প্রিয়ন্তির মন ভাল নেই

oputanvir
4.7
(67)

সন্ধ্যা থেকে প্রিয়ন্তির মন মেজাজ ভাল নেই । নিজের ঘরে আলো বন্ধ করে শুয়ে আছে সে । বারবার কেবল তার সাথে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাটার কথা ফিরে ফিরে আসছে । লোকটা কী বাজে দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে হাসছিলো আর বাজে কথা বলছিলো ! সেটা মনে হতেই মনটা তিক্ততায় ভরে যাচ্ছে । সাদমানের উপরে গিয়ে রাগটা জমা হচ্ছে বারবার !

যদিও প্রিয়ন্তি জানে যে ঐ রকম পরিস্থিতিতে বেচারার আসলে কিছুই করার ছিল না । ঐ রকম পরিস্থিতে পড়লে ওদের মত সাধারণ মানুষ গুলো যা করে তাই করেছিলো সাদমান । ওকে নিয়ে সোজা চলে এসেছে বাসায় । ওকে বাসায় পৌছে দিয়ে বের হয়ে গেছে । অন্যান্য দিন হলে বাসায় একবার ঢুকতো । তবে আজকে আর ঢুকলো না । এমন কি ওর দিকে ঠিক মত তাকায়ও নি । সম্ভবত ঐ লোক দুটোর দ্বারা এমন ভাবে অপদস্ত হওয়ার কারণে লজ্জা পাচ্ছে । প্রিয়ন্তি আশা করেছিলো সাদমান কয়েকটা কথা ওদের বলবে । তবে সেটা করে নি । যখন একজন সাদমানের কলার চেপে ধরে বলল, মান সম্মান নিয়ে যাইতে চাইলে চুপচাপ কেটে পড়ে ।
সাদমান কোন কথা বলে নি । প্রিয়ন্তিকে নিয়ে সোজা গাড়ির দিকে হাটা দিয়েছে । পুরো রাস্তায় একটা কথাও বলে নি সে ! প্রিয়ন্তিও কোন কথা বলে নি ।

সাদমানের সাথে প্রিয়ন্তির বিয়ে কথা বার্তা পাঁকা । প্রিয়ন্তির মাস্টার্স ফাইনাল হয়ে গেলেই ওদের বিয়েটা হবে । বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে সাদমান মাঝে মাঝে ওকে নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরতে যায় । কখনও বা লং ড্রাইভে কখনও বা মুভি থিয়েটার অথবা কোন রেস্টুরেন্ট । সময়টা প্রিয়ন্তির ভাল কাটে । সত্যি বলতে প্রিয়ন্তিরও সাদমানকে বেশ পছন্দ । একটা ছেলেকে পছন্দ হওয়ার জন্য যা যা থাকা দরকার সাদমানের তা সব আছে । অপছন্দ হওয়ার কোন কারণ নেই । তবে আজকে বারবার প্রিয়ন্তি চাচ্ছিলো সাদমান কিছু করুক । অন্তত কয়েকটা কথা তো বলতো উচু গলায় । সেটা পর্যন্ত করলো না ও । এই কারণে প্রিয়ন্তির মেজাজটা খারাপ হয়ে আছে ।

ফোনটা ভাইব্রেট হতেই প্রিয়ন্তি সেটা হাতে নিল । সাদমানের ফোন । একবার মনে হল ফোনটা ধরবে না সে । পরে আবার মনে হল না ধরেই ফেলে ।
-হ্যালো ।
-একটু নিচে নামবে?
প্রিয়ন্তি একটু অবাক হল । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো রাত প্রায় সাড়ে দশটা বাজে । প্রিয়ন্তি বলল, এখন ? তুমি উপরে আসো।
-না । তুমি নামো প্লিজ ।

প্রিয়ন্তি কেন জানি মানা করতে পারলো না । নিজের পোশাকের দিকে একবার তাকালো । একটা থ্রিকোয়াটার আর টিশার্ট পরে আছে সে । বাসায় এই জিনিস পরেই থাকে । একবার মনে হল পোশাকটা বদলে যায় কিন্তু পরেই মনে হল কোন দরকার নেই । কেবল নিচে যাবে আর দেখা করে চলে আসবে । এমন কি মোবাইলটাও নিল না সাথে । দরজা দিয়ে বের হওয়ার সময় প্রিয়ন্তির মা বললেন, কোথায় যাচ্ছিস ?
-মা নিচে যাচ্ছি একটু । সাদমান এসেছে !
-সেকি নিচে যাবি কেন ? ওকে ডেকে নিয়ে আয় !
-বলেছিলাম । আসবে না । আমি যাই । কী বলে শুনে আসি !
-পোশাক বদলে যা !
-মা এতো ঢং করতে ইচ্ছে করছে না । যাবো আর আসবো এর জন্য আবার পোশাক বদলাতে হবে ? সে কে ? রাজা হরিশ চন্দ্র ?

প্রিয়ন্তির মা আর কিছু বললেন না । প্রিয়ন্তি নিচে গিয়ে দেখে ওদের বাসার ঠিক সামনেই সাদমানের গাড়িটা পার্ক করা । গেট দিয়ে বাইরে বের হয়ে আসতেই সাদমান বলল, গাড়িতে উঠ।
-কেন?
-যা বলছি কর ।
-আরে ….

প্রিয়ন্তি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলো তবে ওকে খানিকটা অবাক করে দিয়েই সাদমান ওর হাত ধরলো । তারপর এক প্রকার টেনে নিয়েই গেলে গাড়ির দরজার কাছে । দরজা খুলে ভেতরে ঢুকিয়ে দিল ওকে !

প্রিয়ন্তি এবার একটু অবাক না হয়ে পারলো না । বিয়ে ঠিক হওয়ার পরে ওরা বেশ কয়েকবার বাইরে ঘুরতে গিয়েছে । এক সাথে সময় কাটিয়েছে কিন্তু সাদমান সব সময় একটা দুরত্ব বজায় রেখেছে । হাত পর্যন্ত ধরে নি । কিন্তু আজকে এভাবে হাত ধরে ওকে গাড়িতে ওঠালো যে প্রিয়ন্তির একটু অবাকই লাগলো । সাদমানের ভেতরে একটা বেপোরোয়া ভাব দেখতে পেল । প্রিয়ন্তি ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারলো না । ছেলেটা এমন কেন করছে ? আজকের বিকেলের ঘটনার জন্য ?
কোথাও নিয়ে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করবে ?

গাড়ি চলতে শুরু করার পরে প্রিয়ন্তির মনে হল যে মায়ের কথা শুনে পোশাকটা বদলে এলেই হত । একটা টিশার্ট আর থ্রিকোয়াটার প্যান্টে এভাবে সাদমানের সামনে আসা ঠিক হয় নি ।

গারি চলল প্রায় আধা ঘন্টা । রাস্তা মোটামুটি ফাঁকাই বলা চলে । প্রিয়ন্তি এর ভেতরে দুইবার জিজ্ঞেস করেছে যে ওরা কোথায় যাচ্ছে তবে সাদমান সেই প্রশ্নের জবাব দেয় নি । কেবল বলেছে যে গেলেই দেখতে পাবে !

গাড়িটা আরও ১৫ পনেরো মিনিট চলার পরে এসে থামলো । প্রিয়ন্তি খেয়াল করলো ওরা বসিলা ব্রিজ ক্রস করেছিলো কিছু সময় আগে । এই ফাকা জায়গাতেই ওরা আগেও এসেছে গাড়ি নিয়ে । গাড়িটা থামলো একটা গ্যারাজের সামনে ।
গাড়ি থেকে নেমে সাদমান নিজেও প্রিয়ন্তির জন্য দরজা খুলে দিল । তারপর বলল, এসো !
-এখানে ….!!
প্রিয়ন্তি কিছুই বুঝতে পারছিলো না ।
সাদমান আবারও ওর হাত ধরলো । তারপর বললম এসো প্লিজ । ভয় পেও না । আমি থাকতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না ।
প্রিয়ন্তি কোন কথা বলল না আর । সাদমানের হাত ধরেই হাটতে লাগলো । গ্যারাজের ভেতরে ঢুকলো ওরা । এটা একটা গাড়ির গ্যারাজ । এবং বেশ বড় । ওদের ঢুকতে দেখেই একটা লোক এগিয়ে এল । ওদের পথে দেখিয়ে নিয়ে গেল. প্রিয়ন্তি অবাক হল এটা দেখে যে ওরা মাটির নিচে নেমে এল একটা সিড়ি দিয়ে ।

মাটির নিচের কয়েকটা ঘর পার হতেই একটা ঘরে প্রবেশ করলো। ৬০ পাওয়ারের একটা আলো জ্বলছে ঘরের মাঝে । ঘরের মাঝে আলোর নিচে তাকাতেই প্রিয়ন্তির শিরদাড়া দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল । ঠিক মাঝে দুইজন মানুষ পড়ে আছে । দেখেই বোঝা যাচ্ছে এদেরকে বেদম প্রহার করা হয়েছে । ওদের প্রবেশ করতেই লোকদুটো মাথা তুলে তাকালো কোন মতে । সাথে সাথেই চিনতে পারলো ওদের । আজ বিকেলে এই লোকদুটোই ওদের সাথে বেয়াদবী করেছিল । তীব্র বিস্ময় নিয়ে লোক দুটোর দিকে তাকিয়ে রইলো প্রিয়ন্তি ।

ওদের সাথে আসা মানুষটা লোকদুটোর কাছে গিয়ে কষে একটা লাঠি হাকালো । ব্যাথায় কাকিয়ে উঠলো দুজনেই । তারপর এক প্রকার হামাগুড়ি দিতে দিতেই এগিয়ে এল প্রিয়ন্তির দিকে ।
-আফা আমারে মাফ কইরা দেন !

লোক দুটোর কন্ঠে হাহাকার আর কষ্ট দেখে বিকেলের কথা মনে পড়লো । এরাই তখন কী দাপট দেখাচ্ছিলো । আর এখন কুকুরের মত ওর পায়ের কাছে পড়ে আছে !

সাদমান বলল, এদের কী করতে চাও একান্তই তোমার সিদ্ধান্ত । তোমার সাথে বেয়াদবী করেছে তাই তুমিই ঠিক করবে । এমন কী যদি বলে যে দুনিয়া থেকে গায়েব করে দিতে তাই হবে ! কেউ কোন দিন টের পাবে না !

দুনিয়া থেকে গায়েবের কথা শুনে প্রিয়ন্তি একটু চমকালো । তবে লোকদুটো আবারও কেঁদে উঠলো । বলল, আফা আমারে মাফ কইরা দেন আর করুম না কোন দিন ! এই বলে প্রিয়ন্তির পা ধরতে এল । সাদমান ধকমে উঠে বলল, এই গায়ে যেন হাত না লাগে !
লোকদুটো ভয়ে থেকে গেল মাঝ পথেই ।

প্রিয়ন্তি এবার তাকালো লোকদুটোর দিকে । বেদম মার খেয়েছে ওরা দেখেই বোঝা যাচ্ছে । এদের ভেতরে একজনের ডান হাত টা একটু বেকায়দায় ভাবে ঝুলে আছে । দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেটা ভাঙ্গা হয়েছে । এই লোকটাই সাদমানের কলার চেপে ধরেছিলো এই হাত দিয়ে ।

প্রিয়ন্তি বলল, মাফ করে দাও । কিছু করতে হবে না । যথেষ্ঠ শিক্ষা হয়েছে এমনিতেও ।
সাদমানের মুখের ভাবটা বদলানো না । সাদমান যেন জানতোই প্রিয়ন্তি এমন কথাই বলবে !
সাদমান এবার লোকদুটোর দিকে তাকিয়ে বলল, প্রিয়ন্তি ক্ষমা করে দিয়েছে তাই প্রাণ বাঁচলো তোদের । তবে আজ থেকে সামনের এক বছর প্রতিদিন প্রিয়ন্তির বাসার সামনের গিয়ে ১০বার করে কানে ধরে উঠবস করে আসবি। ঝড় বৃষ্টি তফান হোক কিংবা দেশে যুদ্ধ লেগে যাক । এই নিয়মের যেন ব্যতীক্রম না হয় । একদিন যদি মিস তাহলে পাতালে লুকালেও তোদের ঠিক আমি খুজে বের করবো । তখন কিন্তু প্রিয়ন্তি আসবে তোদের বাঁচাতে । পরিস্কার হয়েছে ?

লোকদুটো মাথা ঝাকালো কেবল ! সাদমান তারপর ওদের সাথের লোকটার দিকে তাকিয়ে বলল, এদের আরও একটু খাতির করে ছেড়ে দাও ।
লোকটা কেবল মাথা ঝাকালো ।

সাদমান আর প্রিয়ন্তি হাটা দিল উপরের দিকে । আবারও বাইরে এসে বসলো গাড়িতে । গাড়ি চলতে শুরু করলে প্রিয়ন্তি হঠাৎই আবিস্কার করলো যে যে মেজাজ খারাপের ব্যাপারটা ওর ভেতরে ছিল সেটা এখন একদম নেই । বরং সেখানে একটা অদ্ভুত ভাল লাগা কাজ করছে । সাদমানের দিকে তাকিয়ে বলল, আইসক্রিম খাবো !
-কী বললে?
-বললাম যে আইসক্রিম খাবো । কোথাও থামো !

যদিও বেশ রাত হয়ে গেছে । বেশির ভাগ দোকানই বন্ধ হয়ে গেছে । তবে একটা আইসক্রিম পার্লার খোলা পাওয়া গেল । তবে সেখানে বসে খাওয়ার উপায় নেই । ওরা বন্ধ করে দিবে । তাই কেবল আইসক্রিম নিয়ে বাইরে বের হয়ে এল । দোনাকের সিড়িতেই বসে পড়লো প্রিয়ন্তি ! সাদমানও বসলো ওর পাশেই । প্রিয়ন্তি আইসক্রিম মুখে দিতে দিতে বলল, আমি সত্যিই ভাবি নি যে তুমি এমন কিছু করবে !

সাদমান কিছু সময় তাকিয়ে রইলো ওর দিকে । তারপর বলল, আমি নিজেকে মোটামুটি শুদ্ধ মানুষ মনে করি । মানে নিজের কাছেই আমার খুব একটা খারাপ দিক নেই । তবে এই ব্যাপারটা আমি কিছুতেই চেক দিতে পারি না । কেউ যদি আমার কিংবা আমার প্রিয় মানুষের সাথে অন্যায় কিছু করে তাহলে তাকে আমি শাস্তি দিবোই । একদম ছোট বেলা থেকেই ।
-ছোটবেলা?
-হ্যা । যখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি, তখন একবার একটা ছেলে আমাকে বিনা কারণে মেরেছিলো । পেছন থেকে পায়ে পা ঢুকিয়ে দিয়ে ফেলে দিয়েছিলো ।
-তারপর?
-একটু বড় ছিল শরীরে । শক্তিতে পারতাম না মারামারি করে । তাই সুযোগ পেয়ে একদিন স্টাম্প দিয়ে নাকে বাড়ি মেরেছিলাম । নাক ভেঙ্গে গিয়েছিলো ।
-কী সর্বনাশ !
সাদমান হাসলো । বলল, আরও ভয়ংকর কাজ করেছিলাম !
-এর থেকেও ?
-হ্যা । কলেজে উঠেছি তখন । আমার কাছের একজন বন্ধুকে আমাদেরই ক্লাসের কয়েকটা মেয়ে চরম ভাবে অপদস্ত করেছিলো । পুরো ক্লাসের সামনে অপমান করেছিলো । বেচারা আমাকে জড়িয়ে ধরে কী যে কান্না করেছিলো সেদিন । প্রায় মাস দুয়েক সে কলেজে যেতে পারে নি । এই ট্রমা থেকে বের হতে পারে নি !
-ঐ মেয়েগুলোর সাথে কী করেছিলে?
সাদমান হাসলো । প্রিয়ন্তি বলল, বল !
-এভাবে লোক দিয়ে সব কয়টা কে উঠিয়ে নিয়ে এলাম । তারপর সবার শরীর থেকে জামা কাপড় খুলে নিয়ে ছবি তুললাম । তারপর ছেড়ে দিলাম ।

প্রিয়ন্তি কেবল চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো সাদমানের দিকে । সাদমান বললম বিশ্বাস কর আর কিছু করাই নি । কেবল এই অপমানের বদলা নিয়েছিলাম ।

কিছু সময় চুপ করে রইলো সাদমান । তারপর, দেখো এটা আমার চরিত্রের একটা দিক । আই কান্ট হেল্প ইট । কেউ আমার এবং আমার কাছের মানুষদের সাথে খারাপ কিছু করলে তাকে ছেড়ে দিবো না কোন দিন । সে ছেলে হোক মেয়ে হোক বুড়ো জোয়ান গরিব বড়লোক কিছু যায় আসে না । ফল তাকে ভোগ করতেই হবে । এটা তোমাকে আমি বলতাম নিজ থেকেই । তবে তার আগেই তুমি এই রূপটা দেখে ফেললে । এখন সিদ্ধান্ত তোমার একান্তই । চাইলে তুমি সম্পর্কটা ভেঙ্গে দিতে পারো । অনেকেই এই ভায়োলেন্স নিতে পারে না ।
প্রিয়ন্তি বলল, তার মানে আমার সাথে কেউ কিছু করলে তুমি তাদের সাথে তেমন কিছুই করবে?
-হ্যা । সে যেই হোক না কেন !
-আমি তাহলে তোমার প্রিয় মানুষ এখন ?

সাদমান কিছু বলতে গিয়েও বলল না । কেবল তাকিয়ে রইলো প্রিয়ন্তির দিকে ।

আইসক্রিম খাওয়া শেষ করে ওরা যখন আবার ফিরে এল তখন বেশ গভীর রাত হয়ে গেছে । দরজা পর্যন্ত সাদমান এগিয়ে দিয়ে গেল প্রিয়ন্তিকে । হঠাৎই প্রিয়ন্তি সাদমানকে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে । ধরেই রাখলো । তারপর কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, তোমাকে ভালোবাসি ।
তারপর সাদমানকে ছেড়ে দিয়ে এক দৌড়ে গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল ।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.7 / 5. Vote count: 67

No votes so far! Be the first to rate this post.


Discover more from অপু তানভীর

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →