গহীন পাহাড়ে

3.9
(15)

বিকেল থেকে আমরা সবাই রাফির বাসায়। আমাদের সামনের আসন্ন ট্যুর নিয়ে আমরা সবাই বেশ উত্তেজিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার পরে আমরা কয়েকটি জায়গায় একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছি, তবে এবারের ট্যুরটা অন্য সব ট্যুর থেকে একটু আলাদা। এই ট্যুরে আমরা প্রথমবারের মতো তাঁবুতে থাকব। বান্দরবানে আমি কয়েকবার গিয়েছি বটে, তবে প্রতিবারই ছিলাম আদিবাসী পাড়ায়। এবার আমাদের প্ল্যান হলো তাঁবু টাঙিয়ে থাকব। সেই প্ল্যান চলছে। আমাদের সঙ্গে তিনজন মেয়েও যাবে। প্রথমে আমরা ওদের নিতে চাইনি, অনেক ভয় দেখিয়েছি, তবে ওরা কোনো কিছুতেই দমে যায়নি। আমাদের আগের ট্যুরগুলোতেও ওরা আমাদের সঙ্গেই ছিল। আমাদের সঙ্গে তাল মিলিয়েই পাহাড়ে চড়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। আজকে আমাদের সাতজনের দলটা এসেছে রাফির বাসায়। যাওয়ার আগে শেষবারের মতো আলোচনা করে নিচ্ছি। কাল রাতে আমরা রওনা দেব।

প্রথম দুই দফায় রাফির মা আমাদের জন্য চা-নাস্তা নিয়ে এসেছিলেন, পরে রাফির বাবা খাবারের ট্রে নিয়ে ঘরে ঢুকলেন। নিলিমা দ্রুত গিয়ে রাফির আব্বার হাত থেকে ট্রে নিতে নিতে বলল, “আঙ্কেল, আপনি কষ্ট করে আসছেন, আমাদের ডাকতেন!”
রাফির বাবা হাসলেন। তারপর বললেন, “আরে, এসব কিছু না। তা, তোমাদের যাওয়ার প্রস্তুতি কেমন?”
জাবির বলল, “সব প্রস্তুত। শেষবার চেক করছি।”
রাফির বাবা বললেন, “তা, তাঁবু নিয়েছ কয়টা?”
জাবির বলল, “দুটো নিয়েছি।”
রাফির বাবা বললেন, “তোমরা সাতজন না? দুটোতে হবে না। আরেকটা নিয়ে নাও। আর ল্যাম্প নিয়েছ?”
জাবির বলল, “আঙ্কেল, টর্চ নিয়েছি। বাড়তি ল্যাম্পের দরকার পড়বে না।”
রাফির বাবা বললেন, “একটা ল্যাম্প নিয়ে নাও। সব সময় টর্চ জ্বালিয়ে রাখা যায় না। ক্যাম্পের মাঝে একটা সর্বক্ষণিক আলো থাকা ভালো। আলোতে সবকিছু দূরে থাকে। পাহাড়ে যাচ্ছ, পাহাড় হচ্ছে সবচেয়ে অনির্দেশ্য জায়গা। কোনোভাবেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।”
রাফি এই সময় বলল, “তোদের বলিনি, আব্বু কিন্তু আগে বিজিবিতে চাকরি করতেন। আমরা যেখানে যাচ্ছি, সেই চিম্বুক রেঞ্জের আরও ভেতরে তাঁর পোস্টিং ছিল।”
আমরা সবাই বললাম, “তারপর?”
রাফি তাকাল তার বাবার দিকে। বলল, “বলবে নাকি গল্পটা?”
রাফির বাবা বললেন, “তোমাদের সময় হবে?”
নিলিমা বলল, “আরে, কী যে বলেন আঙ্কেল, হবে না মানে? আপনি এখানে এসে বসেন। পাহাড়ের গল্পের জন্য আমাদের সময়ের অভাব নেই।”
রাফির বাবা আমাদের সবার দিকে তাকালেন। তারপর বসতে বসতে বললেন, “ঐ ঘটনাটা অবশ্য আমার জীবনটা বদলে দিয়েছে। এখন আমি অনেক কিছুই বিশ্বাস করি। আগে এতটা বিশ্বাস করতাম না।”

তিনি একটা লম্বা দম নিলেন। তারপর গল্প শুরু করলেন।
আমি আমার চাকরির জীবন শুরু করেছিলাম বেশ ছোট থেকেই। ইন্টার পাসের পরে আর উচ্চশিক্ষা হয়নি। আসলে উপায়ও ছিল না। বাবা মারা গিয়েছিলেন। সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে কাঁধে। তাই চাকরিতে ঢুকে গেলাম। বিজিবির সিপাহী পদে। এক বছর চাকরির পরে আমার পোস্টিং বান্দরবানে হয়। প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও একটা সময়ে আমার পাহাড় বেশ ভালো লাগতে শুরু করে। একটা শান্তির ভাব ছিল।

চিম্বুক রেঞ্জের শেষ প্রান্তে একটা নতুন বিজিবি ক্যাম্প করার নির্দেশ এল। ঐ পথ দিয়ে কিছুদিন ধরে ভারত থেকে চোরাচালানকারীরা দেশে ড্রাগস নিয়ে ঢুকছিল। সেটা ঠেকানোর জন্য একটা অস্থায়ী ক্যাম্প করলাম। সেখান থেকে দুই ঘণ্টার দূরত্বে একটা পাড়া ছিল। সেখানে এই ক্যাম্পের বেস বসানো হয়েছিল। এখানে দুটো তাঁবু টাঙানো হয়েছিল। সেইসঙ্গে বেশ বড় একটা অংশ জুড়ে বসানো হয়েছিল মোশন সেন্সর। এই পথ দিয়ে কেউ গেলেই সেটার সংকেত চলে আসত এখানে। সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা সংকেত যেত বেস ক্যাম্পে।

ক্যাম্পে আমরা মোট আটজন বিজিবি সদস্য, যাদের সাতজনই সিপাহী আর একজন কেবল ল্যান্স নায়েক। আমাদের সারাদিনের কাজ বলতে কিছুই ছিল না। সারাদিন শুয়ে-বসে কাটানো আর ক্যাম্পের চারপাশে ঘোরাঘুরি করা। আমার এই কাজটা ভালোই লাগত। এছাড়া দিনে একবার বেস ক্যাম্পে গিয়ে রিপোর্ট করা। সঙ্গে রান্নাবান্না করা। রাত হলে দুজন পালা করে ক্যাম্প পাহারা দিতাম আর বাকিরা নাক ডেকে ঘুমাত।

রাতের বেলা মোশন সেন্সরগুলো ভালোভাবে চালু করে দেওয়া হতো। পাহারায় থাকা দুজনের একজন সব সময় খেয়াল রাখত এই মনিটরের ওপরে, আর অন্যজন ক্যাম্পের এদিক-ওদিক টর্চ মেরে ঘুরে বেড়াত। এছাড়া আর কোনো কাজ ছিল না এখানে। ক্যাম্প বসানোর পরে এই পথে চোরাচালান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ক্যাম্প বসেছে এই ভয়েই ওরা এই পথ দিয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল।

যেদিন আমার রাতের পাহারা থাকত, সেদিন আমিই সারা ক্যাম্প এবং এর আশপাশে ঘুরে বেড়াতাম। রাতের এই নিস্তব্ধতা আমার ভালো লাগত। আমি প্রায় সারারাতই ক্যাম্পের চারপাশে ঘুরে বেড়াতাম। তবে সেদিনের কথা একটু অন্যরকম ছিল। সেদিন সকাল থেকেই টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছিল। আমাদের কারোই পাহারা দেওয়ার মুড ছিল না। পাহাড়ে তো তোমরা গিয়েছ, বৃষ্টির সময়ে কী চমৎকার একটা আবহাওয়া থাকে, নিশ্চয়ই জানো?

রাফির বাবা কথা থামিয়ে আমাদের সবার দিকে তাকালেন। আমরা জানি যে পাহাড়ে বৃষ্টির ব্যাপারটা কতটা চমৎকার। যারা পাহাড়ে গিয়েছে, নিজে এই অভিজ্ঞতা নিয়েছে, কেবল তারাই এই ব্যাপারটা জানে। বইতে পড়ে কিংবা মুভিতে দেখে এই ব্যাপারটা কোনোদিনই পুরোপুরি উপলব্ধি করা যায় না।

রাফির বাবা আবারও বলতে শুরু করলেন, “আমরা সবাই সারাদিন তাঁবুর ভেতরেই ছিলাম। এছাড়া তাঁবু থেকে একটু দূরে একটা চালার মতো ছিল। এখানেই মূলত আমরা এসে বসে পাহারা দিতাম। ঐদিন যদিও আমার পাহারার দিন ছিল না, তবে অন্য কারো ইচ্ছা ছিল না যাওয়ার। তাই আমিই সেই পাহারার ভার নিলাম। একটা রেইনকোট গায়ে চাপিয়ে আমি ছাউনির নিচে গিয়ে বসলাম। সামনে আগুন জ্বালালাম, তাই ঠান্ডার ভেতরেও বেশ ভালো লাগছিল। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে ছিলাম। নেশা ধরে গিয়েছিল যেন। কিছু সময়ের ভেতরেই পুরো এলাকা একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে গেল। আমি নিশ্চিত যে কারোই এই সময়ে জেগে থাকার কথা না। পুরো ক্যাম্প ঘুমিয়ে পড়েছিল। এই দিনে চোরাচালানকারীরাও আসবে না। এই বৃষ্টির ভেতরে রাতের বেলা পাহাড়ে চলাচল বেশ কঠিন আর বিপজ্জনক একটা ব্যাপার। তাই আমি ধরেই নিলাম যে কেউ আসবে না। আমি আপন মনে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে প্রকৃতি উপভোগ করতে লাগলাম। জায়গাটা এত আরামের ছিল যে আমার কিছু সময়ের ভেতরেই চোখ লেগে এল। আমি একটু ঘুমিয়ে পড়লাম।

কত সময় আমি ঘুমিয়েছিলাম, সেটা আমার মনে নেই, তবে আমার একটু শীত শীত করছিল। সেখান থেকেই আমার ঘুমটা ভেঙে গেল। ঘুম ভেঙে দেখি বাইরের পরিবেশটা আরও অন্যরকম হয়ে গেছে। আমার সামনে যে আগুন জ্বলছিল, সেটা নিভে গেছে। কেবল লাল কয়লা দেখা যাচ্ছে। এই কারণে আমার শীত লাগা শুরু করেছিল। পাহাড়ে এমনিতেই রাতে শীত পড়ে, আর বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। পাশে ভাঁজ করে রাখা আমার জ্যাকেটটা পরব কি না বুঝতে পারছিলাম না, নাকি আগুনটা আরেকটু বাড়িয়ে দেব। কয়েকটা কয়লার মধ্যে কাঠ ফেলে দিলেই আবার জ্বলে উঠবে।

আমার মনে হলো জ্যাকেট পরার চেয়ে আগুন জ্বালানোই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আমি চেয়ার থেকে উঠে কাঠ নিতে যাব, ঠিক তখনই আমি থমকে গেলাম। বৃষ্টি-মেঘের কারণে চারদিক একেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে আছে। তবে অনেক সময় অন্ধকারে থাকলে অন্ধকারটা চোখে সয়ে যায়। তখন সামনের অনেক কিছুই দেখা যায়। আর আমি অনেকদিন ধরে পাহাড়ে আছি, তাই একটা অভিজ্ঞতাও আছে আমার।

আমি সামনে তাকিয়ে দেখলাম একটা আবয়ব। মানুষের আকৃতির। যেদিকে আমাদের ক্যাম্পটা ছিল, সেটার বিপরীত দিকে। স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আমার মনে হলো সেটা আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। আমি কয়েকটা মুহূর্ত সেটার দিকে একভাবে তাকিয়ে রইলাম। আমার মনে হলো যে আমার ধারণায় ভুল ছিল। বৃষ্টির ভেতরেই চোরাচালানকারীদের দল এই পথে এসেছে। এই ক্যাম্পে এসেছে আমরা কেউ জেগে আছি কি না সেটা দেখতে। তখনই আমার চোখে পড়ে গেছে।

কিন্তু ছায়ামূর্তি চলে গেল না। একভাবে দাঁড়িয়ে রইল। আমি দ্রুত রেইনকোট গায়ে চাপালাম। এক হাতে রাইফেল আর অন্য হাতে টর্চ নিয়ে যখন আমি আবার তার দিকে ঘুরে তাকালাম, তখনও সেটা একইভাবে আমার দিকে মুখ করে তাকিয়ে আছে। আমি দ্রুত সেদিকে হাঁটা দিলাম। আসলে তখন আমার মাথায় কী চলছিল, সেটা আমার জানা নেই। আমার আগে ক্যাম্পের লোকজনদের ডাকা দরকার ছিল। তবে আমি সেটা না করে লোকটার দিকে দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেলাম। আরেকটু কাছে গিয়ে যখন আমি লোকটার শরীরে টর্চের আলো ফেললাম, তখন লোকটা যেন এক লাফে দূরে চলে গেল। কিন্তু আমি একেবারে স্থির হয়ে গেলাম। যে আলোটুকু জ্বলেছিল, সেটাতে আমি লোকটার মুখের এক ঝলক দেখেছিলাম। আমার হাত থেকে রাইফেল আর টর্চ পড়ে গেল। কারণ আমি যার মুখটা দেখলাম, সেটা আমার দেখার কথা না!
আমার বাবার মুখ!

আমি জীবনে এতটা অবাক হইনি। আমার স্বাভাবিক চিন্তায় আসা উচিত ছিল যে এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। আমার বাবার এখানে কোনোভাবেই আসা সম্ভব না। এমনকি তিনি যদি বেঁচেও থাকতেন, তবুও এখানে এই পাহাড়ে এই সময়ে তার আসার কোনো সম্ভাবনাই নেই। কিন্তু আমার স্বাভাবিক চিন্তা তখন লোপ পেয়েছে।

আমি তার পেছনে ছুটতে শুরু করলাম। দেখলাম আমার সামনের লোকটাও যেন ছুটেই চলেছে। কত সময় আমি ছুটলাম, আমার মনে নেই, তবে আমি তার পেছনেই যেতে লাগলাম। এমন কিন্তু না যে আমি তাকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, তবে সে পুরোপুরি আমার চোখের আড়ালও হচ্ছে না। যখনই মনে হচ্ছে তাকে আর দেখতে পাচ্ছি না, তখনই দূরে তাকে দেখতে পাচ্ছি। কখনো আমি পাহাড় বেয়ে নামছি, আবার কখনো আমি উঠছি। এভাবে চললাম কত সময়। তারপরই একটা ভয়ংকর আওয়াজ আমার কানে এল! আমার ঘোরলাগা ভাবটা ছুটে গেল। কিছু একটা ভেঙে পড়েছে। আওয়াজটা এসেছে আমার পেছন থেকে। আমার যেখানে ক্যাম্প ছিল। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম যে পাহাড় ধস হয়েছে। আমি আবার সামনের দিকে তাকালাম, তবে এবার আর কাউকে দেখতে পেলাম না। আমার বাবারূপী সেই ছায়ামূর্তি গায়েব হয়ে গেছে। আমি পেছনে ক্যাম্পের দিকে দৌড় দিলাম আবার।

যখন ক্যাম্পের কাছে পৌঁছালাম, তখন দেখতে পেলাম অনেকগুলো আলো জ্বলছে। পাহাড় ধসটা একেবারে আমাদের ক্যাম্পের কাছে এসে পড়েছে, তবে ক্যাম্পটা ধ্বংস হয়নি। কিন্তু যে ছাউনিতে আমি কিছু সময় আগে বসে ছিলাম, সেটা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার ক্যাম্পের লোকজন সেই মাটি সরানোর চেষ্টা করছে। তারা ভাবছে যে আমি হয়তো সেটার নিচে চাপা পড়েছি। আমি যখন তাদের পেছনে এসে হাজির হলাম, তখন দেখি আমার ল্যান্স নায়েক এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। তার চোখে পানি দেখতে পেলাম।

যখন সবাই একটু সুস্থির হলো, তখন আমি তাদের পুরো ঘটনা খুলে বললাম। আমার কথা শুনে কেউ কোনো কথা বলল না। বাকি রাতটা আমরা সেভাবেই কাটিয়ে দিলাম। পরদিন সকালে আমরা আমাদের বেস ক্যাম্পে ফিরে আসি!

রাফির বাবা গল্প থামালেন! আমরা সবাই তখন থম মেরে বসে আছি। এতক্ষণ ইরা একটা কথাও বলেনি। সে বলল, “আঙ্কেল, সত্যিই আপনার বাবা এসেছিল?”

রাফির বাবা হাসলেন। তারপর বললেন, “আমারও একটা সময় বিশ্বাস ছিল যে বাবা তুমি সত্যিই এসেছিলেন। আমাকে রক্ষা করতেই তিনি এসেছিলেন। কয়েকদিন পরেই আমি ছুটি নিয়ে মায়ের কাছে আসি। মাকে সব কথা খুলে বলি। আমার মা বেশ ধার্মিক মানুষ। তিনি আমাকে নিয়ে আমাদের গ্রামের হুজুরের কাছে গেলেন। হুজুর সব শুনে বলেছিলেন যে মানুষ একবার মারা গেলে আর ফিরে আসতে পারে না। কোনোভাবেই পারে না। সেই সময়ে কোনো ভালো জিন হয়তো সেই এলাকায় ছিল। বর্তমানে পাহাড়ে এই জিনদের বসবাস। সেই আমার বাবার রূপ ধরে এসেছিল আমাকে বাঁচাতে। এভাবে জিনরা মাঝে মাঝে মানুষের উপকার করে থাকে।”

এরপর আমি আর পাহাড়ে যাইনি। ছুটি থেকেই আমি চাকরি থেকে ইস্তফা দিই। তারপর কুয়েত চলে যাই। সেখানেই বেশ লম্বা সময় ছিলাম।

রাফির বাবা চলে যেতেই আমরা আবারও মেয়েদের দিকে তাকিয়ে বললাম, “আবার কিন্তু ভেবে দেখ। এই একটা জিন কিন্তু আসতে পারে!” অবশ্য মেয়েরা আমাদের কথায় পাত্তাই দিল না। তারা বলল, “যদি জিন আসে, তবে তার সঙ্গে ভাব জমিয়ে ফেলব।”

ফেসবুকের অর্গানিক রিচ কমে যাওয়ার কারনে অনেক পোস্ট সবার হোম পেইজে যাচ্ছে না। সরাসরি গল্পের লিংক পেতে আমার হোয়াটসএপ বা টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। এছাড়া যাদের এসব নেই তারা ফেসবুক ব্রডকাস্ট চ্যানেলেও জয়েন হতে পারেন।

অপু তানভীরের নতুন অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে

বইটি সংগ্রহ করতে পারেন ওয়েবসাইট বা ফেসবুকে থেকে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 3.9 / 5. Vote count: 15

No votes so far! Be the first to rate this post.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →

One Comment on “গহীন পাহাড়ে”

  1. গহীন পাহাড়ের নীরবতা, বৃষ্টির আভা আর সেই অদেখা উপস্থিতি – সব মিলিয়ে গল্পটা মন ধরার মতোই; আর পড়ছিও নিশ্চুপ বৃষ্টি ভেজা রাতে। রোমাঞ্চ আর অদ্ভূতুড়ে ঘটনা গুলো আপনার লেখায় আগে থেকেই ভালো ফুটে উঠে, এখানেও তার ব্যতিক্রম হয় নি।

    শুভকামনা জানবেন প্রিয় গল্পকার!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *