গল্প থিম

oputanvir
4.6
(13)

থিম এক
নীল ক্ষেতের ফুটপাথ থেকে বই খুজতে খুজতে নওরিনের হাতে একটা পুরানো বই এসে ঠেকে । বইটা একটু নেড়ে চেড়ে দেখতে গিয়ে সে খেয়াল করে যে বইটা আসলে একটা ডায়রী । খুব কৌতুহল হয় তার । সে সেই পুরানো ডায়েরিটা কিনে বাসায় হাজির হয় । ডায়রিটা পড়তে পড়তে সে আবিস্কার করে যে ডায়রির কাহিনী আর তার নিজের জীবনের কাহিনী একেবারে হুবাহু মিল । যেন সে নিজেই ডায়রিটা লিখেছে । ডায়রির শেষ পাতায় গিয়ে সে লেখা দেখে যে কাঁপা কাঁপা হাতে লেখা যে একজন খুনী তাকে খুন করতে দরজার ওপাশে দাড়িয়ে আছে । দরজা ভেঙ্গে এখনই ভেতরে ঢুকবে সে !

থিম দুই
সাব্বির সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলে একটা মেসেজ দেখতে পেল । অদ্ভুত এক নম্বর থেকে মেসেজ । মেসেজটা ওপেন করে দেখলো সেখানে অল্প কয়েকটা কথা লেখা । আজকে ওর বড় চাচা মারা যাবে । এবং সত্যি সত্যি দেখা গেল যে ঐদিন তার বড় চাচা মারা গেল । এভাবে প্রতিদিন সকালে একটা করে মেসেজ আসা শুরু করলো । এবং মেসেজে যা হবে বলা হয় তাই হতে শুরু করলো ওর জীবনে । একদিন মেসেজ এল যে সাব্বিরের আজকে শেষ দিন ।

থিম তিন
আদনান পেশায় একজন ডাক্তার । যে যেমন মানুষকে রক্ষা করে ঠিক তেমন নি ভাবে সে মানুষকে নিয়ে খেলাও করে । তার একটা গোপন ল্যাব আছে যেখানে সে মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে । কিন্তু কদিন থেকেই সেই এক্সপেরিমেন্টে মারা যাওয়া মানুষ গুলোকে আদনান দেখতে পাওয়া শুরু করেছে । প্রথম প্রথম তারা দুরে দুরে থাকলেও এক সময়ে তারা আদনানে কাছে চলে আসা শুরু করলো এবং এক সময়ে আদনান আবিস্কার করলো যে তারা চাইলেই আদনানের ক্ষতি করতে পারে ।

থিম চার
চারজন কিডন্যাপার শশীকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেল স্কুল থেকে । তাকে বন্দী করে রাখলো গাজীপুরের কোন একটা ফার্ম হাউজে । তারপর শশীর বাবার কাছে মুক্তিপন চাইলো । শশীর বাবা অদ্ভুত ভাবে হাসলো ফোনে । তারপর কেবল বলল যদি কাল সকাল পর্যন্ত তারা বেঁচে থাকে তাহলে তারা যত টাকা চায় তত টাকাই তারা পাবে ।
চারজন কিডন্যাপার তখন আবিস্কার করলো যে তারা যাকে ধরে নিয়ে এসেছে সে আর যাই হোক, কোন মানুষ নয় !

থিম পাঁচ
মিমু একদিন আবিস্কার করলো যে সে হঠাৎ করেই সবার মনের কথা বুঝতে পারছে । তার আশে পাশের সবাই যা ভাবছে সেটা সে পড়ে ফেলতে পারছে । প্রথম প্রথম ব্যাপারটা মজা লাগলেও এক সময়ে মানুষের কুৎসিত সব রূপ তার সামনে ধরা পড়তে লাগলো । মানুষের মনের কথা আর বাইরের রূপের ভেতরে কি আকাশ আর পাতাল পার্থক্য সেটা জেনে সে নিজের কাছের মানুষগুলো থেকে দুরে সরে যেতে লাগলো ক্রমশ । এবং সেই সাথে সাথে আরও একটা যন্ত্রনা ওর মাথায় এসে বাসা বাঁধলো । মিমুর এই শক্তি এমনি এমনি আসে নি । খুব ভয়ংকর কিচু ঘটেছে মিমুর সাথে ।

থিম ছয়
ফয়সাল একজন সিরিয়াল কিলার । সে মানুষকে সুযোগ পেলেই খুন করে । তবে একদিন এক ফকিরকে খুন করতে গিয়ে নিজেই খুন হয়ে গেল । যখন তার চোখ খুলল তখন অন্য কোন মানুষের দেহে চলে এসেছে । অথ্যাৎ তার আত্মা নতুন একটা শরীর পেয়েছে । কিন্তু সমস্যা হ্ছে সে আরও আবিস্কার করলো একজন সিরিয়াল কিলার তাকে খুন করতে যাচ্ছে । এভাবে বারবার ফয়সাল খুন হতে থাকে আর বারবার জেগে উঠে নতুন কোন মানুষের শরীরে এবং বারবার তাকে কোন সিরিয়াল কিলার খুন করে । একটা সময়ে আবিস্কার করতে পারলো যে সে যার যার দেহে জেগে উঠছে তারা সবাই তারই হাতে খুন হয়েছিলো ।

থিম সাত
রাতের বেলা সায়েম বাইক নিয়ে বের হয় পাঠাওয়ের ট্রিপ মারতে । বসিলা রোডের কাছে একজন মেয়ের কল পেয়ে সে সেখানে হাজির হল । রাস্তার পাশে মেয়েটি দাড়িয়ে রয়েছে সে । দেখতে খুবই আকর্ষনীয় সেই মেয়ে । বাইকে উঠে বসলো মেয়েটি । বাইক যখন চলতে শুরু করলো তখন সায়েম আবিস্কার করলো যে মেয়েটি তার শরীরের সাথে একেবারে লেপটে আছে । একটা দারুন মিষ্টি গন্ধ আসছে মেয়েটির শরীর থেকে । বাইক চালাতে চালাতে সায়েম যেন অন্য জগতে চলে গেল । তখনই ঘাড়ের কাছে মেয়েটির গরম নিঃশ্বাস অনুভব করলো সায়েম । তারপরই একটা তীক্ষ সুচালো ব্যাথা অনুভব করলো সায়েম । মেয়েটি মানুষ নয়, ভ্যাম্পায়ার ছিল ।

থিম আট
জঙ্গলের ভেতরে বেড়াতে গিয়ে মীম আর এসা রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে । তারা সারা দিন হেটে ক্লান্ত হয়ে গেছে । যখন মনে হচ্ছে যে আর তাদের শরীর কোন পরিশ্রম নিতে পারবে না তখনই আবিস্কার করলো যে তাদের সামনে একটা নির্জন কাঠের বাড়ি। বাড়িতে ঢুকে আবিস্কার করলো যে সেখানে থাকার আর খাওয়ার জন্য সব কিছু আছে । কিন্তু বাসায় আপাতত কেউ নেই । সম্ভবত মালিক বাইরে গেছে । ফিরে আসবে কিছু সময় পরেই । কিন্তু ওরা জানলোই না যে কি বিপদে ওরা পড়তে চলেছে । এই বাড়ির খাবার যারা একবার খায়া আর রাতে একবার ঘুমায় তারা আর কোন দিন বাড়ি থেকে বাইরে যেতে পারে না ।

থিম নয়
প্রিয়ন্তি নতুন ডাক্তারির চাকরি নিয়ে প্রত্যন্ত এক গ্রামে গিয়েছে । সেখানে থাকার জন্য একটা বাড়ি তাকে দেওয়া হয়েছে । সব কিছু ঠিক ঠাক চললেও এক সময়ে প্রিয়ন্তি আবিস্কার করলো যে ওকে যে বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয়েছে সেই বাড়ির কিছু সমস্যা রয়েছে । যেমন সেখানে অনেক কিছু আপনা আপনিই হয়ে যায় । কে জানি ওর সব কাজ কর্ম করে দেয় । এমন কি রান্না বান্না টুকুও । প্রিয়ন্তি তারপর আবিস্কার করে যে ওর আগে এই গ্রামে আসা ডাক্তার মেয়েটি এখানে মারা গিয়েছিলো কিন্তু সে এখান থেকে মুক্তি পায় নি ।

থিম দশ
জেরিন ও তার বন্ধুরা গিয়েছে বান্দরবানে বেড়াতে । সেখানে একটা অজানা মন্দিরে ওরা ঢুকে পড়ে । গাইডের শত মানা করা স্বত্তেও জুতো পায়ে মন্দির চত্তর ঘুরে বেড়ায় । গাইড ওদের বারবার মানা করছিলো যেন ওদের দেবতার মন্দিরকে ডিস্টার্ব না করে । তবে ওরা কিছুতেই সেই কথা কান দেয় নি । কারণ মন্দিরটা ছিল পরিত্যাক্ত । কেউ সেখানে অনেক দিন ধরে আসে না সেটা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে পরিস্কার । কিছু সময় ঘুরে তারা আবার ফিরতি পথ ধরলো । কিন্তু তারা একা ফিরলো না । এক রাগান্বিত অপদেবতা তাদের পিছু নিল । তারপর একে একে খুন করতে শুরু করলো জেরিনদের বন্ধুদের । শেষ পর্যন্ত সবাই কি মারা পরলো কিংবা কোন ভাবে কি কেউ কেউ বেঁচে গেল !

এই হচ্ছে মোট ১০টি গল্পের থিম । গল্প লেখার সময় এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখবেন যে থিমে যে প্রধান চরিত্রের যে নাম নামটা ব্যবহার করা হয়েছে আপনারাও সেই নামটাই রাখবেন । গল্প পাঠানোর মেইল এড্রেস contact@oputanvir.com। ফেসবুক ইনবক্সে গল্প পাঠালে চলবে না । আর মোটামুটি এক সপ্তাহের ভেতরে লেখা পাঠাবেন । গল্পের শেষে নিজের নাম স্পষ্ট ভাবে লিখবেন । চাইলে নিজের ফেসবুক আইডি, ইমেল আইডিও এড করতে পারেন ।

গল্প লেখার ব্যাপারে অল্প কয়েকটি নির্দেশনা ।

১. গল্প অবশ্যই বাংলাতে লিখে পাঠাতে হবে । এবং যথা সম্ভব বানান ভুল পরিহার করতে হবে ।

২. গল্প মেইলে পাঠাবেন । কোন ভাবেই পেইজের ইনবক্সে গল্প পাঠালে, হবে না ।

৩. গল্পের শব্দ সংখ্যা এক হাজার থেকে দুই হাজারের ভেতরে রাখার চেষ্টা করবেন । তবে দুই একশ শব্দ এদিক ওদিক হলে খুব বেশি সমস্যা নেই ।

৪. গল্প মেইলের বডি কিংবা এটাচ করে পাঠালেই হবে । তবে এমন ভাবে পাঠালে হবে না যা আমি কপি করে পোস্ট করতে পারবো না । অর্থ্যাৎ এমন ভাবে পাঠাতে হবে যেমন সেখান থেকে কপি করতে পারি ।

৫. ১০টা থিমের ভেতরে কোন একটা থিমটা যদি বেশি মানুষ ব্যবহার করে তাহলে পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে যে কোন থিমটা বেশি ব্যবহার হচ্ছে । সেই ক্ষেত্রে সেই থিমটা নিয়ে না লেখার অনুরোধ রইলো । সেই ক্ষেত্রে হয়তো নতুন থিম যুক্ত হতে পারে ।

৬. মেইল পাঠানোর সময় সাবজেক্টে লিখতে হবে ”গল্প-০১/০২/০৩ ….” । অথ্যাৎ গল্প তারপর যে থিম টা নিয়ে লিখবেন সেই থিমের নম্বর ।

৭. মেইল পাঠাবেন contact@oputanvir.com এই মেইলে । আমার কাছে মেইল এলেই আমি মেইলের জবাব দিয়ে জানাবো । যদি এক দিনের ভেতরে মেইলের জবাব না পান তাহলে বুঝবেন যে আমার কাছে মেইল আসে নি ।

হ্যাপি রাইটিং …

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.6 / 5. Vote count: 13

No votes so far! Be the first to rate this post.

About অপু তানভীর

আমি অতি ভাল একজন ছেলে।

View all posts by অপু তানভীর →