবে তৃষার এ পুরো সময় ধরে মনে হল যে কিছু একতা ওদের মাথার উপরেই যেন ঘোরা ফেরা করছে।
যখন বাজারের ঘাটে পৌছালো তখন ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করার একটু ফুরসৎ পেল । তবে তখনও তৃষার যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না যে ও নিজের চোখে কী দেখেছে । কেবল তো তৃষা নিজে একা দেখে নি । অপুও দেখেছে ।
অদ্ভুত পাখির মত প্রাণী । তবে মানুষের মাথাওয়ালা । এমন প্রাণী সে কোন পৌরানিক কাহিনীতে পড়ে থাকতে পারে । বাস্তবে কি এমন কিছু থাকে নাকি থাকতে পারে?
কিন্তু দুজন মানুষ কিভাবে একই সাথে কিভাবে ভুল দেখতে পারে?
সকাল বেলা বাজারের মানুষ যখন জানতে পারল যে ওরা ঐ ক্লিনিক থেকে এসেছে তখন ওরাও বলল যে মাঝে মাঝেই ওখান থেকে নাকি অদ্ভুত কিছু একটা উড়ে যেতে দেখেছে । বাজার এবং এই এলাকার সবাই তাই ঐ ছোট দ্বিপটাকে একেবারে এড়িয়ে চলে ।

ফেরার পথে তৃষা নিরাময়ে গিয়ে আবার হাজির হল । অবাক হয়্যে দেখল গেটটা খোলা । অপু খোলা শর্টগান নিয়েই ভেতরে ঢুকল । তৃষা কবীর শেখের সাথে কথা বলতে চাইছিল । কিন্তু অবাক হয়ে খেয়াল করল যে ভেতরে কেউ নেই । তৃষা জানে যে কেবল একজনই থাকে এখানে । তবে আজকে ঢুকে মনে হচ্ছে যেন কেউ নেই । কবীর শেখ পালিয়েছে কোন কারণে ।
নিজেদের ব্যাগগুলো নিয়ে নিল। বাবার কেবিনের ভেতরেও ঢুকল ওরা । টেবিল চেয়ার আর বিছানা সব তেমন ভাবেই পরে আছে । তবে গতকাল যে এখানে কিছু হয়েছিল সেটা স্পষ্ট । ওরা আর বেশি সময় দাড়াল না । নিজেদের সব কিছু নিয়ে আবারও হাউজবোটে উঠল ।

পরিশিষ্টঃ
মাস খানেক পরের ঘটনা। তৃষা ভুরু কুচকে তাকিয়ে রয়েছে লাশটার দিকে । চোখে একটা তীব্র বিশ্ময় কাজ করছে। সেই সাথে আশংঙ্কা । লাশটাকে তৃষা চিনতে পেরেছে । এটাই তার চিন্তার কারণ ।
ঐ নিরাময় ক্লিনিকে যে মা আর ছেলে এসেছিল, ওদের যাওয়ার পরের দিন চলে এসেছিল সে ছেলেটির লাশ এটি । এবং সব থেকে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে ছেলেটার শরীরের বেশ কিছু অংশ খাওয়া । দেখলে মনে হয় কেউ যেন খুবলে খুবলে খেয়েছে ছেলেটির শরীর । এবং তৃষা জানে কে এই কাজ করেছে।
তাহলে ওর বাবাও এমন হবে?
হাসান ঠিক এমন হয়েছিল । এমন ভাবেই সে মানুষের মাংস খেয়ে টিকে ছিল । ওর বাবাও কি এমন হতে চলেছে?
তৃষা নিরাময় থেকে আসার পরপরই ওর বাবার পুরো চেকআপ করিয়েছিল । তীব্র বিস্ময়ের সাথে খেয়াল করে দেখেছে যে সে ক্যান্সার সেল গুলো অনেকটাই সেরে উঠেছে । পুরোপুরি ঠিক না হলেও এমন স্থানে এখন আছে যেখানে চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব। তৃষা তীব্র বিস্মিত হয়েছিল । ডাক্তার খায়রুলও একই রকম বিস্ময় প্রকাশ করেছিল । সাথে সাথেইত আকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে । অপু সাথেই গেছে । সেখানেও রিপোর্ট গুলো বেশ ভালই এসেছে । ক্যান্সারের এই পর্যায় থেকে তার বাবাকে নিরাময় করা সম্ভব। এটা একটা আনন্দের সংবাদ । তবে তৃষার মন থেকে দুঃশ্চিন্তা দূর করতে পারছে না ।
সত্যিই এমন কিছু তার বাবার সাথেও ঘটবে?

আগের পর্ব

গল্পটা এখানেই শেষ আপাতত । এই গল্পের মূল থিম বা লেখার আইডিয়াটা আমার নয় । বাবু ভাইয়ের রেডিও অডিও শো অদ্ভুতুরেতে একটা গল্প শোনার পরেই এই গল্পটা লেখার কথা মাথায় এসেছে । সেখানে একজন নিজের চিকিৎসার জন্য এক অদ্ভুত হাসপাতালে গিয়ে হাজির হয়। এবং সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে যায় । পরে তার ভেতরে এই জান্তব ভাব দেখা যায় । সে মানুষের মাংস খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে ওঠে। কবর থেকে লাশ বের করে মানুষকে খুন করে হলেও খেয়ে সেই মাংস খেতে থাকে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.4 / 5. Vote count: 20

No votes so far! Be the first to rate this post.


Discover more from অপু তানভীর

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →