নতুন সূর্যোদয়

4.8
(67)

ঝুমুর খানিকটা অবাক হয়েই লক্ষ্য করলো সামনে বসে মানুষটার চোখ দিয়ে কেমন টপটপ করে পানি পড়া শুরু করেছে । একটা বিস্ময় বোধ কাজ করলো ওর ভেতরে । সেই সাথে মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা বিরক্তিবোধটা চলে গেল সাথে সাথে । তার বদলে সেখানে এসে জড় হল একটা দুঃখবোধ । অজানা অচেনা এই ছেলেটার জন্য ঝুমুরের কষ্ট হতে লাগলো ।
ছেলেটি কিছু সময় পরে সামলে নিল নিজেকে । পকেট থেকে টিস্যু বের করে চোখ মুছলো । তারপর বলল, সরি । আসলে কত বড় গাধা আমি দেখেছেন ! এভাবে একজনকে না দেখে কিভাবে এতোটা সময় তাকে ভালোবাসলাম বলুন ! গাধাদের সাথে আসলে এমনই হওয়া দরকার !
ঝুমুর কি বলবে সেটা খুজেই পেল না । ওর কাছে কেবলই মনে হচ্ছে যে ও যাই বলুক না কেন সেটা কোন ভাবেই ছেলেটাকে কোন প্রকার শান্তনা দিতে পারবে না !
ছেলেটা বলল, আচ্ছা আমি যাই । ভাল হল আজকে আপনার সাথে দেখা হল । একটা সত্যের মুখোমুখি হয়ে ভালই হয়েছে । মিথ্যা কোন কিছুর জন্য আর অপেক্ষা অন্তত করতে হবে না আর ! আসি কেমন !

ঝুমুরকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ছেলেট উঠে চলে দাড়ালো । তারপর দরজার দিকে হাটা দিলো । দরজার কাছে গিয়ে আরেকবার ফিরে তাকালো ঝুমুরের দিকে । ঝুমুর সেই চোখে কী তীব্র একটা অনুভূতি ছায়া দেখতে পেল ! ছেলেটা ওর চেহারাটাকে কি তীব্রভাবেই না ভালোবাসে !

আজকের দিনটা ঝুমুরের জন্য বিশেষ কিছু ছিল না । মাঝে মাঝেই ঝুমুর এই কাজটা করে । কোন কিছু করে না । সারা দিন এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে । রিক্সা করে ঘুরে নয়তো বাসে উঠে পড়ে । একেবারে শেষ স্টপে নেমে পড়ে । আজও সারা দিন এমন করেই কাটিয়ে দিল সে । বিকেলে এই অচেনা কফিশপে বসে কফি কাচ্ছিলো । তখনই খেয়াল করলো একটা ছেলে ওর দিকে বারবার তাকাচ্ছে । প্রথমে একটু বিরক্তই হল । তবে সেটাকে আমলে নিলো না একদম । কিন্তু যখন ছেলেটা ওর টেবিলের সামনে এসে হাজির হল তখন আর না তাকিয়ে পারা গেল না । একটা বিরক্তিবোধ মুখের ভেতরে ছড়িয়ে পরলো । ছেলেটা একটু বিব্রত কন্ঠে বলল, হ্যালো !
-হ্যালো । কিছু বলবেন?
-আপনি কি আমাকে চিনতে পারছেন না ?
-আমার কি চেনার কথা?

ছেলেটার চোখে কেমন একটা বিষাদ দেখতে পেল ঝুমুর । ছেলেটি নিজের মোবাইল বের করে স্ক্রিন অন করে ওর সামনে ধরলো । তারপর বলল, এটা কি আপনি নন?
স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ঝুমুর একটু চমকে গেল । কারণ সেখানে ওয়ালপেপারে ওর নিজের ছবি লাগানো । শাড়ি পরা একটা ছবি !
ঝুমুরের অবাক হওয়া চোখ দেখে ছেলেটা এবার ওর সামনের চেয়ারে বসে পড়লো । তারপর বলল, এটা তো আপনি । তাই না ?
-জি আমি ।
-তারপরেও আমাকে চিনতে পারছেন না ?
-জি না !

তখনই ছেলেটার দিকে তাকালো সে । ছেলেটা কেমন একটা মলিন চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে ওর দিকে । চোখের পানি আটকানোর চেষ্টা করছে । ছেলেটি বলল, জানেন এই চেহারার ছবিই সে আমাকে পাঠিয়েছিলো । আপনার আরও বেশ কয়েকটা সে আমাকে পাঠিয়েছে। আমি সেটাই তার চেহারা ভেবেছি । সেই চেহারাকে ভালোবেসেছি ! আমার আগেই বোঝা উচিৎ ছিল ! আমি কতবড় গাধা !

ঝুমুরের ব্যাপারটা বুঝতে একটু সময় লাগলো । তবে বুঝতে পারলো । কোন মেয়ে নিশ্চিত ওর এই ছবি গুলো নিয়ে ছেলেটাকে পাঠিয়েছে । প্রেম করেছে । এই ছেলেটাও সরল সোজা ভাবে সেটাকে সত্য ভেবে নিয়ে ভালোবেসে গেছে ।
ঝুমুর বলল, আপনি কোন দিন দেখেন নি তাকে?
-না ! আমি কতবার দেখা করতে চেয়েছি । সে রাজি হয় নি। এমন কি ভিডিও কলেও আসতে রাজি হয় নি ।

ছেলেটা চলে যাওয়ার পরে ঝুমুরের মনটা খারাপই হয়ে রইলো । অচেনা এই ছেলেটার মন খারাপের পেছনে কেন জানি নিজেকে খানিকটা দোষী মনে হল ওর ! যদি সে নিজের ছবি এই রকম পাব্লিক করে না পোস্ট করতো তাহলে হয়তো সেই মেয়ে কোন দিন এই ছবি গুলো নিতে পারতো না । তাহলে হয়তো অন্য কারো ছবি নিতো । তখন তার ছবি তো আর নিতো না !

ঝুমুরের পরের কয়েকটা দিন বারবার ঘুরে ফিরে কেবল ছেলেটার সেই মলিন চেহারাই মনে হতে লাগলো । কিছুতেই সে ছেলেটার চেহারাটা ভুলতে পারলো না । কিন্তু না পারলে আর কি হবে, ছেলেটার ব্যাপারে সে কিছুই জানে না । এমন কি নামটা পর্যন্ত জানে না সে । তাকে কি কোন দিন আর খুজে পাবে সে ?

তবে ভাগ্যে যে আবারও তাদের দেখা হওয়ার ব্যাপারটা লেখা ছিল । সেটা হয়ে গেল ।
ঝুমুর অনেক দিন থেকেই বান্দরবানে যাওয়ার প্লান করছিলো । ব্যাটে বলে কিছুতেই মিলছিলো না । বিশেষ করে ওর বন্ধুবান্ধবরা কেউ এতো পরিশ্রম করে কেউক্রাডংয়ের উপরে উঠতে রাজি নয় । তারা বড়জোর নীলগীরি আর নীলাচল পর্যন্ত যেতে পারে যেখানে ওরা কেবল গাড়ি নিয়ে যেতে পারে । হেটে এতো দুর তাদের কেই উঠতে রাজি নয় ! তাই শেষ বাধ্য হয়ে একটা ট্যুর গ্রুপের সাথে একা একাই যুক্ত হয়ে গেল । সায়দাবাদ থেকে বাসে উঠে বান্ধরবানে নেমে হোটেলে ঢুকলো ফ্রেশ হতে এবং সকালের নাস্তা খেতে । তখনই অবাক হয়ে খেয়াল করলো তাদের গ্রুপের সাথে সেই ছেলেটি রয়েছে । ওর সাথেই বাসে করে এসেছে । অর্থ হচ্ছে ছেলেটাও ওদের সাথে যাচ্ছে !

ছেলেটার সাথে চোখাচোখ হতেই দেখতে পেল ছেলেটাও কেমন অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে ওর দিকে । সম্ভবত ঝুমুরকে সে এখানে মোটেও আশা করে নি । ঝুমুরের কোন কারণ ছাড়াই মন ভাল হয়ে গেল । কেন হল সেটা সে নিজেও জানে না !

সব কাজ কর্ম শেষ করে ওরা যখন বগালেকে পৌছালো তখন বিকাল চারটা । আজকের রাতটা এখানেই থাকার পরিকল্পনা । এই পর্যন্ত আসতে বলতে গেলে তেমন কোন কষ্টই হয় নি । পুরো সময় জিপ গাড়িতে করেই এসেছে । পরের দিন সকালে হাটতে হবে । আসল পরিশ্রম শুরু সেখান থেকেই ।

ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বগালেগের পাড়ে এসে বসলো ও । বেশ কয়েকটা ছবি তুলল । নিজের ফেলফিও তুলল ।
-আমি তুলে দিবো ছবি ?
পেছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখলো অপু দাড়িয়ে । ছেলেটার নাম অপু সে জানতে পেরেছে ।
ঝুমুর কোন কথা না বলে কেবল মোবালটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিল । বেশ কয়েকটা ছবি তুলে দিলো সে । তারপর ওর থেকে একটু দুরত্ব রেখে বসলো । সেও তাকিয়ে রইলো পানির দিকে ।
-আপনি কি এই প্রথম?
-নাহ ! এটা নিয়ে আমার ৫ বার !
ঝুমুর একটু অবাক হয়ে বলল, পাঁচবার ?
-হ্যা । প্রতিবছর একবার করে আসি এখানে !
একটু হাসলো । তারপর আবারও বলল, আপনার মনে হতে পারে যে একই জিনিস বারবার দেখার কি আছে ! আসলে এই জিনিস প্রতিবারই আমার কাছে নতুন লাগে ! এই যে দেখছেন পানিটা, প্রতিবার আমার কাছে অপরিচিত মনে হয় । নতুন ভাবে দেখি !
-তাই বুঝি ?
-হুম ! তা আপনি কি এই প্রথম ?
-হ্যা ।
-কাল কিন্তু বেশ হাটতে হবে !
-অনেক কষ্টের ?
-নাহ । অতো টা ! মাঝারি ! সামলে নিতে পারবেন আশা করি । প্রথমবারেই নাফাকুমের দিকে গেলে বেশি কষ্ট হয়ে যায় । কেউক্রাডং আগে উঠলে অভ্যাস হয়ে যায় !
ঝুমুর একটু ভয়ে ভয়ে তাকালো বটে ! সত্যিই যদি না পারে ও !

পরের দিন সকালে রওয়ানা দিল ওরা ! জীবনে ঝুমুর এতো পরিশ্রম করেছে বলে মনে হয় না । তবে এতো পরিশ্রম সার্থক হল যখন সে একেবারে চুড়া থেকে সামনের পাহাড়ের দিকে তাকালো । মনে হল যে এই ভাবে সারা জীবন তাকিয়ে থাকতে পারবে । আসার পথে পুরো গ্রুপের সাথে ওর বেশ ভাবও হয়ে গেছে । ও ছাড়াও আরও চারজন মেয়ে রয়েছে গ্রুপে । সবাই বলতে গেলে অচেনা অথচ এখন এই চুড়াতে উঠে কেমন চেনা পরিচিত হয়ে গেছে । সব চেয়ে পরিচিত হয়েছে অপু । পুরো রাস্তাটাই অপু ঠিক ওর সাথেই ছিল । কোথায় কোথায় কি আছে না আছে সব তার চেনা । আগে থেকেই ওকে সাবধান করে দিচ্ছিলো । সাহায্য করছিলো ।

ঝুমুর ঠিকই বুঝতে পারছিলো ওর প্রতি অপুর এই আচরণ ! এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক । যতযাই হোক ঝুমুরের এই চেহারাটাকেই তো অপু ভালোবেসে ছিলো । তার সকল কল্পনাই ছিল এই চেহারাকে কল্পনা করে । চোখের সামনে ওকে দেখতে পেয়ে ছেলেটার মনের অবস্থা ঝুমুর একটু হলেও আঁচ করতে পারছে ঠিকই !

সুর্য ডুবে যাওয়াটা ঝুমুর চুড়ায় বসে দেখলো । ওদের সাথে আরও দুইটা গ্রুপ উঠেছে আজকে । ঝুমুর এক পাশে বসে চুপচাপ সূর্যাস্ত দেখছিলো তখনই অপুর দিকে চোখ গেল । ছেলেটা কেমন এক ভাবে তাকিয়ে রয়েছে সেদিকে । ঝুমুরের মনে কৌতুহল হল যে কী এমন দেখতে মনযোগ দিয়ে । একভাবে !

অন্ধকার নেমে এলেও অপু এক স্থানেই বসে রইলো । ঝুমুর আস্তে আস্তে অপুর পাশে গিয়ে বসলো । কিছু সময় দুজন চুপচাপ বসে রইলো । তারপর ঝুমুরই প্রথম মুখ খুলল ।
-সেই কখন থেকে দেখছি একভাবে তাকিয়ে রয়েছেন ! কী দেখছেন ?
-নিঃসঙ্গতা !
-মানে ?
-এই যে তাকিয়ে দেখুন কী একাকী দাড়িয়ে রয়েছে পাহাড় গুলো । সারা জীবন এভাবে একা একা থাকতে হয় ! আসলে এদের কাছে এল আমি নিজেকে খানিকটা খুজে পাই । এদের মতই আমি নিঃসঙ্গ ।
আবারও নিরবতা । ঝুমুর কী বলবে খুজে পেল না ! এক সময় অপু কথা বলল । জানেন যেবার প্রথম উঠলাম এখানে, সকালে যখন সূর্যোদয় দেখছিলাম, তাকে ফোন দিয়েছিলাম । নেটওয়ার্ক সব সময় থাকে না । থেকে থেকে আসে ! এখান থেকে তাকে ফোন দিয়ে বলেছিলাম ভালোবাসি !
-তারপর ?
-স্বপ্ন দেখেছিলাম একদিন তাকেও নিয়ে আসবো । এক সাথে এখানে বসে তার হাতে হাত রেখে দেখবো সূর্যোদয় ! পরের বার যখন এলাম তখন সে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তবে ফোন দিলে রিং ঢুকতো ! সেবার কয়েকবার ফোন দেওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু নেটওয়ার্ক এমন বাজে ছিল যে ঢুকলোই না । তারপর সেই সিম টা বন্ধ হয়ে যায় ! কিন্তু প্রতিবার এসে তাকে আমি ঠিকই ফোন দেই । রিং ঢুকবে না জেনেও । কী গাধা !

ঝুমুরের মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল । এই ছেলেটা এখনও সেই বদ্ধ ঘর থেকে বের হতে পারে নি । পারবে কি বের হতে কোন দিন ! হঠাৎ ঝুমুরের কি হল সে বলল, কালকে আমার সাথে দেখবেন সূর্যোদয় ! কেমন ?
অপু ফিরে তাকালো ঝুমুরের দিকে । অন্ধকার হয়ে এলেও চুড়ায় একটা আলো জ্বলছে । সেই আলোতে চেহারা দেখা যাচ্ছে । ঝুমুর বলল, আপনি এখনও মোবাইল থেকে আমার ছবিটা সরান নি ! তাই না ?
-জি !
ঝুমুর হাসলো । তারপর বলল, কাল আপনার ইচ্ছে পূরন হবে !

এমন সময় রাতের খাবারের ডাক পড়লো ।

পরদিন সকালে ঝুমুর যখন চুড়ায় গিয়ে হাজির হল তখন বলতে গেলে কেউ আসে নি । অল্প দুয়েকজন বসে রয়েছে । সূর্য উঠতে তখন মিনিট পনের বাকি ! ঝুমুর ঠিক অপুর পাশেই গিয়ে দাড়ালো । তারপর অপুকে অবাক করে দিয়ে অপুর হাত ধরলো । বলল, অপু আজকে আপনার একটা ইচ্ছে পূরণ হবে । অন্য কিছু ভাববেন না । কেবল ভাবুন যে আপনি যাকে ভালোবাসতেন তার পাশে বসেই সূর্যোদয় দেখছেন । তার হাতে হাত ধরে ! যে চেহারাটাকে এতো দিন ভালো বেসেছেন সেই চেহারার মানুষটাই রয়েছে আপনার পাশে । বুঝেছেন !

যখন সূর্যটা উঠলো ঝুমুর নিজেই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো সেদিকে । কী চমৎকার একটা দৃশ্য । পুরো পাহাড়ের মাঝ দিয়ে একটু একটু করে সূর্যটা উপরে উঠছে । সব কিছু আলোকিত করে দিয়ে ! ঝুমুর অপুর একেবারে গা ঘেসে দাড়িয়েছে । অপুর হাত ধরা !
একটা সময় ঝুমুর উপলব্ধি করলো ওর চোখ দিয়ে বিন্দু বিন্দু পানি পড়ছে । এই চোখের পানির কোন ব্যাখ্যা নেই । অপুর দিকে তাকিয়ে দেখে ওর চোখেরও ঠিক একই অবস্থা । হয়তো তীব্র কোন সৌন্দর্য্যের সামনে পড়লে মানুষ অশ্রুশিক্ত হয় ! ওরাও হয়েছিলো । যদিও অপুর অশ্রুর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে !

পরিশিষ্টঃ

ঢাকায় ফিরে এল ওরা পরদিন সকালে । বাস যখন সায়দাবাদ পৌছালো তখনও বেশ ভোর । অপু নিজ থেকে এগিয়ে এসে ঝুমুরের সাথে এল সিএনজি নিয়ে । একেবারে ওর বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে গেল । যাওয়ার সময় বলল, তোমাকে ধন্যবাদ !
-কেন?
-হয়তো আমি এবার তার মোহ থেকে বের হতে পারবো । গতকাল তোমার সাথে ঐভাবে সূর্যোদয়ের সাথে আমার জীবনেও নতুন ভাবে নতুন সূর্য উঠেছে ।
ঝুমুর হাসলো । বলল, শুনে খুশি হলাম ! ভালো থেকো ।
-তুমিও !
-আর বাসায় পৌছে একটা মেসেজ পাঠিও ।
অপু হাসলো । বলল, আচ্ছা ।

অপুর সিএনজিটার দিকে ঝুমুর এক ভাবে তাকিয়ে রইলো । একেবারে চোখের আড়াল হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাকিয়েই রইলো । ঝুমুর যদিও দেখতে পাচ্ছে না, তবে সে জানে অপুও তাকিয়ে রয়েছে ওর দিকে । চোখের আড়াল হলে সে গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলো । অনুভব করলো নিজের ভেতরে একটা অন্য রকম আনন্দ হচ্ছে ! সেটা কি ট্যুর থেকে ফিরে আসার জন্য নাকি অপুর সাথে পরিচয় হওয়ার জন্য সেটা সে বলতে পারবে না !

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.8 / 5. Vote count: 67

No votes so far! Be the first to rate this post.


Discover more from অপু তানভীর

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →