ডার্ক লর্ড

oputanvir picture 1
4.7
(33)

আজকে তিন দিন ধরে আইরিন মনে অশান্তি নিয়ে অপেক্ষা করছে । বারবার মনে হচ্ছে কাজটা করা ওর ঠিক হল কিনা । ঝোকের মাথায় সে কাজটা করে ফেলেছে কিন্তু এখন পস্তাচ্ছে । তখন মেয়েটার উপরে এমন রাগ উঠেছিলো । বিশেষ করে শুভকে যখন দেখেছিলাম মেয়েটার সাথে হেসে হেসে কথা বলতে দেখেছিলো তখনই রাগে পুরো শরীর কেঁপে উঠেছিলো ওর । বারবার মনে হচ্ছিলো মেয়েটা বুঝি শুভকে ওর কাছ থেকে কেড়ে নিবে । শুভ ওর কাছ থেকে হারিয়ে যাবে । মেয়েটার নাম নিলিমা । ওদের ব্যাচেরই তবে অন্য ডিপার্টমেন্টের । নতুন সেমিস্টারে ওদের সাথে একটা ননক্রেডিট কোর্সে একই সাথে ক্লাস পড়েছে ওদের । সেই শুরুর দিন থেকেই নিলিমাকে দেখে আসছে শুভর পেছনে ঘুরঘুর করতে । এটা আইরিনের কাছে মোটেও ভাল মনে হয় নি । কিন্তু যখন শুভকেও নিলিমার সাথে আলাপ জুড়ে দিতে দেখলো তখন আর নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারলো না । ভয়ংকর সেই কাজটা করেই ফেলল ।

ডার্কনেট সম্পর্কে আইরিনের একটু ধারণা ছিল । বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের শুরুতেই ওর বাবা থেকে একটা নতুন ল্যাপটপ কিনে দিল সেই সাথে ওর পড়াশোনার বিষয়টাও ছিল কম্পিউটার সম্পর্কৃত । সিএসসি নিয়ে পড়তো সে । যখন নতুন হোস্টেলে উঠলো তখন হাতে এসে হাজির হল আনলিমিটেড ওয়াইফাই । ক্লাসের বাদ দিয়ে অন্য সময়টুকুর প্রায় সব টুকুই সে নেটেই কাটাতো । এবং আস্তে ধীরে সেই সময়টা কাটতে লাগলো ডার্কে ওয়েবের ভেতরে । আইরিন আবিস্কার করতে শুরু করলো যে এখানে ভয়ংকর সব কাজ করা যায় । এমন কিছু নেই যে সেখানে কিনতে পাওয়া যায় না । এমন কি মানুষের শরীরের কিডনি পর্যন্ত । ঠিক মত টাকা দিলেই হল । টাকার জন্য ব্যবহার করা হত বিটকয়েন । যাতে টাকার উৎস কোন ভাবেই ট্রেস করা যায় না । সময়ের সাথে সাথে এই সব ব্যাপারে আইরিন একটু পারদর্শী হয়ে উঠলো । পরীক্ষা করার জন্যই প্রথম ড্রাগের অর্ডারটা দিল সে । তবে আশা ছিল না খুব একটা । অর্থের পরিমানটাও খুব বেশি ছিল না । তাই সেটা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত হল না । কিন্তু যখন সত্যি সত্যি মাস খানেক পরে একটা প্যাকেট এসে হাজির হল ওর হোস্টেলের দরজায় তখন ব্যাপারটা একটু সিরিয়াসলিই নিল সে ।

তারপরই সে খোজ পেল ডার্ক লর্ড নামের একজনে । অনলাইন মার্কেটের একজন সেলার । এবং এই সেলার বিক্রি করে কন্ট্রাক্ট কিলিং ।কৌতুহল থেকে সে মেসেজ দিল তাকে । যদিও খুব একটা আশা ছিল না কিলার মেসেজের জবাব দিবে তবে আইরিনকে অবাক করে দিয়ে একদিন পরেই জবাব এল । আইরিন তো প্রথমে ভয় পেয়েই প্রথমে টর ব্রাউজারটাই বন্ধ করে দিল । তবে পরে আবারও ওপেন করলো সেটা । ভয়ে ভয়ে জবাব দিল । প্রথমেই জানতে চাইলো যে সে সত্যিই কিলার কিনা । উত্তরে কিলার কোন কথা না বলে কেবল একটা ছবি পাঠালো । প্রথমে ঠিক বুঝতে পারলেও পরে যখন চিনতে পারলো ছবির জিনিস গুলো তখন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো ।
কিলার জানালো যে এটা তার একটা সখ বলা যায় । সে মানুষকে খুন করার পরে তাদের মুখ থেকে একটা মাড়ির দাত তুলে নেয় । নিজের কাছে রাখে । এটা তার কাজের একটা নিদর্শন ।

আইরিন তারপর আস্তে আস্তে আগ্রহ পায় । কেন পায় সেটা আইরিন নিজেও জানে না । কেবল জানতে আগ্রহী হয় । কিলারও যে কেন জবাব দেয় সেটাও আইরিন জানে না । তবে ওদের মাঝে কথা হতে থাকে । আইরিন নিজের সম্পর্কে বলে তবে এমন কোন কথা বলে না যেটাতে ওকে ট্রেস করা যাবে । এমন কী ওর আসল নামও বলে না । কেবল জানায় যে বাংলাদেশ থেকে কথা বলছে । একদিন কৌতুহল থেকে কিলারকে বলে যে যদি আইরিন কাউকে খুন করাতে এই দেশে তাহলে সেটা সম্ভব কিনা । কিলার জানালো যে খুব সম্ভব । ওদের একটা সংগঠন রয়েছে । এই সংগঠন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পুরো পৃথিবী ব্যাপি । প্রায় পুরো পৃথিবীই তারা কাভার করে । এভাবে আরো কত কিছু জানলো যে কিলারের কাছ থেকে । কিলার প্রায়ই এসে তার কাজের বর্ণনা দিত । প্রথমে শুনতে খুব ভয়ংকর লাগলেও পরে থ্রিল অনুভব করতো সে । আরো জানতে চাইতো ।

তারপরেই আইরিন ভয়ংকর কাজটা করলো । নিলিমার সাথে শুভকে দেখে সে মোটেও সহ্য করতে পারলো না । সরাসরি ডার্ক লর্ডকে জানালো যে একজনকে খুন করতে চায় । কিভাবে পেমেন্ট করতে হবে । তারপর যাকে মারতে হবে তার ডিটেইলস দিতে । নিলিমার কাছে কিছু টাকা ছিল সেমিস্টার ফি দেওয়ার জন্য । সেটাই সে কার্ডে ভরলো তারপর সেখান থেকে বিট কয়েন কিনলো । তারপর সেই কয়েন গুলো ট্রান্সফার করে দিল ডার্ক লর্ড এর কথা মত । এরপর অপেক্ষা করতে লাগলো । কিন্তু একটা দিন পার হয়ে যেতেই আইরিনের মনে হল যে কী একটা ভয়ংকর কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছে সে । একটা মানুসকে মেরে ফেলার জন্য একজন কিলারকে টাকা দিয়েছে । সে দ্রুত আবার ডার্ক লর্ড এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলো । কয়েকবার নক দিলো তাকে । কিন্তু কোন জবাব এল না । একদিন দুই দিন তিন দিন পার হয়ে গেল । না নিলিমা মারা গেল আর নাই বা ডার্ক লর্ড তার তার মেসেজের জবাব দিল । তারও একদিন পরে ডার্ক লর্ডের আইডিটা আর সে খুজে পেল না । আইরিন বুঝলো যে হয় ডার্ক লর্ডের আইডি ডিএকটিভ বা ডিলিট হয়েছে কিংবা ডার্ক লর্ড তাকে ব্লক করে দিয়েছে । ফোরামে এই ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক। মনে মনে হাসলো কেবল । ডার্ক লর্ড তাহলে ফ্রড । ওর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্যই এমনটা করেছে । এতো গুলো টাকা হারানোর কষ্ট একটু হল বটে খুনটা যে হল না এটা জেনে একটু শান্তি পেল সে । মনে মনে বলল খুব শিক্ষা হয়েছে । এখন থেকে আর ডার্ক ওয়েবে যাবে না সে । এসব বাদ দিয়ে পড়ালেখায় মন দেওয়া উচিৎ ।

কিন্তু ঠিক তার দুইদিন পরেই ঘটনা ঘটলো । ক্যাম্পাসে গিয়েই জানতে পারলো যে নিলিমাদের বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগেছে । নিলিমা তখন বাসায় একা ছিল । সম্ভবত রান্না ঘরে কোন কাজ করতে গিয়েছিলো । সেখান থেকেই মেয়েটা মারা গিয়েছে । খবরটা শোনার পরে বারবার কেবল উপরওয়ালার কাছে দোয়া করতে লাগলো যেন এটা একটা কাকতালীয় ব্যাপারই যেন হয় । নিছক দুর্ঘটনা যেন ঘটে । কোন ভাবেই যেন মেয়েটার এই মৃত্যুর সাথে আইরিনের কোন সম্পর্কে না থাকে ।

তখনই হোস্টেলে ফিরে এল সে । বার কয়েক চেষ্টা করেও ডার্ক ওয়েবে ঢোকার সাহস পেল না । যদি ঢুকে দেখতে পায় লার্ক লর্ড নামের সেই খুনী ওকে মেসেজ দিয়ে বসেছে জব ডান তাহলে ভয়ংকর ব্যাপার হবে । তবে নিজেকে সে দুরেও রাখতে পারলো না । মনের ভেতরে এই কৌতুহল কিছুতেই আইরিনকে শান্তি দিল না । বারবার কেবল মনে হতে লাগলো ওকে জানতেই হবে । এটা অবশ্যই কেবল একটা দুর্ঘটনা । নিলিমার মৃত্যুর সাথে তার কন্ট্যাক্ট কিলিংয়ের কোন সম্পর্ক নেই ।

আরও দুটো দিন পরে আইরিন ফোরাম একাউন্টে ঢুকলো । মেসেজে অনেক গুলো মেসেজ এসেছে বটে তবে সেগুলো একটাও চেক করলো না । এখানে একাউণ্ট অলার পরেই নানান সময়ে নানান মেসেজ আসতো । কেউ ড্রাক বেঁচতে চায় কেউ বা পর্নগ্রাফি । এসব নিলিমা প্রথম প্রথম দেখলেও পরে দেখতো না । মেসেজ বক্সকে গিয়ে নির্দিষ্ট মেসেজ বক্সে গিয়ে হাজির হল । দেখতে পেল ডার্ক লর্ডের প্রোফাইল এখনও কালো হয়ে আছে । তার মানে এখনও সে তাকে ব্লক করে রেখেছে । যাক একটু শান্তি পেল যে । যদি যে নিলিমাকে খুন করতো তাহলে তাকে মেসেজ দিয়ে জানাতো যে কাজটা সে করেছে । টাকা নিয়ে ভেগেছে সে । আইরিন কী যে শান্তি পেল নিজের মনের কাছে সেটা সে নিজেই বলতে পারবে না
তবুও কদিন সময় লাগলো আইরিনের নিজেকে সামলে নিতে । বারবার কেবল ওর এই কথাই মনে হতে লাগলো যে যদি সত্যি সত্যি টাকা নিয়ে ঐ কিলার নিলিমাকে খুন করতো তাহলে কী হয়ে যেত ।

এই সময়ে শুভ ওকে বেশ ভাল সময় দিল। শুভ সাথে ওর প্রেমটা আস্তে আস্তে বাড়তে লাগলো । আইরিন যেন শুভর প্রতি আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠলো । শুভও আইরিনকে আকড়ে ধরলো । ওকে সাপোর্ট দিলো খুব ভাল ভাবেই ।

তবে আইরিন যতই শুভর কাছে আসতে লাগলো শুভর ভেতরে একটা অস্বাভাবিকত্ব আইরিনের চোখে পড়তে লাগলো । যেমন শুভ কিছু সময় পরপরই কাউকে কিছু না বলে একেবারে গায়েব হয়ে যায় । তখন কোন প্রকার খোজ খবর পাওয়া যায় না শুভর । অনেকবার জানতে চেয়েছে আইরিন তবে কোন উত্তর পায় নি । কেবল শুভ জানিয়েছে এই সময়ে সে নিজের কিছু ব্যক্তিগত কাজেই যায় । কী সেই ব্যক্তিগত কাজ সেটা অবশ্য আইরিনকে শুভ বলে নি । এই কারণেই আইরিনের কৌতুহলটা বেড়েই চলেছে ।
অবশ্য কৌতুহলের পেছনে আরো একটা কারণ রয়েছে । আইরিন বেশ কয়েকবারই শুভ ফ্ল্যাট গিয়েছে । সেখানে তারা ঘনিষ্ঠ হয়েছে খুব বেশি । প্রথমদিন যখন ওরা ঘনিষ্ঠ হল তখনই আইরিন বুঝতে পেরেছিলো যে শুভ এই কাজটা তার সাথেই প্রথম করে নি । আগেও করেছে । মনটা ওর খানিকটা খারাপ হয়েছিলো বটে । তবে সেটা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল । ভেবে নিয়েছিলো ওর আগে যে কারো সাথেই শুভ প্রেম থাকতে পারে ।
এভাবেই দিন যেতে লাগলো । ওদের ভেতরে প্রেম বাড়তে লাগলো । মাঝে মাঝেই শুভ গায়েব হয়ে যেত । আইরিন এটা মেনেই নিয়েছিলো । গায়েব হওয়ার কয়েক দিন পরেই অবশ্য ফিরেও আসতো । তবে একদিন একটা কৌতুহলের ব্যাপার খেয়াল করলো আইরিন । শুভ যখন গায়েব হওয়া থেকে ফিরে আসতো তখনই পত্রিকাতে কোন না কোন দুর্ঘটনার সংবাদ ছাপা হত । হয় গাড়ি দুর্ঘটনা, ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া কিংবা গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস । সব বড় বড় বা বিখ্যাত লোক মারা যেত । এইব্যাপারটা খেয়াল করলো ও একদিন সকাল বেলা । তার আগেই শুভ গায়েব হয়ে গেছে । চারদিন পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে আইরিন ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে দেখতে পেল সংবাদটা । ওদের প্রাক্তন উপাচার্য মারা গেছে পার্কে হাটতে গিয়ে । হার্ট এটাকে । তখনই মনে হল আজকে শুভ ফিরে আসবে । কারণ এর আগে বিখ্যাত শিল্পপতি মারা গিয়েছি গাড়ি দুর্ঘটনায় । কেবল চোখে পড়েছিলো সংবাদটা । তারপরই শুভ আবার ফিরে এল ।

নাস্তা খাওয়ার পরে আইরিন পুরো ব্যাপারটা চিন্তা করলো । তারপর নেট সার্চ দিয়ে খোজ নিতে লাগলো । যখন ঘন্টা দুয়েক পরে ও স্ক্রিন থেকে চোখ সরালো অবাক হয়েই দেখলো ঠিক যেদিন যেদিন শুভ ফিরে এসেছে ঠিক সেই দিনই দেশের বিখ্যাত কেউ মারা গেছে । আচ্ছা যখন নিলিমা মারা গিয়েছিলো তখন শুভ কোথায় ছিল ?

তখনই মনে পড়লো ওর ব্যাপার । নিলিমার মৃত্যুর সময় শুভর সাথে ওর দেখা হয় নি । মৃত্যুর দিন বিকেলে কথা হয়েছিল । মনের ভেতরে একটা ভয়ংকর ব্যাপার জেগে উঠতে শুরু করলো । আইরিন বারবার নিজের মনকে বোঝাতে চাইলো যে এমনটা কোন ভাবেই হতে পারে না । এতো কাকতালীয় ব্যাপার হতে পারে না । নিজের মনকে বারবার কেবল এই কথাটাই বলে গেল সে ।

তখনই মনে হল যে ওর সেই ডিপ ব্লগের একাউন্টে সে একবার প্রবেশ করে দেখে । হয়তো কিছু পাওয়া গেলেও পাওয়া যেতে পারে । একাউন্টে ঢুকলো আবার । মেসেজ বক্সে গিয়ে আবারও চেক করলো ডার্ক লডের সেই মেসেজ গুলো । তখনই আইরিনের মনে হল ডার্কলর্ড ওর সাথে কথা কেন বলেছিলো? কেন এতো গল্প করেছিলো । মেসেজ গুলো চেক করতে গিয়ে খেয়াল করলো যখন থেকেই সে নিজের থাকার স্থানের কথা স্বীকার করেছিল তখন থেকেই ডার্কলর্ড ওর প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিলো বেশি । ছবি গুলো যখন আরেকবার পরীক্ষা করলো তখনই সব থেকে বড় ধাক্কা খেল । দাঁত গুলো যে ফ্লোরে রেখে ছবি তোলা হয়েছিলো সেই ফ্লোরটা আর শুভ ফ্লোরটা দেখতে একেবারে এক রকম । ব্যাপারটা টের পেতেই মুখে হাত দিয়ে নিজের কান্না চাপতে চেষ্টা করলো । এমন আর কোন সন্দেহ নেই ডার্ক লর্ডই হচ্ছে শুভ ।

তারপর ইনবক্সে আসা অন্য মেসেজ গুলোর দিকে তাকাতেই একটা মেসেজ বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করলো । নাম ”ওভিইউএইচএস” । মেসেজটা ওপেন করতেই দেখানে দেখতে পেল অনেক গুলো মেসেজ পাঠানো হয়েছে । বেশ কিছু সময় আগে । প্রথম মেসেজটা ছিল আমি ডার্কলর্ড জিরো টুনাইন এইট। আগের আইডিটা বন্ধ করে দিতে হল কিছু নিরাপত্তার কারণে । তোমার কাজ হয়ে গেছে । তারপর একটা ছবি । একটা দাঁতের ছবি ।

আইরিন আর কিছু অনুভব করতে পালরো না । কোন মতে ল্যাপটপটা বন্ধ করলো । তারপর নিজের বিছানাতে পড়ে রইলো । সে সত্যিই একজনকে মেরে ফেলেছে । এই অনুভূতিটা আইরিনকে দুনিয়ার সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিলো একেবারে । ঢাকা ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ি ফিরে গেল সে ।

পরিশিষ্টঃ


দৈনিক পত্রিকার শিরোনামঃ

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর পানিতে ডুবে মৃত্যু

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.7 / 5. Vote count: 33

No votes so far! Be the first to rate this post.


Discover more from অপু তানভীর

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →