প্রিয়ন্তির মন ভাল নেই

oputanvir
4.7
(66)

সন্ধ্যা থেকে প্রিয়ন্তির মন মেজাজ ভাল নেই । নিজের ঘরে আলো বন্ধ করে শুয়ে আছে সে । বারবার কেবল তার সাথে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাটার কথা ফিরে ফিরে আসছে । লোকটা কী বাজে দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে হাসছিলো আর বাজে কথা বলছিলো ! সেটা মনে হতেই মনটা তিক্ততায় ভরে যাচ্ছে । সাদমানের উপরে গিয়ে রাগটা জমা হচ্ছে বারবার !

যদিও প্রিয়ন্তি জানে যে ঐ রকম পরিস্থিতিতে বেচারার আসলে কিছুই করার ছিল না । ঐ রকম পরিস্থিতে পড়লে ওদের মত সাধারণ মানুষ গুলো যা করে তাই করেছিলো সাদমান । ওকে নিয়ে সোজা চলে এসেছে বাসায় । ওকে বাসায় পৌছে দিয়ে বের হয়ে গেছে । অন্যান্য দিন হলে বাসায় একবার ঢুকতো । তবে আজকে আর ঢুকলো না । এমন কি ওর দিকে ঠিক মত তাকায়ও নি । সম্ভবত ঐ লোক দুটোর দ্বারা এমন ভাবে অপদস্ত হওয়ার কারণে লজ্জা পাচ্ছে । প্রিয়ন্তি আশা করেছিলো সাদমান কয়েকটা কথা ওদের বলবে । তবে সেটা করে নি । যখন একজন সাদমানের কলার চেপে ধরে বলল, মান সম্মান নিয়ে যাইতে চাইলে চুপচাপ কেটে পড়ে ।
সাদমান কোন কথা বলে নি । প্রিয়ন্তিকে নিয়ে সোজা গাড়ির দিকে হাটা দিয়েছে । পুরো রাস্তায় একটা কথাও বলে নি সে ! প্রিয়ন্তিও কোন কথা বলে নি ।

সাদমানের সাথে প্রিয়ন্তির বিয়ে কথা বার্তা পাঁকা । প্রিয়ন্তির মাস্টার্স ফাইনাল হয়ে গেলেই ওদের বিয়েটা হবে । বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে সাদমান মাঝে মাঝে ওকে নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরতে যায় । কখনও বা লং ড্রাইভে কখনও বা মুভি থিয়েটার অথবা কোন রেস্টুরেন্ট । সময়টা প্রিয়ন্তির ভাল কাটে । সত্যি বলতে প্রিয়ন্তিরও সাদমানকে বেশ পছন্দ । একটা ছেলেকে পছন্দ হওয়ার জন্য যা যা থাকা দরকার সাদমানের তা সব আছে । অপছন্দ হওয়ার কোন কারণ নেই । তবে আজকে বারবার প্রিয়ন্তি চাচ্ছিলো সাদমান কিছু করুক । অন্তত কয়েকটা কথা তো বলতো উচু গলায় । সেটা পর্যন্ত করলো না ও । এই কারণে প্রিয়ন্তির মেজাজটা খারাপ হয়ে আছে ।

ফোনটা ভাইব্রেট হতেই প্রিয়ন্তি সেটা হাতে নিল । সাদমানের ফোন । একবার মনে হল ফোনটা ধরবে না সে । পরে আবার মনে হল না ধরেই ফেলে ।
-হ্যালো ।
-একটু নিচে নামবে?
প্রিয়ন্তি একটু অবাক হল । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো রাত প্রায় সাড়ে দশটা বাজে । প্রিয়ন্তি বলল, এখন ? তুমি উপরে আসো।
-না । তুমি নামো প্লিজ ।

প্রিয়ন্তি কেন জানি মানা করতে পারলো না । নিজের পোশাকের দিকে একবার তাকালো । একটা থ্রিকোয়াটার আর টিশার্ট পরে আছে সে । বাসায় এই জিনিস পরেই থাকে । একবার মনে হল পোশাকটা বদলে যায় কিন্তু পরেই মনে হল কোন দরকার নেই । কেবল নিচে যাবে আর দেখা করে চলে আসবে । এমন কি মোবাইলটাও নিল না সাথে । দরজা দিয়ে বের হওয়ার সময় প্রিয়ন্তির মা বললেন, কোথায় যাচ্ছিস ?
-মা নিচে যাচ্ছি একটু । সাদমান এসেছে !
-সেকি নিচে যাবি কেন ? ওকে ডেকে নিয়ে আয় !
-বলেছিলাম । আসবে না । আমি যাই । কী বলে শুনে আসি !
-পোশাক বদলে যা !
-মা এতো ঢং করতে ইচ্ছে করছে না । যাবো আর আসবো এর জন্য আবার পোশাক বদলাতে হবে ? সে কে ? রাজা হরিশ চন্দ্র ?

প্রিয়ন্তির মা আর কিছু বললেন না । প্রিয়ন্তি নিচে গিয়ে দেখে ওদের বাসার ঠিক সামনেই সাদমানের গাড়িটা পার্ক করা । গেট দিয়ে বাইরে বের হয়ে আসতেই সাদমান বলল, গাড়িতে উঠ।
-কেন?
-যা বলছি কর ।
-আরে ….

প্রিয়ন্তি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলো তবে ওকে খানিকটা অবাক করে দিয়েই সাদমান ওর হাত ধরলো । তারপর এক প্রকার টেনে নিয়েই গেলে গাড়ির দরজার কাছে । দরজা খুলে ভেতরে ঢুকিয়ে দিল ওকে !

প্রিয়ন্তি এবার একটু অবাক না হয়ে পারলো না । বিয়ে ঠিক হওয়ার পরে ওরা বেশ কয়েকবার বাইরে ঘুরতে গিয়েছে । এক সাথে সময় কাটিয়েছে কিন্তু সাদমান সব সময় একটা দুরত্ব বজায় রেখেছে । হাত পর্যন্ত ধরে নি । কিন্তু আজকে এভাবে হাত ধরে ওকে গাড়িতে ওঠালো যে প্রিয়ন্তির একটু অবাকই লাগলো । সাদমানের ভেতরে একটা বেপোরোয়া ভাব দেখতে পেল । প্রিয়ন্তি ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারলো না । ছেলেটা এমন কেন করছে ? আজকের বিকেলের ঘটনার জন্য ?
কোথাও নিয়ে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করবে ?

গাড়ি চলতে শুরু করার পরে প্রিয়ন্তির মনে হল যে মায়ের কথা শুনে পোশাকটা বদলে এলেই হত । একটা টিশার্ট আর থ্রিকোয়াটার প্যান্টে এভাবে সাদমানের সামনে আসা ঠিক হয় নি ।

গারি চলল প্রায় আধা ঘন্টা । রাস্তা মোটামুটি ফাঁকাই বলা চলে । প্রিয়ন্তি এর ভেতরে দুইবার জিজ্ঞেস করেছে যে ওরা কোথায় যাচ্ছে তবে সাদমান সেই প্রশ্নের জবাব দেয় নি । কেবল বলেছে যে গেলেই দেখতে পাবে !

গাড়িটা আরও ১৫ পনেরো মিনিট চলার পরে এসে থামলো । প্রিয়ন্তি খেয়াল করলো ওরা বসিলা ব্রিজ ক্রস করেছিলো কিছু সময় আগে । এই ফাকা জায়গাতেই ওরা আগেও এসেছে গাড়ি নিয়ে । গাড়িটা থামলো একটা গ্যারাজের সামনে ।
গাড়ি থেকে নেমে সাদমান নিজেও প্রিয়ন্তির জন্য দরজা খুলে দিল । তারপর বলল, এসো !
-এখানে ….!!
প্রিয়ন্তি কিছুই বুঝতে পারছিলো না ।
সাদমান আবারও ওর হাত ধরলো । তারপর বললম এসো প্লিজ । ভয় পেও না । আমি থাকতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না ।
প্রিয়ন্তি কোন কথা বলল না আর । সাদমানের হাত ধরেই হাটতে লাগলো । গ্যারাজের ভেতরে ঢুকলো ওরা । এটা একটা গাড়ির গ্যারাজ । এবং বেশ বড় । ওদের ঢুকতে দেখেই একটা লোক এগিয়ে এল । ওদের পথে দেখিয়ে নিয়ে গেল. প্রিয়ন্তি অবাক হল এটা দেখে যে ওরা মাটির নিচে নেমে এল একটা সিড়ি দিয়ে ।

মাটির নিচের কয়েকটা ঘর পার হতেই একটা ঘরে প্রবেশ করলো। ৬০ পাওয়ারের একটা আলো জ্বলছে ঘরের মাঝে । ঘরের মাঝে আলোর নিচে তাকাতেই প্রিয়ন্তির শিরদাড়া দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল । ঠিক মাঝে দুইজন মানুষ পড়ে আছে । দেখেই বোঝা যাচ্ছে এদেরকে বেদম প্রহার করা হয়েছে । ওদের প্রবেশ করতেই লোকদুটো মাথা তুলে তাকালো কোন মতে । সাথে সাথেই চিনতে পারলো ওদের । আজ বিকেলে এই লোকদুটোই ওদের সাথে বেয়াদবী করেছিল । তীব্র বিস্ময় নিয়ে লোক দুটোর দিকে তাকিয়ে রইলো প্রিয়ন্তি ।

ওদের সাথে আসা মানুষটা লোকদুটোর কাছে গিয়ে কষে একটা লাঠি হাকালো । ব্যাথায় কাকিয়ে উঠলো দুজনেই । তারপর এক প্রকার হামাগুড়ি দিতে দিতেই এগিয়ে এল প্রিয়ন্তির দিকে ।
-আফা আমারে মাফ কইরা দেন !

লোক দুটোর কন্ঠে হাহাকার আর কষ্ট দেখে বিকেলের কথা মনে পড়লো । এরাই তখন কী দাপট দেখাচ্ছিলো । আর এখন কুকুরের মত ওর পায়ের কাছে পড়ে আছে !

সাদমান বলল, এদের কী করতে চাও একান্তই তোমার সিদ্ধান্ত । তোমার সাথে বেয়াদবী করেছে তাই তুমিই ঠিক করবে । এমন কী যদি বলে যে দুনিয়া থেকে গায়েব করে দিতে তাই হবে ! কেউ কোন দিন টের পাবে না !

দুনিয়া থেকে গায়েবের কথা শুনে প্রিয়ন্তি একটু চমকালো । তবে লোকদুটো আবারও কেঁদে উঠলো । বলল, আফা আমারে মাফ কইরা দেন আর করুম না কোন দিন ! এই বলে প্রিয়ন্তির পা ধরতে এল । সাদমান ধকমে উঠে বলল, এই গায়ে যেন হাত না লাগে !
লোকদুটো ভয়ে থেকে গেল মাঝ পথেই ।

প্রিয়ন্তি এবার তাকালো লোকদুটোর দিকে । বেদম মার খেয়েছে ওরা দেখেই বোঝা যাচ্ছে । এদের ভেতরে একজনের ডান হাত টা একটু বেকায়দায় ভাবে ঝুলে আছে । দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেটা ভাঙ্গা হয়েছে । এই লোকটাই সাদমানের কলার চেপে ধরেছিলো এই হাত দিয়ে ।

প্রিয়ন্তি বলল, মাফ করে দাও । কিছু করতে হবে না । যথেষ্ঠ শিক্ষা হয়েছে এমনিতেও ।
সাদমানের মুখের ভাবটা বদলানো না । সাদমান যেন জানতোই প্রিয়ন্তি এমন কথাই বলবে !
সাদমান এবার লোকদুটোর দিকে তাকিয়ে বলল, প্রিয়ন্তি ক্ষমা করে দিয়েছে তাই প্রাণ বাঁচলো তোদের । তবে আজ থেকে সামনের এক বছর প্রতিদিন প্রিয়ন্তির বাসার সামনের গিয়ে ১০বার করে কানে ধরে উঠবস করে আসবি। ঝড় বৃষ্টি তফান হোক কিংবা দেশে যুদ্ধ লেগে যাক । এই নিয়মের যেন ব্যতীক্রম না হয় । একদিন যদি মিস তাহলে পাতালে লুকালেও তোদের ঠিক আমি খুজে বের করবো । তখন কিন্তু প্রিয়ন্তি আসবে তোদের বাঁচাতে । পরিস্কার হয়েছে ?

লোকদুটো মাথা ঝাকালো কেবল ! সাদমান তারপর ওদের সাথের লোকটার দিকে তাকিয়ে বলল, এদের আরও একটু খাতির করে ছেড়ে দাও ।
লোকটা কেবল মাথা ঝাকালো ।

সাদমান আর প্রিয়ন্তি হাটা দিল উপরের দিকে । আবারও বাইরে এসে বসলো গাড়িতে । গাড়ি চলতে শুরু করলে প্রিয়ন্তি হঠাৎই আবিস্কার করলো যে যে মেজাজ খারাপের ব্যাপারটা ওর ভেতরে ছিল সেটা এখন একদম নেই । বরং সেখানে একটা অদ্ভুত ভাল লাগা কাজ করছে । সাদমানের দিকে তাকিয়ে বলল, আইসক্রিম খাবো !
-কী বললে?
-বললাম যে আইসক্রিম খাবো । কোথাও থামো !

যদিও বেশ রাত হয়ে গেছে । বেশির ভাগ দোকানই বন্ধ হয়ে গেছে । তবে একটা আইসক্রিম পার্লার খোলা পাওয়া গেল । তবে সেখানে বসে খাওয়ার উপায় নেই । ওরা বন্ধ করে দিবে । তাই কেবল আইসক্রিম নিয়ে বাইরে বের হয়ে এল । দোনাকের সিড়িতেই বসে পড়লো প্রিয়ন্তি ! সাদমানও বসলো ওর পাশেই । প্রিয়ন্তি আইসক্রিম মুখে দিতে দিতে বলল, আমি সত্যিই ভাবি নি যে তুমি এমন কিছু করবে !

সাদমান কিছু সময় তাকিয়ে রইলো ওর দিকে । তারপর বলল, আমি নিজেকে মোটামুটি শুদ্ধ মানুষ মনে করি । মানে নিজের কাছেই আমার খুব একটা খারাপ দিক নেই । তবে এই ব্যাপারটা আমি কিছুতেই চেক দিতে পারি না । কেউ যদি আমার কিংবা আমার প্রিয় মানুষের সাথে অন্যায় কিছু করে তাহলে তাকে আমি শাস্তি দিবোই । একদম ছোট বেলা থেকেই ।
-ছোটবেলা?
-হ্যা । যখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি, তখন একবার একটা ছেলে আমাকে বিনা কারণে মেরেছিলো । পেছন থেকে পায়ে পা ঢুকিয়ে দিয়ে ফেলে দিয়েছিলো ।
-তারপর?
-একটু বড় ছিল শরীরে । শক্তিতে পারতাম না মারামারি করে । তাই সুযোগ পেয়ে একদিন স্টাম্প দিয়ে নাকে বাড়ি মেরেছিলাম । নাক ভেঙ্গে গিয়েছিলো ।
-কী সর্বনাশ !
সাদমান হাসলো । বলল, আরও ভয়ংকর কাজ করেছিলাম !
-এর থেকেও ?
-হ্যা । কলেজে উঠেছি তখন । আমার কাছের একজন বন্ধুকে আমাদেরই ক্লাসের কয়েকটা মেয়ে চরম ভাবে অপদস্ত করেছিলো । পুরো ক্লাসের সামনে অপমান করেছিলো । বেচারা আমাকে জড়িয়ে ধরে কী যে কান্না করেছিলো সেদিন । প্রায় মাস দুয়েক সে কলেজে যেতে পারে নি । এই ট্রমা থেকে বের হতে পারে নি !
-ঐ মেয়েগুলোর সাথে কী করেছিলে?
সাদমান হাসলো । প্রিয়ন্তি বলল, বল !
-এভাবে লোক দিয়ে সব কয়টা কে উঠিয়ে নিয়ে এলাম । তারপর সবার শরীর থেকে জামা কাপড় খুলে নিয়ে ছবি তুললাম । তারপর ছেড়ে দিলাম ।

প্রিয়ন্তি কেবল চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো সাদমানের দিকে । সাদমান বললম বিশ্বাস কর আর কিছু করাই নি । কেবল এই অপমানের বদলা নিয়েছিলাম ।

কিছু সময় চুপ করে রইলো সাদমান । তারপর, দেখো এটা আমার চরিত্রের একটা দিক । আই কান্ট হেল্প ইট । কেউ আমার এবং আমার কাছের মানুষদের সাথে খারাপ কিছু করলে তাকে ছেড়ে দিবো না কোন দিন । সে ছেলে হোক মেয়ে হোক বুড়ো জোয়ান গরিব বড়লোক কিছু যায় আসে না । ফল তাকে ভোগ করতেই হবে । এটা তোমাকে আমি বলতাম নিজ থেকেই । তবে তার আগেই তুমি এই রূপটা দেখে ফেললে । এখন সিদ্ধান্ত তোমার একান্তই । চাইলে তুমি সম্পর্কটা ভেঙ্গে দিতে পারো । অনেকেই এই ভায়োলেন্স নিতে পারে না ।
প্রিয়ন্তি বলল, তার মানে আমার সাথে কেউ কিছু করলে তুমি তাদের সাথে তেমন কিছুই করবে?
-হ্যা । সে যেই হোক না কেন !
-আমি তাহলে তোমার প্রিয় মানুষ এখন ?

সাদমান কিছু বলতে গিয়েও বলল না । কেবল তাকিয়ে রইলো প্রিয়ন্তির দিকে ।

আইসক্রিম খাওয়া শেষ করে ওরা যখন আবার ফিরে এল তখন বেশ গভীর রাত হয়ে গেছে । দরজা পর্যন্ত সাদমান এগিয়ে দিয়ে গেল প্রিয়ন্তিকে । হঠাৎই প্রিয়ন্তি সাদমানকে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে । ধরেই রাখলো । তারপর কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, তোমাকে ভালোবাসি ।
তারপর সাদমানকে ছেড়ে দিয়ে এক দৌড়ে গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল ।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.7 / 5. Vote count: 66

No votes so far! Be the first to rate this post.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →