কাঠের জানলাটা খুব সাবধানে খোলার চেষ্টা করলাম, যেন কোন আওয়াজ না হয়। তবুও খানিকটা ক্যাঁচকুচ আওয়াজ বের হয়েই গেল। মনের ভেতরে একটা ভয় এসে জড় হল সাথে সাথেই। আব্বার কানে এই আওয়াজ গেলে আমার খবর আছে। আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি আমার ঘরের ঠিক সামনেই উঠানে চেয়ারের উপর তিনি বসে আসেন। আমি আবার নিজের খাটের কছে ফিরে এলাম।
কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না । অবশ্য বুঝতে পারলেও কিছু করার ছিল না। এই ঘর থেকে পালাতে পারতাম না কিছুতেই। ঘরের দরজায় তালা মারা। আর সেই তালার চাবি নিয়ে আব্বার দরজার সামনেই বসে আছেন। পালানোর কোন পথ নেই।
আব্বা দরজার সামনে বসে আছে। আমার বাপের কি সাধ্য তার সামনে দিয়ে পালানো!
বাপের কি সাধ্য ? নিজের ভাবনায় নিজের কাছেই হাসি পেল। আসলে বড় ধরেনের শক খেলে মানুষের চিন্তা একটু এলোমেলো হয়ে যায়। আমার অবস্থা ঠিক ঐ রকমই হয়েছে।
সকালবেলা ঘুমাচ্ছিলাম। আব্বার ফোনে ঘুম ভাঙ্গল।
-এতো বেলা করে ঘুমাচ্ছ কেন?
আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম মাত্র সাতটা বাজে। ছুটির দিনে সাতটা পর্যন্ত ঘুমানো নিশ্চই জায়েজ আছে। কিন্তু এই কথাটা আব্বাকে বলার সাহস হল না।
আব্বা আরো কিছুক্ষণ ঝাড়ি মারলেন। চুপচাপ শুনলাম। তারপর বললেন, এখনই বাড়িতে আসো।
আমি বলতে পারলাম না কেন আসব! ছোট একটা ব্যাগ নিয়ে রওনা দিয়ে দিলাম। ঢাকা থেকে কাছেই আমাদের বাড়ি। ঘন্টা খানেকের রাস্তা। দশটার মধ্যেই বাড়িতে এসে পৌছালাম।
আমাদের বাসাটা বেশ খোলামেলা। দেয়াল দেওয়া না। দুর থেকেই দেখা যায় কী হচ্ছে। বাড়ি থেকে তখনও খানিক তফাতে, দেখলাম আমাদের বাড়িতে কেমন একটা উৎসব উৎসব ভাব।
শামীয়ানা টাঙ্গানো হচ্ছে। লোকজন এদিক ওদিক ছোটা ছুটি করছে। কেন কে জানে?
আরো একটু কাছে এসে দেখলাম দুটো বড় সাজেই গরুও জবাই করা হয়েছে। মনে মনে ভাবলাম নিশ্চয়ই আব্বা বড় কোন অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে। এই জন্য আমাকে আসতে বললেন।
কিন্তু কী জন্য? এমন বড় কিছু হলে মা নিশ্চয়ই আমাকে ফোন করে জানাতো।
বাসায় ঢুকতেই দিপুর সাথে দেখা হল। আমাকে দেখে কেমন অদ্ভুত ভাবে হাসল। বললাম, কিরে ওমন করে হাসছিস কেন? আমাকে এর আগে দেখিস নি?
দিপু বলল, টের পাবা।
আর কিছু বলল না। মানে কি? আমি কিভাবে টের পাব?
আমি অবাক হয়ে দেখলাম বাড়ির প্রতিটি মানুষ দিকে তাকিয়ে আছে আর সবার মুখেই কেমন অদ্ভুত হাসি।
এদের সমস্যা কী? ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখি মা বসে বসে পান খাচ্ছে। ব্যাগটা মাটিতে রাখতে রাখতে বললাম, কী হচ্ছে গো মা? এতো আয়োজন কিসের?
দেখলাম মাও হাসল। সেই অদ্ভুত হাসি। মা কিছু বলতে যাবে ঠিক ঐ সময়ে বাবা পেছন থেকে বলে উঠল, আনয়ারুল আলম?
চরকির মত ঘুরে বললাম, জি আব্বা?
-তোমার মোবাইলটা আমার হাতে দাও।
আমি বাধ্য ছেলের মত আমার মোবাইল ফোনটা দিয়ে দিলাম। আমার মোবাইলটা নিলো কেন বুঝলাম না। আব্বা মাকে উদ্দেশ্য করে বললেন
-নীলুফা তুমি বাইরে যাও।
-এখনই কইবেন? পোলাডা মাত্রইতো আইলো।
মা আরো কিছু বলতে চাচ্ছিল কিন্তু আব্বার মুখের দিকে তাকিয়ে আর কিছু বলল না। ঘরের বাইরে চলে গেল।
তারপর আব্বা আমার দিকে তাকিয়ে যা বলল তা শোনার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। আব্বা কেবল একটা কথাই বললেন
-আজ দুপুরে তোমার বিয়ে।
আর কোন কথা নেই। তারপর ঘুরে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় দরজা বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে গেলেন। তার মনে এই চিন্তা এসেছিল যে আমি পালাতে পারি।
কিছুক্ষণ পর আব্বা নিজেই জানলার কাছে এলেন। আমার মোবাইলটা আমার কাছে ফেরৎ দিয়ে বললেন, তোমার কোন বন্ধুকে ইচ্ছা করলে ডাকতে পারো। বিয়ে শাদীতে বন্ধুবান্ধবের দরকার আছে। নাও, ফোন দাও।
আমি শুকনো মুখে বললাম, জি আচ্ছা।
মোবাইলটা নিয়ে খানিকটা শান্তি লাগল। এতোক্ষণ তো একেবারে বন্দী ছিলাম এখন অন্তত একটু মুক্ত।
আচ্ছা, ফোন দিয়ে যদি এখন পুলিসকে খবর দেই তাহলে কি তারা এসে আমাকে উদ্ধার করবে?
না, মনে হয়। তাহলে কার কাছে দিবো ? সজিবের কাছে দেই? ও ই সব থেকে কাছের বন্ধু ।
সজিব কোন না কোন বুদ্ধি দিতে পারবে।
-হ্যালো, কই তুই ? সকাল বেলা ঘুম থেকে উইঠা দেখি তুই গায়েব। গেলি কই?
-গ্রামে আসছি।
-ও। হঠাৎ গ্রামে গেলি ক্যান ?
-আব্বা আসতে বলল।
-ক্যান ?
-আজ আমার বিয়ে !
সজিব মনে হয় পানি বা ঐ জাতীয় কিছু খাচ্ছি। মুখ থেকে ছিটকে বের হবার আওয়াজ পেলাম।
-কী……. কী বললি ?
-আজ কে আমার বিয়ে।
-ক্যামনে? কালকেও কিছু বললি না। আর আজকে বিয়া?
-আরে আমিও কি জানি নাকি? সকাল বেলা আব্বা ফোন দিয়ে বলল বাসায় আসতে। এলাম। ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দরজা আটকিয়ে দিয়ে বলল আজ তোমার বিয়ে।
-কী বলিস ? ফান্দে পরছোস?
-হুম। কিছু একটা বুদ্ধি দে।
-পালাইতে পারবি না ?
-উপাই না। আব্বা দরজার সামনে বসে আছে।
-তাইলে মামা আমি কী করুম?
কথা সত্য। সজিবের আসলে কিছুই করার নাই। আমি দরজা থেকে বের পারলেও খুব বেশি দুর পালাতে পারবো না। পুরো গ্রাম আব্বার কথায় চলে। কেউ না কেউ ধরে ফেলবেই।
-দোস্ত একটা বুদ্ধি পাইছি।
-কী?
-নিশিরে ফোন দে।
-নিশিরে? ক্যান?
-আরে নিশিদের বাড়িতো তোদের গ্রামেই। তুই ওরে ফোন দে দেখ ও একটা ব্যবস্থা ঠিকই করে ফেলবে।
-কিন্তু ও এক মাস ধরে আমার ফোনই ধরছে না।
-আরে ধরবে। চেষ্টা করতে থাক। ও ছাড়া আর কোন উপায় নাই। আর আমি আইতাছি। বিয়ে না হলে তোকে নিয়ে ঢাকায় আসবো আর যদি হয়েই যায় তাহলে বিয়ের খানা খেয়ে আসবো। বহুদিন বিয়ের দাওয়াত খাওয়া হয়।
ফোন রেখে আমি নিশিকে ফোন লাগালাম। আজ একমাস নিশি আমার ফোন রিসিভ করে না। আজকে ধরবে কি না কে জানে? দেখলাম কপাল ভাল। প্রথম বারেই ধরল।
-বল ।
-কেমন আছো জান?
-জান ফান বাদ দাও। কী জন্য ফোন দিয়েছ বল? আমার অনেক কাজ পরে আছে।
-কী কাজ ?
-কি কাজ সেটা তোমার না জানলেও চলবে! কেন ফোন দিয়েছ তাই বল?
-আজ আমার বিয়ে।
নিশি কিছুক্ষন চুপ করে থাকল। তারপর বলল, ভাল তো। বিয়ে করে ফেলো।
-আমি ইচ্ছা করে করছি না। বাবা জোর করে বিয়ে দিচ্ছে।
-ভাল! বাবার বাধ্য ছেলের মত বিয়ে করে ফেলো। আমাকে ফোন দিয়েছ কেন? দাওয়াত দিতে?
-প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা কর না! আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।
-তাহলে বল তোমার বাবাকে।
-আচ্ছা তা না হয় বলব কিন্তু এখন আমাকে উদ্ধার কর প্লিজ।
-কিভাবে করবো শুনি?
-তোমার বাবাকে ফোন করে একটু বল যেন আমার বাবাকে একটু বলে।
-আচ্ছা তুমি চাও যে তোমার জন্য আমি আমার বাবাকে বিপদে ফেলি।
-মানে কী?
-মানে বোঝ না? তোমার বাবা যে পরিমান রাগি! বিয়ে আটকাতে গেলে আমার বাবাকে গুলে করে দিবে। শোন আমি তোমার পিছনে অনেক সময় নষ্ট করেছি। আর না। যে ছেলে পাঁচ বছর ধরে একটা বারও বিয়ের কথাটা বলতে পারলো না, যে ছেলে এতো ভীতু এমন ছেলেকে আমি বিয়ে করবো না।
-প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা কর।
-কোন বোঝাবুঝি নাই । নিজে পারলে বল। না হয়ে ঐ বাপের পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করে ফেলো।
-প্লিজ একটু ……
নিশি আর শুনলো না। ফোন কেটে দিল। আর একবার ফোন দিবো কিনা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না।
ফোন দিয়ে লাভ নাই আমি জানি । নিশি আর ফোন ধরবে না। ও যা জেদি । একবার যা বলবে তাই।
মাস খানেক আগে একদিন এসে বলল, তুমি কি আমাকে বিয়ে করবা?
প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো ঠাট্টা করছে। কিন্তু মুখ দেখে বুঝলাম যে ও সিরিয়াস। বেশ কিছুদিন থেকেই ও বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল।
কিন্তু আমি এড়িয়ে যাচ্ছিলাম। আসলে আমারও ইচ্ছা নিশিকে বিয়ে করার। কিন্তু আব্বাকে কিভাবে বলি? আব্বার সামনে এ কথা বলার আমার সাহস নাই। আর একা একা বিয়ে করার মত যে বুকের পাটা লাগে সেটাও আমার নাই। আব্বা আমাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে!
-কি বিয়ে করবা তুমি ?
-আব্বাকে কিভাবে বলব ?
-আমি কী জানি? তোমার বাবা তুমি বলবা? এই কথাটা বললে নিশ্চয়ই উনি তোমাকে খেয়ে ফেলবে না?
-তুমি আমার আব্বা কে চিনো না। আমাকে চিবিয়ে খেয়েই ফেলবে।
-ওকে, ঠিক আছে। তাহলে আমার কথা ভুলে যাও। ঠিক আছে? আজকের পর তুমি আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবে না। কোন ভীতু কাপুরুষের সাথে আমি কোন রকম সম্পর্ক রাখবো না।
তারপর থেকে নিশি আর আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ রাখে নি। আমি ফোন করলেও ও আর ফোন ধরে নি।
সজিব দুপুরের মধ্যেই চলে এল। ভেবেছিলাম ও হয়তো কিছু একটা করবে কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম নিজেই বিয়ের কাজে খুব উৎসাহী।
বিয়েটা ওর হলে ভাল হত!
দুপুরবেলা আমাকে ঘর থেকে বের করা হল। গায়ে হলুদ হবে। আব্বা নতুন লুঙ্গি আর গেঞ্জি এনে পরতে বললেন। আমাকে উঠানের মাঝখানে বসানো হল।
কোথা থেকে জানি একঝাক পোলাপাইন আমাকে ঘিরে ধরল। আমার সারা গায়ে হলুদ ডলতে শুরু করল। আস্তে আস্তে সবাই এসে এই কাজে হাত দিল।
সজিবও এল হলুদ দিতে। ওকে দেখে মেজাজটা খারাপ হল। বললাম, তুই বিয়ে আটকানোর কী করলি?
সজিব যেন আকাশ থেকে পড়ল। আমার দিকে তাকিয়ে বলল, বিয়ে আটকাবো কোন দুঃখে? এতো সুন্দর আয়োজন! চুপচাপ বিয়ে করে ফেল।
সজিব আর দাড়াল না।
বিকেলের কিছু পরে আমার বিয়ে হয়ে গেল। আসলে গায়ে হলুদের পর আমি একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছিলাম। কী হচ্ছে না হচ্ছে কিছু বুঝতেই পারছিলাম না। কেবল এইটুকু মনে আছে চুটুক দাড়িওয়ালা এক লোক আমাকে বলল, বাবা, কবুল বল।
-জ্বী?
-কবুল, বল বাবা।
সাথে সাথে আব্বাব ও বলে উঠল, কবুল বল ।
আমার আর কিছু খেয়াল হল না । আব্বা কবুল বলতে বলেছে তাই বলে ফেললাম, কবুল কবুল কবুল ।
যখন মোটামুটি স্থির হলাম তখন রাত হয়ে গেছে। সজিবের সাথেই ছিলাম। ও কী বকবক করছিল কে জানে আমার মাথা দিয়ে কিছুই ঢুকছিল না। বারবার মনে হচ্ছিল সকালবেলাই জীবিত ছিলাম এখন বিবাহিত হয়ে গেলাম।
এতোকাল কেবল আব্বার কথা মত জীবন কাটিয়েছি এখন তার সাথে যুক্ত হল বউ এর খবরদারী।
আমার নিজের লাইফ বলে কি কিছু নাই?
একবার মনটা বিদ্রোহ করে উঠল। আমার নিজের লাইফ বলে কি কিছু নাই?
আমি এই বিয়ে মানি না।
আমি বাসর ঘরে ঢুকবো না।
কেউ আমাকে বাধ্য করতে পারবে না।
-আনয়ারুল আলম !
-জ্বী আব্বা!
-রাত হচ্ছে।
-জ্বী আব্বা!
-বউ মা অনেক ধরে অপেক্ষা করছে। ঘরে যাও।
-জ্বী আব্বা।
সজিব আমাকে ঘরের সামনে নিয়ে গেল। হাটছিল কিন্তু পায়ে কোন বল পাচ্ছিলাম না। চিরো পরিচিত এই ঘরটাও কেমন যেন অপরিচিত মনে হচ্ছে। সজিব কে বললাম, ভয় লাগছে রে।
সজিব হাসল । বলল, আরে ভয় পাশ কেন? কিছু হবে না। যা আল্লাহর নাম নিয়ে যা। আর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করিস।
আমি দরজা বন্ধ করলাম। দেখলাম খাটের উপর পুরো ঘোমটা দিয়ে কেউ একজন বসে আছে।
আরে কেউ একজন আবার কী ?
ঐটা আমার বউ! কী আশ্চার্য আমার বউ ! আমার বিয়ে করা বউ।
আমি আর একটু কাছে এগিয়ে গেলাম। মেয়েটা নিশ্চই টের পেয়েছে আমি ঘরে ঢুকেছি।
নাকি একবার জানান দিব?
কিছু একটা বলতে গেলাম ঠিক তখনই ধুপ করে বিদ্যুৎ চলে গেল। পুরো ঘর জুড়ে তখন অন্ধকার। এভাবেই কেটে গেল কিছুক্ষণ।
মেয়েটা খাটের উপর বসে আছে। আর আমি দাড়িয়ে আছি খাট থেকে কিছুটা দুরে।
আচ্ছা, মেয়েটা কি অন্ধকারে ভয় পায়? আমার কি কিছু বলা উচিত্? ভয় পেও না, আমি আছি এই টাইপের কিছু।
কিন্তু কোন কথাই মুখ দিয়ে বের হল না।
রুম থেকে কি বের হব?
-কী আশ্চার্য! খাম্বার মত দাড়িয়ে আছো কেন?
আমি মোটামুটি ধাক্কার মত খেলাম।
-আলো জ্বালবে তো!
নিশি? নিশি এল কোথা থেকে?
আমি কাঁপা হাতে মোবাইলটা বের করে আলো জ্বাললাম। নিশি ততক্ষণে ঘোমটা খুলে ফেলেছে।
ও কিভাবে এল?
-কী ব্যাপার ওখানে ওভাবে দাড়িয়ে আছো কেন? মোম টোম জ্বালাও। অন্ধকারে বসে থাকবো নাকি? আজিব তো!
আমি দরজা খুলে বাইরে যেতেই দেখলাম সজিব একটা মোম নিয়ে এগিয়ে আসছে। আমার মুখ দেখেই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছে। আমাকে বলল, কেমন শক খাইলা মামা?
-তুই জানতি?
-আগে থেকে না। এখানে আসার পর থেকে জানলাম। সব নিশির প্লান। ঐ তোর বাবাকে রাজি করিয়েছে। সব বুদ্ধি ওরই। যা যা জলদি যা। বাসর রাতে বউকে রেখে বেশিক্ষণ বাইরে থাকাটা ঠিক না।
আমি মোমের আলো নিয়ে আবার ঘরের দিকে পা বাড়ালাম! বুকের ভেতরে এবার অদ্ভুত এক আনন্দ কাজ করছে।
এই গল্পটা আপনাদের অনেকের পড়া সম্ভবত। এই গল্পটা আমি লিখেছিলাম সেই ২০১২ সালে। সেই সময় এমন গল্প প্রায়ই লিখতাম আমি। এখন অবশ্য আর লেখা হয় না। আসলে সেই সময়ের বয়স আর এখনকার বয়স এক না। তাই এমন গল্প আর লেখা হয় না।
ফেসবুকের অর্গানিক রিচ কমে যাওয়ার কারনে অনেক পোস্ট সবার হোম পেইজে যাচ্ছে না। সরাসরি গল্পের লিংক পেতে আমার হোয়াটসএপ বা টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। এছাড়া যাদের এসব নেই তারা ফেসবুক ব্রডকাস্ট চ্যানেলেও জয়েন হতে পারেন।
Discover more from অপু তানভীর
Subscribe to get the latest posts sent to your email.