আজকের সারাটা দিন কেবল মাত্র এই একটা নিউজই সব জায়গায় ভেসে বেড়াচ্ছে। সংসদ এমপি হায়দার আলী নিজ বাসায় খুন। প্রতিদিন সকালে তিনি বাগানে বসে সকালের চা খান। সেই চা খাওয়ার সময় সময় একটা বুলেট এসে লাগে তার মাথার ঠিক ডান দিকে। তখনই মারা যান তিনি। তখন তার পাশে তার স্ত্রী বসে ছিলেন। এমপি সাহেবের উত্তরার বাসাটা পুরোটাই সিসিটিভির আওতায়। তিনি যেভাবে চা খেতে খেতে গুলি খেয়ে মাটিটে লুটিয়ে পড়লেন সেই ভিডিও এখন পুরো ইন্টারনেটে।
পুলিশ এখন জোর তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু তারা কোন হদিস বের করতে পারে নি। গুলিটা সম্ভবত দক্ষিণ দিকের কোন বিল্ডিং থেকে করা হয়েছে। কিন্তু সমসয়া হচ্ছে এমপি সাহেবের বাড়ির দক্ষিণ দিকে কয়েকটা বড় বড় বিল্ডিং আর শপিং মল আছে। এগুলোর যেকোন একটা থেকেই এই গুলিটা চালানো হতে পারে। কোনটা থেকে করা হয়েছে সেটা পুলিশ এখনও বের করতে পারে নি।
এছাড়াও আরও দুটো খুন নিয়ে পুলিশ বেশ চিন্তিত । এমপি সাহেবের মৃত্যুর ঠিক আগের দিন তার শ্যালককে কে বা মারা মাথায় গুলি করে মেরেছে। এই শ্যালক আবার উত্তর থানার ওসির দায়িত্ব পালন করছিল অনেক ধরে। সেই একই ঘটনা স্থলে একই এলাকার শীর্ষ স্থানীয় এক সন্ত্রাসীকেও মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এই দুইজনই এমপি হায়দার আলী ডান এবং বাম হাত ছিল। তিনি এই দুইজনের মাধ্যমে পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন। এখন এই দুইন আগে এবং ঠিক তার পরের দিন এমপি সাহেব নিজে মারা পড়লেন। পরিস্কার ভাবেই এটা বলা যায় যে এই তিনটা খুন একই ব্যক্তি বা একই গোষ্ঠী করেছে। কিন্তু সে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীটা কে?
প্রথম সন্দেহ বিরোধী দলের উপরে গেলেও পরে সেটা বাদ দেওয়া হয়েছে। আসলে গত এক যুগে বিরোধী দলের উপরে এমন দমন নীপিড়ন চালানো হয়েছে যে তাদের পক্ষে এতো নিঁখুত ভাবে খুন করা সম্ভই না। হয়তো দলের ভেতরেই কেউ এই কাজটা করেছে। অথবা অন্য কোন পক্ষ! কিন্তু সেই কে বা কারা টার কোন খোজ আপাতত পুলিশের কাছে নেই। কেউ জানে না কে তাদের মেরেছে। তবে একজন মানুষ ঠিকই জানে সেই মানষটা কে? কোন দল বা গোষ্ঠী এই তিনজনকে মারে নি। মেরেছে একজন।
নিশু সেই একজনকে খুব ভাল করে চেনে। এবং এই খুনের পেছনে তার নিজের হাত রয়েছে। ব্যাপারটা প্রথম যখন মনে হয়েছিল তখন অদ্ভুত একটা অনুভূতি এসে জড় হয়েছিল। তবে কেন জানি মোটেই খারাপ লাগে নি। বারবার কেবল ওর বন্ধু দিপ্তির চেহারা ফুটে উঠেছিল। নিশু খুব ভাল করেই জানে যে খবরটা যখন সে দেখবে তখন ওর মনে কী অনুভূত হবে । নিশু কয়েকবার দিপ্তিকে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু গত কয়েক মাস থেকেই দিপ্তির ফোন বন্ধ। ওরা যে কোথায় চলে গেছে সেটা কেউ জানে না। ওর বাবাকে ব্যবসা বিক্রি করে দিয়েই এই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। আর এই চলে যেতে যারা বাধ্য করেছে তারা আজকে পরপারে চলে গেছে। নিশু নিজেও জানে না যে কিভাবে আরিয়ানের সামনে গিয়েছিল। নিজের ভেতরে হয়তো পুরোপুরি ছিল না। তবে আরিয়ান তো রাজি হয় নি সেদিন। বরং ওকে বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠিয়েছিল। এতোদিন টিভিতে কিংবা সংবাদপত্রেই এই ধরনের খবরগুলো দেখতে পেত। কিন্তু ঘটনা যখন ওর কাছের মানুষটার সাথে ঘটল এবং এরপরে ওদের উপরে যে ঝড়টা নেমে এল সেটা দেখে নিশু সত্যিই নিজেকে ধরে রাখতে পারে নি।
তখন নিশুদের পাশের বাসায় একজন খুনী বাস করত। এই তথ্যটা আর কেউ জানত না। তবে নিশু জানত। অদ্ভুত ভাবেই সে এই তথ্যটা জেনে ফেলেছিল। বছর খানেক আগে নিশুদের ফ্ল্যাটের পাশে এই সুদর্শন যুবক এসে উঠেছিলাম। কোন মানুষ যে এতো সুদর্শন হতে পারে নিশুর সেটা মোটেই ধারণা ছিল না। যদিও নিশুর বয়স কম কিন্তু তারপরেও নিশু যেন এক দেখাতেই তার প্রেমে পড়ে গেল। তবে কয়েক দিন পরে নিশু যেটা আবিস্কার করল সেটা তার এখনও ঠিক বিশ্বাস হয় না। সেদিন যে স্বাভাবিক কাজটা নিশুর করার দরকার ছিল, সেটা সে করে নি। কেন যে করে নি, সেটার ব্যাখ্যা আসলে নিশুর কাছে নেই। এমন একটা কাজ সে কিভাবে করল এখনও নিশু ভেবে পায় না। সম্ভবত আরিয়ান নামের এই ভয়ংকর খুনীর প্রেমে পড়েছিল বলেই হয়তো।
সেই দিনটা ছিল শনিবার। পরের কোচিংয়ে একটা পরীক্ষা ছিল। তাই নিশু রাত জেগে পড়ছিল। রাত তখন প্রায় আড়াই বাজে। পড়তে পড়তে নিশুর মাথাটা একটু ঝিমঝিম করছিল। তাই সে মাথা ঠান্ডা করলে একটু বাড়ান্দায় এসে হাজির হল। বারান্দার দরজা খুললেই একটা গানের আওয়াজ কানে এল। মেজাজটা আরেকটু খারাপ হল। এতো সময়ে দরজা বন্ধ করে পড়ছিল বলেই গানের আওয়াজ তার কানে আসে নি। পাড়ার বখাটে মাস্তানগুলো এখনও গান বাজাচ্ছে। এখন বাজে রাত দুইটা তবুও এদের কোন বিরাম নেই। মানুষের ঘুম নষ্ট করে এরা ফূর্তি করে বেড়াচ্ছে। অবশ্য কারো কিছু বলার সাহস নেই। নিশু দরজা দিয়ে আবার ভেতরে ঢুকতে যাবে তখনই চোখ গেল সেদিকে। বড় মাঠটার সামনে রাস্তা তারপাশে দোকান। গান বাজছে এই মাঠে। দোকান দিয়ে মাঠ আর দোকানের পেছনে একটা প্রতিবন্ধক সৃষ্টি হয়েছে। অর্থ্যাৎ দোকানের পেছনে যে বা যারা আছে তাদের মাঠের মানুষজন দেখতে পাবে না তবে নিশু ঠিকই দেখতে পাচ্ছিল । দোকানের পেছনে একজন গিয়েছে প্রোস্রাব করতে। অন্তত নিশুর তাই মনে হল। বসে সে কিছু করছে। ঠিক সেই সময়ে ভুতের মত কেউ এসে হাজির হল। তারপর চোখের পলকে কিছুটা ঠেকালো লোকটার মাথায়। লোকটা ঘুরল তবে কয়েক মুহুর্তের জন্যই। সাথে সাথে পড়ে গেল। পাশেই আওয়াজ করে গান বাজার কারণে এই আওয়াজটা কেউ শুনতে পেল না। নিশু কেবল চোখ বড় বড় করে সেদিকে তাকিয়ে রইলো। ওর যেন এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। সে চোখের সামনে একটা খুন হতে দেখল। তবে তার থেকেও অবাক করার ব্যাপার হচ্ছে যখন সে খুনীকে দেখতে পেল ঘুরে সে ঠিক তার বাসার সামনে এসে হাজির হল। এবং তাদের ভেতরেই ঢুকে পড়ল। সম্ভবত তার কাছে চাবি রয়েছে। ওদের বাসার গেটের তালা দেওয়া থাকে তবে প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার কাছেই চাবি আছে। যারা রাত করে বাসায় ফিরে তারা এই চাবি দিয়েই ভেতরে ঢুকে।
নিশু কিছু সময় থম মেরে বসে রইলো। ওর তখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিল না যে ওদের বাসায় এই খুনী থাকে এবং মাথায় হুডি পরা থাকা সত্ত্বেও নিশু সম্ভবত এই খুনীকে চিনতে পেরেছে। তারপরেও আরো নিশ্চিত হতে নিশু ধীর পায়ে নিজের ঘর থেকে বের হল। তারপর আস্তে আস্তে তাদের সদর দরজায় গিয়ে খুব আলতো করে কান পাতল। কয়েক মুহুর্ত অপেক্ষা করার পরেই আওয়াজটা কানে এল তার। ঠিক পাশের বাসার সদর দরজা খোলার শব্দ। এবং সেটা বন্ধ হওয়ার শব্দ। নিচে যে ঢুকেছিল সেটা আর কেউ নয়, তার পাশের বাসার সেই সুদর্শন যুবক। আরিয়ান আহমেদ। আরিয়ান আহমেদই খুনী। এই ভয়ংকর সত্য জানার পরে নিশুর মনে কেমন অনুভূতি হওয়া উচিৎ ছিল সেটা নিশু জানে না। তবে সেদিন রাতে তার ঘুম আসে নি। সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে নাস্তার টেবিলেই জানতে পারে খবরটা। তার বাবা সকালে নামাজ পড়ে আসার সময় জানতে পেরেছে। এলাকার সব থেকে কুখ্যাত বখাটে আর ছিনতাইকারী রমিজকে কে বা কারা গতকাল রাতে মেরে ফেলেছে। প্রাথমিক সন্দেহ গিয়ে পড়েছে তারই সঙ্গী সাথীদের উপরে। গতকাল সারা রাত ধরে গান বাজিয়ে ওরা পাশের মাঠে পিকনিক করছিল। এক পর্যায়ে রমিজ যায় রাস্তার ওপাশে থাকা দোকানের পাশে প্রস্রাব করতে। তারপর আর সেখান থেকে ফিরে আসে নি। পুলিশ মনে করছে যে রাতে পিকনিকের সময়ে কোন না কোন ঝামেলা হয়েছে এবং সেই থেকে মেরে ফেলা হয়েছে।
নিশু কেবল চুপ করে নাস্তা করে গেল। পরীক্ষা দিয়ে সে বাসায় চুপচাপ বসে রইলো। একটা ব্যাপার সে ভেবে অবাক হল যে তার পাশেই যে একজন খুনী থাকে যে কিনা গতকাল রাতে একজনকে গুলী করে মেরে ফেলেছে, এই কথা জানার পরেও নিশুর কেন জানি কিছু মনে হচ্ছে না। বিশেষ করে ঐ বখাটেকে মেরে ফেলেছে এটা জানার পরে নিশুর মন থেকে সব খারাপ অনুভূতি চলে গেছে। সেখানে এসে হাজির হয়েছে ভাল লাগা আর আনন্দের অনুভূতি। এখন নিশুর কাছে আরিয়ানকে আরও বেশি কুল মনে হচ্ছে।
দুইদিন পর দুপুর বেলা নিশু নিজ থেকেই দরজায় গিয়ে কলিংবেল চাপল। আরিয়ান একটু অবাক হয়েই দরজা খুলে দিল। আরিইয়ান বলল, হ্যালো কোন দরকার ছিল?
নিশু একটু হাসল । তারপর বলল, আমি সব কিছু জানি।
-সব কিছু জানো বলতে?
-আপনি যা করেন?
-আমি কী করি?
এই প্রশ্নের জবাব নিশু দিল না। তার বিপরীতে হাসল কেবল। তার চোখের দিকে তাকিয়েই আরিয়ানের মনে হল যে মেয়েটা আসলেই সব জানে। কিভাবে জানে সেটা আরিয়ান বুঝতে পারল না তবে মেয়েটা সব জানে।
নিশু অবশ্য আর দাড়াল না। একটা হাসি দিয়ে আবার নিজেদের বাসার দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ল। তারপর থেকে প্রায় দিনই নিশু গিয়ে হাজিত হতে থাকল আরিয়ানের বাসায়। প্রথম প্রথম কেবল দরজা দিয়ে কথা বলে ঢুকলেও পরে আস্তে আস্তে ভেতরে ঢোকা শুরু করল। কিন্তু তাররেই নিশুর জীবনে সেই ঘটনাটা ঘটল। নিশুর সব থেকে কাছের বন্ধু দিপ্তিকে চারজন ছেলে মিলে ধর্ষণ করলো । দিপ্তি এবং ওর পরিবার যখন পুলিশ রিপোর্ট করতে গেলে তখন পুলিশ তো কেস নিলোই না উল্টো দিপ্তির উপর দোষ চাপাল। ওসি মিজানুর দিপ্তিকে নানান অপবাদ দিয়ে হুমকি দিতে থাকল। ব্যাপারটা চেপে যেতে বলল। নয়তো ফল মোটেই ভাল হবে না। কারণ যে চারজন মিলে এই অপকর্মটা করেছে তাদের একজন হচ্ছে এমপির ছেলে। পুলিশের পরে পাড়ার বিখ্যাত মাস্তার রিক্সা মাসুমও এসে হাজির হল দিপ্তিদের বাসায়। এক সপ্তাহের ভেতরে বাসা ছেড়ে অন্য এলাকাতে চলে যেতে বলল ওদের। আসলে এসবের পেছনে যে এমপি হায়দারের হাত ছিল সেটা তো আলাদা ভাবে বলে দেওয়া দরক্কার পড়ল না।
নিশুর কিছুই করার ছিল না । কেবল চেয়ে চেয়ে দেখছিল । যখন দিপ্তিরা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হল তখন নিশুর মনের ভেতরে তীব্র এক রাগ এসে জড় হল। সে আরিয়ানের বাসায় এসে ভয়ংকর একটা কাজ করল। আরিয়ান তখন সবেমাত্র দুপুরের খাবারের আয়োজন করছিল। নিশু কলিংবেল চাপ দিল। আরিয়ান দরজা খুলে দিয়ে আবার নিজের কাজে মন দিল। টেবিলে খাবার আনতে আনতে যখন আবার নিশুর দিকে ফিরে তাকাল তখন তীব্র বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে দেখল নিশু নিজের শরীরের সমস্ত জামা কাপড় খুলে এক পাশে রেখেছে। নিচের দিকে তাকিয়ে নিশু বলল, আমার কাছে আপনাকে দেওয়াত মত টাকা নেই। তাই আমার যা আছে তাই নেন। এর বিনিময়ে ঐ লোকগুলোকে মেরে ফেলেন । ঐ ভয়ংকর মানুষগুলোকে মেরে ফেলেন।
এই কথা বললেই নিশু কান্না ভেঙ্গে পড়ল।
আরিয়ান কিছু সময় নিশুর দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর বড় তোলায়েটা নিয়ে নিশুর শরীরে পেঁচিয়ে দিল। বলল, দুপুরের খাবার খেয়েছো?
এই কথা শুনে যেন নিশুর কান্নার জোর আরও বাড়ল। আরিয়ান ওকে কাপড় পরে নিতে বলল। নিশু তাই করার পরে আরিয়ান ওকে ডাইনিং টেবিলের একটা চেয়ারে বসাল। সামনে দুপুরের খাবার এফিয়ে দিয়ে বলল, পাগল মেয়ে। আমি দেখেছি ঐ ঘটনা। দেখো মানুষকে মেরে ফেলা ভয়ংকর একটা ব্যাপার। যে এই কাজ করে তাকে সারা জীবন এটা তাড়িয়ে বেড়ায়। তোমার পিছুও কিন্তু ছাড়বে না । এখন হয়তো তোমার মনে তীব্র আবেগ কাজ করছে কিন্তু এক সময়ে এই আবেগ প্রশমিত হবে। তখন কিন্তু মনে হবে যে তুমি একজন মানষকে মেরে ফেলার জন্য দায়ী। বুঝতে পেরেছো? এটা কিন্তু তখন আর সহ্য হবে না। কোন ভাবেই এই বোঝা তোমার মন থেকে নামবে না। তাই বলছি, মাথা ঠান্ডা কর। তারপর বাসায় যাও।
সেদিন দুপুরের খাবারের পরে নিশু বাসায় চলে এসেছিল। রাতে ঠান্ডা মাথায় যখন চিন্তা করে দেখল তখন আসলে আরিয়ানের কথা তার ঠিকই মনে হল।
মাস খানেক পরেই আরিয়ান বাসা ছেড়ে দিয়ে চলে গেল । আস্তে আস্তে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে এল বটে। ঠিক মাস ছয়ের মাথায় এই ঘটনাগুলো ঘটল। নিশুর মনে হল এ আরিয়ান ঠিক তার জন্যই এই কাজটা করেছে। আরিয়ান হয়তো তখনই মনে মনে ঠিক করেছিল যে কাজটা সে করবে। কিন্তু তখনই করে নি । নিশুকে এই বোঝার হাত থেকে রক্ষার জন্যই সে তখন এই কাজটা করে নি। কিন্তু নিশু ঠিকই জানে যে ওর কারণেই সে এই খুনগুলো করেছে।
এমপি হায়দারের মৃত্যুর ঠিক এক সপ্তাহ পরে নিশুর মেইলে একটা মেইল এসে হাজির হল। সেখানে কেবল একটা লাইন লেখা “নিজেকে দোষ দিও না। ওদের জন্য আলাদা ভাবে সুপারিশ এসেছিল।’’
নিশু মেইলটা পেয়ে কেবল হাসল । তবে ওর তখনও বিশ্বাস যে আরিয়ান আহমেদ ওর জন্যই কাজটা করেছিল। আচ্ছা তার আরিয়ান আহমেদ তো? নিশু জানে না। তার জানার আর কোন উপায় নেই। তার সাথে হয়তো আর কোনদিন নিশুর দেখা হবে না। আজীবিন নিশুর কাছে সে সুদর্শন খুনী হিসাবেই রয়ে যাবে।
ফেসবুকের অর্গানিক রিচ কমে যাওয়ার কারনে অনেক পোস্ট সবার হোম পেইজে যাচ্ছে না। সরাসরি গল্পের লিংক পেতে আমার হোয়াটসএপ বা টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। এছাড়া যাদের এসব নেই তারা ফেসবুক ব্রডকাস্ট চ্যানেলেও জয়েন হতে পারেন।
Discover more from অপু তানভীর
Subscribe to get the latest posts sent to your email.