সাধু যখন আমাকে তার অভিজ্ঞতার কথা বলছিল, আমি তাকে স্পষ্ট ভয় দেখতে পাচ্ছিলাম। আমরা যদি দিনের আলোতে বসেই গল্প করছিলাম তবে আমার মনে হচ্ছিল যেন সে এখনও ভয়ে কাঁপছে। সাধুর বয়স ষাট ছুঁইছুঁই, দেখতে খর্বকায়, বাঁকা নাকটা বেশ চোখে পড়ার মতো। আমি কৌতূহল নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। যেন আমার মন পড়ে ফেলে সে বলল, ‘সেই রাতেই আমার নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছিল।’
‘কবেকার ঘটনা?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম।
‘প্রায় কুড়ি বছর আগে। তারপর থেকে বয়েলগঞ্জের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে এই চাক্কারে চলে এসেছি। অন্ধকার নামলে আজও আমি সেই রাস্তায় যাই না। আমার খুব ভাল করেই মনে আছে, সেদিন ছিল আমাবস্যার রাত…’
সাধু একজন ফুটপাতের হকার। শিমলা শহরের ছোট উপশহর বয়েলগঞ্জের বাসস্ট্যান্ডের কাছে তার দোকান। স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। জায়গাটার নাম হয়েছিল দুই ইংরেজ ভাইয়ের নামে—কর্নেল বয়েলো আর তার ছোটভাই। দুজনেই বেশ খ্যাপা স্বভাবের ছিল। শোনা যায় একবার তারা তাদের কমান্ডার-ইন-চিফকে বাড়িতে দাওয়ার দিয়েছিল তারপর চিফ যখন এসে হাজির হল তখন দেখল তারা মাথায় ভর দিয়ে উল্টো হয়ে দাঁড়িয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে।
বয়েলগঞ্জ একটা জংশন, যেখান থেকে অনেকগুলো রাস্তা বেরিয়ে গেছে। মেইন রোড গেছে বিলাসপুরের দিকে, একটা বাঁয়ে মোড় নিয়ে সামার হিল, যেখানে হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়; আরেকটা চওড়া পায়ে চলা পথ গেছে প্রসপেক্ট হিলের কামনা দেবী মন্দিরে; আরেকটা রাস্তা বয়েলগঞ্জকে চাক্কারের সঙ্গে যুক্ত করেছে। চাক্কারে থাকা সাধু প্রতি রাতে কাজ শেষে এই রাস্তা দিয়েই বাড়ি ফিরত। এই রাস্তাটা ঘন দেবদারু আর ওক গাছের জঙ্গল দিয়ে ঘেরা। এই রাস্তায় সেদিন সাধুর পেছনে চুড়েল লেগেছিল।
সাধু তার গল্প শুরু করে, সেদিন সন্ধ্যাটা ছিল অন্য সব দিনের মতোই। বয়েলগঞ্জ জংশনে লোকজন খুব কম। হকাররা জিনিসপত্র গুটিয়ে নিচ্ছে। আমি তখনও গোছগাছ শুরু করিনি। আমি শেষ বাসের অপেক্ষায় ছিলাম। আশা ছিল শেষ বাসের যাত্রীর কাছে হয়তো কিছু বিক্রি করতে পারব। একটু পরেই দূর থেকে ভাঙা-চোরা বাসের আওয়াজ ভেসে এল, তারপর হেডলাইটের আলোয় আমার চোখ ধাঁধিয়ে গেল। বাসটা তার বসার জায়গা থেকে কয়েক মিটার দূরে থামল। আমি তাকিয়ে দেখলাম বাকি হকাররা গোছগাছ থামায় নি, তবে সবাই আশা নিয়ে যাত্রীদের দিকে তাকিয়ে ছিল।
যে কয়েকজন লোক জংশনের আশপাশে ঘুরছিল, তারা দ্রুত বাসে উঠে পড়ল। কেবল এক বুড়ি নামল বাস থেকে। তারপর সে রাস্তা পেরিয়ে সামার হিলের পথে চলে গেল। একটু বাসটাও হর্ন দিয়ে আমাদের সামনে দিয়ে চলে গেল।
‘নটা বাজে। তোমার লং-রুটের বাসটাও গেল, এবার গোছগাছ কর। কামাই তো কম করিস নি, আর কত?’ কথাটা জিজ্ঞেস করল জিত রাম। জিতরাম আমার অনেক দিনের বন্ধু। আমরা অনেক বছর এই বাসস্ট্যান্ডে এক সাথে জিনিসপত্র বেচি।
‘আরে, তোরা যখন সব গুছাতে শুরু করিস, আমার তখন গোলমাল লাগে। তোরা গেলেই তবে আমি শান্তিতে গোছাতে পারি। এই তো মিনিট পাঁচ-দশের ব্যাপার।’
‘তোর মিথ্যা বলার স্বভাব আর গেল না। তোকে চিনি না!’ বন্ধু হেসে বলল, ‘আমরা গেলে শেষ খদ্দেরটা তোর কাছেই আসবে, তাই না? যাই হোক, কাল দেখা হবে। মনে রাখিস, কাল তোর মাঝখানে বসার পালা, আমি এই জায়গাটা নেব।’ বছরের পর বছর ধরে আমরা এভাবে বসার জায়গা পালা করে বদল করি। ব্যবসার দিক থেকে খুব একটা ফারাক পড়ে না, তবে মনের শান্তি বলতে পারেন। আমাদের দুজনেরই বিশ্বাস—বাসস্টপের কাছাকাছি যে বসে, তার কাছেই বেশি খদ্দের আসে।
ওরা সবাই চলে যাওয়ার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই আমিও আমার সব জিনিসপত্র গুছিয়ে নিলাম। পনেরো কেজি ওজনের টোকরাটা মাথায় তুলে আস্তে ধীরে বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম। অন্য সবার দিক থেকে আমি একটু ভাগ্যবানই বলা যায়, আমার কাছের জায়গা থেকে আমার বাড়িটা মাত্র পনেরো মিনিটের হাঁটা পথ। এই বাড়িটা মালিক তার বড় ভাই, সে মারা যাওয়ার পরে বাড়িটার মালিক এখন আমি। বড়ভাই বিয়েশাদী করে নি। তাই আমিই ছিলাম তার সব থেকে কাছে আত্মীয়।
রাস্তাটা ঘুরঘুটে অন্দকার। অক্টোবরের হালকা ঠান্ডা হাওয়া বইছিল। মাথায় টোকরা নিয়ে দুই হাত পাজামার পকেটে ঢুকিয়ে আমি হাঁটতে লাগলাম। গতবিশ বছর ধরেই আমি প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করি। রাস্তার প্রতিটা বাঁক আমার চেনা।
কয়েক মিনিট পরই আমি তিনটে বিশাল জলের ট্যাঙ্কের কাছে পৌছালাম। ট্যাঙ্কের তলায় জল পড়ার গড়গড় আর ধুপধাপ শব্দ শোনা যাচ্ছিল। রাতের নিস্তব্ধতায় আওয়াজটা যেন একটু অন্যরকম মনে হচ্ছিল। দিনের বেলা এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়েও এই পানির আওয়াজ পাওয়া যায় তবে সেই আওয়াজ এখনকার মত এতো জোরে শোনা যায় না।
আমি আমার মাথার ভারটা একটু ঠিক করে নেওয়ার জন্য দাড়ালাম। ভারসাম্যটা ঠিক করে নিয়ে যখন আবার চলতে শুরু করব ঠিক তখনই আমার কয়েক মিটার সামনে একটা ছায়ামূর্তিকে দেখতে পেল। অবাক হয়ে অন্ধকারের মধ্যে একদৃষ্টে তাকিয়ে নিশ্চিত হলাম—সামনে কেউ হাঁটছে।
‘হয়তো চেনা কেউ হবে’, ভেবে আমি চলতে শুরু করলাম। এই পথে আমার গ্রামই পড়ে। এখানে সবাই বলতে আমার পরিচিত। যখন সামনের ছায়ামূর্তির সাথে দূরত্ব কমে এল তখন বুঝলাম ছায়াটা একজন মহিলার। একটু খটকা লাগল। এই নির্জন পথে রাতের বেলা একা মহিলা হাঁটছে কেন?
‘এত রাতে একা একা কোথায় যাচ্ছো?’ এমন নরম গলায় জিজ্ঞেস করলাম, যাতে সামনের মহিলাটা ভয় না পায়। কোনো উত্তর এল না।
‘কোথায় যাবে? আমিও এই পথে যাচ্ছি, আমার বাড়ি কাছেই’, আবার বললাম। তবু কোনো সাড়া নেই। বিরক্ত হয়ে আরেকবার চেষ্টা করলাম, ‘দেখো, আমি তোমার কোনো ক্ষতি করবো না। এই রাতের বেলা একা একা মহিলার এভাবে হাঁটা খুব ভাল ব্যাপার না। আমার আর কোনো উদ্দেশ্য নেই, আমি সংসারী মানুষ।’
আবার নিস্তব্ধতা।
আমি একটু দ্রুত হেটে তার পাশাপাশি চলে এলাম। তার পায়ের শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছি। শব্দটা কেমন যেন অদ্ভুত লাগল। আমি কৌতুহল থেকেই নিচের দিকে তাকালাম। এই অন্ধকারেও পা দুটো দেখা যাচ্ছে—সাদা, রোগা, হাড়গোড় বের করা। অনেকক্ষণ অন্ধকারে থাকার কারণে অনেক কিছুই এখন আমার চোখে ধরা পরছে কিন্তু তার পা দুটো যেন একটু বেশি পরিষ্কার ভাবে দেখতে পাচ্ছি। কোনো চটি-জুতো নেই, আর হাঁটার সময় পা দুটো টেনে নিয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। দেখে মনে হল যে মহিলার পায়ে কোন সমস্যা রয়েছে। কিন্তু কী সেই সমস্যাটা আমি সেটা তখনও ঠিক বুঝতে পারলাম না।
তারপরই আমার বুকটা ধক করে উঠল। সব বুঝতে পেরে আমার মুখ শুকিয়ে গেছে। আমি যার বা যেটার পাশে হাটছি সেটা কী হতে পারে সেটা আমি বুঝতে পেরেছি। আমার পুরো শরীর কেঁপে উঠল। পা যেন থেমে গেল। আমি নিশ্চল পাথরের মত দাঁড়িয়ে পড়লাম। অনুভব করলাম পাশের মহিলাটাও দাঁড়িয়ে পড়েছে।
বন্ধুদের কাছে আমি চুড়েলের গল্প শুনেছি। আমার দাদীর মুখেও আমি এই গল্প শুনেছি অনেক।এই চুড়েলদের চেনার উপায় একটাই—তাদের পা উল্টোদিকে ঘোরানো। আতঙ্কে আমার চোখ আপনা আপনিই মহিলার পায়ের দিকে চলে গেল। আমি অদ্ভুত ব্যাপারটা ধরতে পারলাম। তার পায়ের গোড়ালি উল্টানো! আমিএ বার তার মুখের দিকে তাকালাম। মুখটা অপূর্ব সুন্দর… আর সে একজন ইংরেজ মেম!
কী করবে ভেবে পাচ্ছিল না, ঠিক তখনই শুনলাম সে বলছে, ‘সাধু, আমাকেও নিয়ে চলো।’
আমার মাথা থেকে টোকরা আপনা আপনিই যেন পড়ে গেল। আমার কেবল এটাই মনে হচ্ছিল যেন এখান থেকে তাকে এখন পালাতে হবে। এই চুড়েলের কাছ থেকে তাকে পালিয়ে যেতে হবে!
‘সা-ধু! আমি আসছি। আমার জন্য একটু দাড়াও।’
আমি এবার তীক্ষ্ন কাঁদুনে গলার স্বরটা শুনতে পেলাম। ওটা আমার নাম পর্যন্ত জানে! এই কথাটা মনে হতেই আমার বুকটা ধড়াস করে উঠল। আমি আর তার দিকে তাকানোর সাহস পেলাম না। ভয়ে চিৎকার দিতে চাইলাম, দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলাম, কিন্তু কিছুই সেটা করতে পারলাম না। পা দুটো যেন বরফের মতো জমে গেছে। আমি একদম নড়তে পারছিলাম না।
ওটা আমার দিকে আরও একটু সরে এসেছে।
আমার মুখ শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে; গলার ভিতরে চিৎকারটা ভেতরেই মরে গেছে। টলমলে পা আর যেন নড়তে চাইছে না। কপাল বেয়ে ঘামের ধারা নেমে আসছে। ‘ও ভগবান, বাঁচাও… মন্দিরে একশো এক টাকা চড়াব’—আমি মনে মনে মানত করলাম।
‘সাধু, দাঁড়াও! আমিও আসছি’—আবার সেই গলা, এবার আরও কাছে। কন্ঠটা শিশুর মতো মিষ্টি, কিন্তু বরফের মতো ঠান্ডা। ভয়ে আমার কান্না বের হয়ে এল। তারপর শেষবারের মতো চেষ্টা করলাম। সমস্ত শক্তি জড়ো করে সে সামনে এগিয়ে যেতে চাইলাম। এবার যেন পা দুটো শেষমেষ সাড়া দিল। আমি বাড়ির দিকে সোজা দৌড় দিলাম। পিছনে তখনও পায়ের শব্দ আসছে। ভয়ে ভয়ে আমি একবার ঘুরে তাকালাম। মুখটা এখন আর চেনা যাচ্ছে না—এখনও ইংরেজ মেমের মতোই লাগছে, তবে চেহারাটা আর স্বাভাবিক নেই, বিকৃত। আমার মুখ দিয়ে সত্যি সত্যি চিৎকার বের হয়ে এল। আমি পাগলের মতো দৌড়তে লাগলাম। আমার পেছনে আসা জিনিসটা একই সাথে কাঁদছে আবার হাসছে আর ক্রমশ সেটা আমার কাছে চলে আসছে। আমি যেন পিঠের কাছে জিনিসটার নিঃশ্বাস অনুভব করতে পারলাম, ওটা যেন আমার গোড়ালি প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে, কিন্তু আমি আর ঘুরে তাকালাম না।
আমি যখন আমার বাড়ি পৌঁছালাম তখনও যেন সেটা আমার পেছনেই আসছে। আমি দরজায় পাগলের মতো ধাক্কা দিতে লাগলাম। পারলে সে নিজের মাথা দিয়ে আছড়ে দরজাটা ভেঙ্গে ফেলে যেন। এক ভাবে চিৎকার করেই চলেছি। যখন দরজাটা খুলে গেল আমি আর এই উত্তেজনা সহ্য করতে পারলাম না, জ্ঞান হারিয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লাম।
পরে আমি শুনেছি যে সেই রাতে আমার পরিবারের কেউ এক মিনিটের জন্যও ঘুমাতে পারেনি। সেই ইংরেজ মেম সারা রাত নাকি আমার ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে চেঁচাচ্ছিল, হাসছিল আর কাঁদছিল।
সাধু তার গল্প শেষ করে এক ভাবেই বসে রইলো। আমার কাছে গল্পটা যদিও খুব বেশি ভয়ের মনে হল না। অবশ্য দিনের আলোতে এই কোলাহলের মধ্যে এই গল্প শুনলে ভয় লাগার কথা না। আমি এরকম গল্প আগেও শুনেছি। আমার এখানে আসার কারণই হচ্ছে এই গল্প সংগ্রহ করা। আমি একটা পত্রিকা অফিসের জন্য এই ধরনের গল্প সংগ্রহ করি। আমার কাজই হচ্ছে সেই সমস্ত মানুষের সাথে কথা বলে তাদের মুখ থেকে পুরো গল্পটা শোনা। তারপর সেটা নিজের মত ড্রাফট করে সম্পাদকের কাছে পাঠানো। তবে আজকে সাধুর মুখ থেকে গল্পটা শোনার পরে আমার নিজের বেশ আগ্রহ জন্মালো সেই স্থানটা দেখার। বয়েলগঞ্জ জংশন থেকে জায়গাটা বেশি দুরেও না। আমি সাধুকে বললাম, জায়গা তোমার বাসার কাছেই তো, ‘তাই না?’
‘কেন? কেন জিজ্ঞেস করছেন?’
‘না মানে যদি আমি দেখতে চাই সেটা!’
আমি সাধুর চোখে আবারও সেই ভয়টা দেখতে পেলাম। সেই সাথে একটা বিস্ময়ভাবটাও আমার চোখ এড়ালো না। কেউ যে ইচ্ছে করে এমন একটা কাজ করতে পারে এটাই সম্ভবত তার বিশ্বাস হচ্ছে না। আমি বললাম, ‘এই এতোগুলো বছর পরে আর কেউ কি তাকে দেখেছে?’
‘অনেকবার। যারাই আমাবস্যার রাতে একা একা সেই রাস্তা দিয়ে হেটে গেছে তাদেরকেই দেখা দিয়েছে সেই ইংরেজি মেম। এখন তো ঐ পথ দিয়ে মানুষ আর যাওয়া আসাই করে না। তারপর জঙ্গলের পাশে দিয়ে আরেকটা রাস্তা তৈরি হয়েছে। এখন সবাই সেটা দিয়েই যাওয়া আসা করে।’
‘আচ্ছা বুঝতে পারছি। আজকে তো আর আমাবস্যার রাত না। তাই না। তাহলে আজকে ভয়ের কোনো কারণ নেই। কী বল?’
আমি সাধুর দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম যে সে আমার কথা তার ঠিক পছন্দ হচ্ছে না। আমাকে সে আরও কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করল। তারপর হাল ছেড়ে দিয়ে অন্য দিকে চলে গেল।
আমি আরও কিছু সময় বসে রইলাম। দিনের আলোর দিকে তাকিয়ে মনে হল এখনও দিনের বেশ খানিকটা সময় বাকি আছে। যদিও আমার এখানকার কাজ শেষ। আমি সাধুর কাছ থেকে শোনা পুরো ঘটনাটা রেকর্ড করে নিয়েছি। এখন দুতিন ধরে এটা শুনে শুনে একটা গল্প লিখে ফেলতে হবে। কিন্তু আমার মনের ভেতরে জায়গা দেখার একটা ইচ্ছে জাগল। আমার অবশ্য এমন ইচ্ছে প্রায়ই হয়। আমি সেই সব জায়গাতে ঘুরে আসি।
এই গল্পটা একটা ইংরেজি গল্প থেকে অনুবাদ করা তবে পুরো গল্পটার থিম একই রেখে ভাষা একেবারে পরিবর্তন করে ফেলা হয়েছে একই সাথে অনেক বাড়তি লাইন যোগ করা হয়েছে।

