নতুন সূর্যোদয়

4.8
(65)

ঝুমুর খানিকটা অবাক হয়েই লক্ষ্য করলো সামনে বসে মানুষটার চোখ দিয়ে কেমন টপটপ করে পানি পড়া শুরু করেছে । একটা বিস্ময় বোধ কাজ করলো ওর ভেতরে । সেই সাথে মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা বিরক্তিবোধটা চলে গেল সাথে সাথে । তার বদলে সেখানে এসে জড় হল একটা দুঃখবোধ । অজানা অচেনা এই ছেলেটার জন্য ঝুমুরের কষ্ট হতে লাগলো ।
ছেলেটি কিছু সময় পরে সামলে নিল নিজেকে । পকেট থেকে টিস্যু বের করে চোখ মুছলো । তারপর বলল, সরি । আসলে কত বড় গাধা আমি দেখেছেন ! এভাবে একজনকে না দেখে কিভাবে এতোটা সময় তাকে ভালোবাসলাম বলুন ! গাধাদের সাথে আসলে এমনই হওয়া দরকার !
ঝুমুর কি বলবে সেটা খুজেই পেল না । ওর কাছে কেবলই মনে হচ্ছে যে ও যাই বলুক না কেন সেটা কোন ভাবেই ছেলেটাকে কোন প্রকার শান্তনা দিতে পারবে না !
ছেলেটা বলল, আচ্ছা আমি যাই । ভাল হল আজকে আপনার সাথে দেখা হল । একটা সত্যের মুখোমুখি হয়ে ভালই হয়েছে । মিথ্যা কোন কিছুর জন্য আর অপেক্ষা অন্তত করতে হবে না আর ! আসি কেমন !

ঝুমুরকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ছেলেট উঠে চলে দাড়ালো । তারপর দরজার দিকে হাটা দিলো । দরজার কাছে গিয়ে আরেকবার ফিরে তাকালো ঝুমুরের দিকে । ঝুমুর সেই চোখে কী তীব্র একটা অনুভূতি ছায়া দেখতে পেল ! ছেলেটা ওর চেহারাটাকে কি তীব্রভাবেই না ভালোবাসে !

আজকের দিনটা ঝুমুরের জন্য বিশেষ কিছু ছিল না । মাঝে মাঝেই ঝুমুর এই কাজটা করে । কোন কিছু করে না । সারা দিন এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে । রিক্সা করে ঘুরে নয়তো বাসে উঠে পড়ে । একেবারে শেষ স্টপে নেমে পড়ে । আজও সারা দিন এমন করেই কাটিয়ে দিল সে । বিকেলে এই অচেনা কফিশপে বসে কফি কাচ্ছিলো । তখনই খেয়াল করলো একটা ছেলে ওর দিকে বারবার তাকাচ্ছে । প্রথমে একটু বিরক্তই হল । তবে সেটাকে আমলে নিলো না একদম । কিন্তু যখন ছেলেটা ওর টেবিলের সামনে এসে হাজির হল তখন আর না তাকিয়ে পারা গেল না । একটা বিরক্তিবোধ মুখের ভেতরে ছড়িয়ে পরলো । ছেলেটা একটু বিব্রত কন্ঠে বলল, হ্যালো !
-হ্যালো । কিছু বলবেন?
-আপনি কি আমাকে চিনতে পারছেন না ?
-আমার কি চেনার কথা?

ছেলেটার চোখে কেমন একটা বিষাদ দেখতে পেল ঝুমুর । ছেলেটি নিজের মোবাইল বের করে স্ক্রিন অন করে ওর সামনে ধরলো । তারপর বলল, এটা কি আপনি নন?
স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ঝুমুর একটু চমকে গেল । কারণ সেখানে ওয়ালপেপারে ওর নিজের ছবি লাগানো । শাড়ি পরা একটা ছবি !
ঝুমুরের অবাক হওয়া চোখ দেখে ছেলেটা এবার ওর সামনের চেয়ারে বসে পড়লো । তারপর বলল, এটা তো আপনি । তাই না ?
-জি আমি ।
-তারপরেও আমাকে চিনতে পারছেন না ?
-জি না !

তখনই ছেলেটার দিকে তাকালো সে । ছেলেটা কেমন একটা মলিন চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে ওর দিকে । চোখের পানি আটকানোর চেষ্টা করছে । ছেলেটি বলল, জানেন এই চেহারার ছবিই সে আমাকে পাঠিয়েছিলো । আপনার আরও বেশ কয়েকটা সে আমাকে পাঠিয়েছে। আমি সেটাই তার চেহারা ভেবেছি । সেই চেহারাকে ভালোবেসেছি ! আমার আগেই বোঝা উচিৎ ছিল ! আমি কতবড় গাধা !

ঝুমুরের ব্যাপারটা বুঝতে একটু সময় লাগলো । তবে বুঝতে পারলো । কোন মেয়ে নিশ্চিত ওর এই ছবি গুলো নিয়ে ছেলেটাকে পাঠিয়েছে । প্রেম করেছে । এই ছেলেটাও সরল সোজা ভাবে সেটাকে সত্য ভেবে নিয়ে ভালোবেসে গেছে ।
ঝুমুর বলল, আপনি কোন দিন দেখেন নি তাকে?
-না ! আমি কতবার দেখা করতে চেয়েছি । সে রাজি হয় নি। এমন কি ভিডিও কলেও আসতে রাজি হয় নি ।

ছেলেটা চলে যাওয়ার পরে ঝুমুরের মনটা খারাপই হয়ে রইলো । অচেনা এই ছেলেটার মন খারাপের পেছনে কেন জানি নিজেকে খানিকটা দোষী মনে হল ওর ! যদি সে নিজের ছবি এই রকম পাব্লিক করে না পোস্ট করতো তাহলে হয়তো সেই মেয়ে কোন দিন এই ছবি গুলো নিতে পারতো না । তাহলে হয়তো অন্য কারো ছবি নিতো । তখন তার ছবি তো আর নিতো না !

ঝুমুরের পরের কয়েকটা দিন বারবার ঘুরে ফিরে কেবল ছেলেটার সেই মলিন চেহারাই মনে হতে লাগলো । কিছুতেই সে ছেলেটার চেহারাটা ভুলতে পারলো না । কিন্তু না পারলে আর কি হবে, ছেলেটার ব্যাপারে সে কিছুই জানে না । এমন কি নামটা পর্যন্ত জানে না সে । তাকে কি কোন দিন আর খুজে পাবে সে ?

তবে ভাগ্যে যে আবারও তাদের দেখা হওয়ার ব্যাপারটা লেখা ছিল । সেটা হয়ে গেল ।
ঝুমুর অনেক দিন থেকেই বান্দরবানে যাওয়ার প্লান করছিলো । ব্যাটে বলে কিছুতেই মিলছিলো না । বিশেষ করে ওর বন্ধুবান্ধবরা কেউ এতো পরিশ্রম করে কেউক্রাডংয়ের উপরে উঠতে রাজি নয় । তারা বড়জোর নীলগীরি আর নীলাচল পর্যন্ত যেতে পারে যেখানে ওরা কেবল গাড়ি নিয়ে যেতে পারে । হেটে এতো দুর তাদের কেই উঠতে রাজি নয় ! তাই শেষ বাধ্য হয়ে একটা ট্যুর গ্রুপের সাথে একা একাই যুক্ত হয়ে গেল । সায়দাবাদ থেকে বাসে উঠে বান্ধরবানে নেমে হোটেলে ঢুকলো ফ্রেশ হতে এবং সকালের নাস্তা খেতে । তখনই অবাক হয়ে খেয়াল করলো তাদের গ্রুপের সাথে সেই ছেলেটি রয়েছে । ওর সাথেই বাসে করে এসেছে । অর্থ হচ্ছে ছেলেটাও ওদের সাথে যাচ্ছে !

ছেলেটার সাথে চোখাচোখ হতেই দেখতে পেল ছেলেটাও কেমন অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে ওর দিকে । সম্ভবত ঝুমুরকে সে এখানে মোটেও আশা করে নি । ঝুমুরের কোন কারণ ছাড়াই মন ভাল হয়ে গেল । কেন হল সেটা সে নিজেও জানে না !

সব কাজ কর্ম শেষ করে ওরা যখন বগালেকে পৌছালো তখন বিকাল চারটা । আজকের রাতটা এখানেই থাকার পরিকল্পনা । এই পর্যন্ত আসতে বলতে গেলে তেমন কোন কষ্টই হয় নি । পুরো সময় জিপ গাড়িতে করেই এসেছে । পরের দিন সকালে হাটতে হবে । আসল পরিশ্রম শুরু সেখান থেকেই ।

ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বগালেগের পাড়ে এসে বসলো ও । বেশ কয়েকটা ছবি তুলল । নিজের ফেলফিও তুলল ।
-আমি তুলে দিবো ছবি ?
পেছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখলো অপু দাড়িয়ে । ছেলেটার নাম অপু সে জানতে পেরেছে ।
ঝুমুর কোন কথা না বলে কেবল মোবালটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিল । বেশ কয়েকটা ছবি তুলে দিলো সে । তারপর ওর থেকে একটু দুরত্ব রেখে বসলো । সেও তাকিয়ে রইলো পানির দিকে ।
-আপনি কি এই প্রথম?
-নাহ ! এটা নিয়ে আমার ৫ বার !
ঝুমুর একটু অবাক হয়ে বলল, পাঁচবার ?
-হ্যা । প্রতিবছর একবার করে আসি এখানে !
একটু হাসলো । তারপর আবারও বলল, আপনার মনে হতে পারে যে একই জিনিস বারবার দেখার কি আছে ! আসলে এই জিনিস প্রতিবারই আমার কাছে নতুন লাগে ! এই যে দেখছেন পানিটা, প্রতিবার আমার কাছে অপরিচিত মনে হয় । নতুন ভাবে দেখি !
-তাই বুঝি ?
-হুম ! তা আপনি কি এই প্রথম ?
-হ্যা ।
-কাল কিন্তু বেশ হাটতে হবে !
-অনেক কষ্টের ?
-নাহ । অতো টা ! মাঝারি ! সামলে নিতে পারবেন আশা করি । প্রথমবারেই নাফাকুমের দিকে গেলে বেশি কষ্ট হয়ে যায় । কেউক্রাডং আগে উঠলে অভ্যাস হয়ে যায় !
ঝুমুর একটু ভয়ে ভয়ে তাকালো বটে ! সত্যিই যদি না পারে ও !

পরের দিন সকালে রওয়ানা দিল ওরা ! জীবনে ঝুমুর এতো পরিশ্রম করেছে বলে মনে হয় না । তবে এতো পরিশ্রম সার্থক হল যখন সে একেবারে চুড়া থেকে সামনের পাহাড়ের দিকে তাকালো । মনে হল যে এই ভাবে সারা জীবন তাকিয়ে থাকতে পারবে । আসার পথে পুরো গ্রুপের সাথে ওর বেশ ভাবও হয়ে গেছে । ও ছাড়াও আরও চারজন মেয়ে রয়েছে গ্রুপে । সবাই বলতে গেলে অচেনা অথচ এখন এই চুড়াতে উঠে কেমন চেনা পরিচিত হয়ে গেছে । সব চেয়ে পরিচিত হয়েছে অপু । পুরো রাস্তাটাই অপু ঠিক ওর সাথেই ছিল । কোথায় কোথায় কি আছে না আছে সব তার চেনা । আগে থেকেই ওকে সাবধান করে দিচ্ছিলো । সাহায্য করছিলো ।

ঝুমুর ঠিকই বুঝতে পারছিলো ওর প্রতি অপুর এই আচরণ ! এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক । যতযাই হোক ঝুমুরের এই চেহারাটাকেই তো অপু ভালোবেসে ছিলো । তার সকল কল্পনাই ছিল এই চেহারাকে কল্পনা করে । চোখের সামনে ওকে দেখতে পেয়ে ছেলেটার মনের অবস্থা ঝুমুর একটু হলেও আঁচ করতে পারছে ঠিকই !

সুর্য ডুবে যাওয়াটা ঝুমুর চুড়ায় বসে দেখলো । ওদের সাথে আরও দুইটা গ্রুপ উঠেছে আজকে । ঝুমুর এক পাশে বসে চুপচাপ সূর্যাস্ত দেখছিলো তখনই অপুর দিকে চোখ গেল । ছেলেটা কেমন এক ভাবে তাকিয়ে রয়েছে সেদিকে । ঝুমুরের মনে কৌতুহল হল যে কী এমন দেখতে মনযোগ দিয়ে । একভাবে !

অন্ধকার নেমে এলেও অপু এক স্থানেই বসে রইলো । ঝুমুর আস্তে আস্তে অপুর পাশে গিয়ে বসলো । কিছু সময় দুজন চুপচাপ বসে রইলো । তারপর ঝুমুরই প্রথম মুখ খুলল ।
-সেই কখন থেকে দেখছি একভাবে তাকিয়ে রয়েছেন ! কী দেখছেন ?
-নিঃসঙ্গতা !
-মানে ?
-এই যে তাকিয়ে দেখুন কী একাকী দাড়িয়ে রয়েছে পাহাড় গুলো । সারা জীবন এভাবে একা একা থাকতে হয় ! আসলে এদের কাছে এল আমি নিজেকে খানিকটা খুজে পাই । এদের মতই আমি নিঃসঙ্গ ।
আবারও নিরবতা । ঝুমুর কী বলবে খুজে পেল না ! এক সময় অপু কথা বলল । জানেন যেবার প্রথম উঠলাম এখানে, সকালে যখন সূর্যোদয় দেখছিলাম, তাকে ফোন দিয়েছিলাম । নেটওয়ার্ক সব সময় থাকে না । থেকে থেকে আসে ! এখান থেকে তাকে ফোন দিয়ে বলেছিলাম ভালোবাসি !
-তারপর ?
-স্বপ্ন দেখেছিলাম একদিন তাকেও নিয়ে আসবো । এক সাথে এখানে বসে তার হাতে হাত রেখে দেখবো সূর্যোদয় ! পরের বার যখন এলাম তখন সে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তবে ফোন দিলে রিং ঢুকতো ! সেবার কয়েকবার ফোন দেওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু নেটওয়ার্ক এমন বাজে ছিল যে ঢুকলোই না । তারপর সেই সিম টা বন্ধ হয়ে যায় ! কিন্তু প্রতিবার এসে তাকে আমি ঠিকই ফোন দেই । রিং ঢুকবে না জেনেও । কী গাধা !

ঝুমুরের মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল । এই ছেলেটা এখনও সেই বদ্ধ ঘর থেকে বের হতে পারে নি । পারবে কি বের হতে কোন দিন ! হঠাৎ ঝুমুরের কি হল সে বলল, কালকে আমার সাথে দেখবেন সূর্যোদয় ! কেমন ?
অপু ফিরে তাকালো ঝুমুরের দিকে । অন্ধকার হয়ে এলেও চুড়ায় একটা আলো জ্বলছে । সেই আলোতে চেহারা দেখা যাচ্ছে । ঝুমুর বলল, আপনি এখনও মোবাইল থেকে আমার ছবিটা সরান নি ! তাই না ?
-জি !
ঝুমুর হাসলো । তারপর বলল, কাল আপনার ইচ্ছে পূরন হবে !

এমন সময় রাতের খাবারের ডাক পড়লো ।

পরদিন সকালে ঝুমুর যখন চুড়ায় গিয়ে হাজির হল তখন বলতে গেলে কেউ আসে নি । অল্প দুয়েকজন বসে রয়েছে । সূর্য উঠতে তখন মিনিট পনের বাকি ! ঝুমুর ঠিক অপুর পাশেই গিয়ে দাড়ালো । তারপর অপুকে অবাক করে দিয়ে অপুর হাত ধরলো । বলল, অপু আজকে আপনার একটা ইচ্ছে পূরণ হবে । অন্য কিছু ভাববেন না । কেবল ভাবুন যে আপনি যাকে ভালোবাসতেন তার পাশে বসেই সূর্যোদয় দেখছেন । তার হাতে হাত ধরে ! যে চেহারাটাকে এতো দিন ভালো বেসেছেন সেই চেহারার মানুষটাই রয়েছে আপনার পাশে । বুঝেছেন !

যখন সূর্যটা উঠলো ঝুমুর নিজেই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো সেদিকে । কী চমৎকার একটা দৃশ্য । পুরো পাহাড়ের মাঝ দিয়ে একটু একটু করে সূর্যটা উপরে উঠছে । সব কিছু আলোকিত করে দিয়ে ! ঝুমুর অপুর একেবারে গা ঘেসে দাড়িয়েছে । অপুর হাত ধরা !
একটা সময় ঝুমুর উপলব্ধি করলো ওর চোখ দিয়ে বিন্দু বিন্দু পানি পড়ছে । এই চোখের পানির কোন ব্যাখ্যা নেই । অপুর দিকে তাকিয়ে দেখে ওর চোখেরও ঠিক একই অবস্থা । হয়তো তীব্র কোন সৌন্দর্য্যের সামনে পড়লে মানুষ অশ্রুশিক্ত হয় ! ওরাও হয়েছিলো । যদিও অপুর অশ্রুর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে !

পরিশিষ্টঃ

ঢাকায় ফিরে এল ওরা পরদিন সকালে । বাস যখন সায়দাবাদ পৌছালো তখনও বেশ ভোর । অপু নিজ থেকে এগিয়ে এসে ঝুমুরের সাথে এল সিএনজি নিয়ে । একেবারে ওর বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে গেল । যাওয়ার সময় বলল, তোমাকে ধন্যবাদ !
-কেন?
-হয়তো আমি এবার তার মোহ থেকে বের হতে পারবো । গতকাল তোমার সাথে ঐভাবে সূর্যোদয়ের সাথে আমার জীবনেও নতুন ভাবে নতুন সূর্য উঠেছে ।
ঝুমুর হাসলো । বলল, শুনে খুশি হলাম ! ভালো থেকো ।
-তুমিও !
-আর বাসায় পৌছে একটা মেসেজ পাঠিও ।
অপু হাসলো । বলল, আচ্ছা ।

অপুর সিএনজিটার দিকে ঝুমুর এক ভাবে তাকিয়ে রইলো । একেবারে চোখের আড়াল হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাকিয়েই রইলো । ঝুমুর যদিও দেখতে পাচ্ছে না, তবে সে জানে অপুও তাকিয়ে রয়েছে ওর দিকে । চোখের আড়াল হলে সে গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলো । অনুভব করলো নিজের ভেতরে একটা অন্য রকম আনন্দ হচ্ছে ! সেটা কি ট্যুর থেকে ফিরে আসার জন্য নাকি অপুর সাথে পরিচয় হওয়ার জন্য সেটা সে বলতে পারবে না !

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.8 / 5. Vote count: 65

No votes so far! Be the first to rate this post.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →